Breaking News

সিনিয়র চাচাতো বোনের আজব প্রেম । পর্ব -০৪



আমি:রুমে এসে পড়তে বসলাম। কিন্তু পড়াতে মন বসছে না।
মাথার ভেতর বিভিন্ন রকম চিন্তা ভাবনা ঘুর ঘুর করছে।
পড়তে ইচ্ছে করছে না তাই বিছানায় এসে শুয়ে পড়লাম।
একটু পরে ঘুমিয়ে পড়লাম..পরের দিন সকালে।কারো ডাকে ঘুম ভাঙলো,
ঘুম ভাঙতেই দেখি ইরা আপু।ইরা আপুকে দেখে অনেক রাগ হলো,
তাই রেগে বললাম কি আপনার সমস্যা কি?
এতো সকাল সকাল ডিস্টার্ব করছেন কেনো?
ইরা আপু;সরি,আজ যা বলার বলে নে।
আগামী কাল থেকে দেখবো কিভাবে আমার সাথে উঁচু গলায় কথা বলিস?
অধিকার অধিকার করছিলি না,
আগামী কাল থেকে তোর উপর সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে আমার সুধুই আমার।
আজ কি? কলেজ যাবা নাকি, হুমমমম।

আমি:ইরা আপুর মুখে তুমি শুনে,ইরা আপুর দিকে ভুরু কুঁচকে তাকালাম।
ইরা আপু:বিয়ে হয়ে গেলে তুমি করেই ডাকতে হবে তো তাই প্র্যাকটিস করছি আরকি।(মুচকি হেসে)
আমি: আদিখ্যেতা দেখে আর বাঁচি না। বিছানা থেকে নেমে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশ রুমে চলে এলাম।ওয়াশ রুম থেকে এসে রুমে এলাম। রুমে আস্তেই দেখি ইরা আপু আমার ফোন টিপছে, আমি দৌড়ে গিয়ে ফোন নিয়ে নিলাম? আপনি আমার ফোন টিপছেন কেনো?
ইরা আপু: কোন অধিকার আছে কিনা বললি নাতো তবে যা বলার আজকে বলে নে কোন কিছুই বলবো না। আগামীকাল বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে আর বলতে পারবি না কারন তখন সম্পুর্ন অধিকার থাকবে আমার বুঝলা চান্দু? ( একটু মৃধু হেসে)
আমি: এ্যাঁ,

ইরা আপু; হ্যাঁ গো।বুঝাবো আমি কি জিনিস,সব কিছু সুদে আসলে উসুল করে নিবো। তুই ভাবতেও পারছিশ না তোর সাথে কি কি হতে চলেছে ।(একটা রহশ্য মই হাসি দিয়ে)
আমি:ইরা আপুর কথা শুনে আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো।একটা ঢোক গিললাম, আল্লাহ এ আমি কোন বিপদে পড়তে যাচ্ছি।বাসা থেকে পালাতে হবে,না হলে জীবনে অন্ধকার নামতে দেরি নেই।
ইরা আপু:ভয় পেলে নাকি হুম।(মুচকি হেসে)
আমি; কেনো ভয় পেতে যাবো?
ইরা আপু:সেটা তোর ফেজ দেখে বুঝতে পারছি।(হেসে)
আমি: রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যাবো তখন ইরা আপু আমার গেঞ্জি টেনে ধরলো।
ইরা আপু: আমার পাওনা টা দিয়ে যা?
আমি: পাওনা মানে,(অবাক হয়ে)
ইরা:তোকে দিতে হবে না,আমি নিয়ে নিচ্ছি।(মুচকি হেসে)
আমি:আমি কিছু বলার আগেই ইরা আপু টান দিয়ে তার কাছে আমায় নিয়ে নিলো, এবং তার ঠোট আমার ঠোঁটের সথে মিলিয়ে দিলো এবং পাক্কা তিন মিনিট পর আমাকে ছারলো, আমি সুধু অবাক হয়ে ইরা আপুর দিকে তাকিয়ে থাকলাম।ইরা আপু হাসতে হাসতে চলে গেলো। আর আমি ভার্সিটি যাবার জন্য রেডি হয়ে খাবার জন্য নিচে এলাম।
আব্বু:আজ ভার্সিটিতে যেতে হবে না।
আমি:কেনো,

