Breaking News

জুনিয়র হাজবেন্ড । পর্ব - ০৭



নিঝুম: আরে আজব তো,,,,, আমি কিন্তু চিৎকার দেবো বলে দিচ্ছি,,,,,
রাহাত: 😀😀😀😀😀😀
নিঝুম: কি হলো হাসতেছেন কেন,,,,,
রাহাত: আপনার দেখি খুব ভয়,,,,, এত ভয় নিয়ে বিয়ে করতে আসছেন কেন,,,,
খুব ইচ্ছা না বিয়ে করার,,,,,
নিঝুম: মানে,,,, কি বলেন এইগুলা,,,,
রাহাত: কি বলতেছি বোঝেন না,,,, মেয়ে হয়ে আসছেন ছেলের বাড়িতে,,,, ছেলে দেখতে,,,,
কখনো কি শুনেছেন,,,, মেয়েরা ছেলে দেখতে আসে,,,,,,
নিঝুম:😂😂😂😂ওহহহ এই কথা,,,, আমার এটা ইচ্ছে ছিল,,,,
আমাকে দেখতে আসবে না ,, বরং,আমি দেখতে যাবো,,,, তাই চলে আসলাম,,,
রাহাত: ইচ্ছে ছিল পূরণ করছেন,,,, এখন সোজা বাড়িতে যান,,,, এ বিয়ে আমি করবো না,,,,,,,
নিঝুম: কেন কেন,,,, বিয়ে করবেন না কেন,,,,,
আমি কি দেখতে খারাপ নাকি,,,, আমার মত বউ এই এলাকায় একটাও নাই, কিন্তু,,,,
রাহাত: নাই তো কি হইছে,,,,, আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না,,,,
নিঝুম: আজব তো,,,, তাহলে বাইরে হ্যাঁ বলে আসলেন কেন,,,
আর আমাকে এখানে নিয়ে আসছেন কেন,,,,,
রাহাত চুপ করে ভাবতেছে কি বলা যায়,,,, একটা কিছু বলে তো বোঝাতেই হবে,,,,,
নিঝুম: কি হলো,,,,, বলেন,,,,
.
রাহাত: আমি একজনকে না ভালোবাসি,,,, আর ওকেই বিয়ে করতে চাই,,,,
নিঝুম:😠😠😠😠কাকে,,,,,,
রাহাত: সে আপনি চিনবেন না,, ওর কথা বাদ দেন,,,,
আপনি শুধু নিচে গিয়ে বলবেন,,,, এ বিয়ে আপনি করবেন না,,,,,
নিঝুম: পারবোনা আমি,,,,, এ বিয়ে আমি করবোই,,,,,
কত স্বপ্ন দেখছি আপনাকে নিয়ে জানেন,,,,,,🤨🤨🤨
ওগুলার কি হবে তাহলে 😰😰😰😰
রাহাত: ওই হ্যালো,,,, আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন মানে,,,,
এর আগে কি আমাদের দেখা হয়েছিল,,,,,
নিঝুম: হুম 🙈🙈🙈🙈
রাহাত: কবে আর কোথায়,,,, আমারতো মনে পড়তেছে না,,,,
নিঝুম: স্বপ্ন দেখছি আপনাকে,,,,
একবার না অনেকবার 😉😉😉😉😉
রাহাত: ফাইজলামি করেন না ,,,,
আমি আছি বিপদে,,,,,
নিচে গিয়ে আমি যা যা বলেছি সেগুলো বলবেন,,,,,,
আর কোন কথা না,,,,(জোরেই বললো রাহাত)
নিঝুম: 😭😭😭😭😭 কান্না করলাম কিন্তু,,,,,,,
রাহাত: অনেক হইছে,,,,, সত্যি বলতেছি,,,, আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি,,,,,
ওকেই বিয়ে করব,,,,,, আপনি কেন কষ্ট পাবেন অযথা বিয়ে করে আমাকে বলেন,,,,,,
নিঝুম: মেয়ের ছবি দেখান,,,,, তাইলে বিশ্বাস করব,,,,
রাহাত: ছবিতো নাই,,,,,,
নিঝুম: কিইইইই,,,,,, ছবি নাই মানে,,,, ভালোবাসেন আর ছবি নাই,,,,
আবুল পাইছেন আমারে,,,,,, দেখা করব তাহলে,,,,,
.
