Breaking News

মধুর মিলন । পর্ব -০২

বাবার অসুস্থতারর জন্য আমাদের পরিবারে কিছুটা অভাব চলে আসলো!
বাবার চিকিৎসা + ২ বোনের পড়ার খরচ সব মিলে অনেক খারাপ অবস্থা!
যেহেতু আমরা ২ বোন তাই সবাই বলতে লাগলো আপুকে বিয়ে দিয়ে দিবার কথা।
আপুর বিয়ের বয়স হয়ে ছিল আবার আর্থিক এই অবস্থার জন্য মা সবাইকে ভালো পাত্র পেলে জানাতে বললেন!
বাবার অসুস্থতার কথা শুনে শুভ্র ভাইয়ে এসেছিল।
এই সব কথা শুনে ভাইয়া আর আপু অনেক ভয় পেল।
ভাইয়া ভয় লুকিয়ে আপুকে বলতে লাগলেন দেখলেই তো বিয়ে হয়ে যায় না।
তুমি ভয় পেয় না আমি তো আছি।
.
সামনে আমার বি সি এস পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে চাকরীটা হয়ে গেলেই বাসায় জানাবো।
ভাইয়ার ঢাকায় যাবার সময় আপু ভাইয়াকে জড়িয়ে অনেক কান্না করালো।
ভাইয়া যাবার পর নীরা আপুকে দেখতে আসলো পাত্রপক্ষ।
বলাই বাহুল্য তাদের প্রথম দেখাই আপুকে পছন্দ করালো।
কারন নীরা আপু দেখতে অনেক সুন্দরী ছিলেন।
আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা তাদের বাড়ির বউ করে নিতে চাইলেন!
১৫ দিন পর বিয়ের তারিখ ঠিক হলো।
বিয়ের তারিখ ঠিক হবার পর থেকেই আপু কান্না করতে লাগলো কাউকে কিছু বলতে পারতেছিল না আবার কিছু করার ও ছিল না।।
আমি বাধ্য হয়ে রাতে কল করে ভাইয়াকে সব জানালাম।
ভাইয়া সব শুনে পরেরদিন দুপুরবেলা চলে আসলেন।
ভাইয়াকে দেখে বুকটা কেমন যেন হু হু হু করে ওঠলো।
৫/৬ দিনে ভাইয়ার মুখটা কেমন যেন শুকায় গেছে!
সন্ধ্যার পর পুকুরপাড় আমি আপু আর ভাইয়া গিয়ে বসলাম।
আপু কান্না করতেছে আর ভাইয়া মাথা নিচু করে বসে আছে!
আমি নীরবতা ভেজ্ঞে বললাম তোমরা কি চুপ করে বসে থাকার জন্য এখনে এসেছ নাকি কিছু বলবা।
এবার আপু ভাইয়া দিকে তাকিয়ে বললো আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না
ভাইয়া ও বললো আমি ও পারবোনা,
.
কিন্তু আমি যতো দিন ভালো চাকরী না পাবো ওতো দিন বিয়ের কথা বাসায় বলতে পারবো না।
তাহলে এখন কি করবে আপু ভাইয়ার কাছে জানতে চাইলেন!
ভাইয়া চুপ করে আছে তাই আমি বললাম তোমার পালাও আমি এই দিকটা দেখবো।
আপু বলতে লাগলো বাবার যদি শরীর আর ও খারাপ হয়?
আমি বললাম এতো কিছু ভাবতে হবে না আমি সব দেখবো!
অনেক কথার কাটাকাটিরর পর ঠিক হলো বিয়ের ৩দিন আগে ওরা পালায় যাবে!
বিয়ের শপিং অনুষ্ঠান নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে পরলেন আর এই ভাবে ৩ দিন কেটে গেল।
আজকে রাতে আপু আর ভাইয়া পালাবে!
আমি আর আপু এক রুমে ঘুমাই তাই রাত ১২টার পর আমার ২ জন আস্তে করে বেরিয়ে পরলাম।
ভাইয়া পুকুরপাড় আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছিল।
আমার যেতে ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরলেন আর বলেন এখন যেয়ে শুয়ে পরবি আর কিছুতে কাউকে বুঝতে দিবিনা না যে তুই সব জানতি তাইলে কিন্তু অনেক মার খাবি সবার হাতে।
এই বলে চলে গেছেন!
.
আপু ও আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করলেন আর বললেন বাবার খেয়াল রাখিস আর সাবধান থাকিস বলে চলে গেলেন।
ভাইয়া কিছু দূর গিয়ে আবার এসে বললেন পুচকি তুই না হয় চল আমাদের সাথে!
এতো চিন্তা করো না আমি সব সামলে নিব।
ভাইয়া আর আপু চলে যাবার পর আমি কিছুখন পর আমি রুমে চলে আসলাম!
রুমে আসার পর কেন যেন কান্না থামাতে পারলাম না।
আমি কেন কান্না করতেছিলাম তা নিজে ও জানতাম না।
কান্না করতে করতে কখন যেন ঘুমিয়ে পরেছিলাম।
হঠাৎ দরজায় কে জেন করা নাড়লেন।
আমি ভাবলাম সকাল হয়ে গেছে তাই নিজেকে প্রস্তুত করে দরজা খুলতে আমি অবাক!
আপু ফিরে এসেছে আমি জানতে চাইলে বলেন বাবার জন্য অনেক চিন্তা হইতেছিল তাই চলে আসলাম!
কিন্তু আমার আপুর কথা বিশ্বাস হচ্ছিল না এর মধ্যে কোন কাহিনী আছে কিন্তু কি বুঝতে পারতেছিলাম না।
আপু তো ভাইয়াকে অনেক ভালোবাসে তাহলে!!!!
ভাইয়ার কাছে যাইতে চাইলে আপু যাইতে দিল না উল্টা দরজা লাগায় দিল!
ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম আপুরা ১.৩০ মিনিটের মধ্যে ফিরে এসেছে!
সকালে ভাইয়ার কাছে যেতেই ভাইয়া বললেন চাচার জন্য নাকি ওর টেনশন হইতেছিল তাই ফিরে এসেছে।
তাই বলে তুমি বাধাঁ দিবে না?
.
যে যেতে চায় তাকে বাধাঁ দিয়ে কি লাভ বল তো পুচকি!?
আজ আপুর বিয়ে সবাই অনেক খুশি আপু ভাইয়া আর আমি ছাড়া!
ভাইয়া এই ৩ দিন আড়ালে ছিল।
বেশী আমাদের সামনে আসতো না।
আর আপু আমাকে কসম দিয়েছে আমি যেন এই ব্যাপারে কিছু না জানতে চাই!!!
কিছুখন আগে আপুর বিদায় হলো বিদায়ের সময় আপু আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে বললেন আমি যেন ভাইয়ার খেয়াল রাখি!
আপুর বিদায়ের পরর বাসায় থমথমে ভাপ।
আমি এর মধ্য ভাইয়াকে খুঁজতে থাকি।
দেখি পুকুরপাড়ে বসে আছে!
আমি কাছে যেতেই আমাকে জড়িয়ে ধরে জানতে চাইলেন আমার কি দোষ ছিল পুচকি?
যার উত্তর আমার ও জানা ছিল না!
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com