Breaking News

একটুখানি দেখতে পাওয়া

হায় আল্লাহ্‌ ,আপনি এখানে?
:- হুম,চলে এলাম গতকাল মেলায় ত আর দেখা হল না আমাদের।
কথা হচ্ছিল সাকিব এবং সামিরার মাঝে। তারা একে অপরকে চিনে প্রায় চার বছর ধরে তবে তাদের দেখা হয়েছে মাত্র একবার তাও তিন বছর আগে। আসলে তাদের পরিচয় হয় কাকতালিয়ভাবে। সাকিবের এক বড় ভাই তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় সাকিবকেও সাথে করে নিয়ে যায়। এদিকে সাকিবের সেই বড় ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ডের চাচাতো বোন হল সামিরা সেই সুবাদে তাকেও সাথে করে নিয়ে আসা হয় দেখা করার সময়, তাই সেদিন তাদের রেস্টুরেন্টে প্রথম দেখা এবং পরিচয় হয়। তবে সেদিন তাদের মাঝে তেমন কোনো কথা হয় নাই। ঐদিনের পর সবাই যার যার মত করেই চলছিল তার মাঝে সাকিবের সেই বড় ভাই এবং তার গার্লফ্রেন্ডের ব্রেকয়াপও হয়ে যায়।
.
এই ঘটনার এক বছর পর হঠাত একদিন সাকিব তার মেসেঞ্জারের ফিল্টার মেসেজ চেক করতে গিয়ে অচেনা এক আইডি থেকে মেসেজ দেখতে পায়। এরপর সেই মেসেজ এর রিপ্লাই করে একটু একটু কথা বলার পর অবশেষে চিনতে পারে এই অচেনা আইডির মালিক সামিরা।
.
এরপর থেকেই তাদের টুকিটাকি কথা হতে থাকে এবং এভাবেই আস্তে আস্তে তারা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় একে অপরের সব কিছু শেয়ার করে দুজনে। তাদের এই বন্ধুত্ব দেখতে দেখতে তিন বছর পার হয়ে গিয়েছে কিন্তু এই তিন বছরে তারা একটিবারও দেখা করে নাই। শুধুমাত্র ওই মেসেঞ্জারে মেসেজ এবং ফোনে কথা বলাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। প্রতিবার দুজনে দেখা করতে চাইলেও কোনো না কোনো কারণে আর দেখা করা হয়ে উঠে না।
তবে তারা চাইলেও এত সহজে দেখা করতে পারে না কারণ তাদের দুজনের বাসস্থান দুই শহরে।
সাকিব এর বাসা খুলনা জেলায় আর সামিরার বাসা যশোরে। দুজনের মাঝে এই একটিমাত্র দূরত্ব রয়েছে তবে সামিরার নানাবাড়ি খুলনাতে শুধু তাই নয় সাকিবের বাড়ীর খুব কাছেই। কিন্তু সব সময় নানাবাড়ীতে তার আসা হয়ে উঠে না আর আসলেও পরিবারের সাথে এসে অল্প সময় থেকে চলে যায় তাই দেখা করার সুযোগ পায় না।
তাই এবারও ইদ উপলক্ষ্যে সামিরা ইদের চতুর্থ দিন খুলনা এসেছে তার নানাবাড়ীতে ঘুরতে। সেই খবর শোনার পর সাকিবও উতলা হয়ে যায় দেখা করার জন্য। তাই সে তাদের এলাকাতে ইদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলায় সামিরাকে আমন্ত্রণ জানায়। সাকিবের কথা অনুযায়ী সামিরাও সেদিন বিকালে মেলাতে আসার জন্য রাজী হয়।
অতঃপর তারা মেলায় উপস্থিত হয় কিন্তু দুজনের ভাগ্য হয়ত সহায় ছিল না। কারণ মেলা আয়োজন কমিটির সদস্য হিসেবে ছিল সাকিব তাই তাকে অনেক দিক এর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছিল আর এদিকে সামিরাও এসেছিল তার পরিবারের সাথে যার জন্য সেও পরিবারের বাইরে কিছু করতে পারছিল না। তাই দুজনে একই মেলাতে অবস্থান করলেও কেউ কারও সাথে দেখা করতে পারে নাই।
দুজনে এত কাছে এসেও দেখা করতে না পারায় সাকিবের মন খুব উসখুস করছিল নিজের কপাল চাপড়াচ্ছিল বারে বার।
.
এদিকে সামিরারও ছুটি শেষ হয়ে যাওয়াও ঐদিন রাতেই তাকে যশোর ফিরে আসতে হয়।
পরদিন সামিরা কলেজ থেকে বেরিয়েই দেখতে পায় তার কলেজের সামনে সাকিব দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সাকিবকে দেখতে পেয়ে সামিরা অবাক হয়ে যায় এবং উপরের কথাটি বলে-
সামিরাঃ- হুম বুঝতে পেরেছি কিন্তু তাই বলে এভাবে চলে আসবেন কিছু না বলেই?
