Breaking News

শ্বশুরবাড়ী ইদ মোবারক | পর্ব -০২



কারণ ঘরে গিয়ে দেখতে পায় তার ভাতিজা আয়ান বসে আছে খাটের উপরে।
আয়ান’কে দেখার পর সামিয়ার মন ভালো হয়ে যায় তাই সব রাগ ভূলে গিয়ে আয়ানের সাথে দুষ্টুমিতে মেতে উঠে।
দুপুরে তামিম বাইরে থেকে তার শ্বশুরবাড়ীতে ফিরে।
কিন্তু সেখানে ফেরার পর বাসার সবাইকে কেমন যেন অন্যরকম মনে হচ্ছে এবং বিশেষ করে সামিয়া’কে।
তারপরও বিষয়টিকে গায়ে না মেখে স্বাভাবিকভাবে থাকার চেষ্টা করে।
দুপুরে জামাই আদর খুব ভালোভাবেই হল একমাত্র জামাই বলে কোনো কমতি রাখা হয় নাই খাতির-যত্নের।
দুপুরে খাওয়া শেষে পেটে হাত বোলাতে বোলাতে সামিয়ার ঘরে যায় তামিম,আজকে অনেক খাওয়া
হয়ে গিয়েছে সাধারণত এত খাবার সে কখনও খায় না কিন্তু এখানে শাশুড়ি আর শ্যালক-পত্নী মিলে তাকে
যেভাবে খাবারগুলো দিয়েছে তাই না খেয়েও পারল না।
এখন সমাজ রক্ষ্যা করতে গিয়ে নিজেরই অবস্থা বেহাল হয়ে গিয়েছে।
তাই পেট চেপে ধরে নিয়ে বিছানায় আরাম করে শুয়ে পড়ল তামিম এবং চোখ বন্ধ করে একটু ঘুম পড়ার চেষ্টা করছে।
.
কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখার পর তার ঘুম চলে আসে কিন্তু সেই ঘুম আর বেশিক্ষণ স্থিতি হল না।
সে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর আগেই কোত্থেকে যেন সামিয়া এসে খুব জোরে তার ঘরের দরজাটি বন্ধ করল। এভাবে দরজা লাগানোর শব্দে তামিমের ঘুম ভেঙে যায় আর কিছুটা আতকে শুয়া থেকে উঠে বসে।
এমনভাবে দরজা লাগানোর কারণে তামিম, সামিয়া’কে জিজ্ঞাসা করে-
তামিমঃ- কী হল এভাবে দরজা লাগিয়েছ কেন?
সামিয়াঃ- আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই লাগিয়েছি।
তামিমঃ- আচ্ছা তাই বলে এভাবে রেগে আছো কেন?
সামিয়াঃ- সেটাও আমার ইচ্ছা আপনাকে বলতে যাব কেন?
তামিমঃ- আহা কী হয়েছে বলবে ত?
সামিয়াঃ- আমরা আজকেই বাসায় ফিরে যাব।
তামিমঃ- মানে?
.
সামিয়াঃ- কথা কানে যায় না? বললাম আজকেই বাসায় ফিরে যাব।
তামিমঃ- কিন্তু কেন?
সামিয়াঃ- এমনি ভালো লাগছে না তাই চলে যাব।
তামিমঃ- ভালো লাগছে না মানে? সেদিন না বললে ইদের পরদিন বাবার বাড়ীতে কিছুদিন
থাকবে কিন্তু একদিন হয়ে পারল না বলছ চলে যাবে। কেন কোনো সমস্যা?
তাছাড়া আমি ত তোমার সাথেই রয়েছি এমন ত নয় যে আমি
নেই তাই আমাকে মিস করার জন্য চলে যাবে। এসেছ যখন আরও কয়েকটা দিন থাকো।
সামিয়াঃ- বললাম না আজকেই যাব মানে আজই যাব।
তামিমঃ- দেখও এভাবে হুট করে কি চলে যাওয়া যায় বল? তাছাড়া বাড়ীর সবাই কী ভাব্বেন?
.
