ইসলামে নামকরণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব

কোনো মানুষের পরিচয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক মাধ্যম হচ্ছে তার নাম। এজন্য ইসলামে নাম রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে উম্মতকে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। ভালো নাম চিহ্নিত করার পাশাপাশি মন্দ ও অসুন্দর নাম রাখা থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক করেছেন এবং অসুন্দর নাম পরিবর্তন করে ভালো নাম রাখার মাধ্যমে বাস্তব জীবনে এর আমলী নমুনা পেশ করেছেন।

নামকরণ করা হয় নবজাতকের। উত্তম হচ্ছে জন্মের সপ্তমদিনের মধ্যে নামকরণ করবে, আক্বিকা দিবে এবং মাথামুণ্ডন করবে। তারপর থেকেই শিশু নামের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করে। শুধু শিশুই নয়, তার বাবা-মামাও তার নামের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করে। এ নামের এমনই ফল যে কোনো মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে। তারপরও ঐ ব্যক্তির নাম-নিশানা অবশিষ্ট থাকে।

নামের মাধ্যমে শিশুর সঙ্গে পিতা-মাতার বন্ধন তৈরি হয়। পিতা-মাতা ও পরিবার ঐ নামেই ডাকে যে নাম তারা শিশুর জন্য নির্বাচন করে। তাইতো প্রাচীনযুগে বলা হতো- ‘তোমার নাম থেকেই তোমার পিতার পরিচয় পাওয়া যায়।

নামের ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কারণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষ ও মহিলা সাহাবিদের একটি বিশেষ অংশের নাম পরিবর্তন করেছেন। এমনকি তিনি মালিকুল আমলাক (রাজাদের রাজা) ও অনুরূপ নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঐ ব্যক্তির নাম, যার নাম রাখা হয়েছে মালিকুল আমলাক। (মুসনাদ আস সাহাবা)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভালো নামে আনন্দিত হতেন এবং তাকে সুলক্ষণ মনে করতেন। তিনি বলেন, যার নামে আল্লাহর দাসত্বের ঘোষণা রয়েছে সে নাম রাখতে বলতেন যেমন আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। (মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url