Breaking News

অদৃশ্য কেউ । পর্ব - ০৬


সন্ধ্যা 6টা হটাৎ মায়া আবারও কারো উপস্থিতি টের পাচ্ছে তবে মায়া আর ভয় পাচ্ছে না, সে জানে কে আসছে, মায়া উঠে বসলো এবং বললো আহ নফ্ আজ আর আহনাফ অদৃশ্য হলো না সামনে আসলো....
মায়া: আজ তুমি আমায় সব সত্যি বলো প্লিজ ?
অহনাফ: কি জানতে চাও মায়া?
মায়া: লাবিব কে, মেরেছে?
অহনা ফ: মাথা নিচু করে, মায়া আমি থাকতে তুমি অন্য কারো হতে পারবে না তাই পথের কাটা সরিয়েছি ।
মায়া: কেনো করলেন? লাবিব কি দোষ করেছিল?
অহনা ফ: ওর দোষ ও তোমায় ভালোবেসেছিলো!
মায়া আর কিছু বলল না....
অহনা ফ: তুমি চিন্তা করো না মায়া তোমার ১৯বছর হলে ই আমি তোমায় বিয়ে করে নিবো তার পর তুমি চিরো দিনের মতো আমার হয়ে যাবে....
মায়া: কিন্তু আমি কেনো আপনাকে বিয়ে করবো আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না!?
আহনা ফ: তোমার বসতে হবে না আমি বসলে ই হলো বলে হাসলো অহনাফ...
হঠাৎ দরজায় রুম্পার ডাক মেডাম ও মেডাম খাইবেন না খাওয়ান রেডী আহেন....
অহনা ফ আবার অদৃশ্য হয়ে হারিয়ে গেলো...
পরদিন সকালে রাফেজ বের হচ্ছে আজ রাফেজ এর বন্ধু হায়াত আসছে দেশে
মায়ার বিয়ের কথা পাকা করতে ই ডেকেছে হায়াত রাফেজ কে....
মায়া: বাবা আমায় একটু কলেজ এ ড্রপ করে দিবে শরীর টা ভালো লাগছে না।
রাফেজ: আমি তো ওইদিক দিয়ে ই যাবো তোর হায়াত চাচা আসছে...
মায়া: সত্যি চাচা আসছে তাহলে তো ভালোই হলো বেশ গল্পঃ করবো চাচার সাথে।
রাফেজ: আজ না মা কাল তোর চাচা আমাদের বাসায় আসবে সেদিন আড্ডা দিস।
বলতে বলতে বাপ বেটি বের হলো...
রাস্তায় এসে মায়া রাফেজ কে জিজ্ঞাসা করলো,,,
বাবা?
রাফেজ: কিছু বলবি মা?
মায়া: আমার মা কে বাবা!?
রাফেজ কথা টা শুনে যেনো বেসম খেলো, রাফেজ ঘাবড়ে গেছে!!
হঠাৎ এই প্রশ্ন কেনো মায়া অবশ্যই তোর মা ফারজানা।
মায়া: তার বাবার হাত টা নিয়ে তার মাথায় রাখলো আমায় সত্যি বলো?
রাফেজ এর ভয়ে যেনো গলা শুকিয়ে গেছে চোখের কোণে ইলশেগুঁড়ি....
মারে আমায় ক্ষমা করে দিস আমি ভুল করে ছিলাম মস্ত বড়ো ভুল...
মায়া চুপ চাপ তাকিয়ে আছে রাফেজ এর দিকে... কী সেই ভুল বাবা বলো আমায়?
তুই কোনো মানুষের মেয়ে না তোর জন্ম আমার আর এক পরির ঔরস থেকে,
তোকে জন্ম দিয়ে ই তোর মা মারা যায়.... তোকে পালার জন্য আমি তোকে
এক মাস তোর খালার কাছে রেখে এসেছিলাম, তোর খালার একটা ছেলে
আছে নাম আহনা ফ। তুই দেখতে তোর মায়ের মত ই, এই দিক এ তোর মা সন্তান জন্ম দিতে না
পেরে পাগল প্রায় হয়ে গেছিলো তখন আমি তোকে এনে তার কোলে তুলে দিয়ে
বলেছিলাম তোকে এডপ্ট করেছি....
কথা গুলো এক দমে বলে থামলো রাফেজ।
মায়ার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে
রাফেজ: আমায় ক্ষমা করিস মা আমি ভুল করেছি তবে তুই আমার আর
ফারজানার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার,
বলে হাঁটু গেরে কান্না করে দিলো রাফেজ।
মায়া: কেনো আমায় আগে এসব বলো নি বাবা?
রাফেজ: আমি চাইনি তোকে কষ্ট দিতে আর ভয় পাচ্ছিলাম তুই এসব জানার পর কিভাবে নিবি....
তোর মাঝে লুকাইত শক্তি আছে যদি তোকে ১৯বছরের আগে
বিয়ে দিতে পারি তবে ই তুই মানুষ হতে পারবি নয়তো তুই তোর মায়ের মত পরি হয়ে যাবি।
আমি জানি তোর জীবনে ছোটো থেকে ই অনেক কিছু ঘটেছে জার জন্য তোর মনে অনেক প্রশ্ন....
মায়া: বাবা এখন কি হবে?
.
রাফেজ: আমি জানি আহনাফ তোকে বিয়ে করবে তোর ১৯বছরের জন্য অপেক্ষায়
আছে আমি বা কোনো সাধারণ শক্তি ওকে বাঁধা দিতে পারবে না এক মাত্র তুই ই পারিস ওকে
আটকাতে কারণ ও তোকে ভালো বাসে।
মায়া: আমি কিভাবে আটকাবো বাবা?
রাফেজ: তোর খালা আহনাফ এর সাথে তোর বিয়ে দিয়ে তোর শক্তি আহনাফ কে
দিতে চাচ্ছে সে জেকরে ই হোক এটা করে ই ছাড়বে তাই এসব তোকে ই আটকাতে হবে....
আমি যাচ্ছি সেই বেবস্থা ই করতে বলতে বলতে হঠাৎ গাড়ি থেমে গেলো...
.
চলবে...?

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com