চেয়ারম্যানের মেয়ে । পর্ব -০৫

আমি তোমাকে ভালোবাসি না। তোমার সাথে রিলেশন রাখতে পারবোনা(রোদেলা)
তুমি আমার সাথে মজা করো(হাসতে হাসতে বললাম)
আমি সিরিয়াসলি বলছি
আচ্ছা ঠিক আছে আমি অনেক মজা পেয়েছি। এবার বলো কি বলবে
এই তোর কি মনে হয় আমাকে দেখে আমি তোর সাথে মজা করি(রোদেলা অনেক রেগে)
মানে কি বলছ এসব আর তুই করে বলছ কেনো
আমার যা খুশি তাই বলব। আর আমার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখবি না
মানে কি বলছ এসব। আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমিও তো আমাকে ভালোবাস
না আমি তোকে ভালবাসি না। তোকে দেখলে আমার সবসময় রাগ হয়
তাহলে এতদিন কি ছিল এসব। তুমি বলতে যে আমাকে ভালোবাসো।
আমি যে এতো দিন তোমাকে ভালোবাসলাম। বল কি ছিল
এসব(অনেক কষ্টে বললাম আমার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে)
তোর সাথে এতো দিন যা করেসি এতা কোন ভালোবাসা নয়। শুধু অভিনয়
তোর সাথে এতো দিন অভিনয় করেছি
কিন্তু কেনো কি দোষ ছিল আমার। কেন আমার সাথে এমন করলে
কি দোষ ছিল তোর মনে আছে আমাকে অনেক লোকের সামনে বাসে আমাকে চর মেরেছিলি।
জানিস অই দিন আমার কত খারাপ লেগেছিল।
সবার সামনে আমার কেমন লেগেছিল ইচ্ছা করছিল তোকে নিজের হাতে মেরে ফেলি।
কিন্তু না তোকে এভাবে মারবনা। তোকে কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে মারব।
তাই এতো দিন ধরে তোকে আমার প্রেমের ফাঁদে ফেলেছি(রোদেলা এইটা বলে হাসতে লাগলো)
প্লিজ রোদেলা এমন করোনা। আমি তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি।
তুমি এরকম করলে আমি মরে যাব। প্লিজ তুমি বলো এতক্ষন যা বলেছ সব মিথ্যা।
তুমি আমাকে ভালোবাসো (কেঁদে কেঁদে রোদেলা র হাত ধরে বললাম)
আমি রোদেলা র হাত ধরা মাত্রই আমাকে ঠাসসসস করে একটা চর মারলো
ছোটো লোক কোথাকার আর কতবার বলব আমি তোকে ভালোবাসি না।
আর কখনো জেনো আমার ধারে কাছে না দেখি।
তাহলে কিন্তু সেদিন খুব খারাপ হয়ে যাবে (রোদেলা এটা বলে চলে যেতে লাগলো)
রোদেলা একদিন তুমি আমার কাছে আসবে কিন্তু সেইদিন আমার
মনে তোমার জন্য ভালোবাসা নয় শুধু ঘৃণা থাকবে। তুমি সেইদিন আমার ভালোবাসা
পাওয়ার জন্য এমন কাকুতি মিনতি করবে। কিন্তু পাবেনা(আমি কান্না করতে করতে বললাম)
.
রোদেলা সেখান থেকে চলে যায়। আমি নদীর পারে বসে কান্না করছি।
মনে হচ্ছে আমার সবকিছু হারিয়ে ফেললাম। মনে হচ্ছে মরে যাই।
তারপর মনে পরলো আমি কেনো ‌কষ্ট পাবো।
আমরা বাবা মা আছে যারা আমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে ‌ একটা
মেয়ের জন্য নিজের বাবা-মাকে ভুলে আত্মহত্যা করবো।
এসব ভাবছি আর নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করছি।
আমি সেখান থেকে নিজের বড়ি‌ চলে‌ যাই। বড়ি গিয়ে দেখি মা
কাজ করছে আমি আমার রুমে যাচ্ছিলাম তখন মা দেখে ফেলে
কিরে কোথায় গিয়েছিলি (মা)
একটু নদীর পারে ‌গিয়েছিলাম(আমি)
কিন্তু তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো
কই কেমন দেখায়
কেমন চোখ ফুলো ফুলো লাল হয়ে গেছে। তুই কি কান্না করছিলি নাকি
আরে না চোখে ধুলো পরেছে তাই চোখ দলছিলা। তাই লাল হয়েগেছে
কিন্তু একসাথে দুই চোখ
.
দুই চোখে গেছিলো। আমি গেলাম
আর কিছু বলতে দিলাম না। আমি আমার রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
আমর অনেক কান্না পাচ্ছে।
দু’চোখ আর বাদ মানছে না। চোখের কোনা থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে।
আমি নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করছি। দুদিন দরকার ছাড়া আমার ঘর থেকে বেরও হয়নি।
বাবা মা কিছু সন্দেহ করেছে বলে মনে হয় তাই একদিন বাবা আমাকে দেকে। বলল
রাকিব তোকে কিছু দিন ধরে মনমরা দেখছি। কিছু কি হয়েছে (বাবা)
না বাবা এমনি কিছু হয় নাই (আমি)
সত্যি তো
হুম বাবা
আচ্ছা তোর মা বলছিল কিছুদিন তোর নানা বড়ি থেকে বেড়িয়ে আয়।
তোর মামাও ফোন করে অনেক বার তোকে যেতে বলেছে
কিন্তু বাবা
কোনো কিন্তু না কাল চলে যাবি গড়ি নিয়ে
আচ্ছা
আমি আর বেশী না করলাম না। কারন কয়েক দিন যাইনা।
আর সেখানে গেলেও মন ভালো থাকবে।
তাই খাওয়া-দাওয়া করে দিলাম একটা ঘুম সকালে আবার নানা বড়ি টুর
.
চলবে…
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url