গোধূলীর আলোয় । পর্ব -৪০
নিরিবিলি ছাদের এক কোণায় পাশাপাশি দাঁড়ালো স্নেহা এবং সায়ন। দুজনেই নিরব। এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর স্নেহা সায়নের দিকে ঘুরে তাকিয়ে বললো,
“আমার বয়ফ্রেন্ড আছে।”
স্নেহার মুখে বয়ফ্রেন্ড আছে কথাটা শুনে এবার স্নেহার দিকে সরাসরি তাকালো সায়ন।স্নেহা বললো,
“আমার ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে ভালোলাগেনা তাই সোজাসোজি বলে দিলাম। আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসি। আমার বয়ফ্রেন্ডের পরিবারিক অবস্থা আমাদের মত না, আর্থিক দিক দিয়ে ওরা গরীব তাই আমার আব্বু ওকে মেনে নিতে নারাজ। আপনার কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে এই বিয়েতে মানে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবেননা। নিচে গিয়ে সবাইকে বলবেন, আমাকে আপনার পছন্দ হয়নি; তাহলে আব্বু আর আমাকে আপনার সাথে বিয়ে দিবেনা।”
“কি করে আপনার বয়ফ্রেন্ড?”
“তেমন কিছুই করেনা তবে ফুটবল খেলে। অনেক ভালো ফুটবোলার সে। বিভিন্ন জায়গায় ওদের ক্লাব থেকে খেলতে যাই, যা টাকা পায় ওটা দিয়েই চলে ও।”
“আচ্ছা!” আচ্ছা বলে সায়ন চুপ হয়ে গেলো। স্নেহা বললো,
“কি ভাবছেন?”
সায়ন একটু মৃদু হাসলো এরপর বললো,
“তেমন কিছুনা। আমি আপনার আব্বুকে বলে দিবো।”
“কি বলবেন?”
“আপনাকে আমার পছন্দ হয়নি।”
“থাংঙ্কিউ!”
“ওয়েলকাল!”
সায়ন কিছুক্ষণ চুপ থাকলো আবার; এরপর স্নেহাকে বললো,
“এভাবে কতদিন, কতজনকে আটকাবেন? আপনার বয়ফ্রেন্ডকে কিছু করতে বলেন নাহলে এক সময় কেউ না কেউ আপনাকে নিয়ে যাবেই।”
“বলি, শোনেনা। ওর একটাই স্বপ্ন, একদিন সে অনেক বড় ফুটবোলার হবে; তার জন্য যা করার দরকার সে করবে।”
“ভাইয়া নিচে তোমাদের ডাকে।” সামিরের গলার আওয়াজ শুনে সায়ন, স্নেহা দুজনেই সিঁড়ি ঘরের দরজার দিকে তাকালো।
সায়ন স্নেহাকে বললো,
“চলুন নিচে।”
“হ্যাঁ!”
মিথিলা আজ হোস্টেল ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি চলে এসেছে। মিথিলার শ্বাশুড়ি আর ছোট ননদ অনু গিয়ে নিয়ে এসেছে মিথিলাকে। আসার সময় সবাইকে ছেড়ে আসতে মিথিলার অনেক কষ্ট হচ্ছিলো, মিতু, নুসরাত, নিপা, মাইশা, সুমনারো আজ অনেক মন খারাপ। এতদিন এক সাথে ছিলো, মায়া পড়ে গেছে সবার প্রতি সবার। মিথিলার শ্বাশুড়ি ওদের বলে এসেছে, তোমাদের সবার যখন ইচ্ছা হবে তখনি চলে আসবে আমাদের বাসায়। মিথিলার শ্বাশুড়ির কথায় সবাই অনেক খুশিও হয়েছে অবশ্য। রাজশাহীতে তাদের কোন আপনজন নেই এবার একটা পরিবার তারা পেলো আপনজন হিসেবে।
“ভাবি কি করো?”
