Breaking News

চেয়ারম্যানের মেয়ে । পর্ব -০৩

ওরা এইসব বলছে আর রোদেলা কান্না করছে।
আর আমি ডুব দিয়ে সাঁতরে অন্য পাশ দিয়ে কূলে উঠে বসে ওর কান্না দেখছি।
আমি রোদেলার পিছে গিয়ে বললাম।
কি ভাবছেন ‌মরে গেছি (আমি)
কে কে ও আপনি! আপনি ঠিক আছেন তো (কান্না জড়িত কন্ঠে বলল রোদেলা)
হা হা হা হা ? আমি গ্ৰামের ছেলে। সাঁতার ভোলোই জানি
আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি শুধু মজা করতে চেয়েছিলাম
আমি আর কিছু নাবলে বড়ি চলে আসলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে। বসে আছি ছাদে।
তখন পেছন‌ থেকে কে জেনো চোখ টিপে ধরলো
বলতো আমি কে
কি আশ্চর্য না দেখলে কিভাবে বলব (আমি)
কিহ তুই আমাকে চিনতে পারসিছ না
না (আমি ঠিকি চিনতে পেরেছি এহলো রোদেলার বন অনিকা)
ভাইয়া আমি অনিকা
অনিকা আবার কে (মজা করে)
ধুর থাক তুই (রাগ দেখিয়ে)
আরে রাগ করিস কেন ‌ আমিতো মজা করছিলাম।
আমার মিষ্টি বোন কে কি ভুলতে পারি।
ও তাহলে চিনতে পারলি
কিন্তু কাল চাচার সাথে এলিনা কেনো
আমি মায়ের সাথে নানু বড়ি গেছিলাম। আজ সকালে ফিরেছি
তুই এখনো কোন‌ ক্লাসে পরিস নিউ টেন
ওওওও
.
আমরা কিছুক্ষণ গল্প করলাম। অনিকা কে আমি নিজের বোনের মতো মনে করি।
আর অনিকাও আমাকে ভাইয়ের মতো মনে করে। বিকালে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেলাম।
রাতে বাড়ি ফিরে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে ঘুম থেকে উঠে নিচে
গেলাম দেখি মা বাবা রয়েছে। সাথে অনিকা ও রোদেলা সবাই রয়েছে।
আমি নিচে যেতেই সবাই আমার দিকে কিভাবে জেনো তাকিয়ে রয়েছে।
আর মুখ চেপে চেপে হাসতেসে। কিছুই বুঝছি না
কি ব্যাপার এভাবে আমাকে দেখে তোমরা হাসতেছ কেনো(আমি)
(সবাই হেসেই চলেছে)
কি হয়েছে আমাকে বলবে তো(আমি অনেক রেগে)
তোরো কি মেয়েদের মতো সাজার ইচ্ছে হয়েছে নাকি(মা)
কি বলছ কিছুই বুঝতেছিনা
.
তোর কিছু বোঝা লাগবেনা। নিজের চেহারা দেখে(আমার দিকে একটা আয়না দিয়ে)
আমি আমার চেহারা দেখে তো প্রাই ভয়ে হর্তএটাক করার অবস্থা।
আমাকে কে জেনো সাজিয়েছে। সাজানো বললে ভুল‌ হবে।
আমাকে ভুত বানিয়ে দিছে। ঠোঁটে পাঁচ রকমের লিপস্টিক ? চোখে এতো কাজল দিয়েছে
মনে হয় আমাকে কে কাজল দিয়ে গোসল করিয়েছে।
সারা মুখে আটা ময়দা দিয়ে পুরো ভুত‌ বানিয়ে ফেলেছে। আমি ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছি
একাজ কে করেছে।
এতা রোদেলার কাজ। তোকে আমি দেখে নেব মনে মনে বললাম।‌
আমি দৌড়ে বাথরুমে চলে গেলাম ভালো ভাবে মুখ চোখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে এলাম।
.
সবাই খেতে বসেছে আমিও বসলাম। রোদেলা আমার সামনের চেয়ারে বসেছে।
আমি আমার সাথে করে একটা প্লাস্টিকের টেলাপোকা নিয়ে এসেছি।
রোদেলাকে মজা দেখাবো বলে।
সবাই যখন খাচ্ছিল তখন আমি সবাইকে বললাম টেবিলের নিচে কি।
সবাই নিচে তাকাতেই আমি রোদেলার ভাতের ভেতর টেলা পোকা রেখে দিলাম।
কই নিচে তো কিছুই নাই(বাবা)
আমার মনে হয় কিছু ভুল দেখেছি (আমি)
তুইও না চুপ চাপ খেয়ে নে(মা)
আচ্ছা বলে খাবার খাচ্ছি তখন একটা চিৎকার কানে আসলো।
সে আর কেউ না আমাদের মাননীয় রোদেলা।
আম্মুউউউউউঊউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউউঊচ(চিৎকার করে)
কি হয়েছে (মা)
চাচি আমার খাবারে টেলাপোককা (রোদেলা)
কই এখানে কিছুই নেই (আমি টেলাপোকা সরিয়ে ফেলেছিলাম)
কিন্তু এখানেই ‌ছিল
ধুর তুইও কি পাগল হয়েছিস
.
ভয়ে রোদেলার চেহারা দেখার মতো হয়েছে। আমি ওর এরকম চেহারা দেখে মিটি মিটি হচ্ছি।
হয়তো রোদেলা দেখে ফেলেছে রাখি ভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছে আর
নিজের হাত মোচরাচ্ছে। রোদেলা আবার বুঝে গেলো নাতো এইটা আমার কাজ।
যে ফাজিল আমার অবস্থা খারাপ করে ছারবে।
এইভাবেই আমার দিন কাটছিল এখন বাবাকেও তার কাজে সাহায্য করি।
কিন্তু আমি ইদানিং একটা জিনিস খেয়াল করছি।
রোদেলা সবসময় আমাদের বড়িতে যাওয়া আসা করে।
প্রাই আমার রুমে উকি ঝুকি মারে।
আমার সাথে সবসময় কথা বলার চেষ্টা করে। আর আপনি থেকে তুমি করে বলে।
ওর হাবভাব আমার ঠিক লাগছেনা।
একদিন রাতে আমি ছাদে বসে রয়েছে। তখন পেছন থেকে কেউ কাশি দিল।
পেছনে ফিরে দেখি রোদেলা
কি কিছু বলবেন?(আমি)
হ্যা
কি বলবেন বলেন কিভাবে যে বলি(রোদেলা)
বললে বলেন‌ নাহলে আমি গেলাম (আমি)
নানা বলছি
তারপর রোদেলা যা বলল আমি শুনেতো পুরো অবাকের চুরান্ত পর্যায়…..
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com