Breaking News

সাইকো লাভার । পর্ব -১০



তিথিকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়, সে জ্ঞান হারিয়েছে।বাড়িতে তার জ্ঞান ফেরানো সম্ভব হয়নি।
অ্যাম্বুলেন্সে করে অক্সিজেন চালিয়ে তাকে হসপিটালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসা চলছে, খুব চিন্তা হচ্ছে। এই সময়ে এভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা
এবং সত্যিই চিন্তার বিষয় এতদিন কোথায়।
!
— এতোদিন তিথি আকাশকে কোথায় রেখেছিল তার বর্ণনা আমি আপনাদেরকে দেয়নি।
তিথি ব্যারাকপুর তার মায়ের ফ্লাট থেকে কলেজ করতো। এবং সে আকাশ কে কিডন্যাপ করার পর আর সেখানে যায়নি। সে তার বাবার একটি বাড়ি যেটা ঢাকায় অবস্থিত, এবং সেই বাড়িটি তার বাবা তার নামে করে দিয়েছে। সে বাড়িতে আকাশকে এনে রেখে ছিলো।
!
— আকাশ আজ রাস্তায় বেরিয়ে সত্যিই অবাক হয়েছে……
সে তার শহর থেকে এতটা দূরে রয়েছে। কিন্তু সেই চিন্তাতো সে আমূল দিতে পারেনি।
তিথির অবস্থা খুব খারাপ ছিল, তাই একটা অজানা ভয় গ্রাস করে রেখেছিল আকাশকে,
যতই হোক তিথি তারই সন্তান পেটে ধারণ করেছে। আজ যদি কিছু একটা হয়ে যায় তিথির তাহলে কি হবে।
ভাবতে পারছেনা আকাশ চিন্তায় মাথা ঝুকে পড়ছে। এমন সময়…….
!
মিসেস তিথির বাড়ির লোক কে আছেন ( এক নার্স এসে বলে)
!
— এই তো আমরা দুজন… (কথাটা নন্দিনীর কাকা ডাক্তারের দিকে এগিয়ে যান)
!
— তিথি এখন কেমন আছে ডক্টর( আকাশ এক প্রকার উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করে)
!
— আপনি কি ওর হাজবেন্ড? (ডক্টর)
!
–আপনি আমাকে বলুন আমি ওর কাকা হয় (কাকা)
!
— দেখুন আমার উনার হাজবেন্ড কে দরকার উনার সাথে আমি কথা বলব………
আপনি উনার হাজবেন্ড তো নাকি এতে কোন ইনলিগেল কিছু না তো ( ডক্টর)
!
— কোন ইনলিগেল ব্যাপার নেই আমি ওর হাজবেন্ড (আকাশ)
!
— তিথির কাকা এতক্ষণ ভয় পাচ্ছিলেন,
তবে তিনি মনে মনে একটু হলেও শান্তি পেল যদি আকাশ তাকে অস্বীকার করে,
তাহলে তিথির চিকিৎসাটা হয়তো এখানেই থেমে যেত।
!
— আপনাকে একটা বন্ডে সাইন করতে হবে,
উনার কখনোই এই বেবিটিকে এই মুহূর্তে নেওয়া উচিত হয়নি। উনি তো জানতেন যে
উনার শরীরের কন্ডিশন ভালো না।
অনাকে তো বারবার বারণ করা হয়েছিল।
কেনো চাপ ব্রেনে না ফেলতে। উনি জানতেন উনার…….(ডক্টর)
!
— স্যার icu পেশেন্ট জ্ঞান ফিরেছে, উনি কথা বলতে চাইছেন আপনার সাথে
(ডাক্তারকে তার কথা শেষ করতে দেয় না নার্স। (সে তিথির কেবিন থেকে আসছিল)
!
–ওকে চলো….( ডাক্তার)
!
— ডক্টর এগিয়ে যান নার্সের সাথে তিথির ক্যাবিনে। কথা সমাপ্তই রয়ে যায়।
!