রাহাত: কথা বিশ্বাস হচ্ছে না,,,,,
দেখে কি করবেন,,,,,
গার্লফ্রেন্ড তো আমার,,,,
নিঝুম: বলছি না আমি দেখব,,,,
নাহলে কিন্তু আমি নিচে গিয়ে বলে দেবো,,,,
আপনি রাজি বিয়ের জন্য,,,,,
রাহাত: এই না না ,,,,, দেখাবোনি একসময়,,,,,
নিঝুম: একসময় মানে,,,,, কবে,,,,,
রাহাত: দেখাবোনি,,,,, দু’একদিন পর,,,,
নিঝুম: আজকেই দেখাতে হবে,,,, তাও সন্ধ্যায়,,,, যদি পারেন,,,,,
তাহলে আপনি যা বলেছেন সেগুলোই বলবো,,,,,
রাহাত: ওকে ,,,, আজকে সন্ধ্যায় তাহলে ,,,,,
নিঝুম: ঠিক আছে,,,, ওই কথাই কিন্তু,,,,, নিচে যাই তাহলে চলেন,,,,,
নিঝুম আর রাহাত নিচে আসলো,,,,,,
রাহাতের মা: তোমাদের কথা বলা হয়েছে,,,,,,
(রাহাত আর নিঝুমের দিকে তাকিয়ে বলল)
নিঝুম: হুম আন্টি,,,,,
রাহাত মাথা নেড়েই হ্যাঁ বলল,,,,
রাহাতের মা : আমাকে আন্টি বলতেছো কেন মা,,,,, মা বলবে,,,,,
নিঝুম: ঠিক আছে মা,,,( মুচকি হেসে রাহাতের দিকে তাকিয়ে বললো)
নিঝুমের বাবা: তাহলে সবকিছু ঠিক ই হয়ে গেল,,,,, এখন একটা ভালো দিন দেখলেই হয়,,,,,
রাহাতের বাবা: হুম,,,, আপনাদের যেদিন সুবিধা হবে,,,,
সেই দিন ই ঠিক করুন,,,,, আমাদের কোনো প্রবলেম নেই,,,,,
নিঝুমের বাবা: ওকে,,,,, একটা ভালো দিন ঠিক করে,,,,
জানাবো তাহলে আপনাদের,,,,, আজ তাহলে আমরা আসি,,,,,,
.
রাহাত শুধু বারবার নিঝুমের দিকে তাকাচ্ছে,,,,,,
নিঝুম খালি মুচকি মুচকি হাসতেছে,,,,, কিছুই বলতেছে না,,,,
এদিকে রাহাদের অবস্থা বেহাল,,,, না পারছে কিছু বলতে,,,, না পারছে সইতে,,,,,
পাঁচ বছর একজনের জন্য অপেক্ষা করছে,,,,
কিন্তু এখনো তার কোন খোঁজ নেই,,,,
এখন আর ওর মা বাবাকে বললে শুনবে না,,,,,
একটাই ভরসা ছিল নিঝুম,,,, কিন্তু সেও তো পালটি মারতেছে,,,,,
কিছুক্ষণের মধ্যে নিঝুমের পরিবার চলে গেল,,,,,,
যাওয়ার সময়,,,, নিঝুম একটা চোখ টিপ দিয়ে গেল রাহাদ কে,,,,,
রাহাত সোফাতেই বসে আছে,,,,,,
এবার মনে হচ্ছে,,,, ও সত্যি মিথিলাকে আর পাবে না,,,,,
রাহাতের মা: তুই এই বিয়েতে রাজি হবি,,,, সত্যি আমি বিশ্বাস করিনি,,,,,,,
রাহাত: তোমরা খুশি হয়েছ তো,,,,,
রাহাতের মা: হুম অনেক,,,, সবচেয়ে খুশি তোর বাবা হয়েছে,,,, তোর দাদু জানলে আরো খুশি হবে,,,,,
রাহাত: জানিয়ে দাও সবাইকে,,,,,,, তোমরা খুশি থাকলেই খুশি আমি ,,,,,,
কথাটা বলে রাহাত উপরে চলে গেল,,,,
এখন আর কোনো রাস্তা নেই ওর কাছে,,,,,
সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে,,,,,,
আর কত অপেক্ষা করবে একজনের জন্য,,,,, পাঁচটা বছর অপেক্ষা,,,,,
কোন খোঁজই নেই,,,, সত্যি কি বেঁচে আছে মিথিলা,,,,,
নাকি মিথ্যা আশা নিয়ে বেঁচে আছি,,,,
.
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে রাহাত,,,,,,,,
পাঁচটার দিকে,,,, ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল,,,,,,
ফোনটা রিসিভ করতেই,,,,
কি মিস্টার,,,, ফোন ধরতে দেরি হল কেন,,,,,,
কন্ঠ শুনে বুঝতে পারল রাহাত এটা নিঝুম
রাহাত: আপনি কেন ফোন দিছেন,,,, চিটার একটা,,,,,,
কি বলতে বলছিলাম আর কি বললেন,,,,,
নিঝুম: কই,,, এখনো তো কিছুই বলিনি,,,, সন্ধ্যায় দেখা করব আপনার সাথে,,,,,
কোথায় করবেন সেটা বলেন,,,,,
রাহাত: দেখা করে কি করবেন,,,, বিয়ের কার্ড সাজাবেন,,,,
নিঝুম: মনে করেন তাই,,,,, আর শোনেন,,,,
আপনার গার্লফ্রেন্ড কে ও সাথে করে নিয়ে আসবেন,,,, কথা বলব ওর সাথে,,,,,
রাহাত: আমার গার্লফ্রেন্ড আছে এটা বিশ্বাস করাতে পারলে,,,, আপনি বিয়েটা ভেঙে দেবেন তো,,,,,
নিঝুম: হুম ভেবে দেখব,,,, কোথায় দেখা করবেন সেটা বলেন,,,,,
রাহাত: ইকোপার্ক,,,,, রোড নাম্বার 12,,,,,,
নিঝুম: ওকে 7 টার মধ্যে পৌঁছে যাব নি,,,, গিয়ে ফোন দিব নি বাই,,,,,,
বলেই ফোনটা কেটে দিলো,,,,,,
রাহাত তাড়াতাড়ি করে ওঠে,,,, ফ্রেশ হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে,,,,,
একটা তো সুযোগ পাইছে,,,, যদি কাজে লাগানো যায়,,,,
.