অনু এসে বসলো মিথিলার পাশে।মিথিলা বললো,
“আমার রুমমেটদের মিস করছি।”
“করাটাই স্বাভাবিক। এতদিন একসাথে ছিলে, সবাই প্রতিই মায়া জন্মে গেছে।”
“হ্যাঁ, অনেক স্মৃতি জমা হয়ে গেছে। আমার তো কোন বোন নাই, ওরাই আমার আপন বোনের মত ছিলো।”
“মন খারাপ করো না। এখন থেকে আমি তোমার আরেকটা বোন।”
মিথিলা হাসলো। অনুর একটা হাত ধরে বললো,
“সে আর বলতে।”
“ওদের শুক্রবারে আমাদের বাসায় আসতে বললে কেমন হয় ভাবি? ভাইয়াও আসবে!”
“ভালো হয়; তবে আম্মা আর তোমার ভাইয়াকে বলে দেখতে হবে।”
“আরে ওদের বলা লাগবেনা। তুমি শুক্রবারে সকাল সকাল ওদের চলে আসতে বলো। আগামীকাল ভাইয়া আসবে, সবাই মিলে বেশ আনন্দ করা যাবে।”
“আচ্ছা, ওদের বললে ওরা অনেক খুশি হবে। এখানে ওদের কেউ নাই, এখানে আসলে ওদের ভালোই লাগবে।”
“তোমার চাচাতো ভাই আছেনা? ও’কেও আসতে বলো।”
“নিলয় ভাইয়া?”
“হ্যাঁ!”
“নিলয় ভাইয়াকে এমনিই তোমার ভাইয়া আসতে বলতো। আমার বিয়ের পর একবারো আসেনি এই বাসায় তাই তোমার ভাইয়া বলছিলো, সে এসে ভাইয়াকে আসতে বলবে।”
“তাহলেতো ভালোই হলো। তোমার দিকের কেউ আসেনি। আমার বিয়েতে তোমার আম্মু মানে আন্টি আর ছোট খালা একসাথে আসবে বলেছে।”
“হ্যাঁ!”
“তুমি রেস্ট নাও, আমি তোমার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসি।”
“এখন কিছু খাবো না অনু। তুমি বসো, গল্প করি।”
“আগে কিছু খাবার নিয়ে আসি নাহলে তোমার বর আমাকে কাল এসে প্যাদানি দিবে। আমাকে বলেছে, ভালো করে তোর ভাবির যত্ন নিবি নাহলে তোর খবর করে দিবো।”
পরেরদিন,
আয়মান রাত নয়টার সময় এসে হাজির হলো নিজ বাসায়। অফিস করেই এসেছে। আয়মানের মা আয়মানকে দেখে আয়মানের দাদিকে বললেন,
“আমার ছেলেটার মুখটা একদম শুকিয়ে গেছে দেখেছেন মা?”
আয়মান ওর মা’য়ের পাশে বসতে বসতে বললো,
“অফিস করেই বের হয়েছি, কিছু খাওয়াও হয়নি তাই এমন লাগছে আম্মা। তোমরা সবাই কেমন আছো? দাদি তোমার কি খবর?”
আয়মানের দাদি পান চাবাতে চাবাতে লাল লাল ঠোঁট নাড়িয়ে বললেন,
“আমরা ভালো আছি, তোর বৌয়ের অবস্থা ভালোনা। ছুড়ি কিছু খাইলেই বমি করে। কিছুই খাইতে পারছেনা।”
“কোথায় মিথিলা?”
আয়মানের মা বললেন,
“ঘরেই আছে। অনু ওর সাথেই আছে।”
“আচ্ছা আমি দেখছি।” আয়মান উঠে দাঁড়ালো। আয়মানের মা বললেন,
“হাত-মুখ ধুয়ে আয়, আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।”
“আব্বা কোথায়?”
