Breaking News

তীব্র ভালোবাসার অনুভূতি । পর্ব - ০২



আচ্ছা এই “মিম” নিয়ে আবার কেইস টা কি?” তখন ইতি এগিয়ে এসে বললেন,
– “যাও মা তুমি গায়ের জামা-কাপড় ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে আসো,সারাদিন এক কাপড়ে এক কাপড়ে থাকবে না কি?” মিম ভাবনার জগৎ থেকে বেড়িয়ে এসে হাসতে হাসতে বললো,
– “জ্বি,না আন্টি…!” তখন হঠাৎ ইতি মিমের কপালে চুমু খেয়ে বললেন,
– “ভারি মিষ্টি মেয়ে তো তুমি…! কত সুন্দর করে কথা বলো প্রথম দিন এসেই আমার মন জয় করে নিয়েছ তুমি।” তখন ছয় কি সাত বছর বয়সী একটা বাচ্চা গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এসে মিমের শাড়ির আঁচল টেনে ধরে জিজ্ঞেস করলো,
– “এই যে আমাদের বাসায় কি নতুন এসেছ তুমি?” মিম মৃদু হেসে বাচ্চাটির গায়ে হাত বুলোতে বুলোতে বললো,
– “হ্যাঁ,আব্বু..! তবে তোমার নাম কি?” তখন বাচ্চাটি চোখের চশমা ঠিক করতে করতে বেশ বড় বড় একটা ভাব নিয়ে বলল,
– “মাই সেলফ জাবিন,সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্ডেন এ ক্লাস ওয়ানে লেখাপড়া করছি এন্ড ইউ?” মিম মিটিমিটি হেসে বললো,
– “আব্বু আমি সবে মাত্র অনার্স কমপ্লিট করছি।” তখন আজিন এসে পেছন থেকে জিজ্ঞেস করলো,
– “এর মানে অনেক বড় ক্লাসে পড়াশোনা করো তুমি?” মিম আজিনের কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “জ্বি…!” তবে হঠাৎ জাবিন রাগে গজগজ করতে করতে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো মিম বুঝতে পারলো না হঠাৎ করেই ছেলেটির হলো না কি?
পরেরদিন সকাল সকাল ল’ইয়ার কাইয়ূম ইব্রাহিম ইমান’কে বললো,
– “স্যার..! আপনি কি সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে কোর্টে উপস্থিত হওয়ার জন্য রেডি?” কথা টা শুনেই ইমান দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললে,
.
– “অবশ্যই জনাব,আপনার কি কোনো সন্দেহ আছে না কি?” তখন জাবিন এসে বাবা’কে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “ড্যাড কোর্টে কি কি বলবো আমি…!” ইমান দুই ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “তোমাদের যা ইচ্ছে তাই বলো…! আমি তোমাদের আটকে রাখিনি।” মিম তখন আজিন কে তৈরি করে নিচে নিয়ে এলো,তবে বাড়ির থমথমে পরিবেশ দেখে একটু চিন্তিত হয়ে জেইদা কে জিজ্ঞেস করলো,
– “আপু এ বাড়িতে হচ্ছে টা কি…!” পাশ থেকে ফুলমতি বলল,
– “ধীরে ধীরে সব জাইনো মা,এখন এইসব হুইনা তুমার কাম কি?” মিম জাবিন এবং আজিন কে দেখে বলল,
– “ফুল খালা এসে থেকেই দেখছি নিষ্পাপ বাচ্চা দু’টোর শুকনো মুখ…! ওদের মা নেই না কি?” ফুলমতি তখন পাশের ডাস্টবিনে পানের পিক ফেলে বললো,
– “ওমন মা থাইকাই বা লাভ কি? বাইচ্চা দু’টো রে জন্ম দিছে ওই পর্যন্তই….,
জীবনে ছুঁইয়া ও দেখেনি…! শালি নডি ভাতারি,
চরিত্র নাই কোনো,বুড়ো এক বেডার লগে গিয়া বিয়া বইছে আবার বজ্জাত বেডি।” মিম অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো,আলগোছভাবে সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বলল,
– “ছিঃ…!” তখন হঠাৎ করেই ইমান এগিয়ে এসে মিম’কে অনুরোধে স্বরে বললো,
– “আমার সাথে কি একটু কোর্টে যেতে পারবেন আপনি?” মিম নিজেকে সামলে নিয়ে ধীর গলায় বলল,
– “জ্বি…!” ইমান একটু দম নিয়ে মিম’কে বললো,
– “আমি আসলে একা দু’ই ছেলে কে সামলাতে পারবোনা আর তাই আপনাকে আমার সাথে যেতে বলেছি।” মিম শুধু বললো,
.
