গল্পঃ ভাবির অহংকারী বোন । পর্ব - ১
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি সাদিয়া
আর ওর বান্ধবীরা বসে আছে।
হ্যাঁ ওরা আমাকেই ডাকছে কারণ
আমার গায়ের রং কালো, একেবারেও কালো না। আমি ওদের
কথায় কান না দিয়ে আমার মত ক্লাসের দিকে যেতে লাগলাম।
ওরা পিছন থেকে অনেক ডেকেছিল
কিন্তু আমি সোজা ক্লাসে চলে গেলাম।
কিছুক্ষনের মধ্যেই স্যার চলে এলো...
ক্লাস করতে করতে আমার পরিচয়টা
দিয়ে দেই আমি শাকিব হাসান, এবার
ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র। আমরা
দুই ভাই এক বোন। আপু সবার বড়,
তারপর ভাইয়া আর তারপরেই আছি
আমি। আপুর বিয়ে হয়েছে অনেক
আগেই তাদের একটা মেয়ে আছে এবার তৃতীয় শ্রেনিতে পড়ে। ভাইয়ার বিয়ে
হয়েছে আজ মাস তিনেক হবে।
ক্লাসে আসার সময় যে আমাকে
ডাকছিল তার নাম সাদিয়া। আমার
ভাইয়ের শালী। মানে আমার ভাবির
বোন। একই সাথে একই কলেজে পড়ি।
আজ এ পর্যন্তই থাক আস্তে আস্তে সব
জানতে পারবেন।
আমাকে সকল স্যার ম্যাডাম খুব ভালোবাসতো। সমস্যা শুধু একটাই
আমি দেখতে একটু কালো আর রোগা। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করলে না ঘুমালে যা হয় আর কি।
সবগুলো ক্লাস করে বাইরে এলাম।
বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে
কলেজের গেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার
সময় দেখি সাদিয়া এবং ওর কিছু বান্ধবী ফুচকার দোকানের বসে আছে। সাদিয়া আমাকে দেখতে পেয়েই ডাক দিল।
আমার সাথে বন্ধুরাও যেতে চাইল কিন্তু সাদিয়া শুধু আমাকেই যেতে বলল।
আমি ওদের কাছে গিয়ে.......
আমি : কি বলবি..?
সাদিয়া : ওই কাইল্লা, বলবি মানে..?
বল বলবেন। আর তোকে সকালে এত
করে ডাকলাম আসলি না কেন..?
আমি : আমারর নাম কাইল্লা না। আমার
একটা নাম আছে.. ওটা বলে ডাকলে
ঠিকই আসতাম..
সাদিয়া : ওই চুপ নিজের চেহারা কখনো আয়নায় দেখেছিস.... কাইল্লা ভূত একটা..
আমি : দেখ এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না...
সাদিয়া : চুপপপ... আর এখন ফুচকার
টাকাটা দে।
আমি : তোদের ফুচকার টাকা আমি
দিতে যাব কেন..?
সাদিয়া : আমি দিতে বলেছি তাই
দিবি, না হলে কিন্তু সবকিছু আপুকে
বলে দেব...
আমি আর কোন কথা না বলে
ফুচকার টাকাটা দিয়ে চলে আসতে
যাব তখনই আবার ডাক দিল.....
আমি : আবার ডাকিস কেন...?
সাদিয়া : বাসায় যাব একটা রিক্সা
নিয়ে আয়।
আমি : তুই রিক্সা নিতে পারিস না...?
সাদিয়া : আবার কথা বলে যা বলছি
তাই কর..
আমি আর কিছু না বলে সাদিয়ার
জন্য একটা রিক্সা নিয়ে এলাম। সাদিয়া রিক্সায় উঠে বাসার দিকে চলে গেল,
আমিও বাসায় যাওয়ার জন্য অন্য
একটা রিক্সায় উঠলাম...
ভাবছেন সাদিয়া ওর আপুকে মানে আমার
ভাবিকে কি বলতে চাইলো তাই তো
সেটাও না হয় পরেই জানতে পারবেন...
বাসায় এসে বেল দিতেই ভাবী এসে
দরজা খুলে দিল..
আমি রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম..
