Breaking News

শেষ বিকেলের রোদ । পর্ব -১৮



৮ দিন পর,
মুগ্ধ দেশে এসেছে গতরাতে। রাত ২ টায় প্লেন ল্যান্ড করেছে আর বাসায় এসেছে ভোর ৪ টায়। ঘড়িতে সকাল ৭ টা এখন আরামে ঘুমাচ্ছে ও। বাসার কেউই ওকে বিরক্ত করছে না।
মুগ্ধের মা রান্নাঘরে ছেলের পছন্দের খাবার বানাতে ব্যস্ত। এমনসময় বাসার কলিং বেল বেজে উঠে। মুগ্ধের মা শুভকে বলে,
“দেখ তো শুভ কে এসেছে?”
“জি আম্মু।”
শুভ গিয়ে দরজা খুলে দেখে আলিয়ার এসেছে। শুভ হেসে বলে,
“এসে পড়েছো? ভাইয়া তো এখনো ঘুমাচ্ছে।”
“তোর ভাইয়ার ঘুমের চৌদ্দটা বাজাবো আমি।”
আলিয়ার বাসায় ঢুকে রান্নাঘরের সামনে গিয়ে মুগ্ধের মাকে বলে,
“আসসালামু আলাইকুম, আন্টি।”
“ওয়া আলাইকুমুস সালাম, কেমন আছো বাবা?”
“জি, ভালো আছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন?”
“ভালো আছি।”
আলিয়ার বেক্কলের মতো হেসে বলল,
“মুগ্ধের সাথে দেখা করতে পারি?”
“মুগ্ধ তো ঘুমাচ্ছে, দেখো উঠে কিনা?”
আলিয়ার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“কি আর বলবো আন্টি? মুগ্ধ যেদিন অস্ট্রেলিয়া গেল তার কিছুদিন আগে থেকে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করেছে, একবারের জন্যও কল দেয়নি।”
মুগ্ধের মা অবাক হয়ে বলল,
“কি বলছো? কেন?”
“তা তো জানি না, কেন এমন করলো? কোনো ঝগড়াও হয়নি আমাদের মধ্যে।”
“তবে?”
“আমি শুভর সাথে যোগাযোগ রেখেছিলাম তাই তো জানতে পারলাম মুগ্ধ দেশে এসেছে।”
মুগ্ধের মা এগিয়ে এসে বলে,
“ভালো করেছো বাবা। মুগ্ধ বিয়ের জন্য রাজি হয়েছে, কিন্তু ভালো কোনো মেয়ে পাচ্ছি না। তুমি তোমার আম্মুকে বলো ভালো মেয়ে দেখতে।”
আলিয়ার বাঁকা হেসে বলে,
“এসব নিয়ে আপনি একদম চিন্তা করবেন না আন্টি। আমি আজই আম্মুকে বলবো।”
মুগ্ধের মা বেশ হাহুতাশ করে বলল,
“চিন্তা করবেন না বললেই কি আর নিশ্চিন্ত হওয়া যায়, বাবা? ছেলের বিয়ে বলে কথা, আমি তো একদম ভালো আর সুযোগ্য মেয়ে চাই। সুন্দরী ততটা না হলেও হবে, তবে শিক্ষিত হতে হবে। আমার ছেলের পাশে মানাতে হবে তো।”
“হুম, তাই তো।”
“যাও, মুগ্ধের সাথে দেখা করো আর ওকে ডেকে আনো। আমি নাস্তা তৈরি করেছি, খেয়ে নিবে।”
আলিয়ার মুচকি হেসে বলে,
“বাসা থেকে খেয়ে এসেছি আন্টি।”
“কোনো অজুহাত না, খেতে হবে মানে খেতে হবে। যাও, মুগ্ধকে ডেকে আনো।”
আলিয়ার মাথানেড়ে হেসে মুগ্ধের রুমে যায়। মুগ্ধ বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। আলিয়ার ওর মাথার কাছে বসে বলে,
“তোর স্বপ্নের রানী এসেছে তোর সাথে দেখা করতে উঠে পড়।”
মুগ্ধ ঘুমের ঘোরে বলতে থাকে,
“সে আসবে না, সে আসবে না।”
বেডসাইট টেবিল থেকে পানি ভর্তি গ্লাস নিয়ে ওর মুখে পানি ঢেলে দেয় আলিয়ার। হুড়মুড় করে উঠে বসে মুগ্ধ। আলিয়ারকে দেখে ভূত দেখার মতো চোখ বড়বড় করে বসে থাকে। আলিয়ার ওর মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলে,
“কিরে, আমার কি রূপ বেড়েছে? আর কে আসবে না?”