— তবে আকাশ এবং তিথির কাকার দুজনে বেশ অবাক হয়েছেন।
তিথির এতক্ষণ অজ্ঞান রইল এবং জ্ঞান ফেরার পর সে ডাক্তারকে তার কেবিনে ডাকছে।
আকাশের মনে সত্যিই প্রশ্ন জাগে। তাহলে কি তিথি তার কাছে কিছু লুকিয়ে আছে।
আর তার লেখা কাগজ গুলোতে বা কি আছে লেখা।
একটা কেমন মন খারাপ এসে জড়ো হয়েছে তার মধ্যে।
এই সাড়ে সাত মাস তিথি তাকে মুক্তি দেয়নি। আর বাচ্চাটা হওয়ার পর ও কি মুক্তি পাবে আকাশ,
নাকি তার কোনো মুক্তি নেই এই মেয়েটির থেকে।
!
–আচ্ছা এই সবকিছু যদি তার বাবা নন্দিনী জানতে পারে তাহলে তারা কখনো তাকে আর মেনে নেবে……
সে জানে তার বাবা যেমন আদর্শবাদী সে কখনোই আকাশকে ক্ষমা করবে না।
তাহলে কি সে সবকিছু হারাতে বসেছে, চোখে জল চলে এসেছে তার,
!
–আপনি কি আকাশকে কিছু জানিয়েছেন ডক্টর?
( অতি ক্ষীণ কন্ঠে তিথি ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলেন)
!
— না কিন্তু আপনার হাজবেন্ডকে আপনার কন্ডিশন এখনই জানানো উচিত,(ডক্টর)
!
— না ডক্টর আমি চাইনা, আমার শারীরিক অবস্থা কেউ জানুক, এমনকি আকাশ তো নয়।(তিথি)
!
— কিন্তু…..( ডক্টর)
!
— আর কোন কিন্তু করবেন না ডক্টর, আমি খুব খারাপ একটা কাজ করেছি।
সেই ভুল আমাকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দিন দয়া করুন,
আমার উপর আচ্ছা আমার বেবি ঠিক আছে তো? (তিথি)
!
— হ্যাঁ আপনার বেবি ঠিক আছে, তবে আপনার যা কন্ডিশন তাতে আপনি এই
বেবিটা কে কিভাবে আনবেন, পৃথিবীতে আমি কিছু বুঝতে পারছিনা
(কপালে একটা দীর্ঘ ভাজ ফেলে কথাটা বলে ডাক্তার)
!
— না ডাক্তার আমি এই বেবিাে পৃথিবীতে আনবোই।
তবে আপনি আমাকে কথা দিন আমি যেটুকু বলবো আপনি ঠিক ততটুকুই রিপোর্ট বলবেন,
কথা দিন আমাকে (তিথি)
!
— ঠিক আছে তবে এতে আমাদের হস্পিটালের কোন প্রবলেম হবে না তো(ডাক্তার)
!
— না…. (সংক্ষেপে উত্তর দেয় তিথি)
!
— ডক্টর বেরিয়ে যান, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ না হলেও কিছুটা রিকভার করেছে।
ডক্টর বেরিয়ে যাওয়ার পরে আকাশ ভেতরে আসে। তবে কথা বলার পারমিশন নেই তাই সে
তিথির মাথার কাছে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে।
বেরোনোর সময় তাকে বলে গেছে দুদিনের মধ্যে তিথির ডিসচার্জ করা হবে।
সাধারণত চিন্তা করা এবং উইকনেসের জন্যই তিথির এমনটা হয়েছে।
!
— তিন দিন পর……..
!.
–আজ নন্দিনীর অপারেশন, সবাই টেনশনে আছে। নন্দিনীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে
যাওয়া হয়েছে ভীষণ কেঁদেছে এই দুইদিন মেয়েটা, তবে আজ যেন পাথর হয়ে গেছে,
ওটিতে ঢোকার আগে তার শশুর মশাই কে সালাম করে সে দুটো কথা বলেছে।
!