নিচে এসে খাবার খেয়েই বেরিয়ে
পড়লাম আড্ডা খানার উদ্দেশ্যে....
বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে
চলে গেলাম খেলতে মানে ক্রিকেট
খেলতে...। বাসা থেকে একটু দূরেই
একটা স্কুল মাঠ আছে ওখানেই প্রতিদিন
খেলা করি...
খেলা শেষ করে সন্ধ্যার একটু আগে
বাসায় চলে এলাম। এসে হাতমুখ ধুয়ে
পড়তে বসে গেলাম। কিছুক্ষন পর ভাবী
এসে খাবার জন্য ডেকে গেল। উঠে গিয়ে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ টিভি দেখে আবার
রুমে চলে এলাম....
সারাদিন এভাবেই কাটে কলেজ খেলাধুলা পড়া আর ফোন চাপা....
একটু রাত জাগার অভ্যাস আছে। আসলে শরীরটা আমার নিজের দোষেই খারাপ হয়েছে...
অনেক্ষন ফোনে গেম খেলে ঘুমিয়ে গেলাম.....
পরের দিন সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো....
তারাতারি উঠে ফ্রেস হয়ে একেবারে তৈরি
হয়ে নিচে এলাম....
ভাবি : কিরে একেবারে তৈরি হয়ে আসলি
যেনো..?
আমি : হুমম কলেজে যেতে দেরি হয়ে গেছে...
ভাবি : টেবিলে খাবার রাখা আছে খেয়ে যা...
আমি : না, কলেজে যেতে অনেক দেরি হয়ে যাবে...
ভাবি : অল্প কিছুতো খে......
আর বলতে পারলো না তার আগেই আমি এক দৌড়ে বাসার বাইরে চলে এলাম। এসে একটা রিক্সা নিয়ে সোজা কলেজে চলে এলাম..
কলেজে আসতেই আজ একটু বেশিই দেরি হয়ে গিয়েছে...
তাড়াতাড়ি রিক্সা থেকে নেমে ভাড়াটা দিয়ে দৌড়ে ক্লাসের দিকে চলে এলাম এসে দেখি স্যার ক্লাসে চলে এসেছে...
আমি : আসবো স্যার....
স্যার : আসো। আজ এত দেরী হল যে..?
আমি : আজ বাসা থেকে বের হতেই দেরী হয়ে গিয়েছিল...
স্যার : আচ্ছা সিটে গিয়ে বসো...
আমি গিয়ে বন্ধুদের কাছে বসলাম। ক্লাসের পড়াটা ঠিকমতোই দেই তাই স্যার কিছু বলে না। ক্লাসের পড়া ঠিকমতো দিলেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারিনা...
সবগুলো ক্লাস শেষে বাইরে বের হলাম...
সাগর : চল আজ একটু ঘুরে আসি..
রাহাত : কোথায় যাবি..?
সাগর : চল নদীর পাড়ে যাই...?
আমি : তোরা যা আমি যাবনা..
সাগর : কেন..?
আমি : আমার ভালো লাগছেনা...
রাহাত : তাহলে আমরা কি করতে যাব...?
আমি : তোরা যা ঘুরে আয়...
রাহাত : না তুইও যাবি আমাদের সাথে।
আমি : দেখ আমার......
আমাকে টানতে টানতে নিয়ে বাইকে উঠালো..
আমার ভালো লাগে না কোথাও ঘুরতে যেতে.. আর মেয়েদের সামনে তো একদমই নয়। লোকজনের সামনে গেলে মনে হয় সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হয় যেন আমি অন্য গ্রহ থেকে এসেছি। কোন কাপড় আমার গায়ে ঠিকমতো লাগেনা।
যাইহোক বন্ধুরা মিলে নদীর পাড়ে চলে এলাম। এই টাইমে এখানে অনেক লোকজন আসে। কত সুন্দর সুন্দর মেয়েরা.. মন চায় তাদের সামনে দিয়ে ঘুরতে কিন্তু আমাকে দেখলেই তারা হাসতে থাকে তাই তাই আর যাওয়া হয় না।
বন্ধুরা মিলে বাদাম খাচ্ছি বাইকের উপর বসে। ওরা অনেকগুলো ছবি তুলল কিন্তু আমি ছিলাম না...