– “আপনি আমায় মাএ পাঁচ মিনিট দিন স্যার,আমি এখুনি তৈরি হয়ে আসছি।” মিম তৈরি হয়ে এসে গাড়িতে ইমানের পাশের সিটে বসলো,জাবিন দু’জনের মাঝে এসে বসার পর চার বছর বয়সী আজিন মিম কে বললো,
– “আমি তোমার তোমার কোলে বসি…!” মিম আজিনের বিষ্ময়কর চাহনি দেখে মৃদু হেসে বললো,
– “হ্যাঁ,আব্বু বসো…। জিজ্ঞেস করার কোনো প্রয়োজন নেই।”
– “তাই বুঝি?”
– “হুমম!”
– “জানো আমরা আজকে কোর্টে মম’এর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি?” মিম আবারও মৃদু হেসে বলল,
– “জ্বি,,,
কিন্তু বাবা আমরা কোর্টে কেন যাচ্ছি?” আজিন হাসতে হাসতে বললো,
– “ডি ডি ডি ডিভোর্স না জানি কি একটা বলে না? আমরা ওটার জন্যই যাচ্ছি…! কি মজা তাই না? তারপর মম আর ড্যাড সবসময় একসাথে থাকবে আমি আমার বন্ধুর কাছে শুনেছি।” তখন জাবিন বলে উঠলো,
– “হ্যাঁ,ভালো ছোটো ভাইয়া…প্লিজ এবার দয়া করে চুপ থাকো তুমি?” কোর্টে একজন সুন্দরী মহিলাকে একজন বয়স্ক ভদ্রলোকের সাথে দেখে নিজের কৌতূহল থেকে মিম গাড়ির ড্রাইভার আলী কে জিজ্ঞেস করে,
– “ভাই…! উনি কি জাবিন এবং আজিনের আম্মু না কি?” আলী কিছু বলে ওঠার আগেই ইমান মিম কে উদ্দেশ্য করে বলল,
– “বাহিরে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? বাচ্চাদের সাথে নিয়ে কোর্টের ভেতরে আসুন আপনি।” কোর্টের ভেতরে ঢুকে গা ছমছমে পরিবেশ দেখে মিম উদ্বিগ্ন হয়ে আজিন কে জড়িয়ে ধরে মনেমনে ভাবলো,
– “আচ্ছা ডিভোর্সের সময় এই এতোটুকু ছোটো ছোটো বাচ্চাদের কোর্টর পর্যন্ত টেনে আনার প্রয়োজনীয় তা টাই বা কি?” তখন হঠাৎ ল’ইয়ার কাইয়ূম ইব্রাহিম জাবিন এবং আজিন কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কেইসের শুনানির জন্য জিজ্ঞেস করলেন,
.
– “জাবিন বাবা,,,
বাবা কে না মা কে কাকে চাও তুমি?” সাত বছর বয়সী জাবিন ওর চোখের চশমা ওপর নিচ করতে করতে দাঁত দিয়ে নক কাটতে কাটতে মুখ তুলে সামনের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বললো,
– “আমার ড্যাড কে…! হ্যাঁ,আমি ভেবে নিয়েছি আমার ড্যাডি কেই চাই আমি।” তখন বিরোধী পক্ষের আইনজীবী ফারুক ওয়াসিফ জাবিন কে বললেন,
– “বাবু তোমাকে কেউ কিছু শিখিয়ে এনেছে নাকি?” জাবিন বিজ্ঞের মতো বললো,
– “আমি এতো টাও ছোটো নই আঙ্কেল সব বুঝি আমি।” অতঃপর আজিন কেও এই একই প্রশ্ন করা হলো,তবে আজিন হাসতে হাসতে বলল,
– “মম এবং ড্যাড দু’জন কেই চাই আমি…!” বিচারক সালাউদ্দিন আহমেদ কিছুক্ষণ আজিনের দিকে তাকিয়ে থেকে নিজেই বললেন,
– “বাবা,,, তুমি বাবা না মা কাকে মানে কার সাথে থাকতে চাও তুমি?” আজিন চকলেট খেতে খেতে বলল,
– “মম ড্যাড দু’জন কেই চাই,তবে ড্যাড কেই বেশি ভালোবাসি আমি।” ফারুক ওয়াসিফ বললেন,
– “তাহলে তুমি মা কে চাও না?”
– “চাই তবে,বাসায় থাকেন না আমার মম…! ওই যে বুড়ো দাদু টা বসে আছে সবসময় তার সাথেই থাকেন তিনি।” ফারুক বললেন,
.