সাকিবঃ- কেন তুমি খুশি হও নাই?
সামিরাঃ- হ্যা খুব খুশি হয়েছি তবে তার থেকে অবাক হয়েছি অনেক।
সাকিবঃ- আসলে গতকাল তোমাকে এত কাছে পেয়েও দেখতে পেলাম না তাই সারারাত আর ঘুম হল না এজন্য সকাল না হতেই আব্বুর বাইক নিয়ে রওনা দিলাম।
সামিরাঃ- হায় আল্লাহ্‌ আপনি বাইক চালিয়ে এতদূর এসেছেন?
সাকিবঃ- হ্যা!
.
সামিরাঃ- আচ্ছা আপনি কী পাগল? আপনি নিজেই পারেন না ঠিকভাবে বাইক চালাতে আর সেই আপনিই এত পথ বাইক চালিয়ে এসেছেন তাও কত বড় বড় গাড়ী চলে তার ভিতর থেকে যদি কিছু হয়ে যেত?
সাকিবঃ- আহা তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছ আমাকে নিয়ে,আল্লাহ্‌র রহমতে কিছুই হয় নাই এই দেখ তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি কী সুন্দরভাবে।
সামিরাঃ- হ্যা তা দেখতে পারছি তাই বলে এমন পাগলামী কেউ করে?
সাকিবঃ- কী আর করব বল? গতকাল তোমাকে দেখতে না পাওয়াটাই আমাকে খুব ভাবাচ্ছিল তাই সকালেই বের হয়ে গেলাম তোমার শহরের উদ্দেশ্যে।
সামিরাঃ- হুম বুঝতে পারছি, আপনাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সারারাত ঘুমান নাই তাই চেহারাটা কেমন এলোমেলো হয়ে আছে।
.
সাকিবঃ- হুম!
সামিরাঃ- এত সকালে চলে আসছেন নিশ্চয়ই কিছু খানও নাই।
সাকিবঃ- উহু!
সামিরাঃ- আপনাকে নিয়ে আমি আর পারব না এমন কেন আপনি? এত পাগলামী কেন করেন?
সাকিবঃ- জানি না।
সামিরাঃ- হ্যা একটাই ত কথা বলতে পারেন জানি না।
সাকিবঃ- হুম!
সামিরাঃ- আবার বলে হুম!
সাকিবঃ- তাহলে কী বলব?
সামিরাঃ- কিছু বলা লাগবে না চুপ করে থাকুন আর আমার সাথে চলুন।
সাকিবঃ- কোথায়?
সামিরাঃ- রেস্টুরেন্টে!
সাকিবঃ- কেন?
সামিরাঃ- রেস্টুরেন্টে কেন যায় মানুষ?
সাকিবঃ- কেন আবার খাওয়া-দাওয়া করার জন্য।
সামিরাঃ- তাহলে জিজ্ঞাসা করলেন কেন?
সাকিবঃ- এমনি।
.
সামিরাঃ- তাহলে চলেন আমার সাথে সকালে ত কিছু খান নাই এখন খাবেন রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে।
সাকিবঃ- নাহ আমি ঠিক আছি কিছু খাব না ক্ষুধা নাই।
সামিরাঃ- কে বলেছে আপনার ক্ষুধা নাই,আমি স্পষ্ট দেখতে পারছি আপনার চোখ মুখে ক্লান্তির ছাপ দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব খিদে পেয়েছে। এখন কোনো কথা নয় চলুন আমার সাথে।
সাকিবঃ- আসলে সামিরা হয়েছে কী জানো।
সামিরাঃ- কী হয়েছে?
সাকিবঃ- তাড়াহুড়া করে আসার সময় মানিব্যাগটি আনতে ভূলে গিয়েছি।
সামিরাঃ- মানিব্যাগ দিয়ে কী হবে? আমি কী আপনার কাছে টাকা চেয়েছি?
সাকিবঃ- নাহ!
সামিরাঃ- তাহলে এত বেশি বুঝেন কেন? চুপচাপ আমার সাথে চলুন।
সাকিবঃ- আচ্ছা।
এরপর তারা দুজনে একটি রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে খাবার অর্ডার করে।
.
খাবার আসার পর সাকিব শুধু খাবার সামনে নিয়ে বসে রয়েছে কিন্তু খাচ্ছে না। এই দেখে সামিরা জিজ্ঞাসা করে-
সামিরাঃ- কী হল খাচ্ছেন না কেন?