আরও কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বাসায় চলে এলাম।
বাসার সামনে এসে বেল বাজাতে আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো...
আম্মু : আজ এত দেরী হল যে...?
আমি : আজকে একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম...
আম্মু : কিছু খেয়েছিস..?
আমি : না...
আম্মু : কত বেলা হয়েছে সেদিকে খেয়াল আছে..?
আমি :.........( চুপ.)......
আম্মু : দিন দিন না খেয়ে শরীরের কি হাল হচ্ছে একবার তাকিয়ে দেখেছিস...? শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে দিন দিন....
এটা অবশ্য নতুন না, মাঝে মাঝেই এরকম বকা শুনতে হয়...
আমি আর কোন কথা না বলে সোজা রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম...
একটু পর ভাবী আসলো খাবার জন্য ডাকছে। আমি নিচে গিয়ে খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর রুমে এসে ঘুমিয়ে গেলাম। বিকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম..
আজ আর খেলতে যাব না... ফোন আর হেডফোনটা সাথে নিয়ে ছাদে চলে এলাম....
দোলনায় বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলতে লেগে গেলাম।
সন্ধ্যার দিকে ছাদ থেকে নেমে রুমে চলে এলাম হালকা কিছু খেয়ে পড়তে বসেগেলাম
পরের দিন সকালে....
আজও ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেল..
তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে না খেয়েই কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম....
কলেজে আসতেই আজও সেই একই ডাক..
ওই কাইল্লার বাচ্চা...
সকাল সকাল মেজাজটাই বিগড়ে গেল।
আমি কোনো কথা না বলে আমার মতো হাঁটতে লাগলাম..
হঠাৎ কে যেন পেছন থেকে হাত ধরে টান দিলো ঘুরে দেখি সাদিয়া.....
সাদিয়া : ওই তোরে কখন থেকে ডাকছি কথা কানে যায় না..?
আমি : তোর মতো বাজে মেয়ের আমার সাথে কি কথা আছে..?
সাদিয়া : ওই ছোটলোকের বাচ্চা কি বললি তুই...?
ঠাসসসস্......
লাগিয়ে দিলাম একটা সাদিয়ার গালে....
সাদিয়া : কুত্তা তুই আম..........
ঠাসসসস্....
আরেকটা দেওয়ার সাথেই সাদিয়া চুপ হয়ে গেলো.....
আমি : আমাকে তোর চাকর পেয়েছিস যখন যা করতে বলবি তাই করব..? আমার গায়ের রঙ কালো বলে আমি কি মানুষ না..?
সাদিয়া : ( চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে আর রাগে ফুঁসছে)
আমি : ছোটলোক আমরা না ছোটলোক তোরা। শুধু কাড়িকাড়ি টাকা থাকলেই বড়লোক হওয়া যায় না। ভিতরে মনুষ্যত্ব থাকতে হয়, মানুষের সাথে ভাল আচরণ করতে শিখতে হয়...
কলেজের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে...
সাদিয়ার মুখ থেকে একটা কথাও বের হচ্ছে না। চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে আর পানি ঝরছে...
আমি : আরে আমি কাকে কি বোঝাচ্ছি তোর মাথায় তো এসব ঢুকবে না। তুই তো চিনিস টাকা আর অহংকার দেখাতে....
আর কিছু না বলে ওখান থেকে সোজা ক্লাসে চলে এলাম। আজ বন্ধুদের মধ্যে শুধু রাহাত এসেছে। ওর সাথে বসে আছি।
->এদিকে সাদিয়ার কথা<-
আমি ওখান থেকে চলে আসার পর সাদিয়ার বান্ধবিরা ওর কাছে গেলো....
মায়া : ও তোর সাথে এমনটা করতে পারলো...?
রিয়া : আমিতো বিশ্বাসই করতে পারছি না যে ওর মতো ছেলে তোর গায়ে হাত তুলেছে...
সাদিয়া : এর শোধ আমি তুলবো....
মিথিলা : কি করতে চাস তুই...?
সাদিয়া : সেটা সময় হলেই বুঝতে পারবি। ও এখনো আমাকে ভালো করে চিনতে পারেনি। আমি কি করতে পারি ওকে দেখাবো...