আব্বু:দুপুরে কাজি আসবে।
আমি: দুপুরে আসবে এখন তো না?
আব্বু:এতো কিছু শুনতে চাচ্ছি না, এখন রুমে যা।
আমি:দুপুরের আগেই চলে আসবো।
আব্বু:রুমে যেতে বলছি না তোকে।
আমি: খাবার ছেড়ে উঠে পড়লাম, আমার কথার কোন মুল্যই নেই।আমি বোঝা হয়ে গেছি নাকি‌, হলে বলেন,বাসা ছেড়ে চলে জাচ্ছি । হাত ধুয়ে রুমে চলে আসলাম।
আব্বু; তোমার ছেলে অনেক বড় হয়ে গেছে। আমাকে রাগ দেখাচ্ছে।
আম্মু:রাগ দেখাবে না,বলছে তো সময়ের আগেই চলে আসবে তাহলে বারন করার কি আছে।
আব্বু:যেতে বলো ,যেনো সময় মতো চলে আসে।
আম্মু:আমি বলতে পারবো না, তুমি বলো।
আমি: রুমে মন খারাপ করে বসে আছি, তখন রুমে কারো আসার শব্দ পেলাম। দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি আব্বু, আপনি আমার রুমে, আমাকে ডাকলেই তো আমি চলে যেতাম।
আব্বু: আচ্ছা ভার্সিটি যাবি তো যা, কিন্তু ১২ টার সময় চলে আসবি।
আমি: না থাক, বাসাতেই থাকছি।
আব্বু:যা,

আমি:না আব্বু যাবো না।
আব্বু: ওকে,
আমি: আব্বু চলে গেলো, কিছুক্ষণ পর…রাফি আমার রুমে এলো এসে বললো…
রাফি:কি হয়েছে রে আংকেল আমাকে ডাকলেন কেনো?
আমি:রাফির কথা শুনে রাফির দিকে তাকালাম। তুই..
রাফি:অবাক হওয়ার কিছু নেই, আংকেল আমাকে ফোন দিয়ে ডাকলেন?কি হয়েছে বল তো?
আমি:কী আর হবে,অসহ্য টা জোর করে আমার গলায় ঝুলতে চাচ্ছে। দুপুরে কাজি আসবেন।মানে ইরা আপুর সাথে আমার বিয়ে।
রাফি: ভালোই তো,আর
congratulations
আমি: মজা করবি না, ভালো লাগছে না। ভবিষ্যতে কি যে আছে কপালে আল্লাহ জানেন। সকাল সকাল গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।
রাফি: কেনো?

আমি: তারপর রাফি কে সব কিছু বললাম,রাফি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।ভাই তোর শুনে এই অবস্থা।আর আমার সাথে তো হবে তাহলে আমার কি হবে ভাব?
রাফি:ভাই বলিস কি? তাহলে তুই শেষ।
আমি:হুমমমম।দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে গেলো, দুপুরে কাজি এলো। তারপর বিয়ে টা হয়ে গেলো। বিকেল টা কিভাবে পার হলো বুঝতেই পারলাম না।রাতে….ভাই বেঁচে থাকলে আগামী কাল দেখা হবে।
রাফি: বিড়াল টা ভালো করে মারিস।
আমি:শালা আমি মরছি আমার জ্বালাই আর তুই বিড়াল মারা নিয়ে পড়ে আছিস।
রাফি:বতশো আমি আশির্বাদ করলাম তোমার কিছু হবে না।আর এটাও আশির্বাদ করলাম যেনো তোমার শক্তি টা বেড়ে যায়।
আমি:থাক শালা,ছাদ থেকে নেমে রুমের সামনে এলাম। বুকে ফুঁ দিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলাম।না যত ভয় পাবো ততো চেপে বসবে।আমি ভিতরে যেতেই ইরা আপু বিছানা থেকে উঠে এলো,আমি ভাবলাম এসে আমার কলার চেপে ধরবে কিন্তু না আমার সামনে এসে আমার পায়ে সালাম করতে গেলো।আমি সরে গেলাম..ইরা আপু বসে থেকেই বললো…
ইরা আপু: সরলা কেনো?

