Breaking News

ভালোবাসি তাই । পর্ব -০১

ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লেখো
তোমার মনেরও মন্দিরে ” ।
গানটি গুন গুন করে গাইছিলাম আর গ্লাসে পানি ঢালছিলাম। হঠাৎ ড্রয়িংরুম থেকে আওয়াজ এল,
– তোর বড় মেয়েকে আমি আমার সায়নের বউ করতে চাই লিমা।
কথাটা আমার কানে আসতেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো। যে মানুষটাকে আমার ছোট থেকেই ভালো লাগে । ধীরে ধীরে সেই ভালো লাগা ভালোবাসায় পরিণত হলো সে মানুষটা এখন আমার আপুর হাজবেন্ড হবে মানতেই পারছি না আমি। আমার চোখ থেকে অজান্তেই পানি পড়ে গেলো। হাত থেকে গ্লাসটাও পরে গেল। আম্মু দৌড়ে ডাইনিং এ এলেন। আমি চোখের পানিটা মুছে নিলাম। আম্মু এসেই কাতর কণ্ঠে বললেন,
– কি হয়েছে মালিহা? হাত থেকে গ্লাস পরলো কিভাবে?
– না না আম্মু অন্যমনস্ক ছিলাম তো তাই।
– কোথাও লাগে নি তো তোর?
– নাহ কোথাও লাগেনি।
– আচ্ছা তুই ঘরে যা আমি পরিষ্কার করে নেব।
– আচ্ছা।
রুমে এসে দরজা দিয়ে দিলাম। কিচ্ছু ভালো লাগছে না আমার।
আম্মু কিভাবে বুঝবে আমার কোথায় লেগেছে। লেগেছে তো আমার খুব লেগেছে।
বুকের ভেতরটা কেমন হু হু করছে। সায়ন ভাইয়া এভাবে আমায় ছেড়ে চলে যেতে পারেন না?
ওনি কেন বুঝলেন না যে আমি ওনাকে পাগলের মত ভালোবাসি।
কেন বুঝলেন না আপনি আমার ভালোবাসাটা সায়ন ভাইয়া?
কেন আমায় ভালোবাসতে পারলেন না আপনি? আপনাকে আমার ছোট থেকেই ভাল লাগতো।
আর সে ভালো লাগাটা যখন ভালোবাসায় পরিণত হলো আমি তো প্রকাশ করেছিলাম।
তিন বছর আগ থেকে আমি আপনাকে বলে যাচ্ছি সায়ন ভাইয়া আমি
আপনাকে ভালোবাসি কিন্তু আপনি আমায় মেনে নিতে পারলেন না।
আমায় কোনো পাত্তাই দেন না আপনি।
এখন খালামণি আপুর সাথে আপনার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
এবার নিশ্চয়ই আপনি আপুকে বিয়ে করে নেবেন।
আমি কি করে আপনাকে ভুলে যাবো? খুব কান্না পাচ্ছে আমার।
তখনি কাঁধে কারো হাত পরলো। চোখ মুছে পেছন ফিরে দেখি যে আপু দাঁড়িয়ে আছে।
একটু হাসি মুখে এনে বললাম,
– কিছু বলবে?
– হুমমম।
– বলো কি বলবে?
– তুই কি কিছু শুনিস নি?
– কি বিষয়ে?
– আমার আর সায়ন ভাইয়ার বিয়ের বিষয়ে।
বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। তারপরও হাসিমুখে বললাম,
– হুমম শুনেছি তো।
– আমার খুব ভয় করছে।
– কেন?
– সায়ন ভাইয়া যা রাগী মানুষ। আমি কি ওনার রাগ সামলাতে পারবো?
– পারবে না কেন? ঠিক পারবে।
– সবাই আমার মত জানতে চেয়েছে।
বুকের ভেতরটা ধুকধুক করতে লাগলো। কারণ আপু যদি মত দিয়ে দেয় বিয়েটা হয়েই যাবে। আমি আর সায়ন ভাইয়াকে আটকাতে পারবো না। কাতরস্বরে বললাম,
– তু – তুমি কি বলেছো?