মিথিলা : এখানে কিন্তু দোষটা তোর ছিলো...
সাদিয়া : তুই এখন ঐ লম্পট ছেলেটার পক্ষ নিয়ে কথা বলছিস..?
মিথিলা : আমি কারো পক্ষ নিচ্ছি না, শুধু যেটা সত্যি সেটাই বলছি...
সাদিয়া : আমিকি তোর থেকে সত্যিটা যানতে চেয়েছি...?
রিয়া : তোরা থামবি..? এখন নিজেদের মধ্যে ঝামেলা বাধাস না...। চল ক্লাসের সময় হয়ে গিয়েছে...
তারপর ওরা সবাই ক্লাসে চলে আসে। ক্লাসে এসে আমার দিকে সাদিযার চোখ পরতেই
যেন চোখ দিয়ে লাভা বের হতে শুরু করলো....
-> আমার কথা <-
আমি সাদিয়ার দিকে না তাকিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছি। স্যার ক্লাসে এসে ক্লাস শুরু করে দিলো সবগুলো ক্লাস করে বাইরে বের হলাম।
সাদিয়ার দিকে চোখ পড়তেই দেখি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে....
আমি ওদিকে খেয়াল না করে রাহাতের সাথে গেটের সামনে চলে এলাম। রাহাত কে বিদায় দিয়ে আমিও একটা রিক্সা নিয়ে সোজা বাসায়।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় ধপাস করে শুয়ে পড়লাম। শুয়ে ভাবতে থাকলাম আমার শরীর-স্বাস্থ্য যদি ভাল হত আমি যদি ফর্সা হতাম তাহলে এত কথা শুনতে হতো না। এখানে সৌন্দর্য টাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। মানুষের যে একটা ভালো মন থাকতে পারে সেদিকে কেউ খেয়াল করে না।
মনে মনে বলতে লাগলাম..
আমাকেউ শরীরের যত্ন নিতে হবে।
যখন রাগ হয় তখনই এই জেদ টা আসে যে আমাকেও শরীরের যত্ন নিতে হবে কিন্তু রাগ কমে গেলে জেদটাও ফুস হয়ে যায় শালার কেন যে রাগ কমে যায় বুঝিনা।
রুম থেকে বেরিয়ে নিচে এসে খাবার খেয়ে সাগরদের বাসায় চলে এলাম।
এসে বেল বাজাতেই আন্টি এসে দরজা খুলে দিল....
আন্টি : আরে শাকিব যে আসো ভেতরে আসো...
আমি : না আন্টি এখন ভিতর যাবোনা। সাগর কোথায় আজ কলেজে এলোনা....
আন্টি : ও একটু ওর নানুদের বাসায় গিয়েছে আজ বিকালেই চলে আসবে....
আমি : ও আচ্ছা আন্টি আমি পরে আসবো...
আন্টি : আরে আসো ভেতরে আসো..
আমি : না আন্টি পরে একসময় আসবো। চলি আন্টি...?
আন্টি : আচ্ছা পরে এসো কিন্তু...?
আমি : আচ্ছা আসবো...
আমি সাগরদের বাসা থেকে সোজা মমিন চাচার দোকানে চলে এলাম। মাঝে মাঝে এখানে আসি ক্যারাম খেলার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ ক্যারাম খেলে বাসায় চলে এলাম..
সন্ধ্যার একটু আগে সাগর ওর নানুদের বাসা থেকে এসে ফোন দিয়েছিল ওর সাথে দেখা করে বাসায় এসে পড়তে বসে গেলাম। পড়া শেষ করে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরের দিন সকালে....
আম্মু এসে ডেকে ডেকে ঘুম ভাঙালো। তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নীচে এলাম..
আজ একটু সময় থাকাতে শুধু দুইটা পরোটা খেয়েই কলেজে এলাম।
কলেজের ভিতরে ঢুকতেই কেউ একজন আমার নাম ধরে ডাক দিল। তাকিয়ে দেখি সাদিয়া। কি হলো ওর আজ হঠাৎ নাম ধরে ডাকছে..? আমি ওদিকে কান না দিয়ে আমার মতো হাঁটতে লাগলাম।
হঠাৎ সাদিয়া আমার সামনে এসে দাড়ালো....