“তোর আব্বা মসজিদে গেছে নামাজে।”
“আমিও নামাজটা পড়েনিই। কি রান্না করেছো?”
“মাছ রান্না করেছিলাম। পুঁইশাক মসুরের ডাল দিয়ে রান্না করেছি আর কিছুনা।”
“ওহ।”
আয়মান রুমে এসে দেখলো মিথিলা আধশোয়া হয়ে শুয়ে আছে, পাশে বসে আছে অনু।আয়মানকে দেখে অনু বললো,
“এসেছিস, আমি ভাবিকে একা রাখছিনা। ভাবির আশেপাশেই থাকছি জিঙ্গেস কর ভাবিকে?বার বার কিছু না কিছু খাওয়াচ্ছিও।”
“তুই এখন যা, পরে কথা হবে তোর সাথে।”
অনু চলে আসলো আয়মানের রুম থেকে। অনু বের হতেই আয়মান দরজাটা হালকা লাগিয়ে মিথিলার পাশে এসে বসলো।
“শরীর কি খুব বেশি খারাপ?”
মিথিলা উপর-নিচ মাথা ঝাঁকিয়ে বোঝালো, হ্যাঁ, শরীর খুব খারাপ।
“বমি বমি লাগে এখনো?”
“হু।”
“এত বমি হচ্ছে কেনো?”
“জানিনা।”
আয়মান মিথিলার পেটের কাছে মাথা নিয়ে গিয়ে বললো,
“এতো জ্বালাচ্ছো কেনো তোমার আম্মাজানকে? বেচারির পরীক্ষা চলে, তুমি কি শিক্ষিত মায়ের সন্তান হতে চাওনা? কিছুদিনের জন্য বেচারিকে রেহায় দাও। তোমার আম্মাজানের পরীক্ষাটা শেষ হতে দাও এরপর যত খুশি অত্যাচার করিয়ো; সাথে তোমার আব্বাজান মানে আমিও থাকবো।”
মিথিলা চোখ গরম করে তাকালো আয়মানের কথাগুলো শুনে। আয়মান মিথিলার দিকে তাকিয়েই কথাগুলো বলছিলো। মিথিলার চোখ গরম করা দেখে চোখ ছোট ছোট করে মিটিমিটি হাসলো।
“যাই ফ্রেশ হয়ে ওজু করে আসি, নামাজ পড়ে খাবো কিছু খায়নি।”
আয়মান একটা প্যান্ট আর টিশার্ট নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। আয়মান যেতেই মিথিলা চোখ বন্ধ করলো। আয়মান রুমে এসে নামাজ পড়ে মিথিলাকে ডাকলো।
“মিথিলা, খাবে চলো।”
মিথিলা চোখ খুলে তাকিয়ে আয়মানকে বললো,
“খাবোনা কিছু আর। যখন থেকে এসেছি তখন থেকে খেয়েই যাচ্ছি আর বমি করছি। গতকাল থেকে অনু আমাকে অনেক খাইয়েছে, আমি আর খাবোনা।”
“তুমি খাবেনা কিন্তু উনি খাবে।”
“কে?”
“ওই যে, তোমার পেটের মধ্যে যিনি আছে সে।”
“সে ও খাবেনা। প্লিজ আমাকে খেতে বলবেননা।”
“যাবা কি না কোলে করে নিয়ে যাবো?”
“জেদ করবেননা, জেদ করলে বমি করে দিবো।”
“বুঝতে পেরেছি, তুমি কোলে আসবে।”
“বিশ্বাস করেন আমি কোলে উঠবোনা আপনার। আমি খেতে পারবোনা।”মিথিলা ন্যাকা কাঁন্না কাঁদতে শুরু করলো।
“চোখের পানি, নাকের ঝোল আমাকে দেখিয়ে কোন লাভ নাই। আমি শুনবোনা, তোমাকে খাওয়া লাগবেই। আমার বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগবে পৃথিবীতে আসার পরে এ আমি মেনে নিতে পারবোনা।”
“অপুষ্টিতে কেনো ভুগবে আজব।”
“তো ভুগবেনা বলছো?
