তীব্র ভালোবাসার অনুভূতি । পর্ব - ০৩



না না কি মনে করবো? আল্লাহ তাআ’লা নেক হায়াত দান করুক ওদের দু’জন কে।
” কিছুক্ষণ পর,হঠাৎ মিমের ফোন বেজে উঠলো,ও খুব দ্রুতই ছুটে এলো ফোনের কাছে,
ফোন রিসিভ করার সাথে সাথেই রহিমা মেয়েকে বললেন,
– “তোমার জন্য রাস্তাঘাটে বেরোনো আমাদের পক্ষে দুষ্কর হয়ে উঠেছে,জামাই যখন এতো করে
ক্ষমা চাইলো,একবার ক্ষমা করে দিতেই পারতে তাতে কি আর এমন হয়েছে?
” মিম মায়ের কথা শুনে চোখের জল মুছতে মুছতে বলল,
– “হয়েছে…! আজকের পর থেকে তুমি আর কখনো ফোন করবে না
আমার কাছে,আমি আর তোমাদের কারো বাজে কথা শুনতে পারবো না মা অনেক হয়েছে।
.
আমি আর কত সহ্য করবো মা…! বলতে পারো? তুমি আমার মা হয়ে এই কথা গুলো কি করে বলতে পারছ আমাকে? এতোই যখন ক্ষমা চাইলে সাতখুন মাপ,তখন নিজের অন্য আরেক মেয়েকে কেন তুলে দিচ্ছি না তার হাতে? সবসময় আমিই কেন সহ্য করবো? আমিই কেন দোষী? তোমরা বলতে পারো আমাকে?” তখন হাবিবুর রহমান সাহেব স্ত্রীর হাত থেকে ফোন টা কেড়ে নিয়ে মেয়েকে কিছু বলতে চাইলেন,তবে কল টা কেটে মিম ফোন টা মাটিতে ছুড়ে মারলো সাথে সাথে।ইমান দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিল,চুপচাপ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ ছিলো ওকে,ঠিক তখন আজিন ছুটতে ছুটতে এসে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে বলল,
– “তুমি (মিম) কোথায়? ড্যাড ও (মিম) কি চলে গেছে?” ছেলের মুখ কালো দেখে ইমান তাকে কোলে তুলে নিয়ে বললো,
– “তুমি এখন আমার সাথে চলো বাবা,সে এখন কাজে ব্যস্ত আছে।” মিম নিজেকে স্বাভাবিক করে ঘরের বাহিরে এসে আজিন কে মায়া জড়ানো কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
– “বলো বাবা…! কি হয়েছে?” আজিন ঝটপট বাবার কোল থেকে নেমে ছুটে গিয়ে মিম’কে জড়িয়ে ধরে বলে,
– “আমি ভেবেছিলাম তুমি ও ছেড়ে চলে গেছো আমাকে…!” আজিনের বিষ্ময়ে ভরা চোখের চাহনি দেখে মিম বললো,
– “আমি তোমাকে ছেড়ে কোথায় যাবো বাবা? আমি যে থাকতে এসেছি তোমার কাছে।” আজিন খুশি হয়ে হাসতে হাসতে মিমের হাত ধরে বলল,
.