আমি: এমনিতেই,এতো টং না করলেও চলবে। চিন্তা করিয়েন না আমার কাছে স্ত্রীর অধিকার পাবেন না।
ইরা আপু;আমি কি খুব বড়ো ভুল করেছি?(কান্না করে)
আমি; সেটা আপনি জানেন।সরেন আমার ঘুম পাচ্ছে ঘুমাবো। বিছানার কাছে এসে একটা বালিশ আর কাঁথা নিয়ে নিলাম।
ইরা আপু: তুমি বিছানায় ঘুমাও আমি নিচে ঘুমাচ্ছি।(কাঁদো কাঁদো গলায়)
আমি: প্রয়োজন নেই।
ইরা আপু; দুজনে দুই পাশে ঘুমাই মধ্যে খানে কোল বালিশ দিচ্ছি।(কাঁদো কাঁদো গলায়)
আমি:বলছি না প্রয়োজন নেই।(রেগে)নিচে বিছানা করে শুয়ে পড়লাম। এমন ভাবে কান্না করে ডিস্টার্ব করছেন কেনো? সত্যি একটা অসহ্য(রেগে)
ইরা আপু: যেদিন হারিয়ে যাবো না, সেদিন আমায় ঠিকই খুঁজবা?(কেঁদে কেঁদে)
আমি;কে বারন করেছে , কান্না বন্ধ করে বিছানায় যান, আমার ঘুম পাচ্ছে?(রেগে)ইরা আপু উঠে বিছানায় চলে গেলো? আমার ঘুম পাচ্ছে তাই ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে বেস অবাক হলাম কারন আমি বিছানায়।আমি বিছানায় এলাম কিভাবে? নিশ্চয়ই ইরা আপু নিয়ে এসেছে, কিন্তু কিভাবে আমি কিছুই বুঝতে পারলাম,আমি এতো মরার মতো ঘুমাচ্ছিলাম। ইরা আপু আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে। আমি ছাড়িয়ে তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম… আমার এমন উঠাতে ইরা আপুও উঠে পড়লো। আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে জড়িয়ে ধরার।ইরা আপু বিছানা থেকে উঠে, আমাকে ঠেলতে ঠেলতে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বললো…
ইরা আপু; আমার সাহস দেখবি?

আমি; ছাড়েন না হলে কিন্তু ভালো হবে না।
ইরা আপু:দেখি তুই কি খারাপ করতে পারিশ।
আমি:আপু ছেড়ে দেন,না হলে কিন্তু ভালো হবে না।
ইরা আপু: একদম আপু বলবি না।(রেগে)
আমি: ছাড়েন।
ইরা আপু: এমন করছিস কেনো,তোর এমন ব্যাবহারে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
আমি:তো আমি কী করবো।এখন ছাড়েন ফ্রেশ হওয়া লাগবে।
ইরা আপু; কিছুই তো করিস নি, তাহলে এতো সকাল সকাল ফ্রেশ হয়ে কি করবি।
আমি: আপুর কথা শুনে আপুর দিকে অবাক হয়ে তাকালাম,যাক বাবা বউ তাহলে রোমান্টিক আছে। ছাড়েন বলছি।
ইরা আপু:না ছাড়লে কি করবি?
আমি;কিছু না,ইরা আপু ছেড়ে দিলো তারপর বিছানায় গিয়ে বসে পড়লো।আমি রুম থেকে বেরিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে এলাম। রুমে এসে দেখি ইরা আপু এখনো মাথা নিচু করে বসে আছে।আমি কিছু না বলে ছাদের উপরে চলে এলাম।একটু পরে ছাদ থেকে নেমে খাবার জন্য এলাম।
আম্মু:বউ মা কোথায়,ডাক দে।

