বাংলা অর্থসহ সুরা হুদ এর আয়াত ১০৩ থেকে ১২৩ পর্যন্ত
اِنَّ فِىْ ذٰ لِكَ لَاٰيَةً لِّمَنْ خَافَ عَذَابَ الْاٰخِرَةِ ؕ ذٰ لِكَ يَوْمٌ مَّجْمُوْعٌ ۙ لَّهُ النَّاسُ وَذٰ لِكَ يَوْمٌ مَّشْهُوْدٌ
যে আখিরাতের শাস্তিকে ভয় করে ইহাতে তো তাহার জন্য নিদর্শন আছে। ইহা সেই দিন, যেদিন সমস্ত মানুষকে একত্র করা হইবে; ইহা সেই দিন যেদিন সকলকে উপস্থিত করা হইবে;
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১০৩
وَمَا نُؤَخِّرُهٗۤ اِلَّا لِاَجَلٍ مَّعْدُوْدٍؕ
এবং আমি নির্দিষ্ট কিছুকালের জন্য উহা স্থগিত রাখি মাত্র।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১০৪
يَوْمَ يَاْتِ لَا تَكَلَّمُ نَفْسٌ اِلَّا بِاِذْنِهٖۚ فَمِنْهُمْ شَقِىٌّ وَّسَعِيْدٌ
যখন সেদিন আসিবে তখন আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কেহ কথা বলিতে পারিবে না; উহাদের মধ্যে কেহ হইবে হতভাগ্য আর কেহ ভাগ্যবান।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১০৫
فَاَمَّا الَّذِيْنَ شَقُوْا فَفِى النَّارِ لَهُمْ فِيْهَا زَفِيْرٌ وَّشَهِيْقٌ ۙ
অতঃপর যাহারা হতভাগ্য তাহারা থাকিবে দোজখে এবং সেখানে তাহাদের জন্য থাকিবে চিৎকার ও আর্তনাদ,
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১০৬
خٰلِدِيْنَ فِيْهَا مَا دَامَتِ السَّمٰوٰتُ وَالْاَرْضُ اِلَّا مَا شَآءَ رَبُّكَ ؕ اِنَّ رَبَّكَ فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيْدُ
সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে যত দিন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকিবে যদি না তোমার প্রতিপালক অন্যরূপ ইচ্ছা করেন ; নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক তাহাই করেন যাহা তিনি ইচ্ছা করেন।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১০৭
وَاَمَّا الَّذِيْنَ سُعِدُوْا فَفِى الْجَـنَّةِ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا مَا دَامَتِ السَّمٰوٰتُ وَالْاَرْضُ اِلَّا مَا شَآءَ رَبُّكَ ؕ عَطَآءً غَيْرَ مَجْذُوْذٍ
পক্ষান্তরে, যাহারা ভাগ্যবান তাহারা থাকিবে জান্নাতে, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, যত দিন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকিবে, যদি না তোমার প্রতিপালক অন্যরূপ ইচ্ছা করেন; ইহা এক নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১০৮
فَلَا تَكُ فِىْ مِرْيَةٍ مِّمَّا يَعْبُدُ هٰٓؤُلَاۤءِ ؕ مَا يَعْبُدُوْنَ اِلَّا كَمَا يَعْبُدُ اٰبَآؤُهُمْ مِّنْ قَبْلُؕ وَاِنَّا لَمُوَفُّوْهُمْ نَصِيْبَهُمْ غَيْرَ مَنْقُوْصٍ
সুতরাং উহারা যাহাদের ‘ইবাদত করে তাহাদের সম্বন্ধে সংশয়ে থাকিও না, পূর্বে উহাদের পিতৃপুরুষেরা যাহাদের ‘ইবাদত করিত উহারা তাহাদেরই ‘ইবাদত করে। অবশ্যই আমি উহাদেরকে উহাদের প্রাপ্য পুরাপুরি দিব - কিছুমাত্র কম করিব না।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১০৯
وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسَى الْكِتٰبَ فَاخْتُلِفَ فِيْهِ ؕ وَ لَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ لَـقُضِىَ بَيْنَهُمْ ؕ وَاِنَّهُمْ لَفِىْ شَكٍّ مِّنْهُ مُرِيْبٍ
নিশ্চয়ই আমি মূসাকে কিতাব দিয়াছিলাম, অতঃপর ইহাতে মতভেদ ঘটিয়াছিল। তোমার প্রতিপালকের পূর্বসিদ্ধান্ত না থাকিলে উহাদের মীমাংসা হইয়া যাইত। উহারা অবশ্যই ইহার সম্বন্ধে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে ছিল।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১০
وَاِنَّ كُلًّا لَّمَّا لَيُوَفِّيَنَّهُمْ رَبُّكَ اَعْمَالَهُمْ ؕ اِنَّهٗ بِمَا يَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ
যখন সময় আসিবে তখন অবশ্যই তোমার প্রতিপালক উহাদের প্রত্যেককে তাহার কর্মফল পুরাপুরি দিবেন। উহারা যাহা করে তিনি তো সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত;
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১১
فَاسْتَقِمْ كَمَاۤ اُمِرْتَ وَمَنْ تَابَ مَعَكَ وَلَا تَطْغَوْا ؕ اِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ
সুতরাং তুমি যেভাবে আদিষ্ট হইয়াছ তাহাতে স্থির থাক এবং তোমার সঙ্গে যাহারা ঈমান আনিয়াছে তাহারাও স্থির থাকুক; এবং সীমালংঘন করিও না। তোমরা যাহা কর নিশ্চয়ই তিনি তাহার সম্যক দ্রষ্টা।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১২
وَلَا تَرْكَنُوْۤا اِلَى الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا فَتَمَسَّكُمُ النَّارُۙ وَمَا لَـكُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ اَوْلِيَآءَ ثُمَّ لَا تُنْصَرُوْنَ