সাদিয়া : কি হলো কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছো না...?
( হঠাৎ করে সাদিয়া তুমি বলাতে একটু অবাক হলাম)
আমি : আমার মত ছেলেকে এত ডাকার কি আছে..?
সাদিয়া : আসলে আমি সরি এতদিন তোমার সাথে যা করেছি সব অন্যায় করেছি...
আমি : তো.....
সাদিয়া : আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ...
আমি : আমার কি সে যোগ্যতা আছে...?
সাদিয়া : আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি..। আসলে কালকে তুমি বলার পর থেকে আমার চোখ খুলে গিয়েছে..। প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও...,,
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে.. নিজের ভুল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক...( আমিও তুমি করেই বললাম)
সাদিয়া : আচ্ছা তাহলে আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড একসাথে থাকব, আড্ডা দেবো।
আমি : ক্লাসমেটরা এমনিতেই ফ্রেন্ড..
সাদিয়া : না এই ভা...(আর কিছু বলতে না দিয়ে সাদিয়াকে বাই বলে ক্লাসের দিকে চলে এলাম।)
ক্লাসে এসে সাদিয়া আমার দিকে বারবার দেখছে...
আমি সেদিকে খেয়াল না দিয়ে ক্লাসে মন দিলাম। কিন্তু আজ অবাকই হলাম, হঠাৎ সাদিয়ার আবার কি হলো..? এত পরিবর্তন..
যাই হোক ওর ভুল বুঝতে পারলেই হলো..
সবগুলো ক্লাস করে বাইরে এলাম। সাগর আর রাহাতের সাথে কথা বলতে বলতে গেটের দিকে আসছি তখনই সাদিয়া ডাক দিল। আমি ওখানে দাড়াতেই সাদিয়া কাছে এসে বলল....
সাদিয়া : চল ফুচকা খাবো...
আমরা সবাই বেশ অবাকই হলাম..
আমি : কি হলো বুঝলাম না একবার তুমি আবার তুই...
সাদিয়া : আসলে আমরা তো এখন ফ্রেন্ড তাই তুই বলাটাই বেটার..। আচ্ছা এত কথা না বলে চল ফুচকা খাবো..
আমি : এটা কি তুই বলছিস..?
সাদিয়া : কেন বিশ্বাস হচ্ছে না..?
আমি : একটু কষ্টই হচ্ছে তুই হঠাৎ....
সাদিয়া : থাক আর বলতে হবে না, তুই চল....
এই বলে সাদিয়া আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল। আর সাথে সাগর আর রাহাত কেউ ডাক দিল...
তারপর সবাই মিলে ফুচকা খেয়ে যে যার মত বাসায় চলে এলাম।
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে নিচে এসে খেয়ে নিলাম।
আজ আর বাইরে গেলাম না। রুমে এসে ঘুমিয়ে গেলাম...
বিকালে ঘুম থেকে উঠে চলে গেলাম ক্রিকেট খেলতে। খেলা শেষ করে সন্ধ্যার আগে বাসায় এসে। হালকা কিছু খেয়ে রুমে চলে এলাম। কিছুক্ষণ ফোনে গেম খেলে পড়তে বসে গেলাম।
প্রতিদিনের রাতটা ঠিক নিয়ম মতোই যায়। সন্ধ্যায় এসে পড়তে বসা পড়া শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া।
এভাবেই কলেজ, খেলাধুলা, পড়া আর ঘুমের মাধ্যমে বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেল। সাদিয়ার সাথে এখন মাঝে মাঝে কথা বলি। তবে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
আমিও সাদিয়াকে ভালোবেসেছিলাম। সেটা ওকেউ জানিয়েছিলাম কিন্তু....
থাক ওইসব পরে একদিন বলব...
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে কলেজে চলে গেলাম..
কলেজ শেষ করে প্রতিদিনের মতো বাসায় চলে আসি।
ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে একটু ছাদে এলাম ফোন আর হেডফোনটা সাথে নিয়ে।
দোলনায় বসে গেম খেলতে লাগলাম। হঠাৎ গাড়ির শব্দ পেয়ে নিচে তাকিয়ে আমি পুরো থ,, হয়ে গেলাম।
উনারা এখানে কিভাবে...?
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com