Breaking News

রাগি বউ

আনিশা কাপড়ের ব্যাগ গুছিয়ে দরজা কাছে এসে বলে আমি কিন্তু সত্যি চলে যাচ্ছি।
আনিশা)আমি কিন্তু সত্যি সত্যি   চলে যাচ্ছি আর কোন দিন ফিরবো না কিন্তু
আমি) পেপারটা মুখে সামনে এনে বললাম  চলে গেলে একে বারে চলে যাওয়া ভালো বার বার ঝামেলা করার দরকার কি
আনিশা) কি ঝামেলা আমি করি ঝামেলা তো তুমি করে তোমার মতো দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা মানুষকে বিয়ে করে আমার জীবনটা নষ্টে করছি আর থাকছি না আমি এই বাসায়।
আমি) আচ্ছা যাবেতো চলে যাও এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ত… ওহ সরি মানে কথা বলা কি আছে
(যদি বলতাম তর্ক করার কি আছে তাহলে আরও আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে ভালো বাবে ঝারতো তাই কথা ঘুরিয়ে নিলাম আপনারা আবার বইলেন না)
আনিশা) এই তুমি কি বললা আমি তর্ক করছি তোমার সাথে
আমি) না না আমি সেটা কখন বললাম?  আমি বলছি যে তুমি এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে তারাতাড়ি যাও তানা হলে তো বাস ছেড়ে দিবে তখন কি বাবে যাবে।
.
আনিশা)এই আমি কি যা তা ফ্যামিলের মেয়ে যে বাসে থাক্কা থাক্কি করে যাবো আমি CNG  করে যাবো।
আমি)আচ্ছা বাবা যাও CNG করে যাও
আনিশা) ছি ছি এই তুমি কি বললা আমি তোমার wife আর তুমি আমার সাথে কথা বলার সময় বাবা শব্দ উচ্চারন করছে এই তোমার কমন সেন্স বলতে কিছু নেই।
আমি) আরে এটা তো কথার কথা বলছি
আনিশা) তুমি কথার কথা বলবে কেনো কার সাথে কি বাবে কথা বলতে হয় জানে না তুমি।
আমি) আচ্ছা ঠিক আছে আর কখনো তোমার সাথে কথা বলার সময়  ঐ শব্দ উচ্চারন করবো না।
আনিশা) আরে তুমি আমাকে পাবে কোথায় আমি তো এখনি চলে যাচ্ছি।
আমি) ও হা তুমি তো আবার চলে যাচ্ছে আচ্ছা ঠিক আছে ভালো মতো যেও
আনিশা)আমি ভালো বাবে যাই আর মন্দ বাবে যাই সেটা আমার ব্যপার তুমি বলার কে।
আমি) ও তাইতো আমি বলার কে আচ্ছা সরি।
.
আনিশা) সরি বললে কি সব সমস্যার  সমাধান হয়ে যায় তুমি বিয়ের পর থেকে কতো কতো
বার ভুল করছে আর কতো বার সরি বলছে তোমার লজ্জা করে না ভুল করে আবার সরি বলে।
আমি)আমার লজ্জা শরম একটু কমি সেটা তো তুমি জানেই
আনিশা) কেনো তোমার লজ্জা শরম কম হবে কেনো তুমি পুরুষ মানুষ না তোমার পারসোনালটি বলতে কিছু নাই
আমি) লজ্জা শরম তো নারীর ভূষণ তাই ওটা পুরুষদের একটু কমি থাকে।
আনিশা) কম বলছে কেনো ওটাতো তোমার একে বারে নাই
আমি) আর কিছু বললাম না চুপ করে রইলাম আর পেপারটা এখনো আমার মুখের উপরে যদি আমি পেপারটা সরাই তো তাহলে আরও জোরদিয়ে আমার সাথে ঝগড়া করবে তাই আর সরালাম না এই ফাঁকে আপনাদের আমি আমার পরিচয় দিয়েফেলি
.
আমি আনিক একটা প্রইভেট কম্পানিতে জব করি আর এতোক্ষণ যার
সাথে ঝগড়া করলাম তার নাম আনিশা। আমার সাথে ঝগড়া করার কারণ হলো
আজ তার জন্ম দিন ছিল আনিশা আমাকে ফোন করে তারাতাড়ি বাসায় আসতে
বলছিলে কিন্তু আমি আফিসের কাজে এতো বেস্ত ছিলাম যে আমার মনে ছিল না
তাই বাসায় ফেরা মাএ দেখি ব্যাগ গুছিয়ে হুমকি দিল বাপের বাড়ি যাবে।
আমি জানি পাগলিটা যাবেনা কারণ পাগলিটা আমাকে তার নিজের চেও
বেশি ভালোবাসে ও আর একটা কথা আমাকে ভালোবাসার কারণ হলে
আমাদের লাভ মেরিজ হয়েছে। প্রথম আনিশার বাবা মা রাজি ছিল না তারা
আনেক বড়ো লোক আর আমরা মধ্যবতি পরিবার আনিশা দুই বোনকে ও
আনেক বড়ো লোক ছেলে সাথে বিয়ে দিয়েছে কিন্তু পাগলিটা আমাকে বলছে
আমার টাকা পয়সা দরকার নাই আমার দরকার তোমাকে। আমি তোমাকে
পেলে খুসি আর হা মরলে এক সাথে মরবো বাচলে একসাথে বাঁচবো।
আমি ভাবছিলাম মনে হয় আবেগ বসতে হয়ে এই গুলো বলছে আমার
এই গুলো ভাবার কারণ হলে এই যুগের যে প্রেমের আবস্থা ও কয়দিন পড়ে
আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু না পাগলিটা তার কথা রাখছে একদিন
আমার কাছে এসে বলে চলে আমরা বিয়ে করবো কাজী আফিসে যাই।
.