— বাবা-মা সব দোষ ক্ষমা করে আমাকে তুমি তোমার মেয়ের জায়গা দিয়েছিলে আমার
ভুলগুলোকে কখনো রেখে দেবে না তো বাবা? আমার ভাগ্যটা দেখো যাকে দূরে সরিয়ে রাখলাম
সে মানুষটিকে বিদায়ের বেলায় একটিবারের জন্যও দেখতে পেলাম না।
আজ যদি আমি মরে যাই জানো বাবা তাও আমার কোন দুঃখ নেই। আমি তোমাদের ভালোবেসে
ফেলেছি, ফুফু তুমিও ক্ষমা করে দেবে তো আমাকে। অনেক ভুল করেছি আল্লাহ তাআলার
তার শাস্তি আমায় দিলেন (বলেই নন্দিনী অঝর ধারায় ভিজিয়ে দেয় আকাশের ফুফুর বুকের ওড়না)
উনিও বড্ড কাদচ্ছেন।
!
— না রে মা কিছু হবে তোর। তুই আবারো ভালো হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসবি, শুধু মনটাকে শক্ত কর।( ফুফু)
!
— ফুফু আমার মন বলছে আমি আর তোমাদেরকে দেখতে পাবো না, আর আকাশ কেউ না। (কান্নায় লুটিয়ে পড়ে নন্দিনী)
!
–আকাশের বাবা ভেঙে পড়েছেন…… ওকে থামতে বল মিতা, ওকি বুঝতে পারছে না এই বুড়োটা ওর এই কথাগুলো সহ্য করতে পারছেনা।(আকাশের বাবা)
!
— নন্দিনীর বাবা-মাকেও খবর দেওয়া হয়েছে তবে তারা আসবে কিনা বলা যাচ্ছে না।
সেদিন রাতে রিপোর্টটি হাতে পাওয়ার পর তাকে আকাশের বাবাকে ফোন করেছিলেন।
হ্যাঁ সত্যি নন্দিনীর কঠিন অসুখ ধরা পড়েছে। নন্দিনীর USG রিপোর্টে লেখা রয়েছে…..
তাই ইউট্রাস্টে টিউমার এবং ওভার সিস্ট দুটো রয়েছে।
এবং টিউমার অপারেশন করাতে হবে নয়তো যেকোনো একটি কিছু ঘটে যেতে পারে।
তবে অপারেশন থিয়েটারে ও যে কিছু ঘটবে না এমন আশ্বাস দিতে পারেনি ডক্টর,
!
— আমরা সকলে জানি ইউট্রাসে টিউমার অপারেশন এবং সিস্ট অপারেশন হলে সে আর মা হতে পারে না।
এ কথা স্পষ্ট জানান আকাশের বাবাকে। বেচারা আর একটা কথা বলতে পারেনা,
তার পা দুটো টলে আসছে। বসে পড়ে সোফায়।
খবরটি বড্ড অপ্রত্যাশিত। এমন একটা কথাও ভাবা যায় না। মিতা সামনে ছিলেন,
তাদের অলক্ষ্যে নন্দিনী এসে দাঁড়িয়েছিল দরজার কোণায়।এমন কথা শোনার পর নন্দিনী কেন,
কোন মেয়ে সহ্য করতে পারেনা।
নন্দিনী দরজাটা আটকাই।আর তার পরে এই দুদিন ভুলভাল চিন্তাভাবনার পর আজ তার অপারেশন ডেট।
!
— চার ঘন্টা পার হয়ে গেছে, এখনো শেষ হয়নি। নন্দিনীর ভাই এবং তার মা এসেছে। তারাও আকাশের এমন অপ্রত্যাশিত অসুখের কথা জেনে ভেঙে পড়েছে। যত সময় বয়ে যাচ্ছে ততই আকাশের বাবা যেন আরও অস্থির হয়ে পরেছে। ইতিমধ্যে প্রায় 5 ঘণ্টা পর ওটির আলো নিভলো। এবং ডক্টর আর নার্স সহ আরো দুজন ডক্টর বাইরে বেরিয়ে এলেন।
!
— ডক্টর বাইরে আসতে আকাশের বাবা ও মিতা সকলেই ছুটে যান। সকলের মনেই উৎকণ্ঠ নন্দিনীর বর্তমান অবস্থা কেমন, আর ওটি কমপ্লিট করতে এত দেরি হচ্ছে কেন।
!
–ডক্টর আমার নন্দিনী মা কেমন আছে, সুস্থ আছে তো ( আকাশের বাবা কাঁদো কাঁদো গলায় কথাগুলো বলো)
!