মুগ্ধ মাথা চুলকে বলে,
“তুই এখানে?”
“কেন আসা উচিত হয়নি?”
“ব্যাপারটা তা না, আসলে..”
মুগ্ধের কথা শেষ হওয়ার আগেই আলিয়ার বলে,
“যোগাযোগ কেন বন্ধ রেখেছিলি? আমার সাথে রেগে ছিলি?”
“আসলে ওই..”
আলিয়ার সন্দেহের চোখে ওর দিকে তাকায়। মুগ্ধ দাঁত কেলিয়ে বলে,
“ভালোবাসার পরীক্ষা নিচ্ছিলাম, মানে তুই আমাকে কতটুকু ভালোবাসিস তাই জানতে চাচ্ছিলাম।”
“শালা, তোর ভালোবাসা..”
বলেই মুগ্ধের দিকে রে রে করে তেড়ে যায় আলিয়ার। লাগে দুজনের মারামারি।
কিছুক্ষণ পর টায়ার্ড হয়ে আলিয়ার বিছানায় শুয়ে পড়ে। মুগ্ধকে বলে,
“ফ্রেশ হয়ে আয়, আজকে আমরা ঘুরতে যাবো।”
“ঘুরতে?”
“হুম, আজকে একজন স্পেশাল মানুষের সাথে তোকে পরিচয় করিয়ে দিবো।”
মুগ্ধ আলিয়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে,
“তোর স্পেশাল কেউ?”
“এরকমই মনে করতে পারিস।”
মুগ্ধ হো হো করে হেসে জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। আলিয়ার আছিয়ার নাম্বারে কল দেয়,
“আম্মু?”
“হুম, মুগ্ধ কেমন আছে?”
“ভালো আছে। শোনো।”
“হ্যাঁ বল।”
“আজকে আমি মুগ্ধকে নিয়ে ঘুরতে যাবো, তাই অফিসে যাবো না। তুমি বাবাকে বলে দিও।”
“আচ্ছা।”
“রাখছি।”
আলিয়ার ফোন রেখে ভাবে,
“আন্টি বলল মুগ্ধের বিয়ের কথা। আগে জানতে হবে মুগ্ধ কাউকে পছন্দ করে কিনা।”
অন্যদিকে,
বাসার সবাই খেতে বসেছে। জিনাত বসেছে সুলতানার পাশে। ইব্রাহিমকে বলে,
“আলিয়ার কোথায়?”
আছিয়া মুচকি হাসি মুখে রেখে বলল,
“মুগ্ধ দেশে ফিরেছে ওর সাথেই দেখা করতে গেছে।”
“কোন মুগ্ধ?”
“আলিয়ার বন্ধু, মুগ্ধ।”
মুগ্ধের নাম শুনেই জিনাতের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে টেবিলের দিকে। তাহলে কি মুগ্ধের সাথে আবারো দেখা হবে? ভাবতেই জিনাতের মুখে হাসি ফুটে।
আছিয়া আবারো বলে,
“আলিয়ার আজ অফিসে যাবে না, মুগ্ধকে নিয়ে ঘুরতে যাবে। দুজনে একসাথে হয় না অনেকদিন হলো।”
আহমেদ বলে উঠে,
“আলিয়ার অফিসের কাজে অনেক ফাঁকিবাজি শুরু করেছে। আজ বোরিং লাগে তো কাল বন্ধুর সাথে ঘুরতে যাবে।”
ইব্রাহিম একবার আহমেদের দিকে তাকায় তারপর আছিয়াকে বলে,
“ছেলেকে বুঝিয়ো যাতে বেপরোয়া না হয়।”
আছিয়া উপরে নিচে মাথা নেড়ে বলে,
“ঠিক আছে।”
জিনাত ভাবছে আলিয়ার ও মুগ্ধ কোথায় ঘুরতে যাবে। তাহলে সেখানে গিয়ে হলেও মুগ্ধের সাথে দেখা করা যাবে। কথা না বলুক দূর থেকে দেখবে। যদি সম্ভব হয় তো সত্যিটা জানিয়ে আসবে। কিন্তু পুরো সত্যি জানানো কি ঠিক হবে?
