অন্ধ বউ । পর্ব -০১

 

আপনি কি পাগল?

- কেন?
> আমারে বিয়ে করলেন কেন?
- কেন কি হয়েছে?
> জেনে শুনে কেউ
অন্ধ মেয়েকে বিয়ে করে?
না পারবো আপনার সেবা করতে,
না পারবো
আপনার খেয়াল রাখতে।
- তাতে কি?
> অনেক কিছু
আপনি আমারে ডিভোর্স দিয়ে দিন..
.
- চুপ।
এত কথা বলো কেন তুমি?
আর আমি পাগল না।
তাছাড়া তোমাকে
এমনি এমনি তো আর বিয়ে করিনি,
তোমার বাবা
আমাকে তিন লাখ টাকা দিয়েছে,
তাই তোমাকে বিয়ে করেছি। (সাজিন)
.
> টাকা নিয়েও তো
অনেকে বিয়ে করতে চায়নি,
যাহক
আপনার বউ হতে পেরেছি,
তাতেই আমি ভাগ্যবতী
.
- হাহাহা
> হাসেন কেন?
- এর জন্য নিজেকে এত ভাগ্যবতী মনে করার কিছু নেই।
আমি সামান্য একজন রিকশাচালক নিজেরই ভাত জুটেনা,
আপনারে কি খাওয়াবো,
তাই ভাবছি
> এত চিন্তা কইরেন নাতো
সব ঠিক হয়ে যাবে।
- চিন্তা কিসের?
আপনার বাবার টাকা দিয়ে,
কিছুদিন ডাটে চলা যাবে
.
> আচ্ছা, বাদ দিন।।
আজ আমাদের বাসর রাত তাইনা?
(রিতা)
- হ্যাঁ বাসর রাত,
কিন্তু ঘরটা সাজানো নেই।।
এমনই সৌভাগ্যবানের কাছে বিয়ে হইছে তোমার।
> শুধু ফুল হলেই কি বাসর হয়?
আমি মনে মনে সাজিয়ে নিয়েছি।।
তাছাড়া ফুল দিয়ে সাজালেও তো
দেখতে পারবো না,
তাইনা?
- আচ্ছা এসব কথা বাদ দেও,
অনেক রাত হলো ঘুমাও।
> আমি আপনার
জীবন বিষময় করে দিলাম।
- আবার সেই কথা?
> আচ্ছা বাদ দিলাম।
*
বিছানাটা করে
চকির উপরে সাজিন আর রিতা
শুয়ে আছে,
এত সুন্দর তার বউ হবে,
সেটা সাজিন কখনো ভাবিনি,
তাই সে আজ দুচোখ ভরে শুধু
দেখবে আর দেখবে।
.
> কি দ্যাখেন অমন করে? (রিতা)
.
একটু অবাক
হয়েই বলল সাজিন,
- তুমি জানলে কিভাবে?
আমি তোমার দিকে তাকিয়ে আছি?
> এটা মেয়েদের আলাদা বৈশিষ্ট্য।
কোন ছেলে তাকিয়ে থাকলে
বুঝতে পারা যায়।
অন্ধ হলেও মেয়েতো।
.
- এই মেয়ে
সব সময় অন্ধ অন্ধ করো কেন?
আজ যদি আমি অন্ধ থাকতাম
তবে কি আমাকেও
অন্ধ অন্ধ বলতে?
> অমনটা বলবেন না,
আমি আর বলবো না।
*
বলতে বলতেই
কেঁদে দেয় রিতা,
কি করা উচিৎ বুঝতে পারছে না
সাজিন,
ওকে খুব জড়িয়ে ধরতে
ইচ্ছে করছে,,
কিন্তু কেন জানি মনে হলো,
ওর চোখ ভাল হয়ে যাবে,
সাজিন ভাল করে
ওকে ওর যোগ্য স্থানে বিয়ে
দিয়ে দেবে।।
*
পাচ ভাই বোনের ভেতর
রিতা ছোট, কিন্তু অন্ধ বলে সবাই
ওকে নিয়ে চিন্তিত ছিলো।
সবার অনেক বড় বড় জায়গায়
বিয়ে হয়,
ভাগ্যের পরিহাসে,
সাজিনের সাথে বিয়ে হয়
*
যাইহোক,
সাজিন ওকে অনেক বড় ডাক্টার দেখাবে
দরকার হলে
.
চলবে...
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url