– “নিচে চলো না আজ একটা জিনিস দেখাবো আমি তোমাকে।” মিম ধীর পায়ে আজিনের হাত ধরে নিচে চলে এলো,স্টাডি রুমে ঢুকে দেখলো জাবিন পড়াশোনা করছে।আজিম তখন ওর নোটবুক টা এনে মিমের হাতে দিলো,হাসিমুখে বললো,
– “দেখতো…! বানান গুলো কি ঠিক আছে?” জাবিন নিজের চশমা ঠিক করতে করতে বলল,
– “ঠিক মতো ক,খ লিখতে পারেনা…। সে আবার আর একজন কে ভাড়া করে খাতা দেখাতে নিয়ে এসেছে।” মিম জাবিনের কথা শুনে খাতা দেখে হাসতে হাসতে আজিন কে আদর করে বলল,
– “সব ঠিক আছে বাবা,শুধু একটু প্রাকটিস করতে হবে।” আজিন কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করলো,
– “সত্যি…! বানান ভুল জায়নি আমার আজকে?” মিম বলল,
– “না বাবা…! তবে দুধ টুকু দিলাম খাওনি কেন আগে? কতক্ষণ হয়েছে দিয়ে গেলাম…এতক্ষণে নিশ্চয়ই সবটা ঠান্ডা হয়ে গেছে।” আজিন গাল ফুলিয়ে বলল,
– “আমি দুধ খেয়েছি,ভাইয়া খায়নি,ওটা ভাইয়ার দুধের গ্লাস টাই হবে।” মিম দুধ গরম করে এনে জাবিন কে কাছে টেনে নিয়ে বলল,
– “লক্ষী ছেলের মতো খেয়ে ফেলো বাবা…। না খেলে কি করে হবে?” জাবিন বলল,
– “আমি কি মেয়ে? তুমি কেন “লক্ষী” বলে ডাকলে আমাকে?” মিম জাবিনের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বলল,
– “আদর করে আমি তোমাকে “লক্ষী” বলে ডাকতেই পারি বাবা…। তবে তার মানে এই নয় যে তুমি মেয়ে হয়ে যাবে আর তাছাড়া ঘড়িতে দেখেছ? দুপুর হয়ে গেছে,তোমরা না আজ বাবার সাথে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাবে?” তখন আজিন বলল,
.
– “আমি তো সবসময় যাই…। তবে ভাইয়া মসজিদে যেতে চায় না আমাদের সাথে।” মিম হাসতে হাসতে বলল,
– “আচ্ছা বাবা! যায় না তো কি হয়েছে তাতে? আজ না হয় ভাইয়া ও মসজিদে যাবে তোমাদের সাথে?” তখন জাবিন বলল,
– “তুমি আজিন কে গোসল করিয়ে দাও,আমি পারি নিজেই নিজের গোসল করে নিতে।” মিম তারপর আজিন কে গোসল করিয়ে দিলো,জাবিন গোসল করতে ঢোকার পর ও এসে দাঁড়িয়ে রইলো দরজার পাশে।জাবিন গোসল করে বেড়িয়ে মিম কে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
– “তুমি এখানে কেন?” মিম মিটিমিটি হেসে শাড়ির আঁচল দিয়ে ওর মাথা মুছে দিতে দিতে বলল,
– “ভাবছি…! যদি আমার বাবাটার কিছু লাগে?” জাবিন বলল,
– “কিছু লাগবে না আমার,শুধু আলমারি থেকে পাঞ্জাবি পাজামা টা বের করে দিলেই হবে।” তখন ইমান এসে জাবিন কে বলল,
– “তোমাকে আমি তৈরি করে দিচ্ছি বাবা।” জাবিন বলল,
– “আমি তৈরি হবো না কারো কাছে।” তবে মিম নাছোরবান্দা এক রকম জাবিনের পেছনে লেগেই আছে,জাবিন পাঞ্জাবি পরছিল,মিম হঠাৎ এসে ওকে জড়িয়ে ধরে বলল,
– “পিঠে দাগ কেন বাবা? কে মেরেছে তোমাকে?” জাবিন কিছু বললো না…! মিম তাড়াতাড়ি ঔষধ এনে লাগিয়ে দিলো ওর পিঠে,তারপর রুম থেকে বেড়িয়ে এসে ইমান’কে বলল,
– “স্যার! জাবিনের শরীর ঠিক নেই,ও যাবে না বরং আপনি আজিন কে নিয়ে জান মসজিদে।” ইমান আজিন’কে সাথে নিয়ে মসজিদে চলে এলো,মিম ইতি কে খাইয়ে বসে গল্প করতে লাগলো তার সাথে,হঠাৎ তার জাবিনের খেয়াল হলো,ও ইতি কে বলল,
.
