সূরা হুদ । আয়াত নং ২৭, ৩১, ৮১, ৮৪, ৯৩

فَقَالَ الْمَلَاُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَوْمِهٖ مَا نَرٰٮكَ اِلَّا بَشَرًا مِّثْلَنَا وَمَا نَرٰٮكَ اتَّبَعَكَ اِلَّا الَّذِيْنَ هُمْ اَرَاذِلُــنَا بَادِىَ الرَّاْىِ‌ۚ وَمَا نَرٰى لَـكُمْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلٍۢ بَلْ نَظُنُّكُمْ كٰذِبِيْنَ

তাহার সম্প্রদায়ের প্রধানেরা, যাহারা ছিল কাফির তাহারা বলিল, ‘আমরা তোমাকে তো আমাদের মত মানুষ ব্যতীত কিছু দেখিতেছি না; আমরা তো দেখিতেছি, তোমার অনুসরণ করিতেছে তাহারাই, যাহারা আমাদের মধ্যে বাহ্য দৃষ্টিতেই অধম এবং আমরা আমাদের উপর তোমাদের কোন শ্রেষ্ঠত্ব দেখিতেছি না; বরং আমরা তোমাদেরকে মিথ্যাবাদী মনে করি।

সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ২৭


وَلَاۤ اَقُوْلُ لَـكُمْ عِنْدِىْ خَزَآٮِٕنُ اللّٰهِ وَلَاۤ اَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَاۤ اَقُوْلُ اِنِّىْ مَلَكٌ وَّلَاۤ اَقُوْلُ لِلَّذِيْنَ تَزْدَرِىْۤ اَعْيُنُكُمْ لَنْ يُّؤْتِيَهُمُ اللّٰهُ خَيْرًا‌  ؕ اَللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا فِىْۤ اَنْفُسِهِمْ‌ ۖۚ اِنِّىْۤ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِيْنَ

আমি তোমাদেরকে বলি না, ‘আমার নিকট আল্লাহ্‌র ধনভাণ্ডার আছে,’ আর না অদৃশ্য সম্বন্ধে আমি অবগত এবং আমি ইহাও বলি না যে, আমি ফিরিশ্‌তা। তোমাদের দৃষ্টিতে যাহারা হেয় তাহাদের সম্বন্ধে আমি বলি না যে, আল্লাহ্ তাহাদেরকে কখনই মঙ্গল দান করিবেন না; তাহাদের অন্তরে যাহা আছে তাহা আল্লাহ্ সম্যক অবগত। তাহা হইলে আমি অবশ্যই জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হইব।

সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ৩১


قَالُوْا يٰلُوْطُ اِنَّا رُسُلُ رَبِّكَ  لَنْ يَّصِلُوْۤا اِلَيْكَ‌ فَاَسْرِ بِاَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِّنَ الَّيْلِ وَلَا  يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ اَحَدٌ اِلَّا امْرَاَتَكَ‌ؕ اِنَّهٗ مُصِيْبُهَا مَاۤ اَصَابَهُمْ‌ؕ  اِنَّ مَوْعِدَهُمُ الصُّبْحُ‌ؕ اَلَيْسَ الصُّبْحُ بِقَرِيْبٍ

তাহারা বলিল, ‘হে লূত! নিশ্চয়ই আমরা তোমার প্রতিপালক - প্রেরিত ফিরিশতা। উহারা কখনই তোমার নিকট পৌঁছিতে পারিবে না। সুতরাং তুমি রাত্রির কোন এক সময়ে তোমার পরিবারবর্গসহ বাহির হইয়া পড় এবং তোমাদের মধ্যে কেহ পিছন দিকে তাকাইবে না, তোমার স্ত্রী ব্যতীত। উহাদের যাহা ঘটিবে তাহারও তাহাই ঘটিবে। নিশ্চয়ই প্রভাত উহাদের জন্য নির্ধারিত কাল। প্রভাত কি নিকটবর্তী নয়?

সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ৮১


وَاِلٰى مَدْيَنَ اَخَاهُمْ شُعَيْبًا‌  ؕ قَالَ يٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللّٰهَ مَا لَـكُمْ مِّنْ اِلٰهٍ غَيْرُهٗ  ‌ؕ وَلَا تَـنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيْزَانَ‌ اِنِّىْۤ اَرٰٮكُمْ بِخَيْرٍ وَّاِنِّىْۤ اَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ مُّحِيْطٍ

মাদইয়ানবাসীদের নিকট তাহাদের ভ্রাতা শু‘আয়বকে আমি পাঠাইয়াছিলাম। সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ্‌র ‘ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নাই, মাপে ও ওজনে কম করিও না; আমি তোমাদেরকে সমৃদ্ধিশালী দেখিতেছি, কিন্তু আমি তোমাদের জন্য আশঙ্কা করিতেছি এক সর্বগ্রাসী দিবসের শাস্তি।

সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ৮৪


وَيٰقَوْمِ اعْمَلُوْا عَلٰى مَكَانَتِكُمْ اِنِّىْ عَامِلٌ‌ ؕ سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ۙ مَنْ يَّاْتِيْهِ عَذَابٌ يُّخْزِيْهِ وَمَنْ هُوَ كَاذِبٌ‌ ؕ وَارْتَقِبُوْۤا اِنِّىْ مَعَكُمْ رَقِيْبٌ

হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা স্ব স্ব অবস্থায় কাজ করিতে থাক, আমিও আমার কাজ করিতেছি। তোমরা শীঘ্রই জানিতে পারিবে কাহার উপর আসিবে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি এবং কে মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করিতেছি।

সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ৯৩

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url