যাহারা সীমালংঘন করিয়াছে তোমরা তাহাদের প্রতি ঝুঁকিয়া পড়িও না; পড়িলে অগ্নি তোমাদেরকে স্পর্শ করিবে। এই অবস্থায় আল্লাহ্ ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক থাকিবে না এবং তোমাদের সাহায্য করা হইবে না।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১৩
وَاَقِمِ الصَّلٰوةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَـفًا مِّنَ الَّيْلِ ؕ اِنَّ الْحَسَنٰتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّاٰتِ ؕ ذٰ لِكَ ذِكْرٰى لِلذّٰكِرِيْنَ ۚ
তুমি সালাত কায়েম কর দিবসের দুই প্রান্তভাগে ও রজনীর প্রথমাংশে। সৎকর্ম অবশ্যই অসৎকর্ম মিটাইয়া দেয়। যাহারা উপদেশ গ্রহণ করে, ইহা তাহাদের জন্য এক উপদেশ।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১৪
وَاصْبِرْ فَاِنَّ اللّٰهَ لَا يُضِيْعُ اَجْرَ الْمُحْسِنِيْنَ
তুমি ধৈর্য ধারন কর, কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করেন না।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১৫
فَلَوْ لَا كَانَ مِنَ الْقُرُوْنِ مِنْ قَبْلِكُمْ اُولُوْا بَقِيَّةٍ يَّـنْهَوْنَ عَنِ الْفَسَادِ فِى الْاَرْضِ اِلَّا قَلِيْلًا مِّمَّنْ اَنْجَيْنَا مِنْهُمْ ۚ وَاتَّبَعَ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مَاۤ اُتْرِفُوْا فِيْهِ وَكَانُوْا مُجْرِمِيْنَ
তোমাদের পূর্বযুগে আমি যাহাদেরকে রক্ষা করিয়াছিলাম তাহাদের মধ্যে অল্প কতক ব্যতীত সজ্জন ছিল না, যাহারা পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটাইতে নিষেধ করিত। সীমালংঘনকারীরা যাহাতে সুখ - স্বাচ্ছন্দ্য পাইত তাহারই অনুসরণ করিত এবং উহারা ছিল অপরাধী।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১৬
وَمَا كَانَ رَبُّكَ لِيُهْلِكَ الْقُرٰى بِظُلْمٍ وَّاَهْلُهَا مُصْلِحُوْنَ
তোমার প্রতিপালক এইরূপ নন যে, তিনি অন্যায়ভাবে জনপদ ধ্বংস করিবেন, অথচ উহার অধিবাসীরা পুণ্যবান।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১৭
وَلَوْ شَآءَ رَبُّكَ لَجَـعَلَ النَّاسَ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّلَا يَزَالُوْنَ مُخْتَلِفِيْنَۙ
তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করিলে সমস্ত মানুষকে এক জাতি করিতে পারিতেন, কিন্তু তাহারা মতভেদ করিতেই থাকিবে,
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১৮
اِلَّا مَنْ رَّحِمَ رَبُّكَ ؕ وَلِذٰلِكَ خَلَقَهُمْ ؕ وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ لَاَمْلَـئَنَّ جَهَـنَّمَ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ
তবে উহারা নয়, যাহাদেরকে তোমার প্রতিপালক দয়া করেন এবং তিনি উহাদেরকে এইজন্যই সৃষ্টি করিয়াছেন। ‘আমি জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করিবই’, তোমার প্রতিপালকের এই কথা পূর্ণ হইবেই।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১৯
وَكُلًّا نَّقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهٖ فُؤَادَكَ ۚ وَجَآءَكَ فِىْ هٰذِهِ الْحَـقُّ وَمَوْعِظَةٌ وَّذِكْرٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ
রাসূলদের ঐ সকল বৃত্তান্ত আমি তোমার নিকট বর্ণনা করিতেছি, যদ্দ্বারা আমি তোমার চিত্তকে দৃঢ় করি, ইহার মাধ্যমে তোমার নিকট আসিয়াছে সত্য এবং মু’মিনদের জন্য আসিয়াছে উপদেশ ও সাবধানবাণী।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১২০
وَقُلْ لِّـلَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ اعْمَلُوْا عَلٰى مَكَانَتِكُمْؕ اِنَّا عٰمِلُوْنَۙ
যাহারা ঈমান আনে না তাহাদেরকে বল, ‘তোমরা স্ব স্ব অবস্থানে কাজ করিতে থাক, আমরাও আমাদের কাজ করিতেছি,
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১২১
وَانْـتَظِرُوْا ۚ اِنَّا مُنْتَظِرُوْنَ
‘এবং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমরাও প্রতীক্ষা করিতেছি।’
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১২২
وَلِلّٰهِ غَيْبُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاِلَيْهِ يُرْجَعُ الْاَمْرُ كُلُّهٗ فَاعْبُدْهُ وَتَوَكَّلْ عَلَيْهِؕ وَمَا رَبُّكَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ
আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহ্রই এবং তাঁহারই নিকট সমস্ত কিছু প্রত্যানীত হইবে। সুতরাং তুমি তাঁহার ‘ইবাদত কর এবং তাঁহার উপর নির্ভর কর। তোমরা যাহা কর সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক অনবহিত নন।
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১২৩