– “আন্টি! আমি একটু গিয়ে দেখে আসি ছেলে টা কে…?” ইতি মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো,মিম চলে এলো জাবিনের কাছে,জাবিন মিম কে জিজ্ঞেস করলো,
– “তুমি খেয়েছ?” মিম ওর কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “না..! তুমি খাও আগে।” রাতে মিম ইতির সাথে বসে গল্প করছিল,তখন ইমান দুই ছেলে কে নিয়ে এলো ছাঁদে।
আজিন মিম কে দেখেই ছুটে এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো,মিম জাবিন কে ইশারায় ডেকে নিলো নিজের কাছে।জাবিন এসে মিমের পাশে বসলো,মিম ওর চুল গুলো ঠিক করে দিয়ে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলো,
– “বাবাই! ব্যাথা কি এখনো আছে?” জাবিন মাথা দুলিয়ে বলল,
– “অল্প।” মিম ওর কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “ভয় নেই…! একদম ঠিক হয়ে হবে।” তখন ছোট্টো আজিন বলল,
– “তুমি কেন শুধু চুমু দাও আমাকে আর ভাইয়া কে?” ইমান ছেলের প্রশ্ন শুনে হাসতে হাসতে বললো,
– “চুমু দেওয়া খারাপ না বাবা! আন্টি এভাবে আদর করে তোমকে।” আজিন একটু ভেবে বলল,
– “তাহলে তোমাকে কেন আদর করে না ড্যাড? তোমার কি ইচ্ছে করে না আন্টির আদর পেতে?” ছেলের প্রশ্ন শুনে ইমান আহাম্মক,এদিকে নাতির কথা শুনে ইতি খুব হাসছে,মিম লজ্জা পেয়ে চুপচাপ, তখন ইমান আকাশের দিকে তাকিয়ে এক এক করে তাঁরা গোনার চেষ্টা করছে।তবে কিছুক্ষণ পর,ইমান মিম কে বলল,
– “আজিন বোধহয় আপনার কোলে ঘুমিয়ে পরেছে,আমার কাছে দিন।আমি বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আসছি ওকে…!” আজিন হঠাৎ চোখ বোঝা অবস্থায় বলল,
.
– “আমি ঘুমাইনি,ঘুমানোর চেষ্টা করছি ড্যাড এভাবে।” ছেলের কথা শুনে ইমান হাসতে হাসতে বললো,
– “তাহলে তুমি আমার কোলে আসো বাবা…! তোমার আন্টির কত কাজ আছে?” আজিন বললো,
– “আমি এখন আন্টির কোলে কোলে ঘুমবো,কোনো কাজ করতে হবে না আন্টি কে…! ইমান আদর করে ছেলের কপালে চুমু খেয়ে বলল,
– “আমার কোলে আসো বাবা।” আজিন বললো,
– “বললাম যে আমি আসবো না তোমার কাছে,তোমার কোলে ঘুমতে ভালো লাগে না,আমি আন্টির কোলেই থাকবো এভাবে।” ইমান বুকে হাত বেঁধে চুপচাপ ছেলের দিকে তাকিয়ে রইলো,মিম বলল,
– “থাক না আমার কাছে।” ইমান জাবিন কে কোলে নিয়ে রুমে এসে বিছানায় শুইয়ে দিলো,জাবিন বললো,
– “ড্যাড..! ছোটো ভাইয়া কি আজকে ওনার কাছে ঘুমবে?”
– “কেন?”
– “আজিন তো এখন বিছানায় হিসু করে,আন্টির গায়ে লেগে যাবে।” মিম তখন আজিন কে এনে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলল,
– “লাগবে না বাবা! আমি রাতে উঠিয়ে বাথরুমে নিয়ে যাবো তোমাদের দু’জন কে…আর আজিন কে রাতে উঠে বাথরুমে যাওয়ার অভ্যাস করবো,তাহলে আশা করছি,ওর অভ্যাস হয়ে যাবে।” ইমান বললো,
– “না থাক…! আপনাকে এতো কষ্ট করতে হবে না,আমি এসে বরং বাথরুমে নিয়ে যাবো আজিন কে…।”
– “আপনাকে ওদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না স্যার! আমি এই বাড়িতে যে ক’টা দিন থাকবো,নিজের সন্তানের মতোই আগলে রাখবো ওদের দু’জন কে…” ইমান কি ভেবে জিজ্ঞেস করলো,
– “আপনি খেয়েছেন?”