– “বুড়ো দাদু আবার কি বাবু? তোমার মমের হাসবেন্ড তিনি।”
– “কিন্তু আমার মমের হাসবেন্ড তো আমার ড্যাড…আমি জানি!” ফারুক ওয়াসিফ তখন আরো কিছু বলতে চাইলো,মিম উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
– “জনাব,আপনি অবুঝ বাচ্চা দু’টোর সাথে ফাজলামো শুরু করেছেন না কি?” আজিন হাসতে হাসতে বললো,
– “আমি সব বুঝি জনো? আই লাভ মাই ড্যাড,ড্যাডের সাথেই থাকবো আমি।” ছেলেদের কথা শুনে ইমানের দু’টো লাল হয়ে গেলো,আরিশফা উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ইমান কে বললো,
– “সব তোমার শেখানো…! বাসা থেকে ওদের দু’জন কে সব শিখিয়ে এনেছে তুমি।” তখন আজিন কাঠগড়া থেকে নেমে একটু অভিযোগের সুরে মায়ের কাছে ছুটে এসে বলল,
– “মম তুমি খুব খারাপ…! আমাদের সাথে কেন থাকো না তুমি?” আরিশফা হঠাৎ আজিকে ঠাস ঠাস করে দু’টো চড় মেরে বললো,
– “বেজন্মা,কোথাকার যেন এক এক টা…। এই দিন দেখার জন্য তোদের আমি জন্ম দিয়েছিলাম না কি?” মিম তৎক্ষনাৎ ছুটে এসে আজিন কে বুকে জড়িয়ে ধরলো,আরিশফা জাবিনের কাছে কয়েক পা এগোতেই মিম তাকে ধাক্ক মেরে দূরে সরিয়ে জাবিন কেও নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “আমার বাচ্চাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন..! একদম ওদের কাছে ঘেঁষার চেষ্টা করবেননা আপনি।” আরিশফা হাসতে হাসতে ইমান কে বললো,
– “বাহ! ভালোই,নিজের জন্য তারপর ছেলেদের জন্য একটা রক্ষিতা জুটিয়ে নিয়েছ দেখছি?” ইমান ঝাঁঝালো কণ্ঠে উত্তর দিলো,
.
– “আমার রক্ষিতা হলেও তোমার থেকে হাজার গুণে ভালো মানুষ এই মেয়েটি…! নিজের মতো সবাইকে ক্লাসলেস ভেবো না,সবাই তোমার মতো বে*** না।” তখন ইমানের পক্ষে আইনজীবী ওকে শান্ত করে বললো,
– “প্লিজ স্যার,এবার থামুন নয়তো আজও এই কেইসের শুনানি হবে না।” লাঞ্চ ব্রেকের পর,শুনানি সময় বিচারক সালাউদ্দিন আহমেদ বললেন,
– “এই নিষ্পাপ বাচ্চাদের কখনোই ওদের মায়ের মতো একজন মহিলার হাতে তুলে দেওয়া অন্তত এই আদালতের পক্ষে সম্ভব না,
কাজেই আদালত আজ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে,বাচ্চারা আজ থেকে ওদের বাবার দায়িত্ব থাকবে এবং তিনিই তাদের ভরনপোষণের দায়িত্ব নেবে…।
তবে বাচ্চাদের মায়ের দারুণ কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হলে,বিনাদ্বিধায় আদালতের শরণাপন্ন হতে বলা হলো বাচ্চাদের বাবা’কে…।” অতঃপর কেইস জিতে ইমান ছেলেদের নিয়ে বাড়িতে ফিরলো,এতো অসুস্থ থাকার পরেও ইতি বরণডালা সাজিয়ে বরণ করে নিলেন তার ছেলে সহ দুই নাতি কে…।
তবে মিম বাসায় ফিরে আসানা মাত্রই একরকম জাবিন আর আজিন কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছে।মিম আজিনের গালে স্যাভলন ক্রিম লাগিয়ে দেওয়ার সময় খেয়াল করে দেখলো,ছেলে টা কেমন যেন চুপ করে আছে।
মিম আজিন কে হাসতে ওকে কাতুকুতু দিতে লাগলো,আজিন হঠাৎ মিম’কে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “আমি আর কখনো ফিরে যেতে চাই না আমার পঁচা মমের কাছে।” মিম আজিনের কপালে চুমু খেলো,জাবিন কে কাছে টেনে নিয়ে চুল গুলো আঁচড়ে গায়ে হাত পায়ে ক্রিম লাগিয়ে দিয়ে বললো,
– “কি হলো আব্বু? তোমার কি হয়েছে?” জাবিন নাক টেনে টেনে বললো,
– “তোমাকে যে বললাম আমি এখন খাবো না?” মিম বলল,
– “খেতেই হবে,নয়তো জুজু ভূত আসবে বাবা।” জাবিন বলল,
– “শোনো আমি কিন্তু ভয় পাই না,তোমার এই ভূত টূত কে…।” মিম জাবিন কে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “হা করো আমি খাইয়ে দিচ্ছি।”
.