সামিয়াঃ- যে যা ভাবার ভাবুক তাতে আমার কিছু আসে যায় না কিন্তু আমি এখানে থাকব না ত থাকব না ব্যাস।
তামিমঃ- আচ্ছা সে না হয় দেখা যাবে তুমি এখন আসো একটু ঘুমিয়ে নাও।
সামিয়াঃ- দেখাদেখির কোনো কারবার নাই যাব বলেছি যাব এবং আজ বিকালেই।
তামিমঃ- আহা ভালো জ্বালায় ফেললে ত তুমি। এত জেদ ভালো না কিন্তু সামিয়া। তোমাকে ত বলেছি সময় হলে চলে যাব তখন বলতেও হবে না কিন্তু এভাবে হুট করে চলে যাওয়ার মত জামাই আমি নই। তাছাড়া আমার একটি সম্মান রয়েছে এই বাড়ীতে এখন আমি তোমার কথা মত চলে গেলে তারা ভাব্বেন আমি বউয়ের কথায় উঠি বসি।
সামিয়াঃ- কী বা আর সম্মান রেখেছেন আপনি যে এখন সম্মানের কথা বলছেন।
তামিমঃ- মানে কী বলছ?
সামিয়াঃ- মানে কিছুই বুঝেন না?
.
তামিমঃ- নাহ বললে কীভাবে বুঝব?
সামিয়াঃ- আচ্ছা আপনার লজ্জা করে না শ্বশুরবাড়ীর এলাকায় বসে সিগারেট খেতে?
তামিমঃ- কী বলছ এসব?
সামিয়াঃ- একদম সাধু সাজার চেষ্টা করবেন না আমি সব জানি আপনি আমাদের এলাকার দোকানে বসে সিগারেট টানছিলেন।
তামিমঃ- কী বল তুমি জানলে কীভাবে?তুমি কী আমাকে অনুসরণ করছিলে?
সামিয়াঃ- আমি দেখলে ত আর ঝামেলা ছিল না কিন্তু দেখেছেন ত বাবা।
তামিমঃ- কীহহ বাবা মানে আমার শ্বশুর আব্বা?
সামিয়াঃ- জ্বী হ্যা!
.
তামিমঃ- হায় রে তাইলে পুরাই কেস খেয়ে গেছি এখন উনার সামনে কীভাবে মুখ দেখাব আমি?
সামিয়াঃ- সিগারেট খাওয়ার সময় মনে ছিল না? আপনি ত আমাকে কথা দিয়েছিলেন যে সিগারেট খাবেন না কিন্তু আপনি আবারও খেয়েছেন আর খেলেন না খেলেন আমার বাবার এলাকাতে তাও বাবার সামনেই ধরা পড়লেন।
তামিমঃ- আর বইল না এখানে এসে দেখা হয়ে গেল আমার এক স্কুল ফ্রেন্ডের সাথে পরে তার সাথে কথা বলতে বলতেই ওর সাথে ধরিয়ে ফেলি।
সামিয়াঃ- বাহ কী গর্বের কথা বললেন।
তামিমঃ- আহা এভাবে বলছ কেন?
সামিয়াঃ- ত কীভাবে বলব শুনি?
.
তামিমঃ- থাক বাদ দাও এসব কথা,তবে আজ আমরা যাব না গেলে বাবা ঠিকই ধরে নিবেন আমি হয়ত জানতে পেরেছি বিষয়টি। তাহলে আমি বাবার সামনে দাড়াতে পারব না। তুমিও এমন ভাব কর যেন আমাকে কিছুই বল নাই।
সামিয়াঃ- বাব্বাহ মশাইয়ের দেখছি চুরি করেও অনেক বুদ্ধি আছে।
তামিমঃ- তুমি কিন্তু শুধু শুধু মজা নিচ্ছ এখন আমার সাথে, এমনিতেই চিন্তায় আছি বাবা দেখে ফেলেছেন উনি কী ভাবলেন। তাছাড়া আমি এ বাড়ীর একমাত্র জামাই এবং নতুন জামাই এখন যে কী করি।
সামিয়াঃ- যখন খেয়েছিলেন তখন মনে ছিল না?