.
– “না..! আপনি আগে খান,তারপরে আমি খেয়ে নেবো জেইদা আপুর সাথে।” ইমান নিচে এসে খেতে বসলো,মিম নিজের হাতে খাবার বেড়ে দিচ্ছিল তাকে তখন হঠাৎ দক্ষিণ খোলা বারান্দা থেকে ঠাস করে কিছু একটা পরে যাওয়ার শব্দ সবার কানে ভেসে এলো,মিম দ্রুত সেখানে ছুটে এলো সাথে সাথে ইমা এবং প্রমী হাত জোর করে মিম কে বলল,
– “প্লিজ আপু! ভাইয়া কে কিছু বলো না,নয়তো আমাদের বাড়ির বাহিরে যাওয়া চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।” ইমান মিমের সাড়াশব্দ না পেয়ে এস্ত পায়ে বারান্দায় এগিয়ে এলো,দেখলো,
মিম ভাঙা ফুলদানি টার কাছে দাঁড়িয়ে আছে…ও তাই নিজের উৎকণ্ঠা থেকে জিজ্ঞেস করলো,
– “আপনি ঠিক আছেন,মিম?” মিম বলল,
– “হুমম…! তবে হয়তো এটা কোনো বিড়ালের কাজ হবে?” ইমান হাসতে হাসতে সামনে এগিয়ে এসে ইমার ঘরের দরজা খুলে বলল,
– “হ্যাঁ,আপনার বিড়াল…! মানে মস্ত বড় বড় বেড়াল,এ বাড়িতেই আছে।” ইমা ঘুমের ভান করে চোখ মুছতে মুছতে বলল,
– “ভাইয়া! আমি আবার কি করলাম? শুধু শুধু কেন দোষারোপ করছ আমাকে?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
– “গিটার বাজাবো না কি? কানের নিচে?” ইমা চুপচাপ,ইমান হলে যেতে যেতে মিম কে বলল,
– “আপনার কোনো যোগসাজশ আছে না কি এদের সাথে?” মিম নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বললো,
– “আমার কেন যোগসাজশ থাকবে…! আর ওরাই বা কেন এতো রাতে বাসায় ফিরতে যাবে?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
– “তারা লেইট নাইট পার্টি করে আর রাস্তাঘাটে টাঙ্কি মেরে বেড়ায় হাঁটুর বয়সী ছেলেপুলেদের সাথে…।” মিম ইমানের কথা শুনে হাসতে হাসতে বলল,
– “আপনি বসুন স্যার…! খাবার গরম করে নিয়ে আসি ঠান্ডা হয়ে গেছে।” ইমান মিমের পিছুপিছু এসে খাবারের বাটি গুলো এনে কিচেনে রাখলো,মিম বলল,
– “স্যার…! এতো কষ্ট করতে কে বলেছে আপনা’কে?” ইমান বলল,
– “আরে কষ্ট কই করলাম? একটু কাজে সাহায্য করে দিলাম আপনাকে…।” মিম তারপর ঝটপট খাবার গরম করে এনে ইমান কে খেতে দিলো,ইমান বললো,
.
