Breaking News

তীব্র ভালোবাসার অনুভূতি । পর্ব – ১৩



না রে পাগলী কোথায় যাবো তোমাকে রেখে? যেতে হলে তোমায় সাথে নিয়েই যাবো,খুব ভালোবাসি যে তোমাকে…।” মিম স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে ইমান কে বললো,
– “ডাইনিং এ চলুন,,,! সবাই আপনার পথ চেয়ে বসে আছে।” ইমান তারপর কষা মাংসের বাটি গুলো নিয়ে মিমের সাথে খাবার টেবিলে এলো,মিম সবাই কে খাবার বেড়ে দিলো নিজের হাতে…। তখন হঠাৎ ইমান মিমের হাত টেনে ধরে ওকে পাশের চেয়ারটায় বসিয়ে প্লেটে খাবার বেড়ে দিতে দিতে বলল,
– “একদম চুপ…! যা দিচ্ছি,সোনামুখ করে খেয়ে উঠবে খাবার টেবিল থেকে…।” রিকিয়া ইমান কে উদ্দেশ্য করে বললো,
– “তোমার বউ যদি এখন খেতে বসে…! তাহলে বাকি খাবার গুলো কে পরিবেশন করবে আমাদের সবাইকে…?” ইমান দাঁতে দাঁত চেপে রিকিয়াকে বলল,
– “নিজের হাত দু’টো নাড়িয়ে চারিয়ে যা লাগে নিয়ে নিন…। ওপর ওয়ালা হাত দু’টো আপনাকে দিয়েছে কি করতে?
আর আমার বউ কি একাই এ বাড়ির বউ না কি? আপনার কি কোনো দায়িত্ব কর্তব্য এই সংসারের প্রতি নেই? তাহলে এ বাড়িতে এখনো পরে আছেন কি করতে…?” ইমানের কাছ থেকে অপমানিত হয়ে রিকিয়া মিমের সুখ দেখে হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে।মিম খাচ্ছে না দেখে ইমান গরুর গোস্তো দিয়ে ভাত মেখে খাইয়ে দিতে লাগলো,তখন জাবিন মিম কে বললো,
.
– “আম্মু…! আমি কি একটু খাইয়ে দেবো তোমাকে?” আজিন সাথে সাথে এক পিস খাসির মাংস মিমের মুখের সামনে ধরে বলল,
– “আমি ও আমার আম্মু মণি কে খাইয়ে দেবো,আম্মু আপনি খাবেন আমার হাতে..?” মিম হাসতে হাসতে দুই ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলল,
– “খুব খাবো বাবা,তবে তোমরা রাগ করো না প্লিজ…! আমি সারাদিন একটু ও খেয়াল রাখতে পারিনি তোমাদের দিকে…।” দু’জনেই বলে উঠলো,
– “তাতে কি হয়েছে আম্মু…? ইমা ফুফি আর প্রমী ছিলো তো আমাদের কাছে।” প্রমী হাসতে হাসতে মিমের প্লেটে খাসির মাংস দিতে দিতে বলল,
– “তুমি অহেতুক চিন্তা করছ ভাবি…। তোমার ছেলেরা অনেক বুদ্ধিমান তারা সব বোঝে,তবে কি বাচ্চারা ছোটো হোক আর বড় হোক তারা সবসময় পছন্দ করে এবং ভালোবাসে মায়ের আদর আহ্লাদ পেতে।” ইফতি সাহেব খাবার শেষ করে উঠে মিম কে উদ্দেশ্য করে বললেন,
– “মা আমি জন্মদিনের যে উপহার টা তোমার কাছে চেয়েছি সেটার কথা কি মনে আছে…?” মিম সাথে সাথেই বিষম খেয়ে পানি খেতে লাগলো,ইতি ইফতি সাহেবকে ঝাড়ি মেরে বললো,
– “কি অবস্থা তোমার? যাও এখান থেকে…।” ইমান মিমের পিঠে হাত বুলোতে লাগলো,ইতি বললেন,
– “কি রে মা তোর শরীর ঠিক আছে?” মিম নিজেকে সামলে নিয়ে উত্তর দিলো,
– “জ্বি মা,
তবে আপনি মাছ-মাংস নিন,ভাত নিন আপনার প্লেট দেখছি খালি হয়ে গেছে।” ইতি মিমের মুখে গ্রাস তুলে দিতে দিতে মিম কে বললেন,
