স্বপ্নের ক্রাশ । সত্য ঘটনা অবলম্বনে । পর্ব -১৭

আহানঃ ( আমার হাতটা ছুটিয়ে নিলাম) আমি যেমন তোমার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবো না আশা করি তুমিও আমার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না ? আর আমি কি করবো না করবো তোমাকে না ভাবলেও চলবে ? [বলেই চলে আসলাম]
আরোহিঃ আমি কলেজে আর এক মুহূর্ত না থেকে বাসায় চলে আসলাম. রুম লক করে কান্না করতে শুরু করলাম
.
এদিকে অরনি আর অর্ণব,
অর্ণবঃ তোমার মন খারাপ কেন?
অরনিঃ জানো কালকে আপু অনেক কান্না করেছে
অর্ণবঃ কান্না করারই কথা।। কিন্তু তোমাকে অনেক টেনশড দেখাচ্ছে কেন?
অরনিঃ ওকে কালকের সব কথা বললাম। জানো আমার মনে হয় আপু ঐ অহিকে ভালোবাসে কিন্তু আহান ভাইয়ার কি হবে
এদিকে অরনির কথা শুনে অর্ণব হাসতে হাসতে শেষ ??????
অরনিঃ ঐ ঐ তুমি হাসো কেন? আমি তোমার সাথে আমাদের দুঃখ শেয়ার করলাম আর তুমি এভাবে হাসছো??
অর্ণবঃ আরে পাগলি,, এখন দেখছি তোমরা ২ বোনই পাগলী ??
অরনিঃ ? মোটেও না, তুমি পাগল। ঐ তুমি হাসা বন্ধ করে ঠিক করে কথা বলবা???
অর্ণবঃ আচ্ছা শোনো,, অহি আর কেউ না অহি হলো আহান
অরনিঃ ??? ক…ক..কিই আ….আ…আআ…আহান!!! মা….মানে তোত…তোমার ভা…ই ??
অর্ণবঃ জি, এটা তোমার বোন জানে না। ওকে ইচ্ছা করেই বলেনি। আহান চেয়েছে ট্রু লাভ, যে তার নাম, খ্যাতি দেখে তাকে ভালোবাসবে না। এখন যখন তোমার বোন অহিকে ভালোবেসে ফেলেছে তখন তো ভালোই হলো। আহান অলরেডি আরোহিকে ভালোবাসে। আর আমি তোমাকে। সো তুমি আহানের শালী। শালী মানে আমার ভাবীর অর্থাৎ আরোহির বোন। আর অন্যদিক দিয়ে তুমি আমার বউ। মানে আরোহি আমার বড় শালী। মেইবি বউদের বড় বোনকে বড় শালীই বলে তাই না। আচ্ছা তাদের আসলে কি বলে?? [ আমার কথা শেষ করে অরনির দিকে তাকালাম। ও মুখ হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ]
অরনিঃ [ আমি ওর কথা শুনে থ,,, যার জন্য এতো প্লান করলাম তার তো অলরেডি সব সেট হয়ে আছে ?? তারউপর এই ছাগলটা কি কি যে বকলো, আমার মাথা আউলা ঝাওলা হয়ে গেছে ?? ]
অর্ণবঃ (ওর সামনে তুড়ি বাজিয়ে) ও হ্যালো কাহা খোয়ে হুয়ে হো???
অরনিঃ (চিন্তিত হয়ে) একটা কাজ করতে চাই তোমার সাথে, যদি তুমি পারমিশন দাও
অর্ণবঃ ? হোয়াট
অরনিঃ ডাইরেক্ট দেখাচ্ছি, ওয়েট ( বলেই ওর চুল ধরে টানতে লাগলাম)
অর্ণবঃ ও মা গো৷ কি ডাকু মেয়েরে বাবা,, আমার চুল গুলো সব গেলো,, থামো থামো ( কি ভাবছিলাম আর কি হয়ে গেলো) ?? আমার চুল গুলো শেষ করে দিলা ? (অনেক কষ্টে চুল ছাড়িয়ে নিয়ে) কেন করলে এমন??
অরনিঃ [ হাত ঝারতে ঝারতে ] ? তোমার তো আরও শাস্তি পাওয়া উচিত
অর্ণবঃ কেন কেন?
অরনিঃ আবার জিজ্ঞেস করছ কেন?? ? তোমরা ২ ভাই আমাদের কি পেয়েছো বলতো?? ফার্স্টে তুমি জানতে আমি ইচ্ছে করে সব করেছি তবুও আমাকে লজ্জায় ফেললে,, আবার যখন জানো যে আমার বোন আহানকে ভালোবাসে তখন কি করলে? ওর ভালোবাসার পরীক্ষা নিলে ?? এইবার তো জানলে আরোহি অহিকে ভালোবাসে, এবার যদি ২ ভাই মিলে আবার কোনো প্যাচ লাগাইছো?? তাহলে কাট্টি ?? তোমার খবর আছে
অর্ণবঃ (মাথা চুলকাতে চুলকাতে) কাট্টি মানে? ?
