Breaking News

হাসির গল্পঃ হাওয়ার তরে,লুঙ্গী উড়ে | পর্বঃ২য় ও শেষ পার্ট

হঠাত দেখি আমার পেটের ভিতর ডাকাডাকি শুর হইছে।
তাই কোন কথা না ভেবে দিলাম দরজার দিকে দৌড়।
গিয়ে দেখি দরজা বাইরে থেকে সিটকানি দিয়া।তাই গলা ফাটিয়ে মা,খালা সহ চৌদ্দ গুষ্টিকে একসাথে ডাকতে শুর করে দিলাম।
কিন্ত কোন লাভ হল না।পরে ডাইনি মার্কা হাসির আওয়াজ এর সাথে কেউ বলে উঠল,যতই ধাক্কাধাক্কি কর কোন লাভ নাই।(RFL টিউবলের এডের মত করে)।আমার টাকা না পাওয়া পর্যন্ত,তোমার টয়লেট মন্ত্রীর সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
হায় হায় পেত্নীটা কিভাবে জানল যে,আমার টয়লেটে যেতে হবে??তার মানে এটা পেত্নীটার কাজ।অনেক অনুয় বিনয় করেও কোন লাভ না হওয়ায়,নিজের চুরি করা ধন সম্পদ পেত্নীর হাতে তুলে দিয়ে টয়লেটে মন্ত্রীর কাছে গিয়ে পায়ু পদের বেগে ছিটাকানি না লাগিয়েই লুঙ্গীটাকে প্যারাসুটের মত উপরে তুলে দিতেই দেখি,সব আর্সেনিকযুক্ত টিউবলের পানির মত বেরিয়ে যাচ্ছে।
আর এদিকে আমার মনে হচ্ছে,,,
{আমি দেশি টিউবওয়েলের বেশি পানির এড দিচ্ছি}হঠাত ধারাম করে টয়লেটের দরজায় ধাক্কার আওয়াজ পেয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি আবার সেই নীলা বাইরে দারিয়ে আছে,,,
আমি এবার পচন্ড রাগে বলে উঠলাম,বাইরে কি করিস? ভিতরে আয়।আমি বুজছি,লাল জাইংগা দিয়ে যে ইজ্জত টুকু বাচিয়ে রাখছিলাম তা না নিয়ে ত তুই বাড়ি যাবিনা।তাই আয়,ভিতরে আয় এক সাথে হাগু করি।আমার মুখে এই কথা শুনে নীলা মুখে ওড়না চাপা দিয়ে দে দৌড়।
সালার মেয়ের জন্য শেষ ইজ্জতটুকু বাচিয়ে রাখতে পারলাম না।কিন্ত ঐ দিন ৭-৮ বার ব্যাট হাতে থুক্কু বদনা হাতে মাঠে নামতে হইছিল।
কারন পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে সিরিয়াল মেনটেন করতে না পারায়,পায়ুপথের মংগলে জংগুলে পারি জমিয়ে লজ্জায় নাক চাপা না দিলেও,গন্ধে নাক চাপা দিয়ে দেশের তরে আর্সেনিকযুক্ত পানি সাপ্লাই দিয়ার সময় মনে পরে গেল পুরানো কথা,,,,,,
একবার রতনকে আমার বন্ধুরা মিলে জামালগোটা খাইয়েছিলা আর রতন তরল পদার্থ ত্যাগ করতে করতে কবিতা লিখছিল তাই আজ আমার খুব মনে পরছে,,
সর্বনাশা ডাইরিয়া
রতন খান্না আর হাগু করতে চান না

বদনা হাতে জংগলেতে,ফেলিতে গিয়াছি মল,,,,
লজ্জা দিতে বাতি হাতে,এসেছে জোনাকির দল।
ব্যর্থ হয়ে পাঠিয়েছে তারা,শতশত মশাকে পাকাতে গোন্ডগোল।
আসিয়া তারা,পাইয়া উদাম ফুটবলের মত বল,,
ঢুকাইয়া সুই শোষিয়া নিতে শুর করছে,যত ছিল রক্ত সম্ভব।
আমি ছারিনি হাল ফেলেছি মাল,মাটিতে জৈব সারের তরে।
সারের দৌলতে ফলবে ফসল,মাঠের কোনায় কানায় ভরে।
ফলিবে ফলস দেখিবি মশা,তখন ভাসাবি চোখের জলে।