খাওয়া শেষে জিনাত ও জেরিনকে নিয়ে বেরিয়ে যায় আহমেদ। জেরিনকে কলেজে দিয়ে জিনাতকে ভার্সিটির সামনে নামিয়ে দিয়ে অফিসে চলে যায় আহমেদ।
আহমেদ চলে যাওয়া পর্যন্ত ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে জিনাত। তারপর সে আলিয়ারকে কল করে,
“হ্যালো, আলি।”
“হুম।”
“তুই কোথায়?”
“তা জেনে তোর কি কাজ?”
জিনাত একটা ঢোক গিলে বলল,
“আজ নাকি ঘুরতে যাবি?”
“হুম, কেন রে?”
“আমিও যাবো।”
আলিয়ার কিছুটা রেগে গিয়েই বলে,
“থাপ্পড় দিবো।”
“আমাকে নিয়ে চল না, প্লিজ।”
“না, (একটু থেমে) ওই ভার্সিটি নেই?”
“আছে, ভার্সিটি আবার কই পালাবে?”
আলিয়ারের মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে যায় জিনাতের এমন উল্টাপাল্টা কথায়। আবার জোরে চেঁচাতেও পারছে না কারণ মুগ্ধ বা ওর মা কি না কি মনে করে?
আলিয়ার দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে,
“ক্লাস নাই?”
“আছে।”
“তাহলে ঘুরতে যাবি মানে?”
জিনাত মিনতিন সুরে বলল,
“এবারের মতো নিয়ে চল না ভাই। লাস্ট টাইমের জন্য। বড় ভাই হয়ে ছোট বোনের এইটুকু আবদার তো পূরণ করতেই পারিস।”
আলিয়ারের কাছে আজকে জিনাতের কথার ভাষা অন্যরকম লাগছে। যদি এটাই ওর মনের কথা হয় তবে বিষয়টা বেশ স্বস্তির, কিন্তু যদি কোনো চাল হয়?
তবুও আলিয়ার রাজি হয়ে যায়। স্বাভাবিক কন্ঠেই বলে,
“ঠিক আছে, তুই মালিবাগ চলে আয়।”
“ওকে, ধন্যবাদ।”
“হইছে, হইছে।”
জিনাত রিকশার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। এমনসময় তুবা এসে ওর পাশে দাঁড়ায়। জিনাত একবার তুবার দিকে তাকায়। তুবা মুচকি হেসে ভদ্রসুরে বলে,
“নাম কি আপু?”
জিনাত রাস্তার দিকে তাকিয়ে বলে,
“জিনাত। তোমার?”
“তুবা, কোন ইয়ারে পড়ো?”
“ফোর্থ ইয়ার।”
তুবার মুখটাই বন্ধ হয়ে যায়। এ তো অনেক বড়, এখানে এর সাথে লাগলে ফলাফল খারাপ হবে। জিনাত এবারে তুবার দিকে তাকিয়ে বলে,
“তুমি কোন ইয়ারে?”
তুবা জোরপূর্বক হাসি দিয়ে বলল,
“সেকেন্ড ইয়ার।”
বলেই ভার্সিটির ভিতরে ঢুকে যায়। জিনাত বিষয়টাকে ততটা গুরুত্ব দেয় না।
একটা রিকশাও পেয়ে যায় সে। সেটাতে করেই মালিবাগ চলে যায় জিনাত।
এদিকে মুগ্ধকে নিয়েও আলিয়ার বেরিয়ে পড়েছে। দুজনে আলাদা আলাদা দুটো বাইক নিয়ে বেরিয়েছে। মুগ্ধ বলে,
“কোথায় যাবি রে?”