মিথিলা দুই দিকে মাথা ঝাঁকালো।
“অবশ্যই ভুগবে। রাস্তা দিয়ে কোথাও যখন যাবে তখন মানুষে বলবে, এটা কার বাচ্চা, এমন ল্যাংল্যাং করে, বাপ-মা কিছু খাওয়াইনা নাকি! আমার বাচ্চা হবে স্বাস্থ্যবান, গালগুলো গুলগুল করবে, হাঁটলেও যেনো গালদুটো দোলে দোলে উঠে। কোলে নিলে যেনো মনে হয় তুলোর বস্তা বুঝেছো। এখন চলো খাবে।”
“মাফ চাই ভাই, খাইতে কহিয়েননা।”
“আচ্ছা তোমাকে যেতে হবেনা। আমিই খাবার নিয়ে আসছি। মাছ আর ভাত।”
“ইমপসিবল! মাছ আমার সামনে খবরদার আনবেননা।”
“তাহলে ডিম?”
“নাহহহহহহ!”
“আরে চিল্লাচ্ছো কেনো? বাড়ির সবাই ভাববে আমি আমার ‘পুয়াতি’ বউয়ের সাথে কিছুমিছু এখনি, এই অবস্থায় শুরু করে দিয়েছি।”
“আপনি আসলে খারাপ! খুব খারাপ! মহা খারাপ!”
“আমি মোটেও খারাপ না, আমি অত্র এলাকার খুব ভালো ছেলে। সবাই আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তুমি জানো!”
মিথিলা দুইবার জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিলো; আয়মানকে দুই হাত জোড় করে বললো,
“আপনি যান, আমার শরীর খুব খারাপ করছে। একটু ভালো লাগছিলো, আপনার সাথে বকবক করে এখন আবার খারাপ লাগছে।”
“আচ্ছা তুমি রেস্ট নাও জান, আমি আমার পেটটাকে শান্ত করে আসি আর তোমার জন্য কিছু নিয়ে আসি।”
আয়মান বাইরে এসে অনুকে বললো,
“কি এমন খাওয়াচ্ছিস তোর ভাবিকে?”
“পুষ্টিকর যা যা খাওয়ানো দরকার।”
“হজম হচ্ছেনা কেনো? বমি হচ্ছে কেনো?”
“আমি কি করে বলবো, আমি তো ডাক্তার না।”
“এবার থেকে আমি যখন যেটা খাওয়াতে বলবো তখন সেটা খাওয়াবি। এর বাইরে অন্য কিছু খাওয়াতে যাবিনা।”
“আচ্ছা।”
“এখন যা ডিম ভাজ একটা।”
“মাছ আছে ডিম কেনো?”
“তোর ভাবির জন্য। ডিম আর মাছ দিয়ে ভাত খাওয়াবো।”
“ডিম আর মাছ খাওয়াতো দূর, ওদের গন্ধ নিতে পারছেনা ভাবি।”
“সব পারবে নিতে, আমি এসে গেছি।”
আয়মান চেয়ার টেনে বসলো খাবার টেবিলে।
“আম্মা কোথায় তুমি? খেতে দাও।”
আয়মানের মা ঘরে ছিলো, আয়মানকে হাঁক ছেড়ে বললেন,
“আসছি।”
আয়মানের মা একটু পর এসে আয়মানকে খেতে দিলো। আয়মান এক লোকমা খাবার মুখে নিয়ে চাবিয়ে গিলে ফেলে বললো,
“আব্বা খাবেনা?”