– আমি এখনো হ্যাঁ – না কিছুই বলি নি। সায়ন ভাইয়ার মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষা পর্যন্ত সবাই অপেক্ষা করবে। এরমধ্যে যদি দেখি ওনার রাগ সামলাতে পারবো তাহলে মত দিব না হয় জানি না কি করবো ।
আমার যেন প্রাণ ফিরে এলো। একটা স্বস্থির নিঃশ্বাস বেরিয়ে এল নিজের অজান্তেই। তার মানে আমার হাতে এখনো সময় আছে। সায়ন ভাইয়াকে আমি এতসহজে ছাড়তে পারবো না। আমি যে ওনাকে ছাড়া নিজেকে কল্পনাই করতে পারি না। এবার আমাকে ওনার ভালোবাসা জয় করে নিতেই হবে। এটাই আমার শেষ সুযোগ। এবার জিতলে ওনি সারাজীবনের জন্য আমার আর না পারলে সারাজীবনের জন্য ওনাকে হারাতে হবে।
– কিরে কি ভাবছিস?
আপুর কথায় বাস্তবে ফিরলাম।
– ঠিক আছে তুমি দেখো সায়ন ভাইয়ার রাগ সামলাতে পারো কি না।
– আচ্ছা আসি।
আপু চলে গেল নিজের রুমে। এদিকে আমি ভাবছি কিভাবে সায়ন ভাইয়ার মনে জায়গা করা যায়। এটাই যে ওনার ভালোবাসা পাওয়ার ফাইনাল মিশন। এরপর আর কোনো চান্সই থাকবে না ওনাকে নিজের করে পাওয়ার। আচ্ছা আমি ওনাকে কখনো আপুর হাজবেন্ড হিসেবে মেনে নিতে পারবো? না এসব এখন একদম ভাবলে চলবে না। শেষ একটা চেষ্টা আমাকে করতেই হবে। ভাব মালিহা ভাব কিভাবে তোর সায়ন ভাইয়াকে তুই পাবি সেটা ভালো করে ভাব। তোকে যে তোর সায়ন ভাইয়ার ভালোবাসা পেতেই হবে। আচ্ছা ওনি তো বলেছেন খালামণি যে মেয়েকে ওনার জন্য পছন্দ করবেন ওনি তাকেই অনায়াসে বিয়ে করে নেবেন। আমার প্রতি নাকি ওনার কোনো ফিলিংসই কাজ করে না।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম। আমি দেখতে কি এতটাই খারাপ যে সায়ন ভাইয়া আমাকে ভালোবাসতে পারলো না। কিন্তু সবাই তো বলে আমি নাকি দেখতে একেবারে পুতুলের মত সুন্দরী। তাহলে কি সবাই মিথ্যে কথা বলে নাকি ওনার কাছেই আমাকে সুন্দর লাগে না। থাক কালকে থেকে নতুন মিশন শুরু করবো। এখন আর এসব ভেবে মাথা খারাপ করতে চাই না। এবার সায়ন ভাইয়া আমাকে ভালো না বেসে থাকতেই পারবেন না। আমি এটা চ্যালেঞ্জ করলাম সায়ন ভাইয়াকে।। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গত একঘন্টা যাবত চুল বাঁধার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কোনোভাবেই আমার মন মত এ কোমড় সমান লম্বা চুলগুলোকে বাঁধতে পারছি না। মাঝে মাঝে রাগে ইচ্ছে করে এই চুলগুলোকে একেবারে কেটে ছোট করে ফেলি। কিন্তু সায়ন ভাইয়ার তো আবার লম্বা চুল পছন্দ। তাই এ ইচ্ছেটা কখনো পূরণ করতে পারবো না। যদিও আমার চুলের প্রশংসা ওনি কখনোই করেন নি। তারপরও ওনার পছন্দ অনুযায়ী আমার চলতে খুব ভালোই লাগে। আয়নায় দেখলাম পেছন থেকে আমার বেস্টু সারা রেগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি জানি আমার কাজকর্মে তার বড্ড রাগ লাগছে। রাগ লাগাটাই স্বাভাবিক। কারণ আমি গত একঘন্টা যাবত তাকে বসিয়ে রেখেছি। যেকোনো মানুষই ওর জায়গায় থাকলে রাগ করতো। তবে আমি কখনোই সারার রাগকে কেয়ার করি না। ও যখনি আমার উপর রেগে যায় আমি একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব করে থাকি। এতে সারা ভালোই বুঝতে পারে যে আমি ওর রাগ ভাঙাতে যাবো না। তাই ও কখনোই আমার উপর রাগ পুষে রাখতে পারে না। আমি ওকে আরো রাগিয়ে দেওয়ার জন্য বললাম,
– এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? মনে হয় যেন আমাকে আস্ত গিলে খেয়ে ফেলবি।
দাঁতে দাঁত চেপে সারা জবাব দিল,
– যদি পারতাম না আমি সেটাই করতাম। রাতে কল দিয়ে বলেছিলি আজ নাকি তাড়াতাড়ি ভার্সিটিতে যাবি। আমি যেন তাড়াতাড়ি তোদের বাসায় আসি। আমি এসেছি এক ঘন্টা আগে আর তুই এখনো চুলই বাঁধছিস। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে না তোর মাথাটাই ফাটিয়ে দিত এতক্ষণে।
– হুমম তা ঠিক বলেছিস। আসলে আজ থেকে সায়ন ভাইয়ার ভালোবাসা পাওয়ার মিশন শুরু করবো তো তাই সুন্দর করে সাজছি আরকি।
– এ মিশন আজকে থেকে শুরু হলো কোথায়? এ মিশন তো তিনবছর আগ থেকেই শুরু হয়েছে। আজ আবার নতুন কি?