আমি প্রথম বলি তুমি এ-ই সব কি বলছে যা বলছে ভেবে চিন্তে বলছে তখন আনিশা বলে
আমিও যা বলছি ভেবে বলছি আজ বিকালে ছেলে পক্ষে আমাকে দেখতে আসবে আমি
তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না চলে আমরা বিয়ে করলে আর আমাদের
কেউ কিছু বলতে পারবে না। আমিও আর কিছু না ভেবে কাজী আফিসে
গিয়ে বিয়ে করে নিলাম। তারপর আমি বলি আচ্ছা এখন আমরা
যাবো কোথায় আমার পরিবারে এখন তোমাকে নিলে বাবা মা যদি রাজি না হয়।
তখন আনিশা বলে তা আমি মেনেচ করবো তুমি চলে।
আমি আবাক হয়ে বলি তুমি মেনেচ করবা মানে।
তখন আনিশা বলে আগে চলে না তারপর দেখবে।
তারপর আমার হাত ধরে আমার বাসা দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমিও আর কিছু না বলে হাঁটছি
কিছুক্ষন পড়ে আমাদের দরজা কাছে এসে কলিং বেল বাজালাম কিছুক্ষন পড়ে মা দরজা খুলে।
আমি মাথা নিচু করে বলি মা তোমার বউ মা আর
আনিশা এ আমার মা তখন দেখি আনিশা মা দিকে তাকিয়ে হাসছে আর মাও আনিশা
দিকে তাকিয়ে হাসছে আমি তো আবাক হয়ে যাই। কিছু ক্ষন পড়ে
বাবা আর আমার ছোট বোন বৃষ্টি এসে বলে ও ভাবি আসছে ভিতর আসে এই
ভাই সর না ভাবিকে আসতে দেয়। আমি তো আবাক আমি তো ভাবছি
আমার বিয়ে কথা শুনে মা ঝাড়ু নিয়ে এসে ৭ নাম্বার ঝড়ের
  ছিনংগেল চালাবে কিন্তু তাতো দেখছি উল্টো বাবা মা বৃষ্টি আনিশাকে
বরন করে রুমে নিয়ে যাচ্ছে তখন আমি বলি মা এটা কি হলে আমি তো
ভাবছিলাম তখন মা বলে তুই যা ভাবছে তা আমি বুঝতে পারছি
কিন্তু চিন্তা করিস না আনিশা সাথে আমার আনেক দিনের পরিচয় ও তোকে
না জানিয়ে আমাদের বাসায় আসতো আড্ডা দিতে।
.
আমি তখন বলি তা আমাকে বলেনি কেনো তখন মা বলে ও মানা করছিল আর
আজ তোরা বিয়ে করবি তা আমরা জানতাম। এটা আমাদের প্লান ছিল আনিশা বাবা
অন্য জায়গায় ও বিয়ে ঠিক করে তারপর আমি ওকে বলি তোমরা দুই জন পালিয়ে
বিয়ে করে তারপর কেউ কিছু বলতে পারবে না। আমি মা কথা শুনে কাঁদবো না
হাসবো নিজেই বুঝতে  পারছি না কি কপালরে আমার আপনাদের মা বাবা হলে
নিশ্চিত ঝাড়ু দিয়ে তারিয়ে দিতো আমি ও সেটা ভাবছিলাম কিন্তু না তার উল্টো
হলে আমার কিন্তু এক দিকে উপকার হইছে আর কষ্ট করে কাউকে রাজি করাতে
হয়নি হি হি হি। তখন মা বলে যা রুমে যা আনিশা একা বসে আছে আমি আর
কিছু না বলে রুমে গেলাম দেখি রুমটা  ফুলে ফুলে সাজানো তারমধ্য একটা পরী
বসে আছে মানে আমার বউ।
আনিশা আমার কাছে এসে পা সালাম করতে চাইলো আমি তাকে উঠিয়ে
বুকে জরিয়ে ধরি তারপর এই মিয়া মানের বাসর গড়ের কথা এতো শুনতে
ইচ্ছে হয় কেন জান আজ আর কিছু বলবো না কাল থেকে আবার বলা শুরু করুম bye
লেখা ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com