প্লিজ বলেন চুপ করে থাকবোন না ভীষন চিন্তা হচ্ছে চিন্তায় কথাগুলো বলতে থাকে (মিতা)
!
ইতিমধ্যেই নন্দিনীর মা জ্ঞান হারিয়েছেন। নিজেকে অনেক করেছেন তিনি, তার মেয়ের এমন অবস্থায় একটা বার বোঝার চেষ্টাও করেনি ওনারা। আজকে বাজবে না মরবে তার কোন ঠিক নেই। এতক্ষণ পর মুখ খুললেন ডক্টর।
!
— অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে তবে নন্দিনীর অবস্থা…. (আটকে যায় ডক্টরের কথা)
!
— ডক্টর বলেন আমরা নন্দিনী মা (মিতা)
!
— অবস্থা ভালো নয় আই সি ইউ তে দেওয়া হয়েছে আটচল্লিশ ঘন্টা না কাটলে আমরা কিছু বলতে
পারব না।আসলে কি জানেন দুটোই মেজর অপারেশন হয়েছে ওর।
একটু সময় নেবে। ও যে এখনো শ্বাস এটা তোমাদের সৌভাগ্য।
আর ওর পেটে যে টিউমার ছিল তার ওজন সাড়ে 3 কেজি।ভাবতে পারছেন,
সাড়ে তিন কেজি, আর এক সপ্তাহ দেরি করলে নন্দিনীকে বাঁচাতে পারতাম না।
ওটা ভেতরে ব্লাস্ট করতো তখন আমাদের কিছুই করা যেত না।
এখন শুধু উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করেন, (কথাগুলো চলে যায় ডক্টর)
!
— উনাদের অসহায় মুখগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে কতটা বিপদে আছে।
কতটা চিন্তিত ওনার, খুব ভয় হচ্ছে উনাদের কি হতে চলেছে কেউ জানে না,
কিন্তু আরও 10 ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। দুপুর পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে৷
রাতে কে থাকবে তা ঠিক হয়েছে।
রাতে থাকবে মিতা। আই সি ইউ তে একজন কে থাকতে পারবে। তাই উনি থাকবে।
আকাশের বাবা অনেকবার বলেছেন কিন্তু উনার শরীর অবস্থা দেখে মিতা বলেছেন উনি নিজে থাকবেন।
!
— এখানে মিসেস নন্দিনীর বাড়ির লোককে আছেন? ওনার সেন্স এসেছে কিন্তু যেকোনো একজন আসবেন। উনি এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ নয় (নার্সের কথা শুনে বুকে জল আসে সকলের)
!
— প্রথমে আকাশের বাবা ভিতরে যান নন্দিনীর দ পাশে বসে নন্দিনীর মাথায় হাত বুলিয়ে ক্ষীণ সুরে বলেন।
!
— এখন ঠিক আসছিস মা (আকাশের বাবা)
!
— বাবা তুমি এসেছ( নন্দিনী)
!
–হ্যাঁ রে মা আমাকে যে আসতেই হতো, তুইতো আমার মেয়ে।
তোকে ছেড়ে কোথায় যাবো বল। তুই সুয়ে থাক তোর ফুফুও চিন্তিত হয়ে রয়েছে,
আমি এবার যাই তোর ফুফুকে পাঠিয়ে দেই তোর কাছে, আজকে তোর সাথে থাকবে রাতে,
তুই জানিস পুরো সাড়ে 15 ঘণ্টা পর পর জ্ঞান ফিরল (আকাশের বাবা)
!
–এখন এতো কথা বলো না ওর সাথে ও কিন্তু এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ নয় (ডক্টর রুমে ঢুকে বলল)
!
— ওকে এখন রেস্ট নিতে দাও দুদিনের মধ্যেই ওর ডিসর্চাজ করে দেবো, এবার খুশিতো ( ডক্টর)
!
–নন্দিনী মাথা নাড়ে এরপর সবাই বাড়ি চলে যায় এবং মিতা নন্দিনীর সাথে রাতে রয়ে যান।
!
–আরো কেটে যায় দুই মাস……
!