– “যদি কিছু মনে না করেন,জানতে পারি আপনার ডিভোর্স কেনো হয়েছে?” মিম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
– “চরিত্রহীন ছিল স্যার…। দিন কে দিন অসহ্য হয়ে উঠেছিল আমার কাছে এবং আমি বারংবার ক্ষমা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি আর তাই নিজে থেকেই বেড়িয়ে এসেছি ওই অসুস্থ সম্পর্ক টা থেকে।” তারপর ইমান চুপচাপ খেয়ে উঠে গেলো,যেতে যেতে মিম কে বললো,
– “খেয়েনিন,অনেক রাত হয়ে গেছে।” মিম এরপর জেইদা কে সাথে নিয়ে খেতে বসে গেলো।
তবে সকালে ইমান ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই তাকে পরতে হয়েছে মায়ের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের মুখে,ইতি একটু কঠোর হয়েই ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন,
– “মিম কে তুমি এ বাড়িতে কেন নিয়ে এসেছ? পছন্দ করো তুমি তাকে?” ইমান বলল,
– “মা তুুমি আমাকে ভুল বুঝছ আর অহেতুক সন্দেহ করছ এমন কোনো কিছুই নেই আমাদের দু’জনের মাঝে।” ইতি বললেন,
– “ঠিক এভাবেই আরিশফা কে জাস্ট ফ্রেন্ড বলে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলে বাবা…! আমার কিন্তু ভালো করেই মনে আছে।” ইমান বললো,
– “আরিশফা এবং মিম দু’জনেই আলাদা আলাদা মানুষ মা…! তুমি কার তুলনা করছ কার সাথে? মিমের ব্যক্তিত্বের সাথে আরিশফার কোনো মিল নেই,আরিশফা শত চেষ্টা করলে ও যেতে পারবেনা ওনার (মিম) পায়ের কাছে।” ছেলে কথা বলার সময় রেগে যাচ্ছে দেখে ইতি বললেন,
– “মিম মেয়ে টা কিন্তু বেশ ভালোই,তুমি ওকে পছন্দ করলে আমি মাইন্ড করবো না তাতে।” ইমান মায়ের কথা শুনে রাগে গজগজ করতে করতে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো,মিম ইতির জন্য খাবার নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
– “আন্টি.,স্যার না খেয়ে চলে গেলো। তার কি হয়েছে…!” ইতি মিমের কথা শুনে হাসতে হাসতে বললেন,
– “তেমন কিছুই না মা…! দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলতেই রেগে গেছে।” মিম বলল,
– “স্বাভাবিক আন্টি একটু সময় দিন তাকে।”
.
– “তুমি ঠিক বলেছ মা…! তবে আমার ছেলের ডিভোর্সের প্রায় দেড় বছর হয়ে গেছে।” মিম মৃদু হেসে বলল,
– “সময় কে সময় দিন আন্টি,সবটা আগের মতোই ঠিক হয়ে যাবো।” ইতি মিমের হাত চেপে ধরে বললো,
– “তুমি আমাদের বাড়িতে আগে কেন এলে না মা? তোমাকে না হয় বিয়ে দিতাম আমার ছেলের সাথে।” মিম লজ্জা পেয়ে কাজের কথা বলে উঠে গেলো,ইতি দু’জনের হাবভাব দেখে মনেমনে বলল,
– “নাঃ…! সত্যি কোনো সম্পর্ক নেই দু’জনের মাঝে,তবে মেয়েটি সত্যি অনেক লক্ষী আর ছেলের মা হিসেবে আমার ও একটা দায়িত্ব আছে।” অতঃপর কাকে একটা ফোন করে ইতি বললেন,মিমের ব্যপারে খোঁজ নিতে আর এদিকে ইমান ব্যস্ত সময় পার করছে অফিসে বসে।শোভন বাচ্চাদের নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে ইমানের ফোন পেয়ে বাচ্চাদের অফিসে নিয়ে এলো,ইমান আজিন কে চুপচাপ দেখে ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– “বাবা..! তোমার কি হয়েছে?” আজিন বাবার গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
– “ড্যাড…! মম কি আর কখনোই আমাদের কাছে ফিরে আসবে না? আমার বন্ধু যে বলল,মম ফিরে আসবে আমাদের কাছে।” ইমান ছেলের চোখের জল মুছে দিতে দিতে বলল,
– “আসবে বাবা! আমাকে একটু সময় দাও,তারপর একটা নতুন “মম” এনে দেবো তোমাকে।” আজিন বলল,
– “সত্যি…!” ইমান মাথা নাড়িয়ে আবারো হ্যাঁ বললো তাকে,তখন হঠাৎ জাবিন জিজ্ঞেস করলো,
– “সে কি আন্টির (মিম) মতো হবে…!”
.
চলবে,,,
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url