Breaking News

রাতের অতিথি

স্যার চলেন রেট কম আছে আমার মত সুন্দরি মাইয়া আর পাইবেন না রাজি থাকলে কন।
মেয়েটার কথা শুনে থমকে দাঁড়ালাম। দেখে তো ভদ্র ঘরের মেয়েই মনে হচ্ছে পোশাকও শাবলিল।
আমায় চুপ থাকতে দেখে মেয়েটা আবার বললো, কি হলো কথা কন না কেন নাকি আমায় দেখে টাস্কি খাইলেন?
আমি কিছু বলছি না শুধু চুপ করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি আর বুঝার চেষ্টা করতেছি মেয়েটাকে তো পতিতাদের মত লাগে না।
অবশ্য এটা নিয়ে এতো ভাবাভাবির কিছু নেই কারন আজকাল ভদ্র সেজে থাকা মানুষগগুলোই অভদ্র হয়।
তবে কেনো জানি না মেয়েটার সম্পর্কে জানার খুব আগ্রহ হচ্ছে। বলি কি মদ-টদ খাইছেন নাকি।
মনে তো হয় খাইছেন তা না হইলে আমার মত এরকম একটা সুন্দরি মাইয়া আপনার সাথে এতো রাতে কথা কইতাছে আর আপনি কিছুই বলতাছেন না।
দেখেন এর থেইকা কম দামে আর কাউরে পাইবেন না আপনি। আর পাইলেও আমার মত কাউরে পাইবেন না। হইলে কন না হইলে যাই। এখানে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করা যাইবো না। দেখুন আপনি যা ভাবছেন আমি সেরকম নই। আমি একজন ভদ্র ঘরের ছেলে। আমি এসবের মধ্যে নাই।
— ওরে আমার ভদ্র মানুষটা রে। প্রথম প্রথম সবাই এটাই বলে। পরে ঠিকই তার আসল রুপ বেরিয়ে আসে।
সব মানুষের ভিতরই একটা জানোয়ার থাকে।
— আমি মোটেও সেরকম নই। আসলে বন্ধুর বার্থডে পার্টি থেকে আসছিলাম। আর পথে আপনার সাথে দেখা।
— তাইলে এভাবে চুপ করে আছিলেন কেনো? প্রথমেই কইতে পারতেন। শুধু শুধু আমার সময় নষ্ট করলেন। আজকে দিনটাই খারাপ যাচ্ছে।
— এই যে শুনেন
— আবার কি কইবেন?
— আপনাকে দেখে তো পতিতাদের মত লাগছে না। আর পোশাকও শাবলিল। দেখে তো ভালো পরিবারেরই মনে হচ্ছে।
— দেখে যদি ভালো বুজা যেতো তাইলে তো আর এই পৃথিবীতে খারাপ মানুষ থাকতো না। মুখোশের আড়ালেই আসল পরিচয় লুকানো থাকে।
— আপনি এরকম কেনো?
— আপনার সাথে ফালতু প্যাচালের টাইম আমার নাই। আর আমার কাহিনী শুইনা কি করবেন? আপনাদের মত মানুষ আমার চেনা আছে। সরাসরি কইলেই হয়। কোনো সমস্যা হইবো না চলেন।
— আচ্ছা কত টাকা?
— রেট তো ৫০০ কিন্তু এতখন যে আমার সময় নষ্ট করলেন তার জন্য আরও ১০০ বাড়তি লাগবো।
— আচ্ছা আমি রাজি।
— দেখলেন তো আসল পরিচয় বেরিয়ে আসলো। আগে কইলে আর এতো সময় নষ্ট হতো না। আপনাদের তো আমার চিনা আছে। এতো বছর ধরে এই লাইনে আছি দেখেই কইতে পারি কে কিরকম
মেয়েটা আমাকে একটা বস্তিতে নিয়ে আসলো। ভাঙা – চুড়া একটা ঘরে ঢুকলাম। তারপর মেয়েটা দরজা আটকিয়ে দিলো।
— যা করার তাড়াতাড়ি করবেন এটা বলেই মেয়েটা তার জামা- কাপড় খুলতে লাগলো
