কাঞ্চনকন্যা
দার্জিলিঙ থেকে মিরিকের পথে
পড়ন্ত গোধূলির রক্তিম আভা মেখে -
কাঞ্চনকন্যা !
ধূসর সন্ধ্যার কালো চাদরে মুড়ে
নিঃস্ব অসহায় মুখে
কৃত্তিম হাসি মেখে
দাঁড়িয়ে ছিল সে।
গহীন রহস্যময়ী ইশারা
অপ্রতিরোধ্য তার আবাহন !
একটু কাছাকাছি এসে
একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে তাকাতেই ,
ড্রাইভার বলে ওঠে -
"নষ্ট মেয়েছেলে,
যাবেন না বাবু ওদিকে "।
আমি বললাম "আরে না না
এক পাহাড় অন্ধকার বুক চেরা
অবাধ্য সূর্যের আত্মা জ্যোতি, দেখছি আমি ! "
ক্যামেরা হাতে একটু এগোতেই
সেই মেয়ে বলে ওঠে -
"চলুন না বাবু
এই কাছেই আমাদের পার্লার
ফুল বডি সার্ভিস করি আমি "।
আমি বললাম " আরে না না
এক পাহাড় অন্ধকার ঢাকা
অবাধ্য সূর্যের অমোঘ জ্যোতি -
দেখছি আমি ! "
অসহায় সুন্দরের ছটা
নিস্পলক চোখে একটু চেয়ে থাকতেই
সে বলে ওঠে -"চলুন না বাবু
করোনায় স্বামী নেই , চারটে পেট -
বাধ্য হয়েই নেমেছি আমি। "
আমি মৃদু হেসে হাতে গুঁজে দিলাম
মিরিকের তিনদিন , সিকারা
লেক সাইড হোটেলের বিল -
ডিনার - লাঞ্চ - পুরোটাই।
বললাম - "শুরু করে দাও
ছোটোখাটো ব্যবসা একটা ",
দেখি - ওর দুচোখের কোণে
পাহাড়িয়া মেঘ ,
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে -
কখন সূর্যও ভিজে গেছে !
হঠাৎ দখিনা বাতাসের ঝটকায়
মেঘের ওড়না সড়িয়ে
উঁকি মারে চাঁদ ,
কাঞ্চনজঙ্ঘার কোল জুড়ে
আজ আবার পূর্ণিমা ,
জ্যোৎস্নার জোয়ার !
অন্তহীন অনাবিল সোনালী আলোর স্রোতে -
জলকেলী ------ !
কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রানোচ্ছল শৃঙ্গগুলি !
দার্জিলিঙ হয়ে মিরিকে থাকা
হলো না সেবার।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com