Breaking News

চেয়ারম্যানের মেয়ে । পর্ব -০২

মনে হলো মায়ের পেছনে কোনো মেয়ে আসে। মনে হয় চাচার মেয়ে।চাচা তখন মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব তখন দেখি আরে এতো সেই
বাসের মেয়েটি
আপনি এখানে (মেয়েটি)
লে আমার বাড়িতে আমি থাকবো না কে থাকবে।
কিন্তু আপনি এখানে কেনো (আমি)
তোরা আগে থেকেই একে অপরকে চিনিস (চাচা)
বাবা তোমাকে বলছি না যে বাসে আমাকে একটা ছেলে ডিস্ট্রাব করছে (মেয়েটি)
হ্যা (চাচা)
.
এই সেই ছেলেটি (রেগে রেগে)
কে আপনাকে ডিস্ট্রাব করছে‌ হ্যা নাকি আপনি বাসে অসভ্যতা করেছে। জানেন চাচা ও আবার নিজেকে চেয়ারম্যানের মেয়ে বলে পরিচয় দে (আমি)
আমর বাবা চেয়ারম্যান হলে কি বলব হ্যা(মেয়েটি)
চাচা চেয়ারম্যান হলেন কবে
এইটো গেলো বছর নির্বাচনে (বাবা)
চাচা আপনার মেয়ের নাম অনিকা। কিন্তু এতো অনিকা না
ও হলো রোদেলা অনিকার বড় বোন। ছোট বেলা থেকেই নানু বড়ি থাকত। দুবছর হয়েছে বড়ি এসেছে তাই তুমি চিননা
কিন্তু চাচা আপনার মেয়েতো আপনার সুনাম নষ্ট করছে
আমি একদম আমার বাবার সুনাম নষ্ট করছিনা
তা নয়তো কি করেছেন
এই তোরা থামবি (মা চিৎকার করে বলল)
সবাই নাস্তা করে নেও (মা)
সবাই নাস্তা করছি। খেয়াল করলাম মেয়েটা মাঝে মাঝে রাগি লুকে আমার দিকে তাকাচ্ছে।
আমি নাস্তা করে আমার রুমে এসে। মুভি দেখিছ টাইটানিক মুভি।
তখনি রোদেলা আমার রুমে আসলো। মুভি দেখতে আছি হঠাৎ সেই সিন আরে নেগেটিভ ভাইবেন না। জাহাজ ডুবে যাওয়ার সিন।
.
আপনাকে চাচি খেতে দেকেছে (রোদেলা)
আচ্ছা যান আমি আসতেছি
নিচে গেলাম সবাই খেতে বসেছে আমিও বসলাম খাওয়া দাওয়া শেষ। চাচা আর রোদেলা তাদের বড়ি চলে গেল।
আমি ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বাবার সাথে আমাদের জমি দেখতে গেলাম। বাবা আমাকে আমাদের জমি জমা কোথায় কি আছে সব চিনিয়ে দিচ্ছে। আমাকে সব দেখিয়ে দেওয়ার পর।
বাবা তার কাজে চলে গেলেন সামনে গার্লস কলেজ। কলেজের সামনে থেকে যাচ্ছি তখন দেখলাম একটা মেয়ে কলেজে ফাঁকি দিয়ে বান্ধবীদের সাথে ঘুরে বেরাচ্ছে।
আরে এতো অই দজ্জাল মেয়েটা ও আছে রোদেলা। মোবাইল বের করে ফতাফত কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।
আমিযে তাদের দেখে ফেলেছি। রোদেলা তা মনে হয় বুঝতে পেরেছে।
আমিও বড়ি চলে আসলাম। বড়িতে এসে । আমাদের বড়ির পেছনে বাগানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক খুঁজছি। তখন পেছন থেকে কেজেনো বলে উঠল
আমার কলেজ ফাঁকি দেওয়ার কথা কাউকে বলবেন না (রোদেলা)
জদি বলেদি চাচা কে (আমি)
জদি বলেন তাহলে আপনার অবস্থা খারাপ করে দেবো
আচ্ছা যা পারেন করেন আমিতো চাচাকে দেখাবোই
ভালো হবেনা কিন্তু বলে দিলাম। আর আপনার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না
জদি এইটা দেখাই(মোবাইলের ছবি গুলো দেখিয়ে)
আপনি এই ছবি গুলো কখন তুললেন (একটু ভয় পেয়ে)
যখন আপনারা কলেজ ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ছিলেন
ছবি গুলো ডিলিট দিয়ে দেন
.
সরি চাচা জানুক তার গুনধর মেয়ে কলেজে ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
তোকে তো আমি আজ।
ভালোয় ভালোয় বলছি বাবাকে কিছু বলবি না আর ছবি গুলো ডিলিট করে দে(অনেক রেগে)
আজ তোর কপালে শনি আছে এই রোদেলা কি তুই জানিস না
এই বলে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে গেলো।
দুপুরে গোসল করতে নদীতে গেলাম।
বড়িতে বাথরুম আছে কিন্তু অনেক দিন পর গ্ৰেমে এলাম তো তাই নদীতে গোসল করতে ইচ্ছে হলো।
আমি নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছি।
হঠাৎ কে জেনো পিছন থেকে ধাক্কা দিল আমি নদীতে পরে
গেলাম তারপর দেখি রোদেলা আমাকে ধাক্কা মেরেছে। আমি সাঁতার
জানি কিন্তু ইচ্ছে করে ডুবে যাওয়ার অভিনয় করলাম।
আমি পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি আর রোদেলা কুলে দাঁড়িয়ে হাসাহাসি করেছে
ওর সাথে ওর দুই বান্ধবীও রয়েছে। আমি অনেকক্ষন হাবুডুবু খাওয়ার
পর ডুব দিলাম অনেকক্ষন হয়ে গেলো উঠছিনা দেখে
রোদেলা মনে‌মনে ভাবছে
.
কি হলো রাকিব এখনো উঠছে না কেনো আবার ডুবে গেলো নাতো।
আমিতো ভেবেছি গ্ৰামের ছেলে সাঁতার জানে নিচ্ছই(মনে মনে ভাবছে আর ভয়ে চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে)
হঠাৎ রোদেলা ডুকরে কেঁদে উঠলো
কিরে তুই কাদছিস কেনো(রোদেলার বান্ধবী)
রাকিব মনে হয় সাঁতার জানেনা। এখন যদি ওর‌ কিছু হয়ে যায় (কাঁদে কেঁদে বলছে)
দারা আমরা দেখছি কি করা যায়
ওরা এইসব বলছে আর রোদেলা কান্না করছে।
আর আমি ডুব দিয়ে সাঁতরে অন্য পাশ দিয়ে কূলে উঠে বসে ওর কান্না দেখছি। আমি রোদেলার পিছে গিয়ে বললাম……
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com