সাকিবঃ- নাহ এমনি।
সামিরাঃ- কী হয়েছে বলবেন ত,খাবার পছন্দ হয় নাই?
সাকিবঃ- আরে না সেরকম কিছু না।
সামিরাঃ- তাহলে?
সাকিবঃ- গতকাল মেলায় কাজ করতে গিয়ে হাতের তালুতে কিছুটা কেটে গিয়েছে তাই ঝাল লাগলে খুব জ্বলছে।
সামিরাঃ- কী হাত কেটে গিয়েছে? আমাকে আগে বললেন না কেন? দেখি কতটুকু কেটেছে?
সাকিবঃ- বেশি না এই অল্প একটু। (হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
সামিরাঃ- এটিকে আপনি অল্প একটু বলছেন? কতটা গভীরভাবে কেটেছে ভিতরের মাংস দেখা যাচ্ছে।
সাকিবঃ- আমিও বুঝতে পারি নাই হঠাত করেই লোহার সাথে ঘসা লেগে এই অবস্থা হয়েছে।
সামিরাঃ- ডাক্তার দেখিয়েছিলেন?
.
সাকিবঃ- নাহ এসবের জন্য কী আবার ডাক্তার লাগে নাকি? কোনোভাবে পানিতে ধুয়ে একটু দূর্বাঘাস চেপে রুমাল দিয়ে বেধে রেখেছিলাম ব্যস রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
সামিরাঃ- বাহ বাহ বাহ কত বড় ডাক্তার এলেন আমার। হ্যা ঠিক আছে যা করেছেন ঐটাও কাজের কিন্তু তাই বলে এভাবে খোলা রেখে দিবেন? একটু ব্যান্ডেজ করে রাখলে ত আর ধুলাবালি যায় না ওখানে।
সাকিবঃ- ব্যান্ডেজ করলে কেমন যেন চাপা চাপা লাগে হাতের ভিতরে তাই খুলে রাখছি।
সামিরাঃ- হুম আপনার সাথে কথা বলে আমি পারব না সব সময় একটা না একটা যুক্তি নিয়ে হাজির হবেন। নিন এখন হা করুন।
.
সাকিবঃ- কেন?
সামিরাঃ- আমি খাওয়ায় দিব তাই।
সাকিবঃ- এই লাগবে না আমি নিজেই খেতে পারব, তুমি শুধু শুধু কষ্ট করতে যাবে কেন? তাছাড়া আশেপাশের মানুষ দেখলে কী ভাব্বে বল? আর এটি তোমার শহর এখানে তোমার পরিচিত কেউ এভাবে দেখলে বাড়ীতে বলে দিবে।
সামিরাঃ- দেখুন এটি আমার শহর ঠিক আছে কিন্তু আমার এলাকা নয়। আমার এলাকা এখান থেকে অনেক দূরে তাই কেউ আমাকে চিনবেও না। এবার কথা না বলে হা করুন খাওয়ায় দেই আমি।
সাকিবঃ- আচ্ছা ঠিক আছে।
এরপর সামিরা,সাকিবকে অনেক যত্ন করে খাওয়ায় দিচ্ছে। সাকিবও চুপচাপ খেয়ে নিচ্ছে আর মাঝে মাঝে দুজনে একটু আধটু গল্প করছে।
খাওয়া শেষে দুজনে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আবারও কলেজের কাছে এসে একটি ফাকা জায়গায় দাঁড়ায় যেখানে সাকিব তার বাইক রেখে গিয়েছিল।
.
সেখানে আসার পর সামিরা বলল-
সামিরাঃ- দেখেছেন অনেক সময় ধরে আমরা একসাথে ছিলাম কিন্তু মনে হচ্ছে খুবই কম সময় রয়েছি।
সাকিবঃ- হ্যা সময় যে কীভাবে চলে যায় বোঝা বড় দ্বায়।
সামিরাঃ- হুম,কিন্তু এখন যে আমাকে ফিরতে হবে বাসায় নয়ত সবাই চিন্তা করবে। কারণ কলেজ অনেক আগেই ছুটি দিয়েছে। হয়ত এতক্ষণে বাসায় আমাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া আজ ফোনটিও নিয়ে আসা হয় নাই কলেজে।
সাকিবঃ- চলে যাবা তাহলে?
সামিরাঃ- হুম যেতে যে হবে।
সাকিবঃ- কিন্তু তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না।
সামিরাঃ- কিন্তু কিছুই করার নাই এটাই বিধাতার নিয়ম।
সাকিবঃ- আবার কবে দেখা হবে?
সামিরাঃ- জানি না তবে এভাবে পাগলামী করবেন না।
সাকিবঃ- কিন্তু মন ত পাগলামী করতে চায় বার বার।
সামিরাঃ- তাহলে কিন্তু দেখা দিব না বলে দিচ্ছি আগে থেকেই।
সাকিবঃ- এ কেমন কথা?