পরে পল্টু আর বল্টুর থেকে জানতে পারলাম,কলেজে সবার সামনে আমাকে আদর করা অপ্সরীর নাম ফারিহা।
বাড়ির ঠিকানা নিয়ে রাত ১০টার দিকে রতনকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম।দেখি সালা পুরুষদের জাতীয় পোশাক লুঙ্গী পরে আসছে।জিজ্ঞাস করলাম মেয়ের সাথে দেখা করতে যাব,তুই লুঙ্গী পরে আসছস কেন?
রতনঃদস্ত দুই রানের চিপাই এমন এক আইটেম বোম হইছে যা আমাকে প্যান্ট বিসর্জন দিতে বার্ধ করছে।
এই কথা শুনে মুশকি হাসিদিয়ে রতন কে নিয়ে ফারিহাদের বাসার সামনে গিয়ে দেখি,দুই তালা বিশিষ্ট অট্টালিকা বাড়ি।
তার মানে শশুর হালার থুক্কু শশুর মশাই এর ভালই মাল আছে?পরে রতনকে নিয়ে দেয়াল টপকে যেইনা বাড়ির ভিতরে পা দিছি ওমনি ফারিহাদের দারোয়ান আমাদের দেখে ঘেউ ঘেউ করতে শুর করল(মানে কুত্তা দারোয়ান আরকি)প্রান বাচাতে আবারো দিয়াল টপকে দে দৌড়।??
কিছু দূর যাওয়ার পর পিছে ফিরে তাকিয়ে দেখি,রতন কিছুটা এসে,কেন জানি ফারিহাদের বাড়ির দিকে আবারো দৌড় দিছে।কাহিনি কি ভাল করে বুজার জন্য তাকিয়ে দেখি,,,,
রতনের লুঙ্গী ফারিহাদের বাড়ির দেয়াল ঘেসা ফুল গাছের সাথে ঝুলে আছে।
রতন লুঙ্গী আনার জন্য কিছুটা যাওয়ার পর কুত্তার বেগতিক খেক্কানি শুনে আবার উল্টা দৌড়।রতনের দুই রানের মাঝে সেই আইটেম বোম হওয়ার কারনে রতন দুই পা দুই দিকে ফাগা দিয়ে দৌড়াচ্ছে আর রতনের গাছের সাথে ঝুলে থাকা ঐটা একবার ডানপাশ আরেক বার বামপাশে বারি খাচ্ছে,,,
(আপনারা কিন্ত উল্টাপাল্টা কিছু ভাইবেন না,,ঐটা হচ্ছে রতনের লুঙ্গী বাতাসে একবার এদিকে আরেকবার ঐদিকে বারি খাচ্ছে আরকি)।যাক কোন মতে ঐ দিন বাড়ি ফিরে আসলাম।
পরের দিন বিকালে মাঠে বসে আমি, রতন,বল্টু,আর পল্টু চার জন আড্ডা দিচ্ছি।হঠাত দেখি বল্টু পাছাটা তুলে মুখটা কোতন মুখি করে বলে উঠল,দস্তরা আসছে রে,,,,,,
কথাটা শুনেই আমারা বাকি তিন জন তিনদিকে দে দৌড়,,কিছু দূর যেতেই বল্টু উচ্চসরে হেসে বলে উঠল,দস্ত পাদ না,পাদ না।সবাই বল্টুর কথা শুনে দৌড় থামালাম,কারন সালা বল্টুর পাদে যে গন্ধ,যদি কোন প্রেগন্যান্ট মহিলার সামনে দেয় তাহলে ১০০%শিউর বিনা সার্জারিতে ডেলিভারি হয়ে যাবে।
একটা দীর্ঘশ্বাস নিতেই বল্টু আবার বলে উঠল,আমার পাদ না আসলে ও ঐ দেখ ফারিহা আসতাছে।কথাটা শুনেই রতন হুসাইন বোল্টের গতিতে দে দৌড়।রতনের দৌড় দেখে পল্টু আর বল্টুও গায়েব।