তামিমঃ- আরে আমি কী বুঝেছিলাম যে ঐখানে বাবা আসবেন। যদি জানতাম এমন হবে তাহলে ত আমি আর ওখানে বসতাম না।
.
সামিয়াঃ- হুহ তারপরও সিগারেট ছাড়বেন না তাই বুঝাতে চাচ্ছেন।
তামিমঃ- কী যে বল তুমি এই যে ধরা খেলাম এরপর আর না। তাছাড়া এতদিনের পুরাতন অভ্যাস কীভাবে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া যায় বল? একটু ত সময় লাগবে।
সামিয়াঃ- সময় ত অনেক হল এতদিনে ত ছেড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু আপনি ত ঐ সুযোগ পেলেই সুখটান দেওয়ার চিন্তায় থাকেন।
তামিমঃ- আচ্ছা বাদ দাও এমনিতেই অনেক খাওয়া হয়ে গিয়েছে তার উপর এই এক কেলেঙ্কারি বাধিয়েছি। এখন একটু ঘুমিয়ে নেই তারপর বাকীটা দেখা যাবে।
সামিয়াঃ- আচ্ছা ঘুমান তাহলে।
কথা না বাড়িয়ে দুজনে ঘুমিয়ে পড়ে।
.
রাতেরবেলা…
তামিম ঘুম থেকে উঠেছিল সেই বিকালে কিন্তু ঘর থেকে আর বাইরে বের হয় নাই কারণ সকালে একবার বেরিয়ে যে কান্ড ঘটেছে তাই আর চায় না পরবর্তীতে নতুন কিছু হোক এজন্য ঘরে থাকাটাকেই উপযুক্ত মনে হয়েছে তার।
ঘরে বলতে শুধুমাত্র সামিয়ার ঘরেই বসে ছিল বাইরে অন্য কোনো ঘরে সে যায় নাই। কারণ তার বের হতে কেন যেন লজ্জা করছে যদি তার শ্বশুরের সাথে দেখা হয়ে যায় তাহলে লজ্জায় পড়তে হবে।
তবে একটি বিষয়ে সে অজানা আর সেটি হল সামিয়া তাকে বলেছে শুধু তার বাবা জানে এই বিষয়টি কিন্তু এই বিষয় যে বাড়ীর সবাই জেনে গিয়েছে তা তাকে জানানো হয় নাই। যদি সে এই কথা জানতে পারত তাহলে হয়ত আর এখানে থাকতে চাইত না দৌড়ে পালাত লজ্জা নিয়ে।
যাই হোক এসব কারণেই সামিয়া তাকে সম্পূর্ণটি জানায় নাই।
.
সারাদিন ঘরে থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখলেও এখন রাতের খাবারের জন্য তাকে ঘর থেকে বের হতে হল।
তবুও খুব সাবধানে ঘর থেকে বের হল যেন কোনোভাবে তার শ্বশুরের সাথে দেখা না হয়ে যায়।
কিন্তু কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয় ঠিক তাই হল ঘর থেকে বেরিয়ে যখন চুপি চুপি খাবার টেবিলের দিকে যায় আর তখনই তার সামনে আছাদ সাহেব এসে হাজির হন।
আছাদ সাহেব’কে দেখে তামিম এর পা আর চলতে চায় না তবে বিষয়টি ভয়ের জন্য নয় লজ্জার কারণে।
.
আছাদ সাহেব, তামিম’কে দেখে বললেন-
আছার সাহেবঃ- কী ব্যপার বাবাজী,তোমাকে ত আজ সারাদিন তেমন একটা দেখলাম না।
তামিমঃ- নাহ মানে আব্বা সকালে ত বাসায় ছিলাম না আর দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তাই হয়ত দেখতে পান নাই।
আছাদ সাহেবঃ- তাই হবে তা বাবাজী তোমার শরীর ভালো আছে ত?
তামিমঃ- জ্বী আব্বা আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালোই আছি।
আছাদ সাহেবঃ- যাক শুনেও ভালো লাগল তা এখানে কেমন লাগছে? আমাদের আদর যত্নে কোনো ত্রুটি থাকছে না ত আবার?
