Breaking News

সাইকো লাভার । পর্ব -১১



কাকে ফোন করছিলে তিথি (আকাশ ঘরে এসেছে কখন তিথি বুঝতে পারেনি তারপর এমন একটা প্রশ্ন শুনে হকচকিয়ে ওঠে সে)
!
— কাকে ফোন করবো আকাশ আমি আমার এক আপুকে ফোন করেছিলাম খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছিল আর তুমি আমার পারমিশন ছাড়া আমার ঘরে কি করছো? (অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে কথাগুলো বলল তিথি কারণ সে চায় না ফোন করার কথাটা যানুক)
!
— নিজেকে আকাশের থেকে আড়াল করার জন্য কথাগুলো সে বলছে. তবে ভয় করছে আকাশ কিছ শুনে ফেললো না তো?
!
— সরি ভুলে গেছি,পারমিশন ছাড়া কারো ঘরে যাওয়া উচিৎ নয়, কি আশ্চর্য দেখো আমার ভালো
গুণগুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে সত্যিই ঘৃণ্যা হয় আজ নিজের ওপর। আমায় ক্ষমা করো তিথি
আর কখনো এমন ভুল হবে না (তিথির কথাটায় আকাশের খুব সম্মানের লেগেছে।
তাকে কখনো এমনটা শুনতে হয়নি আর আজ তিথি। যাকে সে একটু হলেও ভালোবেসেছে স্নেহ করেছে,।
ঘর থেকে বেরুনোর সময় আকাশের চোখটা চিকচিক করে ওঠে। তা তিথির চোখ এড়ায়নি।)
!
— কিন্তু তিথি আজ নিরউপায় আকাশ কে আটকাতে পারবেনা আকাশ ঘর থেকে চলে গেলে,
তিথি দরজাটা ভেতর দিয়ে আটকে দেয়। নিজেকে বিছানায় সম্পন্ন করে চোখগুলো পুরো ভিজিয়ে ফেলছে।
খুব কষ্ট হচ্ছে ওর, ইচ্ছে করছে আকাশের বুকে আছড়ে পড়তে।
নিজেকে এই বুঝার থেকে মুক্তি দিতে। কিন্তু সে পাচ্ছে না,
সত্যিই আকাশকে তিথি খুব ভালোবাসে তবে,
নন্দিনী আকাশের এবং আকাশের প্রতি নন্দিনীর টান ভালোবাসা
সবই ওকে আকাশের থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য করেছে। কিন্তু এ সন্তানের ভবিষ্যতের কি হবে আকাশ কি ওকে মেনে নেবে, অনিশ্চয়তায় ভুগতে থাকে তিথি।
!
— আর পারেনা চোখ খোলা রাখতে, চোখ বুজে আসছে ওর…..
তাহলে কি শেষ করে দেবে নিজেকে। না না আবার উঠে বসে ও। আমার পুচকু, কাদতে থাকে তিথি।
বাইরে আকাশে পূর্ণ চাঁদ উঠেছে, চারিদিকে একটা মিষ্টি জ্যােৎস্না খেলে যাচ্ছে।
যদিও বা সমুদ্রের দূরত্ব এখান থেকে অনেক দূরে,
তবুও এই নিস্তব্ধতায় তিথি সেই পাড় ভাঙ্গা ঢেউ কে অনুভব করছে।
মনের মধ্যে একটু হলেও শান্তি খুঁজে পেল সে।
!
— অপরদিকে আকাশের চোখেও কোন ঘুম নেই, চোখের পাতা আদ্র, ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ওর,
নন্দিনীকে সে ভালোবাসতো তবে তিথির ভালোবাসা সত্যিই তাকে তিথিকে ভালবাসতে বাধ্য করেছে।
কিন্তু সেই ভালোবাসার জায়গাটুকুও যেন ক্রমেই মিলন হয়ে আসছে। সে ভালোবাসা পাবে না কখনো,
উপরওয়ালা কি তার প্রতি এতটাই বিরুপ।
!
–যাকে সে ভালোবাসে তাকে তার থেকে সরিয়ে নেয়। আজ তিথির ব্যবহার সত্যিই খুবই অস্বাভাবিক ছিল।
আচ্ছা সে কি আমার থেকে আরো কিছু লুকাচ্ছেন, কিন্তু কি সেটা আচ্ছা তিথি কি লেখে ওগুলো।
আর ওই ঘরটাতেই বা কুসাজাচ্ছে? না আমাকে জানতে হবে,
আমি আমার মাকে হারিয়েছি আমি আমার প্রথম ভালোবাসা আমারে স্ত্রী আমার নন্দিনী কে হারিয়েছে।
এবার আমি আর তিথিকে হারাতে চাইনা। আমাকে তিথির খেয়াল রাখতে হবে,
!