“তোর আব্বা একটু আগেই খেয়ে উঠলো।”
“ওহ।”
খাওয়া শেষ করে আয়মান ওর আব্বার সাথে দেখা করে আসলো। ততক্ষণে অনু মিথিলার খাবারের প্লেট সাজিয়ে ফেলেছে মাছভাজা, ডিমভাজা আর পুঁইশাক সাথে সাদা ভাত।
আয়মান খাবারের প্লেটটা ঘরে নিয়ে গিয়ে বেড সাইড টেবিলে রাখলো। মিথিলা ঘুমিয়ে পড়েছিলো, মিথিলাকে জোড় করে তুলে বসালো সাথে নিজেও মিথিলার কাছাকাছি বসলো।
“ফ্রেশ হয়ে আসতে পারবা না আমি নিয়ে যাবো?”
“আমাকে ঘুমাতে দিন দয়া করে।”
“দিবো, তার আগে একটু খাবে।”
“খাবোনা।”
“না খেলে ঘুমাতেই পারবেনা। আমি ঘুমাতে দিবোনা।”
“আপনার মত মানুষ আমি আমার জিবনে আর একটাও দেখিনি।”
“দেখবে কিভাবে? আমি এক পিছ।”
মিথিলা খাট থেকে নামলো। ওয়াসরুমে গিয়ে চোখে-মুখে পানি দিয়ে এসে আবার আগের জায়গায় বসলো।আয়মান খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে মিথিলাকে বললো,
“হা করো, বড় করে।”
প্লেটের দিকে তাকিয়ে মিথিলার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো।
“আপনাকে বলেছিলামনা আমি মাছ, ডিম কোনটায় খাবোনা।”
“তুমি খাবেনা কিন্তু উনি খাবে।” মিথিলার পেটের দিকে চোখ দিয়ে ইশারা করে বললো আয়মান।
“অনেক বমি করেছি, আবার করাবেন তাইতো?”
“খারাপ কিছু চিন্তা করো কেনো? নাও হা করো।”
মিথিলা রাগে দুঃখে কাঁপতে কাঁপতে হা করলো।আয়মান এক লোকমা খাবার মিথিলার মুখের কাছে নিতেই মিথিলা নাক সিটকালো। এক হাতে নাকটা ধরে হা করে খাবার টা মুখে নিয়ে গিলে ফেললো। আয়মান একের পর এক লোকমা মিথিলাকে খাওয়াতেই থাকলো। মিথিলা অনেকবার না খাওয়ার চেষ্টা করলো; পারলোনা আয়মানের কাছ থেকে রক্ষা। সব খাবার খাইয়ে তবেই ছাড়লো আয়মান মিথিলাকে।
খাওয়ানো শেষ করে আয়মান হাত ধুয়ে প্লেটটা রেখে আসলো রান্নাঘরে। ঘরে এসে দরজা লক করে মিথিলাকে বললো,
“তোমার পেটে কত ক্ষিদে ছিলো দেখলে! জোড় করে না খাওয়ালে সারারাত ক্ষিদে নিয়ে থাকতে। চলো এবার শুয়ে পড়ো।”
আয়মান লাইট অফ করে মিথিলার পাশে বসলো।
“কি হলো, বসে আছো কেনো? ওহ বুঝছি তোমার মিষ্টি লাগবে। অনেকদিন হয়েছে মিষ্টি খাওয়া হয়নি। চলো শুরু করি।”
আয়মান দুই পা জড়ো করে মিথিলার সামনা-সামনি বসলো। মিথিলার দুই গালে হাত রেখে মিথিলাকে আরো নিজের কাছে আনলো। মিথিলার কাছে নিজেও একটু সড়ে গেলো। ঠোঁট বাড়িয়ে যখনি মিষ্টি খেতে যাবে আয়মান তখনি মিথিলা গড়গড় করে বমি করে দিলো আয়মানের মুখের ওপর। সাথে সাথেই আয়মান চোখ বন্ধ করে নিলো সাথে মুখটাও বিকৃত করে নিলো।
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com