অরনিঃ কাট্টি মানে ব্রেকআপ ? এবার যেন ওদের মিল হয়ে যায় [নয়তো আমার রিডাররা আমাকে গিলে খাবে ?] ( বলেই চলে এলাম)
অর্ণবঃ আরেএএএ আরোহি শোনো তোওওওও…..
কিন্তু কে শোনে কার কথা। অরনি গট গট করে হেটে হেটে চলে গেলো
অর্ণবও অরনির কথাগুলো ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে গেলো, অরনি অর্ণবের ডিসিশন ফাইনাল,, আরোহি আহানকে মিল করেই ছাড়বে
.
অর্ণব বাসায় চলে গেলো,,,
অর্ণবঃ ( আহানের রুমে গিয়ে দেখি সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রেখেছে) হেই আহান,, রুমের এ অবস্থা কেন ? ?
আহানঃ কিছু না
অর্ণবঃ আচ্ছা আরোহিকে বলেছিস সব? জানিস ও ও তোকে ভালোবাসে
আহানঃ ( হাতের কাছের ফুলদানি ছিল,, ওটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে) কি আরোহি আরোহি আরোহি?? ওকে আমি কেন বলবো? ও বোঝে আমায়? একটুও বোঝে না। যদি আমায় ভালোবাসতো তাহলে আমাকে বুঝতো। আমায় বুঝলে আমাকে এসব কথা কখনোই বলতো না
অর্ণবঃ ? তোর হাত কাটলো কিভাবে? দেখি
আহানঃ ও কিছু না ( অর্ণব ব্যান্ডেজ করতে গেলেই হাত সরিয়ে নিলাম)
অর্ণবঃ খবরদার আহান, আমাকে আমার কাজ করতে দে। আগে ঠান্ডা হ ( ব্যান্ডেজ শেষ করে) এবার আমাকে বল কি হয়েছে
আহানঃ (অর্ণবকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলাম,, ওকে সব বললাম)
অর্ণবঃ [ আহানকে আমি লাইফে ২বার কাদতে দেখেছি। আজ হলো ৩য় বার। আহান কখনো আমায় মিথ্যা বলে না। কিন্তু আজ যা বললো বিশ্বাস করতে পারছি না। আরোহি এমন কেন করবে? কিন্তু এখন আগে আহানকে ঠান্ডা করি] আচ্ছা তুই এখন একটু রেষ্ট কর। আমি ফ্রেস হয়ে আসি
অর্ণব রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে সব কথা বার বার ভাবতে থাকলো
.
এদিকে অরনি,
অরনিঃ [রুমে গিয়ে দেখি আপু কান্না করে চোখ মুখ ফুলিয়ে রেখেছে,, আবার কি হল?? ?] এই আপু কি হয়েছে তোর? এভাবে চোখ মুখ ফোলা কেন?
আরোহিঃ যা তো বিরক্ত করিস না (বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম)
অরনিঃ ?? ( আমাকে উল্টো রাগ দেখালো ?)
হঠাৎ অর্ণবের কল আসলো,
অরনিঃ হ্যালো
অর্ণবঃ তোমার বোনের কি মাথায় সমস্যা আছে?
অরনিঃ জানিনা, থাকতে পারে, কিন্তু কেন?
অর্ণবঃ (ওকে সব খুলে বললাম) এগুলোর মানে কি? আহান আজ অনেক কান্না করেছে। একটা ছেলে এতো সহজে কাদেনা। আর আহান তো আরও কম কাদে
অরনিঃ ? জানো আপু একটু আগেও কান্না করছিলো। চোখ মুখ ফুলে শেষ। কিছু বুঝতে পারছি না৷ কিছু তো একটা হয়েছে ?
অর্ণবঃ হুম, না ঘুমিয়ে সেটাই খুজে বের কর
অরনিঃ ঐ ঐ আমি কখন ঘুমালাম? আমি মোটেও বেশি ঘুমাই না
অর্ণবঃ হুহ বললেই হলো?? কুম্ভকর্ণ
অরনিঃ কিহহহহহহ ?????? যদি আমার সামনে থাকতে নাাা ??
অর্ণবঃ ভাগ্যিস নাই ??
অরনিঃ হুহ ( কল কেটে দিলাম) রুম থেকে বের হবো (তখনই আপুর ফোনে একটা ম্যাসেজ এলো,,, ম্যেসেজটা দেখলাম) এটা আবার কে? এই সময় এমন ম্যাসেজ!!! ??
তখনই আরোহি রুমে ঢুকে,
অরনিঃ আপু এটা কে? এই ম্যাসেজের অর্থ কি?
আরোহিঃ ???
.
to be continued.
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url