– “তোর বাবা যা ইচ্ছে আমারো কিন্তু তাই ইচ্ছে আর তাই নিজের অগ্রীম বার্থডে গিফট টা চেয়ে নিলাম তোর কাছ থেকে…।” মিম লজ্জায় চুপ করে রইলো,ইমান মিটিমিটি হেসে বললো,
– “এতো ভেবো না মা,নিশ্চয়ই তোমাদের উভয়ের বার্থডে গিফট টা বিবেচনা করে দেখা হবে…।” মিম লজ্জায় খাবার টেবিল ছেড়ে উঠে যেতে চাইলো,তবে ইমান মিমের হাত চেপে ধরে বলল,
– “কোথায় যাচ্ছ? না খেয়ে তুমি আজ উঠতে পারবে টেবিল থেকে…।” রিকিয়ার প্রচন্ড রাগ হলেও,সে মিম কে জিজ্ঞেস করলো,
– “মামা-মামী কি গিফট চেয়েছে তোমার কাছ থেকে…?” মিম চুপচাপ খেতে বললো,
– “সেটা সারপ্রাইজ ভাবি,এখুনি বলা যাবে না আপনাকে…।”
– “বলতে হবে না,আমি জানতে ও চাই না তোমার কাছে…।” ইমা বলল,
– “তাহলে জানতে চাইলে কেন আর জিজ্ঞেস করলেই বা কেন তাকে…?
– ” তোমার ভাবির সারপ্রাইজ গিফট তাকেই মোবারক,নেহাৎ কৌতুহল জেগেছিল তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম তার কাছে কিন্তু তার যে ভাব…। থাকুক সে তার ভাবের সাথে।” এদিকে হাবিব বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে ব্যার্থ হচ্ছেন তার ছেলের সাথে।
.
আর ওদিকে জাইমা খোঁজ নিয়ে ঢাকায় রুদ্রের বাসায় চলে এলো ছেলে আরিশের নতুন ব্যবসার জন্য ভাইপোর কাছ থেকে টাকা ধার নিতে…। নেহা স্বামীর কথা মতো ফুফু শাশুড়ির অনেক আপ্যায়ন করলো কিন্তু রুদ্র এসে যা তা বলে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দিলো তাকে…। জাইমা ভাইপোর কাছ থেকে অপমানিত হয়ে বললেন,
– “তোদের জীবনে ও ভালো হবে না।” রুদ্র বললো,
– “হ্যাঁ জানি তো,তোমাদের মতো ছোটো লোকদের হবে…। এখন যাও গিয়ে তোমার ওই ছেলে আর ছেলের বউ নিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করে খাও,দয়া করে নিজের ওই অপয়া মুখ টা আর কখনো দেখাতে এসো না আমাকে…।” জাইমা অপমানিত হয়ে ভাইপোর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলো আর ওদিকে মিম ইমানের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে।জাবিন এবং আজিন তারা ঘুম ইমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিল ইমানে সাথে।মিম কথায় কথায় ইমান কে জিজ্ঞেস করলো,
– “জনাব,আপনি জীবনে ক’টা প্রেম করেছে বিয়ের আগে?” ইমান অতি আবেগের বসে বলে ফেললো,
– “তিনটে…।” ব্যাস,এরপর থেকে মিম কোনো কথা বলছে না তার সাথে…। মিম বিছানা ছেড়ে উঠে যেতে চাইলো কিন্তু ইমান মিম কে শূন্যে তুলে ধরে বলল,
– “আরে আগে শুনবে তো কার কার সাথে…?” মিম গাল ফুলিয়ে বলল,
– “বলুন শুনি কারকার সাথে…?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
– “প্রথম টা আরিশফা হলেও,দ্বিতীয় টা আর শেষ টা তোমার সাথে…।” মিম জোরেসোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে নিতে বললো,
– “শুনি কিভাবে…?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