— আরে কি করছেন? কোনো কিছু করতে হবে না। আপনি চুপ করে এখানে বসেন
— মানে? ওই আপনার মতলবটা কি কনতো?
— কোনো মতলব নেই। আপনাকে দেখে আমার এরকম মনে হচ্ছে না তাই আপনার সম্পর্কে জানতে চাই। আর আপনার তো সময় নষ্ট হয় তাই টাকা দিলাম।
এখন চুপ করে এখানে বসেন আর আপনার সম্পর্কে বলুন। আর আমি কিছুই করবো না। এটা শুনেই চলে যাবো।
— ও বুঝবার পারছি। আপনি সাংবাদিক তাই না। ইন্টারভিউ নিতে আসছেন আমার। আপনার সাহস তো কম না। ওই ক্যামেরা বাইর করেন। কই রাখছেন ক্যামেরা বলেন?
— দেখুন আমি কোনো সাংবাদিক নই। আর কোনো ক্যামেরাও নেই। আপনাকে দেখে কৌতুহল হলো তাই জানতে চাচ্ছিলাম। আর আপনি কিন্তু আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাই এটা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পরে।
— কি জানতে চান? তাড়াতাড়ি কন
— কে আপনি?
— ইমা। অবশ্য নামটা প্রায় ভুলেই গেছি সবাই তো বে*** নামেই ডাকে আমাকে।
— আপনাকে দেখে তো ভদ্র ঘরের মেয়েই মনে হচ্ছে। এই পেশায় আসলেন কিভাবে?
— শখ কইরা কি আর কেও এই পেশায় আসে। পরিস্থিতি বাধ্য করছে। যখন ছোট ছিলাম তখনই বাবা- মা মারা যায়। এক চাচার কাছে থাকতাম। প্রথম ধর্ষনের শিকার তার কাছেই হয়েছিলাম এটা বলেই মেয়েটা চুপ হয়ে গেলো।
মেয়েটার কথা শুনে থমকে গেলাম এমন জগন্য মানুষও কি আছে পৃথিবীতে? ভাবতে থাকলাম। তবে মেয়েটা পরিস্থিতির স্বীকার বাধ্য হয়ে এই জগন্য পেশায় আসেনি। আমার কৌতুহল আরও বেড়ে গেলো মেয়েটাকে কিছু জিগ্গেস করতে যাবো হঠাৎ মেয়েটাকে কেও ডাক দিলো
মেয়েটা আমাকে বললো, আপনি একটু বসেন আমি আসতেছি এটা বলে মেয়েটা চলে গেলো আর আমি একা একা রুমের ভিতরে বসে আছি। মেয়েটা আসায় দেঁড়ি করায় আমি রুমটা পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম।
হঠাৎ হাত ফসকে মোবাইলটা পরে গেলো মোবাইলটা উঠাতে গিয়ে খাটের নিচে চোখ গেলো।
একটা বড় বক্স দেখতে পেলাম। অনেক কৌতুহল হচ্ছে এতবড় বাক্সের কি প্রয়োজন আছে মেয়েটার।
যাইহোক আমি খুলে দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম।
বাক্সটা খুলার পর তো আমার হাত- পা বরফের মত ঠান্ডা হয়ে গেলো কপাল দিয়ে ঘাম বের হচ্ছে।
বক্সটার ভিতরে মানুষের মাথা শুধু আর রক্তমাখা কুড়াল, দড়ি খুন করার অনেক কিছু দেখতে পেলাম।
এসব এখানে কি করে এলো বুঝতে পারতেছি না। তাহলে কি মেয়েটাই প্রতি রাতে ছেলেদের ডেকে এনে খুন করে আর তাদের মাথা এই বক্সটায় রেখে দেয়। অনেক ভয় পেয়ে গেলাম এসব দেখে মেয়েটা কে?
আর কেনো এসব করছে?

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com