.
সামিরাঃ- এটাই সঠিক কথা জনাব। এরপর দেখা করতে হলে দুজনে গুছিয়ে পরিকল্পনা করে তারপর দেখা করব,এভাবে পাগলামী করে নয় বুঝেছেন?
সাকিবঃ- আচ্ছা বুঝলাম।
সামিরাঃ- এইত লক্ষ্মী ছেলে,এখন তাহলে যেতে হবে আমাকে আর আপনিও ফিরে যান।
সাকিবঃ- আচ্ছা আমি তোমাকে বাইকে করে এগিয়ে দিয়ে আসি তোমার বাসা পর্যন্ত?
সামিরাঃ- মাথা খারাপ নাকি আপনার? যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে কী কান্ডটাই না হয়ে যাবে আমার বাড়ীতে।
সাকিবঃ- হ্যা তাও ঠিক বলেছ,তাহলে চল তোমাকে গাড়ীতে তুলে দেই।
সামিরাঃ- থাক দরকার নেই আমি একা চলে যেতে পারব,আপনি সাবধানে যাবেন আর হ্যা রাস্তার একপাশ থেকে বাইক চালাবেন বেশি জোরে চালাবেন না।
সাকিবঃ- আচ্ছা ঠিক আছে ম্যাডাম।
সামিরাঃ- আর এই নিন এটি রাখুন। (৫০০টাকার একটি নোট এগিয়ে দিয়ে।)
সাকিবঃ- টাকা দিচ্ছ কেন? এটি দিয়ে কী করব?
সামিরাঃ- আপনি মানিব্যাগ ফেলে এসেছেন তাই পকেটে টাকাও নাই। পথে কোনো প্রয়োজনে লাগতেও পারে তাই এটি রেখে দিন।
সাকিবঃ- কিন্তু!
সামিরাঃ- কোনো কিন্তু নয় যা বলছি তাই করুন আর হ্যা ধার হিসেবে দিচ্ছি যখন আমার দরকার হবে উসুল করে নিব।
.
সাকিবঃ- আচ্ছা ঠিক আছে।
সামিরাঃ- যা বলেছি সেইভাবে গাড়ী চালাবেন আর এই হেলমেট মাথায় দিয়ে গাড়ী চালাবেন।
সাকিবঃ- আচ্ছা আর কিছু করা লাগবে কী ম্যাডাম?
সামিরাঃ- নাহ আর কিছু করা লাগবে না শুধু পৌছে আমাকে জানিয়ে দিবেন।
সাকিবঃ- ঠিক আছে তাহলে আমি চলি, আল্লাহ হাফেজ।
সামিরাঃ- সাবধানে যাবেন।
সাকিবঃ- তুমিও সাবধানে যেও বাসায়।
সামিরাঃ- হুম!
কথা শেষ করে সাকিব যেই বাইক স্টার্ট দেয় তখনই সামিরা আবার তাকে ডেকে থামিয়ে দেয়-
সাকিবঃ- কী হল আবার?
সামিরাঃ- দাড়ান এক মিনিট।
এরপর সামিয়া, সাকিবের কাছে এসে চোখ বন্ধ করে বীড় বীড় করে কী যেন পড়ল তারপর তিনবার ফু দিল সাকিবের মুখে এবং বুকে।
ফু দেওয়ার পর সামিরা বলল-
সামিরাঃ- দোয়া করে দিয়েছি যেন পথে কোনো বিপদ না হয়।
সাকিবঃ- বাহ কত ভাবো আমাকে নিয়ে।
সামিরাঃ- মোটেও ভাবি না তবে আপনি বাইক চালাতে পারেন না ভালোভাবে এজন্য চিন্তা হচ্ছে।
সাকিবঃ- এই যে দোয়া করে দিয়েছ এখন দেখও আল্লাহ্‌ ঠিক আমাকে সুস্থ্যভাবে পৌছে দিবেন, ইনশাল্লাহ।
সামিরাঃ- তাই যেন হয়। পৌছে আমাকে ফোন দিবেন বা একটি মেসেজ দিবেন,আমি কিন্তু আপনার অপেক্ষায় থাকব।
সাকিবঃ- ঠিক আছে আল্লাহ্‌ হাফেজ ভালো থেকো।
সামিরাঃ- আপনিও ভালো থাকবেন।
একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এগিয়ে চলেছে যে যার গন্ত্বব্যে।
তাদের এই পাগলামীগুলোর কারণ তারা নিজেরাও জানে না। হয়ত বন্ধুত্বের টান নয়ত ভালোবাসার মায়া।
সে যাই হোক সম্পর্কটি টিকে থাক আজীবন।
<>সমাপ্ত<>

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com