– “কিভাবে আবার? প্রায় চার কি পাঁচ বছর আগে তোমার কলেজের এক অনুষ্ঠানে নৃত্যনাট্য পরিবেশন করতে দেখেছিলাম তোমাকে…।
প্রথম দেখায় বেশ ভালো লেগেছিল কিন্তু ততদিনে দুই বাচ্চার বাপ বনে গিয়েছিলাম আর তাই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছিলাম তোমাকে,
তবে তোমার কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে তোমার এতো প্রসংশা শুনেছিলাম যে তোমার প্রতি মনে মনে একটা ভালোলাগার সৃষ্টি হয়েছে আর সেই ভালো লাগা টা কোথাও না কোথাও মনের মধ্যে রয়ে গিয়েছিল আর তাই সেই রাতে আমি ফেরাতে পারিনি তোমাকে…।” মিম হঠাৎ ইমানের গলা জড়িয়ে ধরে বললো,
– “তুমি’ই কি সেবার উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে কলেজে লেকচার দিয়েছিলে একজন গেস্ট অতিথি হিসেবে…?” ইমান কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– “হুমম…! কেন কি হয়েছে…?” মিম হঠাৎ ওর পুরোনো ভাঙা ফোন টা থেকে একটা ভয়েস রেকর্ডিং শুনিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
.
– “এই কণ্ঠ টা কি তোমার…? ” ইমান স্পষ্ট ইংলিশে বলল,
– “ইয়েজ সুইটহার্ট…! কেন কি হয়েছে…?” মিম হঠাৎ ইমান কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “আমি শুধু তোমার কথা গুলো শুনেই তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম আর আজ ও আমি ভালোবাসি তোমাকে…।” বাকি টা ইমান কে মুখ ফুটে বলার কোনো প্রয়োজন পরলো না সে নিজেই বুঝে গেছে,মৃদু হেসে মিমের কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “আল্লাহ তাআ’লার পরিকল্পনা দেখলে…? ঠিক আমাদের দু’জন কে মিলিয়ে দিয়েছে।আমাকে ভালোবাসাই ছিল তোমার অপরাধ? তোমার বাবা সবটা না শুনেই তোমাকে ওমন একটা চরিত্রহীন লোকের সাথে বিয়ে দিয়েছে….?” মিম কাঁদতে কাঁদতে বলল,
– “হুমম…!” ইমান তখন মিম কে কোলে করে এনে শুইয়ে দিলো পাশের ঘরের বিছানাতে…। তারপর ওর চোখের জল মুছে দিলো,আদর করতে লাগলো মেয়ে টা কে…। সকালে,
দু’জনে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে এসে দেখে দুই ছেলে চোখ লাল করে প্রচন্ড রেগে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।ইমান কান ধরে ছেলেদের কোলে তুলে নিয়ে বললো,
– “তোমাদের আম্মুর কোনো দোষ নেই বাবা…। আমার শরীর খারাপ ছিল বলেই পাশের ঘর এসে শুয়ে ছিলাম রাতে…।” জাবিন বলল,
– “রাতে তুমি মা কে মজার মজার খাবার এনে খাইয়েছ ড্যাড আমাদের ভালো করেই জানা আছে…।” আজিন বললো,
– “ভাইয়া ঠিক বলছে,বলো বলো কি কি এনে খাইয়েছ তুমি আম্মুকে…?” ছেলেদের প্রশ্নের মুখে পরে ইমান অনেক গুলো পালস চকলেট বের ছেলেদের দিয়ে বলল,
– “তোমাদের জন্য আছে…।” জাবিন বললো,
– “তুমি একটা ভালো ডক্টর দেখাতে পারো না ড্যাড? তোমার শরীর কেন এতো খারাপ থাকে…?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
.
