Breaking News

হলদে খামে নীল চিরকুঠ- সৈয়দ রুবেল

এইতো কিছুক্ষন পূর্বে ডাকপিয়ন একটি চিরকুঠ দিয়ে গেল। হলদে খামের একখানা চিরকুঠ। বছর চারেক ধরে এমন হলদে রংঙ্গের খামে কেউ চিরকুঠ পাঠায় না।আজ হঠাৎ হলদে খামের চিরকুঠ দেখে বেশ অবাক হলাম।

এটা আর কারও চিরকুঠ নয় এটা পদ্মর চিরকুঠ। চিরকুঠ নিয়ে দৌড়ে গেলাম বিলের ধারে। হিজল তলায় বসে চিরকুঠ পড়ছি;প্রিয়, রুদ্র,কেমন আছো? আমার বিশ্বাস চিঠি পেয়ে তুমি আর তোমার মধ্যে নেই।

তোমার হাত নিশ্চয় কাঁপছে তাই না রুদ্র। শোন রুদ্র তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও আজ অব্দি তুমি আমার মধ্যেই ছিলে। আজ থেকে ধরে নাও তোমার পদ্মের পূর্ণাঙ্গ মৃত্যু হলো। আগামী ০১-০৫-১৪২৭ বঙ্গাব্দ আমার বিয়ে।

অনেক কথাই লিখতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু পারছি না। না বলা কথা গুলো না বলাই থেকে গেল। নিজের যত্ন নিও রুদ্র । ইতি, ” পদ্ম “মেঘাচ্ছন্ন চোখে বৃষ্টি নামার উপক্রম প্রায় মনের মধ্যে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়ে গেল । এ ঝড়ে চোখে বৃষ্টি এলো। বুকের ভেতরটা কেমন যেনো মেঘেদের ডাক শুরু হলো।

বিলের জলে নিজের প্রতিচ্ছবি দোল খাচ্ছে। চোখে মুখে বিষণ্ণতা নিয়ে চারোদিকে কেমন ঝাপসা দেখছি। মনে হচ্ছে প্রকৃতির দৃষ্টি এখন আমার দিকে।তবুও নিলজ্জের মত দাড়িয়ে আছি প্রকৃতির মাঝে।

ভুল বুঝা থেকেই বেড়েছিলো আমাদের দূরত্ব বন্ধ ছিলো যোগাযোগ, কিন্তু মনের মধ্যে যেই বন্ধন, আত্মবিশ্বাস তার কি পতন ছিলো? না কখনই না,বাহ্যিক বিষয় পরিবর্তন হয়েছে বটে কিন্তু অভ্যন্তরে সুতো ছিঁড়ে যাইনি ।

আজ তা বুঝিয়ে দিলো পদ্ম হলদে খামে।পরশু পদ্মের বিয়ে।শুধুমাত্র পদ্মের মৃত্যু নয় একই সাথে রুদ্রের মৃত্যুও হলো। শুনে রাখো প্রকৃতি এই মৃত্যুর দাফন হয় না।এই লাশ তোমাদের মধ্যেই বিরাজ করবে। প্রকৃতি চলো প্রার্থনা করি ‘পদ্ম থাকুক জলে ভেসে, হাসি মুখে মাথা উঁচিয়ে।

অতঃপর প্রকৃতি আমায় ফিসফিসিয়ে বললো তুমি আমার প্রেমে মগ্ন হও। আমি তোমায় অমরত্ব ভালোবাসা দিবো। আমি তখন; আকাশ পানে তাকিয়ে, চিরকুঠে তৈরি নৌকো দিলাম জলের বুকে ভাসিয়ে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com