Breaking News

ভাড়াটে বউ । পর্ব - ০৬

পরের দিন রিহা শাড়ি পড়ে সেজেগুজে তৈরি হয়ে নেয়।

সানভি ভাবতাছে রিহা যদি শাড়ি পড়েড়ে আসে তাহলে আজকেই প্রোপোস করবে
আর যদি শাড়ি না পড়ে তাহলে বলবেনা।
এমন ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজে চমকে উঠে সানভি।
তার মানে রিহা এসে গেছে। সানভি ভয়ে ভয়ে দরজার দিকে আগালো।
রিহা কি পড়ে আসবে এইটা নিয়ে তার চিন্তা।
কাপা কাপা হাতে দরজা খুলে সামনে তাকাতেই দেখে রিহা আজকেও শাড়ি পড়ে আসছে।
সানভি খুশি হলেও বেশ ভয় লাগতেছে। আজকেই প্রোপোস করতে হবে।
রিহা ভিতরে ঢুকে রান্নাঘরে চলে যায়।
সানভি রুমে এসে সুয়ে পড়ে আবারো। জ্বর জ্বর ভাব। গা বেশ গরম।
মাথাও ব্যাথা করতাছে। সানভি ভাবে আজকে থাক। অন্য একদিন বলবো।
আবার ভাবে না আজকেই বলতে হবে।

রিহা রান্না শেষ করে সানভিকে ডাকতে এসে দেখে সানভি এখনো শুয়ে আছে।
- কি ব্যাপার এখনো শুয়ে আছেন কেনো? উঠুন।(রিহা)
- কি হলো উঠেন না কেনো?(রিহা)
রিহা খেয়াল করলো সানভি কাপতেছে।
কপালে হাত রাখতেই বুঝতে পারলো জ্বর আসছে।
রিহা খাবার নিয়ে আসে।

তারপর ঘরের বউয়ের মতো করে সানভিকে খাইয়ে দেয়।
রিহার হাতের স্পর্শে অন্যরকম অনুভুতি হয় সানভির যা বলে বুঝানো যাবেনা।
ইচ্ছে হয় রিহাকে জড়িয়ে ধরে কাটিয়ে দেই সারাজিবন।
মনে মনে ভাবে যদি রিহা এভাবে প্রতিদিন খাইয়ে দিতো তাহলে কেমন হতো?
সানভি খেয়াল করে রিহার চোখে পানি।
কিন্তু কেনো এই পানি বুঝতে পারেনা সে।
রিহা খাইয়ে দিয়ে ড্রয়ার থেকে ঔষুধ এনে খাইয়ে দেয়।
- শুনেন আপনি বিছানা থেকে উঠবেন না। চুপ করে শুয়ে থাকবেন।(রিহা)
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"*

- হুম বাট তুমি খেয়ে নাও আর আমার পাশে এসে বসো।(সানভি)
- আচ্ছা।(রিহা
রিহা খেয়ে এসে সানভির পাশে বসে।
- রিহা একটা গান শুনাও তো।(সানভি)
- অন্যকিছু আমি গান পারিনা।(রিহা)
- আচ্ছা তোমাকে একটা কথা বলি?(সানভি)
- কি কথা বলেন?(রিহা)
- আমি চাই তুমি আমার সাথে থাকো.... সারাজিবন। থাকবা?(সানভি)
- এসব কি বলছেন আপনি? স্যার আপনি শুধু আমার বস আর কিছুনা আর আমি কেনো স্যার।
আমাকে মাফ করবেন প্লিজ আমি এটা পারবোনা।(রিহা)
- কিন্তু কেনো আমার তো কোনো সমস্যা নাই। দেখো তোমার একটা পরিবার দরকার রিহা।
তোমার মা ভাই বোন তাদের দেখার জন্য হলেও কাওকে দরকার।(সানভি)
- স্যার তাদের জন্য আমিই যথেষ্ট।(রিহা)
- তাররম মানে তুমি রাজি না তাইতো?(সানভি)
- হুমম। এর জন্য মাফ করবেন।(রিহা)
- কারনটা বলবে?(সানভি)
- কোনো কারন নেই। কিন্তু আমি পারবোনা।(রিহা)
- আচ্ছা।
রিহা উঠে যায়। সানভি চুপচাপ ভাবতে থাকে,
রিহার কথা। তবে কি সে এখনো ভালোবাসেনা আমাকে?
মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হয় সানভির।
আজকে চা খাওয়া হয়নি। রিহাও তো মনে হয় রাগ করে চলে গেলো।
কেনো যে বলতে গেলাম এতো তারাতারি। আর কয়টা দিন সময় নিলেই তো পারতাম।
চা বানানোর জন্য উঠে সানভি।
মাথা ঘুরে তারপরও ও চা বানিয়ে জানালার পাশে চেয়ারে বসে সানভি।
রিহার কথা ভাবতে ভাবতে চায়ের কাপে চুমুক দেয়।
কেমন জানি শীত শীত লাগতেছে নাহ এখানে আর বসে থাকা যাবেনা।
বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে সানভি।