আমি দুঃখী দুঃখী ফেস করে বললাম,
– এবারেই শেষ রে। এবার যদি ওনাকে হারাই সারাজীবনের জন্য হারাতে হবে। ওনাকে আমি হারাতে চাই না।
– এমনভাবে বলছিস যেন সায়ন ভাইয়া কখনো তোর ছিল? এখন সে অন্য কারো হবে।
সত্যি তো সায়ন ভাইয়া কখনোই আমার ছিলেন না। হয়তো আমার হবেন ও না। ওনি তো আমায় বিন্দুমাত্র পছন্দ করেন না।
– তোর ভাবা বন্ধ হলে এদিকে আয় আমি চুল বেঁধে দেই।
আমি সারার কাছে যেতেই ও আমার চুলগুলোকে ফ্রান্স বেণী করে দিল। আসলে সারার সবকিছুই আমার পছন্দ হয়। তাই এভাবে চুল বাঁধাটাও আমার মনে ধরেছে। চোখে একটু কাজল দিলাম, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক, পরনে গাঢ় সবুল কালারের একটা জামা। ব্যস আমি একদম তৈরী ।
আমি আর সায়ন ভাইয়া একই ভার্সিটিতে পড়ি। আমি অবশ্য অন্য ভার্সিটিতেও চান্স পেয়েছি কিন্তু সায়ন ভাইয়া এ ভার্সিটিতে আছে বলেই আমি এখানে ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছি। আপু অন্য একটা ভার্সিটিতে থার্ড ইয়ারে পড়ে। ভার্সিটিতে ঢুকতেই দেখলাম সায়ন ভাইয়া তার ফ্রেন্ডদের সাথে হেসে হেসে আড্ড দিচ্ছেন। তার এই হাসি দেখলেই আমার ভেতরটা জুড়িয়ে যায়। আমি মরার আগ পর্যন্ত শুধু তার এই হাসিটাই দেখতে চাই। কিন্তু সায়ন ভাইয়া হয়তো সেটা কখনোই হতে দেবেন না। এসব ভাবতে ভাবতেই একেবারে ওনার কাছে চলে এসেছি । ওনি তখনো আড্ডায় ব্যস্ত। আমি সারাকে ক্লাসে পাঠিয়ে দিয়ে ওনার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। ওনি আমায় দেখেও না দেখার ভান করে রইলেন। আমি ওনাকে বললাম,
– একটু এদিকে আসবেন। আপনার সাথে কিছু কথা ছিল।
– কি কথা এখানেই বল।
– নাহ এখানে বলা যাবে না আপনি একটু এদিকে আসুন প্লিজ।
– ঠিক আছে চল। কি বলবি তাড়াতাড়ি বলবি কিন্তু।
– হুমমম চলেন।
আমি সায়ন ভাইয়াকে সাথে চলে আসতে লাগলেই পেছন থেকে ইরাম ভাইয়া বললেন,
– মালিহা তোমায় আজকে খুব সুন্দর লাগছে।
ওনার এ কথায় আমি অনেকটাই ভড়কে গেলাম। ওনি সায়ন ভাইয়ার ভালো বন্ধু সে হিসেবে ওনার সাথে আমার একটু আকটু কথা হয়। ওনি যে হঠাৎ করে এমন কিছু বলবেন আমি চিন্তাও করিনি। যাক গে এমনি ও বলতে পারেন। তাই আমি সৌজন্যমূলক একটা হাসি দিয়ে বললাম,
– ধন্যবাদ ভাইয়া।
পেছন থেকে সায়ন ভাইয়া বলে উঠলেন,
– আমার কাছে এত আজাইরা সময় নাই তাড়াতাড়ি আয়।
আমিও দৌড়ে ওনার কাছে চলে এলাম। এখন আমি আর ওনি একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছি। ওনার চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওনি আমার উপর প্রচুর বিরক্ত। অবশ্য ওনাকে আজ পর্যন্ত আমি কখনো আমার উপর খুশী হতে দেখিনি। যখন থেকে আমি ওনাকে আমার ভালোবাসার কথাটা জানালাম তখন থেকেই ওনি আমার সাথে মিসভিহেব করা শুরু করেন। সবসময়ই আমার উপর বিরক্ত থাকেন। কিন্তু তিন বছর আগেও ওনি আমার সাথে ভালো ব্যবহারই করতেন। এখন ওনাকে রাগতে দেখলেও আমার কিছুই যায় আসে না। ওনি তো সবসময়ই আমার উপর রেগে থাকেন। আমি এবার বলে উঠলাম,
– আপনি কি সবকথা শুনেছেন?