– “সব কিছুই আল্লাহ তাআ’লার ইচ্ছে বাবা,চলো নাস্তা করতে যাই নিচে…।” সকাল সকাল ছেলেকে দেখেই ইফতি সাহেব জিজ্ঞেস করলেন,
– “রাত-বিরেতে মেয়ে টা কে নিয়ে কোথায় গায়ের হয়ে যাও তুমি…! বাচ্চারা ভোর রাত থেকে তাদের মা কো খুঁজে বেড়াচ্ছে…।” ইমান হাসতে হাসতে বললো,
– “কোথায় যাবো বাবা…? কোথাও যাইনি বাড়িতে’ই ছিলাম আমরা ঠিক আছে…?” ইফতি সাহেব আর এই প্রসঙ্গে কোনো কথা বাড়ালেন না খেয়েদেয়ে সে উঠে পরলেন খাবার টেবিল থেকে…। কিন্তু রুদ্র,সে আপ্রাণ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে তার বোন কে…। কেউ তাকে মিমের খোঁজ এনে দিতে পারেনি তবুও হাল ছেড়ে দেয়নি সে…।
মিমের সংসার জীবন বেশ ভালো’ই চলছে…। এরি মাঝে মিম একদিন প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে বমি করে মাথা ঘুরে পরে গিয়ে ছিল,
তারপর ডক্টর এসে চেক-আপ করে জানায়,যে সে মা হতে চলছে।খবর টা শুনে ইমান এতো খুশি হয়েছিল যে এখন সারাক্ষণ মিম কে চোখের আড়াল করতে চায় না সে…। জাবিন এবং আজিন জানে তাদের ছোট্টো একটা ভাই কিংবা বোন আসতে চলছে আর তাই মায়ের কাছে এটা-সেটা বায়না না করে,তাদের ছোটো ছোটো কাজ গুলো তারা নিজেরাই করে নিচ্ছে…।
মিম ‘মা’ হবে এই কথা শোনার পর রিকিয়ার মনোকষ্ট যেন বেড়ে গিয়েছে।মিম কে সবার কাছে এতো আদর পেতে দেখে তার ও সেই আদর গুলো খুব পেতে ইচ্ছে করছে…। কিন্তু সে আজ ব্যার্থ,তাই নিজে থেকেই দু’জনের পথ থেকে সরে এসেছে…। তারপর ইফতি সাহেব কে এসে বললো,
– “মামা আমি বিয়ে করতে চাই…! আমার ছেলে পছন্দ করা আছে।” ইফতি সাহেব রিকিয়ার কাছ থেকে ছেলের বাড়ির ঠিকানা নিয়ে যোগাযোগ করলে তাদের সাথে।
.