–দেখতে দেখতে নয়টি মাস হয়ে গেছে, এ সময় তিথির আরো বেশি খেয়াল রাখা উচিৎ। যাব একবার ওর ঘরে? যাই এরপর আকাশ তিথির ঘরের দরজার সামনে গেলে।
!
–তিথি….. তিথি জেগে আছো? প্লিজ একবার দরজাটা খুলো (আকাশ)
!
— তিথি সত্যি চমকে ওঠে! এত রাতে আকাশ তার এখানে ও কি ঘুমাই নি। কি হলো আবার,
তিথি ধীর পায়ে এসে দরজাটা খুলে দেয়। আকাশ হাসি মুখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
তিথি অবাক, আকাশকে অনেকদিন পর আবার এমন খোলামেলা লাগছে।তিথি যেন একটু আনন্দিত হয় বলে।
!
— এত রাতে তুমি? ঘুমাও নি (তিথি)
!
–না ঘুম আসছিলো না, তাই ভাবলাম আমার পুচকু আর তার মা কি করছে?
একটু দেখে আসি! তুমি ঘুমাওনি কেন এখনো। এখন কিন্তু তোমার অনেক বেশি রেস্টের দরকার,
আমি কিন্তু আমার পচকুর কোনো অনিয়ম চাই না।
আমি চাই আমার সোনা আমার মত হোক +কথাগুলো বলে একটু থামল আকাশ হাসি মূখে কথাগুলো বলে যাচ্ছে আকাশ)
!
— তিথির আজ খুব ভালো লাগছে। সত্যিই তো সে তো এমনই একটা ছোট্ট পরিবার চেয়েছিল।
আকাশের সাথে সেখানে কোনো অভাব, কোনো দুঃখ থাকবে না। শুধুই আনন্দ থাকবে।
আকাশের এই আচরণ যেন তিথির মনে একরাশ সূর্যকিরণ বর্ষণ করল।
তিথি আকাশকে কিছু বলতে পারলো না। সে আকাশের পাশে এসে বসলো।
!
–আচ্ছা তিথি আমি কিন্তু একটা পচকু পরি চাই, ঠিক তোমার মত কিউট হবে,
আমি ওর নাম দেবো মেঘলা। কি ভালো হবে না। আকাশের মেয়ে হবে মেঘলা,
কত ভালো হবে বলো।( এবার আকাশে তিথির দিকে ঘুরে ওর গাল দুটোকে চেপে কপালে একটা হামি দেয়)
!
–আচ্ছা তিথি তুমি আমাকে আর ভালোবাসো না। আমার সাথে এখন আর কথা বলো না, তুমি আদর করো না, আমি কি তোমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য নই। আমাকে কি আর একটা সুযোগ দেওয়া যায় না?
আমাকে ভালবাসতে পারবে না তুমি? হ্যাঁ তিথি তোমাকে আমি ভালোবাসি।
অনেক ভালোবাসি, আর আমি কেবল এখনই তোমাকে চাই। আমার ছোট্ট পরী টা কে দেবে তো আমাকে(আকাশ)
!
— তিথি স্বপ্ন দেখছে না এগুলো সব সত্যি কিছুই বুঝতে পারছে না। খুব আনন্দ হচ্ছে ওর,
!
— আকাশ তুমি যা চাইছ তাই পাবে….
আমি আর কখনো নিজেকে নিজের অবহেলা করবো না। যতদিন বাঁচবো তোমার সাথে বাচবো।
তোমাকে ভালোবাসবো। এরপর সারারাত তিথি আকাশের বুকে মাথা রেখে হাজার গল্প মেতে উঠে।
তিথি এতদিন যে সুখের সন্ধানে হারিয়েছিল আজ সেই গন্তব্যে পৌঁছে গেছে।
!
— অনেক সকালে তিথি একটু ঘুম ভেঙে গেছে। তার মধ্যে দুই ধরনের অনুভূতি কাজ করছে,
সে একবার স্বপ্ন দেখছে আকাশ এবং ছোট্ট সোনাটাকে নিয়ে সুন্দর সুখের সংসারে রাখবে।
জীবনটা নতুন ভাবে শুরু করবে কিন্তু কোথাও একটা অনিশ্চয়তা টা কাজ করছে ওর মধ্যে।
ডায়রিটা নিয়ে ওর সব থেকে প্রিয় ঘরটাতে গেল, এক মনে কিছু লিখে সে। আকাশ এখনো ঘুমাচ্ছে।
না তিথি এভাবে হেরে যেতে চায় না, সে কখনোই হারবেনা,
মনে জোর আনে নিজেদের শক্ত করে, মাথা যন্ত্রণা আবারো বেড়েছে।
!
