Breaking News

তাকদীরের (ভাগ্যের) উপর বিশ্বাস

(উল্লেখ্য যে, পুনরুত্থান এবং পরকালে বিশ্বাস এ দু'টি বিষয়কে পাশাপাশি আলোচনা করব বলেই তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস প্রসঙ্গটি আগে আলোচনা করছি)।

خَيْرِهِ وَشَرِهِ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى

“এবং তাকদীরের ভাল মন্দ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে।” ঈমান বিল গায়িবের পঞ্চম বিষয়টি একটি জটিল বিষয়। আল্লাহ তায়ালা মানব সৃষ্টির বহু পূর্বে লৌহে মাহফুজে তার ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, সে কোথায় থাকবে, কোথায় মৃত্যুবরণ করবে, কোথায় দাফন হবে এবং জীবিকা, বয়স লিপিবদ্ধ অবস্থায় সংরক্ষিত আছে। 

এখন প্রশ্ন হল : তাকদীরের ভালমন্দ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে, তবে মানুষ পুরস্কার এবং শাস্তির যোগ্য হবে কেন? অনেকের ধারণা ভালকাজ আল্লাহ করান এবং মন্দ কাজ শয়তান করায়, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। শয়তানের কাজ করাবার কোন ক্ষমতা নেই, সে শুধু মানুষকে পরামর্শ দিতে পারে। কাজ করাবার ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহই দিয়ে থাকেন। 

মোট কথা হচ্ছে শয়তান পরামর্শ দেয়, মানুষ ইচ্ছা  পোষণ করে আর আল্লাহ তায়ালা মানুষকে কাজ করার ক্ষমতা দান করেন, 

পবিত্র কুরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَمَا كَانَ لِي عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ إِلا أَنْ دَعَوْتَكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لَى -

“শয়তান বলবে তোমাদের উপর আমার এমন কোন শক্তি ছিল না, যে শক্তি বলে আমি তোমাদের দ্বারা কুফরী বা শিরক করাতে পারি বরং তোমাদেরকে শুধুমাত্র দাওয়াত দিয়েছি আর তোমরা আমার দাওয়াতে সাড়া দিয়েছ।

"[সূরা ইবরাহীম, আয়াত : ২২]

كيل الشَّيْطَنِ إِذْ قَالَ لِلْإِنْسَانِ اكْفُرْ

(এরা) শয়তান-এর ন্যায়, সে মানুষকে বলেছিল, 'কুফরি কর'। [সুরা হাশর, আয়াত : ১৫]

কাজেই শয়তান কেবল পরামর্শ দিতে পারে, দাওয়াত দিতে পারে কিন্তু কাজ করাতে পারে না। তাই ভল মন্দ উভয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় কিন্তু বান্দা খারাপ কাজের জন্য শাস্তিযোগ্য হবে কেন?  তা আমরা একটি উদাহরণ থেকে স্পষ্ট বুঝতে পারবো।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com