– কি কথা শোনার কথা বলছিস?
– আপনার আপুর বিয়ের কথা?
– অহহ হুমম শুনেছি তো।
– আপনি কি রাজি এ বিয়েতে?
– রাজি না হওয়ার কি আছে? আমি আগেও বলেছি আম্মু যাকে আমার জন্য পছন্দ করবে আমি তাকেই বিয়ে করবো । আম্মু যদি মারিয়াকে পছন্দ করে তাহলে তাকেই বিয়ে করবো।
– যদি আপু রাজি না হয়?
– আমাকে রিজেক্ট করার কোনো যোগ্যতা তোর বোনের নেই।
– আপনি এমন কেন? আপনি কি বুঝেন না আমি আপনাকে ভালোবাসি।
– তোকে আমি বারবার বলেছি আমি তোকে ভালোবাসি না। তারপরও কেন আমার পেছনে পড়ে আছিস?
– ভালোবাসি তাই।
– এই এক কথা শুনতে শুনতে আমার কান পঁচে গেছে।
আমি এবার মনটা খারাপ করে বললাম,
” রাত যেমন থাকে জ্যোৎস্নাময় চাঁদের অপেক্ষায়
আমিও তেমনি তোমারই অপেক্ষায়।।
রাতের অপেক্ষার তব ঘটে অবসান
জানি না কভু ঘটবে কি না আমার অবসান
তবুও আমি তোমাকে ভালোবাসি
তবুও আমি তোমাতে হারাতে রাজি
আমি বার বার বলতে রাজি আমি তোমাকেই
ভালোবাসি “।।
(স্বরচিত)।
– তোর এসব আজগুবি কবিতা শোনার ইচ্ছে আমার নেই। বিয়ে আমি মারিয়াকেই করবো। তুই কিচ্ছু করতে পারবি না। পারলে এসব ভুলে ভালো হয়ে যা।
সায়ন ভাইয়া কড়া গলায় আমায় এসব বলে চলে গেলেন। আমার চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরলো। ওনি কি কখনোই বুঝবে না আমি ওনাকে ভুলতে পারবো না। আমার পেছনে এসে সারা বলল,
– এবারও পারলি না তো?
– কেন সারা কেন ওনি বুঝেন না আমার মনের কথাটা?
– চিন্তা করিস না রে ওনি একদিন ঠিক তোর মনের কথাটা বুঝবে। তবে ভয় হয় সেদিন যেন খুব বেশি দেরী না হয়ে যায়।
– তুই আমায় কোথায় সাহস জোগাবি। তা না করে তুই আমাকে ভেতর থেকেই ভেঙে দিচ্ছিস। শোন বেস্ট ফ্রেন্ড হলো গ্লুকোজের মত। বেস্ট ফ্রেন্ডের কাজ হলো বন্ধুকে ভেতর থেকে স্ট্রং করা বুঝলি।
– হুমম বুঝেছি। আচ্ছা তোর কি মনে হয় তুই পারবি?
– আবার।
সারা ভয় পাওয়া গলায় বলল,
– না মালিহা তোকে পারতেই হবে। যতক্ষণ না তুই তোর লক্ষ্যে পৌঁছবি ততক্ষণ তুই এভাবেই সায়ন ভাইয়ার পেছনে দৌড়াতে থাক।
– তবে রে!!
আমি এবার সারাকে দৌড়ানি দিলাম। ও তো এক ছুটেই ক্লাসে পৌঁছে গেছে। আমি তখনো দাঁড়িয়ে আছি এক জায়গায়। ওর কাজে আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছে। আবার সায়ন ভাইয়ার কথা ভেবে কান্নাও পাচ্ছে। দুটো তো আর একসাথে করা সম্ভব না। তাই কোনোটাই করবো না ঠিক করলাম। আমাকে এখন ভেঙে পরলে চলবে না। সায়ন ভাইয়াকে আমার চাই এ চাই তবে সেটা জোড় করে নয় ভালোবেসে।

চলবে,,,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com