— লেখা শেষ করে বেরিয়ে আসে। ঘড়ি জানান দিল এখন সাড়ে 9 টা, যদিও ডক্টর তিথিকে আগুনের তাপে যেতে বারণ করেছে, তবুও সে অমান্য করে দুকাপ কফি বানালো দুজনের জন্য। কাকুর কফি খানা খায় , তাইওদের দুইজনের জন্যই বানালো।
!
ইতি মধ্যে আকাশ ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এসেছে।
এসেছে তিথি কে কফি বানাতে দেখে ওকে খুব বকা দিলো। তার কি কফি বানানোর এত দরকার ছিল, তিথি কোন প্রতিবাদ না করে আকাশকে একটা চেয়ারে বসিয়ে হাতে কফির কাপটা দিল আর একটা মিষ্টি হাসি হাসল।
!
–এগুলো কিন্তু এখন ঠিক নয়–( আকাশ আর কিছু বলবে তার আগেই তিথি আকাশের ঠোটে আঙুল রেখে ওর চোখের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অদ্ভুত আবেদন, ও এক অদ্ভুত ভালোবাসা হারানোর ভয় সবকিছু)
!
— আকাশ আর কিছু বলতে পারেনা তিথি মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
‌!
— আকাশ….. (তিথি)
— হ্যাঁ বলো (আকাশ)
!
— আমার মৃত্যুর আগে অব্দি তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না তো?( একবারে শান্ত আদ্র গলায় প্রশ্ন করে আকাশকে)
!
— তিথির মুখের আজ এমন কথা শুনে সত্যিই আকাশ ভয় পেয়ে যায়, হারানোর ভয় যারা ভালোবাসে তারা অবশ্য বুঝবে প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলার ভয় টা ঠিক কেমন। আকাশের তিথির দিকে তাকায় ওর চোখে জল, মুখটা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
!
–কি হয়েছে তিথি? এমন বলছ কেন? তুমি বোঝনা আমি তোমাকে ভালোবাসি!
হ্যাঁ তিথি আমি তোমাকে ভালোবাসি। তাই তোমার হারিয়ে যাওয়া তে আমার ভীষণ ভয়।
তুমি আমাকে যখন তোমার কাছে টেনে নিয়েছিলে তখন আমি তোমাকে ভালবাসতাম না,
ঘৃণা করতাম। তবে এখন আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি আর এটাই একমাত্র সত্যি তাই এখন
আর তোমাকে হারাতে চাই না। তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে বাঁচবো?
( তিথি কোন কথা বলতে পারে না কেবল চোখের জল আকাশের বুকের কাছটা ভিজিয়ে দেয়।
!
— তিনদিন পর……
!
— হ্যালো আমি কি নন্দিনী আপুর সাথে কথা বলছি(তিথি)
!
— হ্যাঁ আমি নন্দিনী বলছি!(নন্দিনী)
!
— আমি তোমাকে এর আগের দিন ও কল করেছিলাম আকাশ,,,,,(তিথি)
!
— তুমি কে বলছ বলতো? তোমার পরিচয় এবার আমাকে দাও বা না দাও আমি এই নাম্বারটা পুলিশ অফিসারকে দেবো এবার থেকে আমার আকাশ কে খুঁজে দিতে পারবে।( নন্দিনী রেগে যায় অচেনা ফোন কল আর এমন একটা সময় যখন কোন স্ত্রী তার স্বামীর নিরুদ্দেশ হওয়ার পর যখন অন্য একটি মেয়ের মুখে বারবার শুনে তার মনের অবস্থা কি হতে পারে আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন)
!
–আপু আমি এমনই একটি আনলাকি মেয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পেয়েও পারছিনা আর তুমি এতটা ভাগ্যবান যে তোমার থেকে দূরে রেখেও আমি তাকে পেলাম না ( তিথি)
!
–মানে কি বলতে চাইছো তুমি? আর এসব কেন বলছ আমার আকাশ কোথায় প্লিজ বলো, কে তুমি (ভয়ে আতঙ্কে কেঁদে ওঠে নন্দিনী)
!