“ঢাকায় কি জায়গার অভাব?”
মুগ্ধ হে হে করে বেক্কলের মতো হাসতে থাকে। আলিয়ার বলে,
“দাঁত বের করবি না।”
কিছুক্ষণের মধ্যেই মালিবাগ পৌঁছায় ওরা। আলিয়ার আশেপাশে তাকায়, জিনাতকে খুঁজছে। মুগ্ধ ওকে ধাক্কা দিয়ে বলে,
“কারো জন্য অপেক্ষা করছিস?”
“হুম।”
“কার জন্য?”
“বোন।”
১০ মিনিট পর জিনাত এসে রিকশা থেকে নামে। ওকে দেখেই মুগ্ধের হাসি বন্ধ হয়ে যায়। দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা হয়ে গেছে বেচারার। মুগ্ধকে দেখে জিনাতও বাঁকা হাসে।
আলিয়ার মুগ্ধকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“জিনাতও আমাদের সাথে যাবে।”
মুগ্ধ মাথানিচু করে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টায় ব্যস্ত। আলিয়ার বলে,
“তোর কি শরীর খারাপ?”
মুগ্ধ মাথা নেড়ে অসম্মতি জানিয়ে বলল,
“তেমন কিছু না, চল।”
আলিয়ার ও মুগ্ধ যার যার বাইকে উঠে। জিনাত হাত দুদিকে দিয়ে বলে,
“আমি কিভাবে যাবো?”
মুগ্ধ বলে,
“উড়ে উড়ে।”
জিনাত ঠোঁট উলটে দাঁড়িয়ে থাকে।
আলিয়ার হেসে বলল,
“তুই মুগ্ধের সাথে যাবি।”
মুগ্ধ চেঁচিয়ে উঠে,
“আমি কোনো মেয়েকে আমার বাইকে উঠাবো না।”
“ভাই, একদিন ম্যানেজ করে নে, প্লিজ।”
জিনাত গিয়ে মুগ্ধের বাইকে উঠে বলে,
“এভাবে ডিসিশন নিতে থাকলে সারাজীবন এখানেই পড়ে থাকতে হবে। চলো।”
আলিয়ার হেসে বলল,
“চল, পুরান ঢাকায় যাই। অনেকদিন যাই না।”
“ওকে।”(মুগ্ধ)
দুজনেই বাইক স্টার্ট দেয়। আলিয়ারের বাইক আগে আর মুগ্ধেরটা পিছনে। কিছুক্ষণ পর জিনাত মুগ্ধকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। মুগ্ধ সামনের দিকে তাকিয়েই বলে,
“সোজা হয়ে বসেন।”
“পরে যাবো তো।”
“পরে গেলে যাবেন।”
“আপনার খারাপ লাগবে না?”
“মোটেও না।”
জিনাত মুগ্ধের পিঠে মাথা রেখে বলে,
“আপনার পিচ্চি রাস্তায় পড়ে যাবে আর আপনার খারাপ লাগবে না? এতো পাথর কেন আপনি?”
“আমি পাথর নই ম্যাডাম।”
জিনাত চুপ থাকে। মুগ্ধের পিঠে মাথা ঠেকিয়ে বসে থাকতে বেশ ভালো লাগছে ওর। মুগ্ধ বলে,
“মাথাটা সরান।”
“সরাবো না।”
মুগ্ধ বাইক থামিয়ে নেমে বলে,
“নামেন, আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না।”
জিনাত নেমে দাঁড়ায়। মুগ্ধ রেগে আছে, ওর রাগী মুখটা দেখে ভয়ে মাথানিচু করে নেয়।
মুগ্ধ ধমক দিয়ে বলে,
“কি সমস্যা তোমার?”