প্রথমে সৌরভের কাছে যায়,,,, ওকে সবকিছু খুলে বলে,,,,,,
সৌরভ: তা এখন কি করবি,,,, গার্লফ্রেন্ড তো তোর নাই,,,,,
রাহাত: আমার নাই তো কি হইছে,,,, তোর তো আছে,,,,
তোরটা আমার বলে চালায় দিব,,,, ধরতেই পারবে না,,,,,
সৌরভ: হুম আমারে পাগল খাইছে,,,,, সিনেমায় দেখছি ভাই,,,,
এরকম কইরা গার্লফ্রেন্ড বন্ধু নিয়ে নেয়,,,, আমি পারবো না এটা করতে,,,,
আতিয়া কে খুব ভালো বাসি আমি,,,,,
রাহাত: আমি বিয়ে করতে যাব কেন তোর গার্লফ্রেন্ডকে,,,,,
শুধু কিছুক্ষণের জন্য,,,, ওকে বোঝাতে পারলেই হবে,,, আমার রিলেশন আছে,,,,,,
সৌরভ: আমি পারবো না,,,, তুই কেয়া কে ট্রাই কর,,,, হলে হতে পারে,,,,,
রাহাত: ওকে চল তাহলে ওর কাছেই যাবো,,,,,
সৌরভ: হুম চল, সৌরভ কে নিয়ে আবার কেয়ার কাছে যায় রাহাত। সৌরভ আর রাহাতকে দেখে,,,,
অবাক হয়ে গেছে কেয়া,,,,, ভাবতে পারেনি ও ওরা আসবে,,,,,
কেয়া: 😱😱😱 স্যার আপনে এখানে,,,,,,
সৌরভ: একটা কাজ আছে,,,, তাই আসলাম,,,, তুমি রেডি হয়ে নাও,,,
কেয়া: কই যাবেন,,,,,
রাহাত: চলো একটু দরকার আছে,,,,,
কেয়া কে সাথে করে,,,, পার্কে যাই তিনজন,,,,
ছয়টা বেজে গেছে অলরেডি,,,,
এখন কেয়া কে রাজি করাতে হবে,,,,,,
সৌরভ কেয়া কে সবকিছু খুলে বলে এবার,,,,
কেয়া: আমি পারবো না এটা,,,,,, মাফ করেন স্যার,,,,,
আমি গেলাম,,,,,
কেয়া চলে যেতে লাগলো,,,
রাহাদ: থামা ওরে,,, নাহলে আমি তো শেষ,,,,,
সৌরভ দৌড়ে সামনে যায় কেয়ার,,,,
সৌরভ: আরে বোঝার চেষ্টা করো,,,, তুমি তো জানোই,,,,
রাহাত মানসিকভাবে কতটা ডিপ্রেশনে আছে,,,,,, ও এই বিয়েটা কখনো করতে পারবে না,,,,,,
প্লিজ হেল্প করো,,,, শুধু কিছুক্ষণ অভিনয় করবা ,,,,
কেয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে,,,, আবার এসে চেয়ারে বসে,,,,,,
কেয়া: কি করতে হবে আমাকে,,,,,
রাহাত: বেশি কিছু না,,,, ওই মেয়ে আসলে শুধু,,, বলবে,,,
আমি তোমার বয়ফ্রেন্ড,,,,,, আর কিছু বলার দরকার নেই,,,,
বাকি সব আমরাই বলব,,,,
কেয়া: আচ্ছা,,,,,,
সাতটার সময়,,,, নিঝুম আসলো,,,,,
কিন্তু সাথে আবার দুই জন পুলিশ নিয়ে ,,,,,,,
রাত তো দেখেই ভয় পেয়ে গেছে,,,,
তবে সৌরভ আর কেয়া ভয় পায়নি ,,,,
ওরা তো চিনেই না,,,, রাহাদ ও কিছু বলছে না ওদের,,,,,,,
বললে হয়তো,,,,
ওখানে শুধু একাই থাকতে হবে রাহাতের,,,,,
ওরা কোথায় যাবে খোঁজই পাওয়া যাবে না,,,,,
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com