দুই মাস কেটে গেছে। নন্দিনী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, তবে দুর্বলতা এখনো রয়ে গেছে।
সবাই নন্দিনীকে প্রায় চোখে চোখে রেখেছে। নন্দিনীর বাপের বাড়ির লোকজন
আর তাদের মেয়ের উপর বিরূপ নেই। একেবারে সবই ঠিকঠাক রয়েছে। তবে শুধু একটাই অভাব,
আকাশ। এখনো আকাশের কোন খবর পাওয়া সম্ভব হয়নি।
সেদিন নন্দিনী একা একা বসে একটি মুভি দেখছিল তখন, এখন কেউ তাকে কোন কাজ করতে দেয় না,
প্রায়ই আকাশের ফুফু তাকে ভাত খেয়ে দেয়। এমন সময় ল্যান্ডলাইন ফোনটা বেজে ওঠে।
!
— নন্দিনী দেখ তো মা কে ফোন করেছে (রান্নাঘর থেকে তার ফুফু গলার আওয়াজ শোনা যায়) নন্দিনীকে ফোনটা ধরে……
!
–হ্যালো কে?( নন্দিনী)
!
— আসি কি নন্দিনী আপুর সাথে কথা বলছি।( ফোনের ওপাশ থেকে)
!
— হ্যাঁ আমি নন্দিনী বলছি কিন্তু তোমাকে তো ঠিক চিনতে পারছি না! (নন্দিনী)
!
— তুমি আমাকে চিনবে না. কিন্তু আমি তোমাকে চিনি।
জানো আপু তুমি খুব লাকি তাইতো উপরওয়ালা তোমাকে তোমার শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়েছে (ফোনের ওপাশ থেকে)
!
–তুমি কে বলছ বলতো? আর উপরওয়ালা আমাকে শ্রেষ্ট উপহার দিয়েছে কি সেটা। আর তুমি কে বলছ বলতো( নন্দিনী)
!
–জানো আপু আমি তোমার সাথে অনেক অন্যায় করেছি, এখনও করছি আমাকে ক্ষমা করো তুমি আমাকে ক্ষমা করো… (ফোনের ওপাশ থেকে)
!
— এই তুমি কে বলছ বলতো তুমি আমার সাথে কি অন্যায় করেছো আর কাদছোই বা কেনো? (নন্দিনী)
!
— আপু আমি তোমার আকাশের……..(পুরো কথাটা বলতে গিয়ে থেমে যায় ফোনের ওপাশ থাকা)
!
— আকাশ,,, কে বলছো তুমি? তুমি আমার আকাশ কে চেনো? আমার আকাশ এখন কেমন আছে, ও সুস্থ আছে তো? ( নন্দিনী)
!
— কি হয়ছেছে নন্দিনী, কে ফোন করেছে। কি বলছে আর তুই এমন করছিস কেন? (আকাশের বাবা)
!
— বাবা ও আমার আকাশকে চেনে, আমার আকাশের কথা বলছিল আমার আকাশ (নন্দিনী)
!
— নন্দিনী তোর শরীর খারাপ করবে. ফোনটা আমায় দে আমি দেখছি।( ফোনের রিসিভারটা আকাশের বাবা নেয় কিন্তু ততক্ষণে ফোনটা কেটে গেছে)
!
— শান্ত মা, ও আবার ফোন করবে ধৈর্য ধর। এবার আমাদের আকাশ হয়তো আমাদের কাছে ফিরবে। তোর অপেক্ষার শেষ হবে। এবার উপর আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখো( বুকের মাঝে চেপে ধরে আকাশে বাবা নন্দিনীকে)
!
–কারণ নন্দিনীর মনের অবস্থা এখন কি চলছে সেটা বুঝার বাকি নেই।
!
–অপরদিকে তিথি ফোন কেটে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। হ্যাঁ তিথি ফোন করেছিলো নন্দিনীকে। নন্দিনীর কথা শুনে আকাশের প্রতি দুর্বলতা দেখে ওর বুকটা ভেঙ্গে চুরে যাচ্ছিল কি বলবে কিছু বুঝতে পারছিল না তাই ফোনটা কেটে দেয়।
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com