তুই আমার অজানা অনুভূতি | পর্ব -০৩
ছায়া রীতিমতো ভয়ে কাঁপছে আজ তার কি হাল করবে এই রুহি জল্লাদনীটা। আর মনেমনে বলছে,
__আল্লাহ বাঁচাও গো এই জল্লাদ মাইয়া থেকে
রুহি ছায়াকে বললো,
__ আজ তোমাকে তোমার কাজের শাস্তি পেতেই হবে।
ছায়া কাপা কাপা গলায় বললো,
__ কি শাস্তি?
রুহি বললো,
__ তোমাকে আমি একটা কাজ দিবো ওটা করতে হবে
ছায়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে মুচকি হেসে বললো,
__ কি কাজ?
রুহি এবার শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে বললো,
__ তোমাকে আমাদের গ্যাং এর লিডার মানে শাহরিয়ার কে I Love you বলতে হবে
ছায়া চোখ বড় বড় করে চেচিয়ে বললো,
__ কিহহহহ
.
রুহি বললো,
__ হ্যাঁ যাও ওখানে দাড়িয়ে আছে সে তাকে গিয়ে এই ফুলটা দিয়ে I Love you বলে আসো।
ছায়া বললো,
__ আপু আমি পারব না। আমাকে অন্য যে কোনো কাজ দিন আমি এটা ছাড়া সব করব।
রুহি বললো,
__ওকে ঠিক আছে তাহলে আমার ফ্রেন্ডসদের মধ্যে একজনকে কিস করো
ছায়া পড়লো এখন মহা বিপদে কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা। ছায়া মনেমনে বললো,
__ উফফ কালকে যদি ওভাবে না চলে যেতাম তাহলে আজকে এই বিপদ হতো না। ছায়া তুই একটা ডাফার কেন যে কাল চলে গেলাম আল্লাহ গো
ছায়া মনেমনে এইসব ভাবছিল তখনি রুহি চেচিয়ে বললো,
__কি হলো বলো কি করবা ?
ছায়া শেষ পর্যন্ত না পেরে ফুলটা নিয়ে সামনের লোকটার দিকে এগুতে লাগলো, ছায়া লোকটির মুখ দেখতে পাচ্ছিলো না কারণ লোকটি অন্যদিকে মুখ করে ছিল।
ছায়া সোজা গিয়ে লোকটির মুখের দিকে না তাকিয়ে একটা চড় বসিয়ে দিলো।
আর বলতে লাগলো,
__ খুব সখ না মেয়েদের মুখ থেকে I Love you শুনার।
আপনার গ্যাং কে দিয়ে আমাকে এমন বাজে কাজ করার কথা বলার সাহস পেলেন কই আপনি ।
বাজে লোক তেমনি বাজে মনমানসিকতা। আপনারা আমাকে অন্য মেয়েদের মতো পেয়েছেন নাকি।
শুনে রাখুন আমি ছায়া আপনাদের মতো হাজারো বাজে লোকদের টাইট দিয়েছি।
আমার সাথে আরেকবার এমন করার দু:সাহস দেখবেন না।
ছায়া এবার লোকটির চেহারার দিকে তাকালো।
লোকটিকে দেখেই ছায়া ৪৪০ ভোল্ট এর শখ খেলো। এ যে আর কেউ নয় এটাতো তুহিন ।
তুহিনের ফর্সা মুখটা রাগে লাল হয়ে গেল অচেনা অজানা একটা মেয়ে এসে কিনা তাকে চড় মারলো তার উপর এতোগুলো কথাও শুনালো
ছায়াতো রীতিমতো ভয়ে শেষ আর মনেমনে হাজারো সূরা পড়ছে আর নিজেকে বকা দিচ্ছে ।
__ ছায়ারে তুই আজকে শেষ এই রাক্ষসটা আজ তোকে আস্ত গিলে খাবে। ওরে আমার তো এখনো বিয়েই হলো না তার আগেই আমার স্বামীটা বিধবা হয়ে যাবে গো । এই দুঃখ আমি কোথায় রাখবো গো
ছায়া মনেমনে এইসবই বলছিলো তখনি তুহিন ছায়াকে হেচকা টানে নিজের কাছে নিয়ে আসে। ছায়া রীতিমতো অবাকের শেষ সীমানায় পোঁছে যায়।
তুহিন এবার বলতে থাকে,
.
__ এই মেয়ে তোমার সাহস তো কম নয় তুমি শাহরিয়ার শেখ তুহিনকে থাপ্পড় মেরেছ ।
ছায়া মনেমনে বলে,
হাহ শাহরিয়ার শেখ তুহিন আইছে যত্তসব আবাল মার্কা ছেলে। বোরকার জন্য আমাকেই চিনতে পারছে না আবার কাল অভিমান দেখিয়ে চলে গেছিলো বেটা হার ব**জ্জাত ।
তুহিন এবার চেচিয়ে ছায়াকে বললো,
___এই মেয়ে কি বিড়বিড় করছো?
ছায়া হকচকিয়ে আবাল মার্কা হাসি দিয়ে বললো,
__কই কিছু না তো
তুহিন এবার একটু জোরেই বললো,
__তুমি আমাকে চড় মেরেছ কেন?
ছায়া এবার বুকভরা সাহস নিয়ে বললো,
__ আপনার গ্যাংয়ের রুহি আপু আমাকে বলেছেন আপনাকে I Love you বলতে তাই আমার রাগ উঠে গেছিলো। তাই আপনাকে চড় মেরেছি আর আমার মনে হয়না আমি ভুল কিছু করেছি
তুহিন এবার প্রচুর রেগে গেল আর মনে মনে বলতে লাগলো,
__মেয়েটার কতো বড় সাহস আমাকে চড় মেরে আবার মুখের উপর বলছে আমার মনে হয়না আমি ভুল কিছু করেছি ।
তুহিন এবার চেচিয়ে রুহিকে বললো,
__ হাউ ডেয়ার ইউ রুহি……..
রুহি বেচারী ভয়ে প্রায় শেষ ……… আর রুহির পাশের সবাই তুহিনের রাগ দেখে ওখানেই কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিলো ……
তুহিন চোখ রাঙিয়ে একবার ছায়ার দিকে তাকিয়ে তারপর রাগী ফেস নিয়ে রুহির দিকে যেতে থাকলো……
ছায়া মনেমনে ভাবতে লাগলো আজ যে রুহিকে কে বাঁচাবে আল্লাহ জানে
চলবে…
No comments