তামিমঃ- নাহ নাহ আব্বা আপনি যে কী বলেন? এসব বলে আমাকে লজ্জা দিবেন না। এখানে আলহামদুলিল্লাহ্‌ খুব ভালোই আছি মনে হচ্ছে নিজের বাড়ীতেই আছি।
আছাদ সাহেবঃ- দেখ পাগল ছেলের কথা, আরে বাবাজী এটাত তোমারও বাড়ী। আশফাক আর সামিয়া যেমন আমাদের ছেলে-মেয়ে ঠিক তুমি আর আমার বউমাও আমাদের ছেলে-মেয়ে তাই এমন কথা আর বলবে না।
তামিমঃ- ঠিক আছে আব্বা আর বলব না।
আছাদ সাহেবঃ- চল এখন অনেক রাত হয়েছে খেতে হবে।
তামিম আর কথা না বাড়িয়ে আছাদ সাহেব এর সাথে চলে যায় খাবার টেবিলে।
.
রাতের খাবারের পর…
রাত্রে খাওয়ার পর একটু হাটাচলা করার অভ্যাস রয়েছে তামিম এর। তাই খাওয়া শেষে একটু বাসার বারান্দায় হাটাচলা করছে আর মোবাইল চালাচ্ছে।
ঠিক তখনই আছাদ সাহেবের আগমন হয়। আছাদ সাহেব’কে দেখে তামিম তার হাতে থাকা ফোনটিকে পকেটে রেখে জিজ্ঞাসা করে-
তামিমঃ- আব্বা আপনি ঘুমান নাই?
আছাদ সাহেবঃ- নাহ খাওয়ার পর একটু হাটা চলা না করলে ঘুম আসে না কেমন যেন অসস্থি লাগে।
তামিমঃ- ওহ আচ্ছা।
আছাদ সাহেবঃ- তা তুমি ঘুমাও নাই কেন?
তামিমঃ- আব্বা আমারও আপনার মত একই অভ্যাস খাওয়ার পর অস্থির লাগে তাই হাটাচলা করে পেটের খাবার হজম করি।
আছাদ সাহেবঃ- যাক এইটা ভালো একটা কাজ বাবাজী আসলে এখনকার পোলাপান ত খায় আর শুয়ে পড়ে এরপর দেখা যায় নানারকম সমস্যায় ভুগে।
তামিমঃ- জ্বী আব্বা।
.
আছাদ সাহেবঃ- তা বাবাজী তোমার জন্য ত একটা উপহার আছে আমার তরফ থেকে।
তামিমঃ- তাই নাকি আব্বা,কই দেখি?
আছাদ সাহেবঃ- দাড়াও আমি ভিতর থেকে নিয়ে আসছি।
এরপর আছাদ সাহেব ঘরের ভিতর গেলেন আর কিছুক্ষণ পর হাতে রঙিন কাগজে মোড়ানো কিছু একটি এনে তামিম এর হাতে দিয়ে বললেন খুলে দেখতে।
তামিমও খুব উৎসাহ নিয়ে তার উপহারটি খুলতে থাকে। রঙিন কাগজগুলো খোলার পর দেখতে পায় একটি কাচের জার এবং তার ভিতরে বেশ কিছু লম্বা লম্বা চকলেট রোল।
এটা দেখে তামিম অবাক হয়ে যায় কিন্তু কিছু বলে না হাতে নিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে।
তামিম’কে এভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটু মুচকি হাসি দিয়ে আছাদ সাহেব বললেন-
আছাদ সাহেবঃ- কী হল বাবাজী তোমার উপহার পছন্দ হয় নাই?
তামিমঃ- নাহ আব্বা কী যে বলেন? পছন্দ হবে না কেন?
আছাদ সাহেবঃ- তাহলে মুখ এমন করে রাখছ কেন?
