ডানাভাঙা দুঃখপাখি / আমি আলোর অভিমুখী

ডানাভাঙা দুঃখপাখি

তেলে ঝোলে আদরে আহ্লাদে নাদুসনুদুস হলে
সুখজোড়কে টেনেহিঁচড়ে ট্রাকে তোলা হতো,
বাবার চোখেমুখে গোলাভরা চকচকে সোনাধান!
সুখ বেচে পকেট ভর্তি দুঃখ নিয়ে ফিরতো বাবা
ঘরে অপেক্ষমান কষ্টগুলোর সে কি আনন্দ!
বাবার মালিকানায় জমি প্রায়শই পতিত থাকতো
যুতসই কোনো দামে ছাড়াতেও পারেনি ওগুলো
অলস অবহেলে সূচালো কাঁটাঘাসে পূর্ণ ছিলো।
আমাকে বাঘ-সিংহ কিছু একটা বানাতে চেয়েছিলেন;
মূর্তিমান গাধাসংঘে দেখতে চায়নি মোটেও!
রক্তাক্ত পায়ে বাবার মতো এগুনোর সাহস কই!
সংঘবদ্ধ অধিকার মুষ্টিবদ্ধ করে বজ্রনিনাদে
উর্ধ্বাকাশে আগুন ফুলকিও উড়াতে পারিনি,
নফর আমি, রাজপদ লেহনে নতমস্তক গোলাম;
সুখের বদলে মহামূল্য কষ্ট কিনতে জানিনা!
অবোধ কিছু প্রাণীর অধীনে দীর্ঘকাল বোবা আমি
জ্বী হুজুর জোহুকুম নিয়ত চেতনায় মিশে গেছে;
পোড়াজঙ্গলে সুফলা একটি চারাও লাগানো হয়নি;
হানাহানি দলাদলিতে মৌসুম শেষ হয়ে এলো

উজার হতে-হতে অস্তিত্বও মুঁছবে একদিন!


 আমি আলোর অভিমুখী

আমি আজ আদিগন্ত সুন্দরের ধ্যানে...

নিমীলিত চোখে আমি আলোর সন্ধানে...
ছুটে চলি দিবারাতি মনসাতীত কোন
এক ঘোরে...
আমি নই কারো , কেউ নয় আমার
কেবলই পাকে পাকে আটকা পড়ি
বারেবার ।
তবুও মেঠো পথে একলা আমি করে
চলি সুরের সন্ধান
ছুটে চলি অনন্ত নৈঃশব্দকে টেনে বুকে...
দূরে কোথাও ডেকে ওঠে মনপাখি...
আমি কান পেতে শুনি সে সুর , মায়া
আর ডাক...
নিবিড় সে ভাবনা ছুঁয়ে আমি যে
তোমাতে আকুল...
চিরন্তন সত্যের অনির্বাণ তুমি...
আর আমি পরম আনন্দে আলোর
অভিমুখী... ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url