– “বললাম যে খাবো না?” মিম জাবিনের মুখে খাবার পুরে দিয়ে বললো,
– “খেতেই হবে তোমাকে।” অতঃপর জাবিন চুপচাপ খেয়ে গিয়ে নিজের বিছানায় শুয়ে পরলো,তবে মিম কে বলল,
– “কাল কে দেখো তোমার ব্যাপারে আমি নালিশ করবো ড্যাডের কাছে।” মিম বলল,
– “কইরো,তারপর যে বালিশ টা পাবে সেটা মাথার নিচে দিয়ে ঘুমাবে রাতে।”
– “আমার ড্যাড কিন্তু খুব রাগী।” মিম হাসতে হাসতে বললো,
– “তোমার রাগী ড্যাড আমার কিচ্ছু করতে পারবে না সে…!” আড়াল থেকে দু’জনের খুনসুটি দেখে কি ভেবে যেন ইমান আনমনে হাসছে,মিমের হঠাৎ ইমানের দিকে নজর পরতেই ও কিছুটা লজ্জা মিশ্রিত হাসি দিয়ে বলল,
– “স্যার! আপনি? আপনার কি কিছু লাগবে?” ইমান বললো,
– “না আসলে আপনি আমার মায়ের পাশাপাশি ছেলেদের দিকে নজর রাখছেন দেখে ভালোই লাগছে।” মিম বলল,
– “আসলে এটা তেমন কোনো ব্যাপার না,ওরা ছোটো বাচ্চা তো…? আর তাই মা কে খুব মনে করছে।” ইমান বলল,
– “আমার জাবিন বয়সের তুলনায় অনেক বেশিই ম্যাচুয়র…!
এক বার ‘না’ বললে দ্বিতীয়বার তার মুখ থেকে ‘হ্যাঁ’ বের হয় না,তবুও আপনি কি সুন্দর এটা-সেটা বলে রাতের খাবার টা খাইয়ে দিলেন ওকে।” মিম বলল,
– “তেমন কিছুই না…! আসলে এ বাড়িতে আসার পর থেকেই আমি একটু একটু করে বোঝার চেষ্টা করছি বাচ্চা দু’টো কে…।” ইমান আর কোনো কথা না বাড়িয়ে ঘরে এসে নিজের ক্লান্ত শরীর টা বিছানায় এলিয়ে দিয়েছে।
তবে সকাল সকাল বাড়িতে কারো মনে শান্তি নেই কারণ আজ জাবিনের অভিযোগে ইমান মিম’কে নিয়ে শালিসি করতে বসেছে।মিম সকাল সকাল এসব দেখে কৌতুহল হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– “আমার কি অপরাধ? আমি কোনো অন্যায় করেছি এ কোর্ট থেকে ফিরে এসে?” ইমান মিমের কৌতুহল দেখে নিজের হাসি টা সামলে নিয়ে বললো,
.
– “আপনার অপরাধ…! আপনি “জুজু” ভূতের ভয় দেখিয়েন আমার ছেলেকে,তারপর আবার ওকে রাতে জোর করে খাবার খাইয়েছেন,ও না কি খাবার খাবে না বলেছিল আপনাকে…?” মিম মিটিমিটি হেসে বললো,
– “শুনুন,জনাব…! আমি কোনো অপরাধ করিনি,আমি শুধু খাবার খাওয়ানোর জন্য কথা গুলো বলেছিলাম জাবিন কে…হ্যাঁ,আমি ওকে জুজু ভূতের ভয় দেখিয়েছি,তবে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া না করলে এরপর ড্রাকুলার ধরে আনবো রূপকথার গল্প থেকে।” মিমের কথা শুনে জাবিনের চোখ কপালে,ইমানের চেহারায় একটা হাসিহাসি ভাব চলে এসেছে,তখন মিম জাবিন কে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “তুমি ঠিক করে খাওয়া দাওয়া করছ না কেন বাবা? তোমার কি হয়েছে?” জাবিন মুগ্ধ হয়ে মিমের দিকে তাকিয়ে রইলো,মিম কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “আমি এখন আসছি বাবা,তোমার দাদুমণি কে ঔষধ খাওয়াতে হবে।তারপর তোমাদের দু’জন কে পাশে বসিয়ে খাইয়ে দেবো,এই আমি বলে গেলাম তোমাদের বাবার কাছে।” ইমান হাসতে হাসতে মিমের হাবভাব দেখে বললে,
– “ওদের দুষ্টুমিতে আপনি কিছু মনে করবেননা প্লিজ…! ওরা এমন করেই বাড়িতে জ্বালিয়ে বেড়ায় সবাইকে।” মিম বলল,
– “না না কি মনে করবো? আল্লাহ তাআ’লা নেক হায়াত দান করুক ওদের দু’জন কে।”
চলবে….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com