আমি বোকার মত দাঁড়িয়ে আছি আস্তে আস্তে ফারিহা আমার সামনে চলে আসল।এসেই আমার কলার ধরে বলে উঠল,,
ফারিহাঃঐ হারামি তুই কালকে আমাদের বাড়িতে গেছিলে কেন?
আমিঃকই না ত!!!
ফারিহাঃকুত্তা মিথ্যা কথা বলবি না,খুন করে ফেলব কিন্ত।আর লুঙ্গী কি তোর কাছে বাঙালি পুরুষদের জাতীয় পতাকা মনে হয় নাকি??যে আমার বাড়ির ফুল গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আসছস?
আমিঃকি যাতা বলছেন,আমি লুঙ্গী পরি না!!
ফারিহাঃঐ ফকিন্নি আমি যাতা বলছি,ঐ ১২০ টাকা দামের লুঙ্গী তুই ছাড়া আর অন্য কেউ পরতে পারে না!!
আমিঃকি বললেন আপনি??ওটা আমার না রতন এর লুঙ্গী।(ইজ্জতে হানা দিতেই মুখ ফোসকে সত্য কথা বেরিয়ে গেল)
ফারিহাঃউচ্ছাসরে হাসি দিয়ে বলে উঠল,আমি আর্চ এর ছাত্রী তোর মত ফাজিল এর থেকে কিভাবে কথা বের করতে হয় তা আমি জানি।এবার চল আমার সাথে,,
আমিঃচল,?মানে কোথায় যাব(অবাক হয়ে)
ফারিহাঃতোর আম্মুর কাছে,তুই যে আমার সাথে প্রেম করবি তার সাক্ষী রাখব।
আমিঃআমি কখন বললাম,আমি আপনার সাথে প্রেম করব?এই কথা শুনে ফারিহার চোখ গরম দেখে ভয়ে বললাম,প্রেম করব ঠিক আছে।কিন্ত আমি ত জানি বিয়ের সাক্ষী লাগে,প্রেমের সাক্ষী ত লাগে না!!
ফারিহাঃতোর মত শয়তানের সাথে প্রেম করার জন্য প্রেমের সাক্ষীও লাগে,,,
আমিঃতাই বলে আব্বু,আম্মু কে কেন সাক্ষী রাখতে হবে কেন?
ফারিহাঃকারন যাতে পরে উল্টাপাল্টা কিছু না করতে পারস,,বলেই কলার ধরে টানতে টানতে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমার আম্মাজানকে সব খুলে বলতেই আমার আম্মাজান আমার অবলা কানটা টান দিয়ে ধরল।
আর ফারিহাকে উদ্দেশ করে বলল,মামানি আরেকটা কান বাকি আছে ওটা তুমি ধর।ফাজিল মাইয়া কথাটা শুনতে দেরি করল।কিন্ত আমার আরেক কান ধরতে দেরি করল না।
আমার এই অব্যস্থা দেখে,পেত্নীটা দূর থেকে ডাইনি মার্কা হাসি দিচ্ছে।আর ঐ হাসির সাথে তাল মিলিয়ে আমার আম্মজান হেসে বলে উঠল,ফারিহা মামুনি এই বাদরটাকে ভাবছি তোমার গলায় ঝুলিয়ে দিব
তুমি পারবে এই বাদরটাকে মানুষ করতে।এই কথা শুনে ফারিহাও ঐ দুইজনের সাথে মিলে,তিন জন এক সাথে ডাইনি মার্কা হাসি দিল,,,
আর আমি মনে মনে ভাবছি,সালার রতনের ১২০ টাকা দামের লুঙ্গীর আমার জীবন টা ফাতাফাতা কইরা দিল মনে হয়।
[এমন হাসির গল্প যারা পড়তে ভালবাসেন তারা আমার টাইমলাইন ঘুরে আসতে পারেন]

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com