ওদিকে রিহা বাসায় চলে আসে। কেনো জানি এখনো মেনে নিতে পারছেনা সানভিকে।
কেমন জানি একটা বাধা কাজ করে। নিজেকে ছোট মনে হয় খুব।
সানভি তো তাকে ভালোবাসে সেও বাসে তবে কেনো এতো বেদনা।
কেনো পারছেনা সানভির কাছে থাকতে।
রিহা ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসে। নাহ নতুন চাকরি খুজতে হবে।
ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছে সে। কোনো না কোনো একটা চাকরি পেয়েই যাবে।
হয়তো বেতন এর অর্ধেক হবে তাতে কি?
চাকরি হলেই হলো।

ঔষুধ খাওয়ার পরও জ্বর কমেনা সানভির।
শরিরে ভিষন জ্বর উঠে যায়। মাথা ঘুরার ফলে বিছানা থেকে উঠতে পারেনা সানভি।
ওদিকে ফোনটাও বন্ধ হয়ে আছে।
রিহাও তো নেই। পুরো বাড়িতে এখন একা সে। কেমন জানি দম বন্ধ হয়ে আসা পরিবেশ।
বউ থাকলে ভালো হতো। একটু সেবা পাওয়া যেতো অন্তত একা থাকা লাগতোনা।

সারাদিন বিছানায় ই শুয়ে থাকে সানভি।
ক্ষুদা লাগছে ভিষন।ল্যাপটপ টা অন করে খাবার অর্ডার করে সানভি।
রাত ৮ টা বেজে গেছে। সেই সকালে খাওয়া হইছে।
রিহা খেতে বসে। হঠাৎ সানভির কথা মনে পড়ে যায়।
সানভির তো জ্বর। সারাদিন কি কিছু খেয়েছে নাকি খায়নি।
হঠাৎ করেই মনের ভিতর অজানা একটা ভয় কাজ করে।
বাসায় তো সে একা। কি হবে এখন।
আমি কি যাবো? নাকি যাবোনা।
রিহা ভাবতে থাকে। একবার যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েও যায়না।
সানভি যদি অন্যকিছু ভাবে এই ভয়ে।

দাড়োয়ান খাবার নিয়ে আসে,
- স্যার খাবারটা আর বিলটা পে করে দিন।(দাড়োয়ান)
- ধরো টাকা দিয়ে বাকিটা তুমি নিয়ে নিয়ো।(সানভি)
- স্যার আপনার কিছু হইছে?(দাড়োয়ান)
- একটু জ্বর আর কিছুনা।(সানভি)
- স্যার ডাক্তার ডাকবো?(দাড়োয়ান)
- না লাগবে না তুমি যাও। (সানভি)
- আচ্ছা।
বিরিয়ানি অর্ডার করছে।কিন্তু আজকের বিরিয়ানি ভালো লাগতেছেনা।কিছু একটা মিসিং।
কিছুটা খেয়ে ঔষুধ খেয়ে শুয়ে পড়ে সানভি।
পরের দিন ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যায় রিহা,

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com