তামিমঃ- নাহ এইগুলা ত ছোট থাকতে অনেক খেয়েছি তাই এখন দেখে একটু অবাক হলাম।
আছাদ সাহেবঃ- আসলে বাজারে এইটা দেখলাম তাই নিয়ে এলাম তাছাড়া তুমি ত আবার লম্বা রোল খেতে পছন্দ কর দুই আঙুলের মাঝে রেখে।
তামিমঃ- নাহ মানে আব্বা রোল ত খেতে পছন্দ করি ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি।
আছাদ সাহেবঃ- হ্যা এখনও খাও।
তামিমঃ- আচ্ছা আব্বা আমি পরে খেয়ে নিব এখন ঘরে যাই ঘুম পাচ্ছে।
আছাদ সাহেবঃ- আচ্ছা ঘুমাও তাহলে।
কথা শেষ হতেই তামিম দ্রুত পায়ে আছাদ সাহেব’কে পাশ কাটিয়ে ঘরে চলে যায় আর এদিকে আছাদ সাহেব তার জামাইয়ের এমন অবস্থা দেখে অনেক কষ্টে হাসি চেপে ধরে রাখেন।
.
ঘরে সামিয়া বিছানা ঠিক করছে ঘুমানোর জন্য আর তখনই তামিম এসে ঘরে প্রবেশ করে এবং দরজা লাগিয়ে দেয়। তামিম’কে এভাবে ঘরে ঢুকে দরজা লাগাতে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যায় আর সবথেকে বেশি অবাক হয় তার হাতে থাকা কাচের জারটি দেখতে পেয়ে।
সামিয়া’কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে তামিম জিজ্ঞাসা করে-
তামিমঃ- কী হল এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
সামিয়াঃ- আপনার হাতে ঐটা কী?
তামিমঃ- ওহ এইটা? এইটা হল একটি বোল্ড আউটের ট্রফি।
সামিয়াঃ- মানে?
..
তামিমঃ- মানে হল একে বলে বিনা বাক্যে বাশ দেওয়া।
সামিয়াঃ- আহা কী যে বলেন বুঝি না কিছুই,একটু ঠিকভাবে বলুন।
তামিমঃ- এটি হল আব্বা আমাকে দিয়েছেন আর কী বলেছেন শুনবা?
সামিয়াঃ- কী?
তামিমঃ- আমি নাকি লম্বা চকলেট রোল পছন্দ করি তাও দুই আঙুলের ভিতরে রেখে তাই আমার জন্য এটি নিয়ে এসেছেন।
সামিয়াঃ- তা ক্ষতি কীসের? আপনাকে ত বাবা ভালোবেসেই দিয়েছেন।
তামিমঃ- ওরে তুমি বুঝলে না এখনও?
সামিয়াঃ- কী বুঝব?
তামিমঃ- এই দেখও রোলগুলার সাইজ একদম সিগারেটের মত আর আব্বা আমাকে সকালে সিগারেট খেতে দেখেছেন তাই ত উনি এটি এনে আমাকে বললেন দুই আঙুলের ভিতর নিয়ে খেতে তারমানে উনি আমাকে বিনা বাক্যে বুঝিয়ে দিলেন সকালের বিষয়টি। এবার বুঝতে পেরেছ?
সামিয়াঃ- হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা!
তামিমঃ- আরে হাসছ কেন এভাবে?
সামিয়াঃ- হাসব না ত কী করব? আমার আব্বা যে এভাবে আপনাকে গোল দিবে ভেবেই মজা লাগছে আরও যান সিগারেট খাইতে আর এমন গোল খান।
তামিমঃ- ধুর তোমার সাথে আর কথা না বলে ঘুমাতে যাওয়া ভালো।
সামিয়াঃ- হু যান যান খাইছেন ত গোল আর কী বলবেন।
তামিমঃ- হুহ দিন আমারও আসবে তখন তোমাকে দেখে নিব।
সামিয়াঃ- আচ্ছা দেখেন এখন ঘুমান সকালে উঠতে হবে।
দুজনে খুনসুটি করতে করতে ঘুমিয়ে যায়।
.
রাত্রে হঠাত ঘুম ভেঙে যায় তামিম এর চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে চারিদিকে অন্ধকার কিন্তু তার মনে হচ্ছে আশাপাশে কেউ আছে। তাই সে উঠার চেষ্টা করলে উঠতে পারে না এভাবে কয়েকবার চেষ্টা করলেও উঠতে পারে না তখন তার বুঝতে বাকি নেই তাকে বেধে রাখা হয়েছে।
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com