Breaking News

শুধু তুই । পর্ব - ০৪



আঁকা বাঁকা সরু ফুটপাত মাথার ঠিক উপরে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া সাথে হালকা সবুজ সরোবরে স্নিগ্ধ বিকেলের বৃষ্টিময়তা পথে পায়ের ফ্যালান্জ্ঞেস পর্যন্ত শুভ্রতায় বৃষ্টির পানি কৃষ্ণচূড়া ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারপাশে আকাশ বড্ড পরিষ্কার না হলেও কিছুটা আলো অন্ধকারে খেলছে । চারপাশটা বড্ড নিরব ঠেকছে নিজের কাছে মনে হচ্ছে আমি একা দাঁড়িয়ে আছি কোনো এক নিস্তব্ধতার রূপকথার দেশে।

পিছনে থেকে ডাকা ব্যক্তি এখন দাঁড়িয়ে আছে আমার ঠিক সামনে বৃষ্টির জন্য ভিজেছে
সে যবুথুবু ভাবে মাথার চুল গুলো বেশ বড় নয় ছোটোখাটো করে কাটা
তবুও বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পরছে থুতনি দিয়ে ।
বৃষ্টির ঝাটের কারণে চোখের নির্মল ঘন পাপড়ি গুলো মেলছে না ঠিক করে ।
তাকে সামনে এমন স্নিগ্ধ মূর্তীয়মান অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে
আমার হৃদপিন্ড নামক মাংসপেশী যেন কাজ করছে দ্রুত গতিতে।
রক্তেরা যেন বইছে যে যার আপন গতিতে কে কাকে কত দ্রুত ছাড়িয়ে যাবে
সে প্রতিযোগিতাতে সে কথাই ভাবছে ।আমার পঞ্চম ইন্দ্রিয় যেন অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে।
এর মধ্যে একমাত্র ওষ্ঠদ্বয় বেঈমানি করে নড়ে উঠলো যার কম্পমান তরঙ্গের সমন্বয়ে তৈরি শব্দ হলো ,

রিয়াত।
বলে। আমার মুখে সে শব্দ শুনে সেও বুঝি একটু চমকে উঠল নিবিড়ভাবে।
আমি নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি রক্তিম কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে।
বৃষ্টির পানিতে ভিজে কেমন যেন শীত শীত করছে।
চোখ দুটো অবশ হয়ে আসছে যেন মুদে যাবে একটু পরে ।
হুট করেই ভয় জেকে বসল মনে যদি চোখ বুজলেই সে হারিয়ে যায় অতল গহীনে।
কি করব আমি এখন সে যে আদৌ এখানে সত্যি দাঁড়িয়ে আছে কি না কে জানে?
যদি এটি হয় কোনো ভ্রম তবে । আমার কি হ্যানোসিয়েশন হচ্ছে ?
আমাকে আরো বিপাকে ফেলেছে তার হাতে মুষ্ঠিমেয় হয়ে থাকা রজনীগন্ধা ফুল গুলো যে!

আকাশ থেকে অনবরত লাগামহীন বেপরোয়া বৃষ্টি পড়েই চলেছে।
তার নিচে দাঁড়িয়ে আমরা দুই প্রান্তররের দুই পথিক ।
তাকে হারিয়ে আবার হুট করে ফিরে পেয়ে নিস্তব্ধ আমি তাকিয়ে রয়েছি রিয়াতের দিকে ।
রিয়াতের কোনো হেলদোল নেই যেন যান্ত্রিক মানবে রূপ নিয়েছে সে ।
নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছি আমি মুদে আসছে চোখ দুটো একরাশ নেশা কাজ করছে
মস্তকে এই বুঝি পড়ে যাব ধপাশ করে ।
আমার শিরা উপশিরায় যেন মাদকতা ছড়িয়েছে কিছু বুঝতে পারছি না যে আমি ।
কি করে তাকে আটকিয়ে রাখব আমি?

পাষান সে আজও কিছু বলছে না না আমাকে ডাকছে “মিতু” বলে ।
পেয়েছি উপায় আমি তাকে আটকিয়ে রাখার !
সে হয়ত আন্দাজ ও করতে পারেনি যে আমি এহেন আচরণ করতে পারি ।
তাই তো সে ভড়কে গেল কয়েক কদম।
আমি যে তাকে করেছি আবদ্ধ আমার বাহু ডরে ছাড়িয়ে নেবে তাকে সে সাদ্ধী জগতে কারো কি আছে ?

তাকে আবদ্ধ রেখেছি নিজের মনের মতো করে ।
আজ সেও বুঝুক নারীরা নিজের প্রিয় জিনিসটাকে কিভাবে আগলে রাখে!
কানে এলো ভীষণ অচেনা এক শব্দ না সে ছাড়া নেই তো কেউ এখানে ।
তাহলে সেও কি কাঁদছে নিরবে ?বুঝবো কি করে আমি চোখের পানির ভিন্ন রকমফের হয় না যে !
কিছু সময় পরেও “ শুধু তুই” নামক মানুষটার কোনো রেস্পন্স পেলাম না আমি ।
কিছুটা সময় পরে সবকিছু ঝাপসা হতে শুরু করল আলোকিত পথ-ঘাটে যেন আঁধার ঘনিয়ে এসেছে
হাতের শক্তিও যেন হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
তাকে কি আমি আটকিয়ে রাখতে পারব না তবে?

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com