–তুমি কেদনা আপু তোমার আকাশ ভালো আছে, তোমার আকাশ আমার কাছে আছে! আমার একটা কথা রাখবে আপু? তুমি যেমন ভালোবাসো তোমার আকাশকে আমি ওকে খুব ভালোবাসি খুবই (ফুফিয়ে কেদে উঠে তিথি)
!
— কি হল তোমার? তুমি আকাশকে ভালোবাসো মানে? আকাশ কোথায় এখন? আর তুমি কে এমন ভাবে শ্বাস নিচ্ছ কেন তুমি? তুমি ঠিক আছে তো?( নন্দিনী ও আর্দ্র গলায় তিথিকে প্রশ্ন করতে থাকে)
!
— আমি ঠিক আছি আপু (টেনে টেনে শ্বাস নিয়ে কথাগুলো বলতে থাকে, যেই শুনবে সেই গলা আর বুঝতে বাকি থাকবেনা যে তিথির শ্বাসকষ্টের ফলে অতিরিক্ত ভয় আতঙ্ক এবং কান্নাকাটির ফলে এই অবস্থা হয়েছে তাও ও বলে চলল)
!
–আপু আমাকে বলতে দাও এমনও হতে পারে আর সুযোগ পাবো না,
আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই আমি তোমাকে আমার ঠিকানা দেবো তুমি আসবে।
কি জানো তুমি স্ত্রী।ওর তোমার সাথে ওর বিয়ে তোমার হয়েছে।
তোমার থেকে ওকে কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই আকাশ ভালো আছে।
সুস্থ আছে সত্যিই না ও তোমাকে খুব ভালবাসে খুব।
আমি তোমাকে আরো কিছু জানাতে চাই তবে যে আমার ক্ষমা প্রার্থনা সম্পূর্ণ হবে।
আরো ও অনেক কথা তিথি আজ নন্দিনীর কাছে বলল যা হয়তো এখনো কেউ জানেনা।
!
— তিথি আজ সব স্বীকার করেছে নন্দিনীর কাছে,
দুটো মেয়ে আজ নিরবে কেদে চলেছে সান্ত্বনা দেওয়ার মত ভাষা নেই।
কোন মেয়ে যে কারো ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এতটা ডেসপ্যারেট হতে পারে।
নন্দিনী তা আজ প্রথম জানলো। আর আজ এমন একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে যে আকাশকে তার এক্ষেত্রে নন্দিনী থেকেও বেশি ভালোবাসে। সে স্ত্রী হয়ে আকাশকে যতটা কাছে থাকতে পারেনি,
আর একটা বাইরের মেয়ে হয়ে তার স্বামীকে ভালবাসার জন্য নিজের জীবন দিতে বাজি লাগিয়ে দিচ্ছে।
অচেনা হলো আজ সত্যি তিথির ওপর খুব শ্রদ্ধা হচ্ছে।
নিজের ওপর ঘৃনা হচ্ছে তার সে তার স্বামীকে ভালবাসতে পারেনি। সত্যিই সে আজ ব্যর্থ,
সে ব্যর্থ নিজের স্বামীকে ভালবাসতে, সে ব্যার্থ তার স্বামীকে আগলে রাখতে, ঘৃণায় মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে ওর।
!
–কেটে গেছে আরও দশ বারো দিন এর মধ্যে তিথি ও নন্দিনীর মধ্যে একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। তিথি আকাশের বাবা এবং তার সঙ্গে কথা বলেছে ফুফু কত রকমের এডভাইস দিয়েছে তিথিকে।তারা চায় তিথি যেন এবার আকাশের সাথে এ বাড়িতে চলে আসে। তবে আকাশের সাথে কথা হয়নি ওর কারোর সাথে। আকাশ জানেও না যে সম্পর্ক এতদূর গড়িয়ে গেছে। তিথির ডেলিভারি ডেট এগিয়ে এসেছে আর কয়েকটা দিন। প্রায় কাঁদে তিথি নন্দিনীর কাছে আর নন্দিনীর ও একই কথা।
!
–তুই ঠিক হয়ে যাবি বোন! পুচকুটাকে, তারপর আমরা একসাথে বড় করব! তোর কিছু হতে দেব না আমরা…. তোর আকাশের ভালোবাসা আমাদের ভালোবাসার মাঝ থেকে দেখি তোকে কে নিয়ে যায়।(নন্দিনী)
!
— সবাই চায় তিথি ফিরে আসুক ওরাই বা কি দোষ! ওযে কেবলমাত্র ভালোবেসেছে আর কিছু চাইনি। ওর ভালোবাসা কেন কোন খাদ ছিল না শুধু ওর পদ্ধতি টা খারাপ ছিল
চলবে..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com