অতঃপর দুই পরিবারের সম্মতিতে রিকিয়ার বিয়ে টা অনিকের সাথে হয়ে গেলো তারাও বেশ ভালো আছে।
তবে মেয়ের মন খারাপ দেখে মিথিলা বলেছিলেন, – – “চিন্তা করিস না মা…। নিজের সন্তান হলে দেখবি মিম আর তাকিয়ে ও দেখছে না বাচ্চাদের দিকে…।” কিন্তু মিথিলার কথা গুলো ভুল ছিল,তার হয়তো চোখে পড়েনি মিম প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে জাবিন এবং আজিনের প্রতি তার ভালোবাসা আরো কয়েক গুণ বেশি বেড়ে গেছে…। বাবার দেখাদেখি তারাও মায়ের পেটের ওপরে মাথা রেখে গল্প করে তাদের ছোটো ভাই কিংবা ছোটো বোনের সাথে…। তবে তারা দু’জন ধরেই নিয়েছে তাদের ছোটোবোন আসতে চলছে তাদের মাঝে।ইমান মিমের প্রতি খুব যত্নশীল,খুব যত্ন করে ওকে,মাঝেমধ্যে মিমের পেটের ওপরে মাথা রেখে নিজের অনাগত সন্তান কে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনায়,মাঝেমধ্যে আবার গান ও শোনানো হয় তাকে…। মিম সবার অবস্থা দেখে একদম আহ্লাদে আটখানা,ইফতি সাহেব ও খুব ভালোবাসে তাকে…। প্রায় প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে আসার সময় ওর জন্য জিলাপি আর মতিচূরের লাড্ডু নিয়ে আসে আর এই নিয়ে তাকে কেউ কিছু বললে,তার উওর,
– “আমার মেয়ে খাবে আমি তার জন্যে এনেছি তোমাদের কি তাতে…?” মিম একবার ইফতি সাহেবের কাছে অসময়ে কাঁচা আম খাওয়ার ইচ্ছে পোষন করেছিল,তখন তিনি অনেক খুঁজে খুঁজে ভালো আম এনে খাইয়েছিলেন ওকে…। বাড়ির আম গাছ টায় আম হওয়ার পর মিম আম খেতে চেয়েছিল,ইফতি সাহেব একদিনের মধ্যে সব আম পারিয়ে স্ত্রী কে বলেছিলেন,
.
– “আচার বানাও,আমার মেয়ে খাবে।” তবে ইতি সে তাকে কুটো টি নাড়তে দেয় না শরীর খারাপ হয়ে যাবে ভেবে কিন্তু ইমান সে প্রতিদিন কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে হয়তো বেলিফুল আর নয়তো গোলাপ ফুল এনে পরিয়ে দেবে নিজের হাতে মিমের হাত খোঁপাতে…। আজ অনেক দিন পর ইমান কাজ থেকে ফ্রী হয়ে মিম কে ঘুরতে বাহিরে নিয়ে এসেছে।মিম ইমান কে বলল,
– “এভাবে হাঁটতে খুব ভালো লাগছে আমার কিন্তু প্রচুর পানি পিপাসা পাচ্ছে…।” ইমান মিম কে ধরে একটি বেঞ্চিতে বসিয়ে দিয়ে ডাব ওয়ালাকে বললো,
– “ভাই কচি দু’টো ডাব কেটে দিন তো এদিকে…।” মিম ডাবের পানি খেলো,কিছুক্ষণ পর ইফতি সাহেব ওকে ফোন করে বললেন,
– “আম্মু কোথায় তুমি…? তাড়াতাড়ি চলে এসো বাড়িতে…।” ইমান একটু বিরক্ত হয়ে বাবা কে বললো,
– “কি হয়েছে কি তোমার? বাড়ি থেকে বের হতে পারলাম না এক ঘন্টার মধ্যে চৌদ্দ বার ফোন করে জ্বালাচ্ছ আমাকে…।”ছেলের কথা শুনে ইফতি সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,
– “না মানে, হঠাৎ করেই এসে মেয়ে টা কে নিয়ে বেড়িয়ে গেলি? তাই ওর কথা ভেবে আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে…।” ইমান হাসতে হাসতে বললো,
– “তোমার দুশ্চিন্তার মাথায় আগুন বাবা, প্লিজ এবার একটু আমাকে শান্তিতে ঘুরতে দাও আমার বউয়ের সাথে।” ইফতি সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,
– “আমাকে জ্বালাতি না? এইবার আমি ও প্রতিশোধ নিচ্ছি তোর কাছে থেকে…।” মিম ইফতি সাহেবের কথা শুনে হাসতে লাগলো,ইমান ফোন টা কেটে তাকিয়ে রইলো মিমের মুখের দিকে,মিম মিটিমিটি হেসে ইমানের গাল চেপে ধরে বললো,
– “রাগ করে না সোনা,চলো না একটু যাই ওদিকে…।”
.
চলবে,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com