“সরি, আর হবে না।”
“হুম, উঠো।”
দুজনে আবারো বাইকে উঠে বসে। মুগ্ধ বাইক স্টার্ট দেয়।
অন্যদিকে,
ক্লাস করার পরিবর্তে তুবা, সুপ্তি ও স্নিগ্ধা ভার্সিটির নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কাজ করছে। সিনিয়র ভাইয়া আপুদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করছে ওরা।
তিনজনে মঞ্চের ফুল লাগাচ্ছে। সুপ্তি বলে,
“একটা দলীয় নাচ দিবো ভাবছি।”
তুবা হেসে বলে,
“পাবলিক কি বাদর নাচ দেখতে আসবে?”
স্নিগ্ধা ও তুবা স্বমস্বরে হেসে দেয়। সুপ্তি ভেংচি কেটে বলল,
“শাঁকচুন্নি গুলা, তিনজনে একটা দলীয় নাচ দেই?”
“তোরা দুজনে দে, আমি নাই।”(তুবা)
“চল না দেই।”(সুপ্তি)
তুবা চেঁচিয়ে উঠে,
“না।”
সুপ্তি কানে হাত দিয়ে সরে গিয়ে বলে,
“চেঁচাস কেন? আস্তে বললেই আমি শুনি।”
তুবা ওর কানের কাছে গিয়ে বলে,
“আস্তে বললে যদি শুনিস তবে বারবার কেন জিজ্ঞাসা করছিস নাচবো কিনা? বাদর কোথাকার?”
শুভ এসে ওদের মাঝে দিয়ে ঢুকে বলল,
“হাই গাইস।”
তিনজনে যার যার কাজে মন দেয়। শুভ বেক্কলের মতো তাকিয়ে থেকে বলল,
“আমি হাই বলেছি।”
“হুম, হ্যালো।”
সুপ্তি কাজ করতে করতে বলে।
শুভ সুপ্তির পিঠে একটা কিল দিয়ে বলে,
“ইগনোর করিস কেন?”
“মন চাইছে।”
“তোর মাথা।”
সুপ্তি শুভকে বলে,
“ওই মইটা নিয়ে আয় তো।”
শুভ নিয়ে আসে। সুপ্তি বলে,
“এখানে রাখ।”
শুভ তাই করে। সুপ্তি আবারো বলে,
“উপরে উঠ।”
“কেন?”
“বলছি তাই।”
শুভ উপরে উঠে। সুপ্তি ওর দিকে ফুলগুলো দিয়ে বলল,
“নে এখন এগুলো লাগা।”
শুভ কপাল কুঁচকে সুপ্তির কথামতো কাজ করতে থাকে। সুপ্তি শুভকে দিয়ে আরামসে কাজ করাচ্ছে আর নিজে বসে বসে আইসক্রিম খাচ্ছে।
রাতে,
সারাদিন আলিয়ারের সাথে সাথেই ছিল জিনাত। মুগ্ধের কাছকাছি একবারের জন্যও যায়নি সে। মুগ্ধ ওকে ধমকে দিয়েছে ওর কাছকাছি গেলে ও আলিয়ারকে বলে দিবে বাইকে জিনাত ওর সাথে কেমন আচরণ করেছে।
আলিয়ার বিরক্ত হলেও জিনাতকে সহ্য করেছে। সন্ধ্যার পর ওকে নিয়ে বাসায় ফিরেছে আলিয়ার। জিনাত আলিয়ারের সাথে ঘুরতে গেছিল এটা জেনে সুলতানা খুব খুশি হয়েছে। সুলতানার মতে আলিয়ার জিনাতকে ভালোবাসতে শুরু করেছে।
মুগ্ধ বাসায় গিয়ে জামাকাপড় পালটে কাপড় রাখার সময় প্যান্টের পকেট থেকে একটা চিঠি পায়। খামের উপরে লেখা,
“সময় থাকলে একটু পড়বেন, অনুরোধ করছি বা মিনতি করছি। – জিনাত”
মুগ্ধ কি যেন ভেবে বেডসাইট টেবিলে চিঠিটা রেখে দেয়। কিভাবে আসলো ওর পকেটে এই চিঠি? কখন দিলো জিনাত?
.
চলবে…..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com