Breaking News

মৃত্যু কেমন করে হয়



মৃত্যুর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ফেরেশতা হচ্ছেন আজরাইল, তার গ্রুপে অগণিত ফেরেশতা আছে। 
কোন মানুষের মৃত্যুর ফয়সালা যখন হয়ে যায় তখন তার জান কবজের জন্য আজরাইল গ্রুপের একদল সহকারী উপস্থিত হয় এবং সাথে সাথে কিরামান কাতেবীনগণ আমলনামা বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়।  আমলনামা বান্দার গলায় ঝুলানো থাকে। এটা একটি স্তর বদলী, এ স্তরে প্রবেশ করার পর মানুষের কোন কথা, বা কোন কাজ তার কোন উপকারও করবে না, কোন ক্ষতিও করবে না। মু'মিনের মৃত্যু এবং কাফেরের মৃত্যু এক ভাবে হয়না। 


কোন কাফেরের মৃত্যুর ফয়সালা যখন হয় তখন আল্লাহ তায়ালা তার জান কবজ করার জন্য আজরাইল গ্রুপের এমন একদল সহকারী ফেরেশতা পাঠান যারা কাফেরদের জান কবজ করার জন্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারা দুর্গন্ধময় দেহবিশিষ্ট, কঠোর মানসিকতার অধিকারী। তারা জাহান্নামের বর্তন (পাত্র) ও ছবি নিয়ে হাজির হয় এবং তাকে জাহান্নামের ছবি দেখিয়ে বলে “হে অপবিত্র আত্মা” এই দেখ তোমার ঠিকানা, তোমার ঠিকানা জাহান্নাম। তুমি বের হয়ে আস, তখন ঐ লোকটির ইয়াকীন হয়ে যাবে যে, আমার ঠিকানা জাহান্নাম। তখন ভয় তার অপবিত্র আত্মাটি দেহের মধ্যে লুকাতে শুরু করবে। কোনক্রমেই সে মুখের কাছে আসতে রাজী হবে না। 


কেননা মুখই হচ্ছে তার বহির্গমনের পথ। কোনক্রমেই যখন তার অপবিত্র আত্মা ফেরেস্তাদের আদেশ মানবে না বরং এই মুহুর্তে তার প্রাণটাকে ভিতরে রাখার জন্য মৃত্যু বিলম্ব করার চেষ্টা করবে আর আল্লাহ তায়ালার কাছে ফরিয়াদ করতে থাকবে। ফেরেশতারা তখন দু'ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। একভাগ তার দেহের মধ্যে প্রবেশ করে ডুব দিয়ে টেনে টেনে প্রাণটাকে মুখের কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে। 
অন্যদল দেহের বাহিরে অবস্থান করে মুখের উপর এবং পিঠের উপর পিটাতে থাকবে। সূরা নাজিয়াতের ১ আয়াতে বলা হয়েছে- Greadpur, ঐ সকল ফেরেশতার কসম, যারা ডুব দিয়ে টানে। দায়িত্বশীল ফেশেতারা দেহের মধ্যে ডুব দিয়ে প্রাণটা কোথায় লুকিয়ে আছে, তা খুঁজে বের করে এবং টেনে টেনে মুখের কাছে নিয়ে আসে, যাতে আজরাইল সহজেই তাকে পাকড়াও করতে পারে এবং দেহের বাহিরে বসে যারা মুখ-মন্ডলে এবং পিঠের উপর পিটায় তাদের উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে ওকে কাবু করা, কাবু হয়ে গেলেই সে অল্পতে ধরা পরবে। এভাবেই উভয় দলই জান কবজের জন্য আজরাইল (আ.)-এর সহযোগিতা করে থাকে। সূরা মুহাম্মাদ এর ২৭ আয়াতে বলা হয়েছে- 

আরো পড়ুন: মু'মিন বান্দার মৃত্যু কেমন করে হয় 

“অবস্থাটা কিরূপ হবে? যখন ফেরেশতারা তাদের জীবনের সমাপ্তি টেনে দিবেন। তারা ওদের মুখ মন্ডলের উপর এবং পিঠের উপর পিটাতে থাকবে।” এভাবে ভিতর এবং বাহির থেকে আক্রমনের পর প্রাণটা যখন ওষ্ঠাগত হবে তখন প্রধান দায়িত্বশীল আজরাইল হাজির হবেন। তিনি জান কবজ করে সহকারী ফেরেশতাদের পাত্রে তুলে দিবেন, ওরা ঐ নফস এবং রূহগুলি নিয়ে সিজ্জিন নামক কারাগারে জমা করে দিবেন। প্রকাশ থাকে যে, মানব দেহের মধ্যে নফস


এবং রূহকে এমন একটি বন্ধন দিয়ে আটকিয়ে দেয়া হয়েছে যা আজরাইল ছাড়া কেউ খুলতে পারে না। আজরাইল (আ.)-এর ফাংশনটা অপারেশনের প্রধান ডাক্তারের মত। অপারেশন থিয়েটারে নার্স এবং ইন্টার্নী ডাক্তারগণ অপারেশনের


যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। পূর্ব প্রস্তুতি শেষ হলেই প্রধান ডাক্তার আসেন, অপারেশনের কাজটা করে প্রধান ডাক্তার বিদায় হয়ে যান, অবশিষ্ট কাজগুলি ইন্টার্নী ডাক্তারগণ সমাপ্ত করেন। তেমনি আজরাইল (আ.) সহযোগী ফেরেশতাদের পরে আসেন এবং কাজ সেরে আগে চলে যান।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com