আমি: আম্মুর কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকালাম তারপর বললাম ইরা থেকে একবারে বউ মা?
আম্মু: এখন বউ মা হয়েছে তো বউ মা বলবো না তো কি করবো। রুম থেকে ডেকে নিয়ে আই।
আমি:খিদে পেলে একাই চলে আসবে।ডাকতে হবে না।
ইরা আপু:আম্মু আমাকে ডাকতে হবে না আমি চলে এসেছি।আব্বু কোথায়?
আম্মু:সকাল সকাল বাজারে গেছে।
ইরা আপু: ওহ্, আম্মু তুমি যাও আমি খাবার দিচ্ছি।
আমি:না আম্মু তুমি দাও।
আম্মু: তোদের আগের ঝামেলা এখনো মিটে নাই। তাড়াতাড়ি মিটেয়ে নে।আমি তাড়াতাড়ি নাতি নাতনির মুখ দেখতে চাই।
আমি: আম্মুর কথা শুনে কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না।আর ইরা আপু তো লজ্জায় টমেটো হয়ে গেছে।এই সব প্যাঁচাল বাদ দিয়ে খাবার দাও অনেক খিদে পেয়েছে।
আম্মু;আমি কি বললাম শুনতে পাস নি,
না আমার কথাও শুনবি না।
আমি: তোমার কথা কখন শুনি নি বলো, আচ্ছা ঠিক আছে।ইরা আপুর দিকে আড় চোখে তাকালাম, দেখি ইরা আপুর ঠোঁটের হাসি কান পর্যন্ত পৌছে গেছে। আম্মু খাবার দিলো তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে চলে এলাম।একটু পরে ইরা আপু এলো এসে বললো…

ইরা আপু:আম্মু কি বললো শুনতে পেয়েছো, তুমি এখন ঝামেলা মিটিয়ে নিতে চাইলেও আমি মিটাচ্ছি না। যখন আম্মু তোমাকে বলবে আমাদের ঝামেলা মিটেছে নাকি, তখন কি বলবা আমিও দেখবো।
আমি:এতো সর্বনাশের মাথায় বাড়ি। আচ্ছা ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই। আমাকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। টেবিলের কাছে এসে ব্যাগে বই খাতা ভরতে লাগলাম তখন ইরা আপু বললো…
ইরা আপু; কোথায় যাবে?
আমি: দেখতে পান না।নাকি অন্ধ হয়ে গেলেন।
ইরা আপু;আজ কলেজ যেতে হবে না।
আমি: কোন কথা না বলে ব্যাগ নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে এলাম। পিছনে পিছনে ইরা আপুও এলো….
আম্মু: কোথায় যাবি?
ইরা আপু: তুমি ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বলেছিলে না।
আম্মু:হুমমম।
ইরা আপু:আমি গিয়ে ওই কথা বলতে আমার সাথে রাগা রাগী করে চলে এলো।আর মনে হয় ভার্সিটি যাবে।
আমি:ইরা আপুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি,এতো বড়ো মিথ্যা কথা। আল্লাহ তুমি এই জাতিকে কি দিয়ে বানিয়েছো এরা এতো ডেঞ্জারাস কেনো?
আম্মু: তুই আমার কথা শুনলি না, আমি খুব কষ্ট পেলাম।
আমি:না আসলে আম্মু।

আম্মু: চুপ কর, তুই আমাকে অনেক কষ্ট দিলি, তুই আমার কথা শুনলি না। আমার ছোট এই কথা টা রাখলি না।
আমি; আম্মুর কথা শুনে অনেক খারাপ লাগলো। ইচ্ছে করছে ইরা আপু কে কয়েকটা থাপ্পর দি। রুমে চলে এলাম এসে ব্যাগ রেখে বিছানায় বসে পড়লাম।ইরা আপু এলো, আমার সামনে আস্তেই উঠে ঠাসসসসস করে একটা
থাপ্পর দিয়ে বললাম… আপনি অনেক খারাপ।আগে আব্বুর কাছে আমাকে খারাপ বানিয়েছেন।আর আজ আম্মুর কাছেও আমাকে খারাপ বানিয়ে দিলেন। আপনাকে কক্ষনো ক্ষমা করবো না,দূর হন চোখের সামনে থেকে আপনার মুখই দেখতে ইচ্ছে করছে না।(ধাক্কা দিয়ে) আমি ধাক্কা দেওয়ায় ইরা আপু নিচে পড়ে গেলে।ইরা আপু উঠে বললো…
ইরা আপু:সরি আমি ভাবিনি এমন কিছু হবে।(কেঁদে)
আমি; চুপ থাকেন।(রেগে) রুম থেকে বেরিয়ে ছাদে চলে এলাম।এ একদম জীবন টাকে তেজপাতা করে দিলো, ইচ্ছে করছে আরো কয়েকটা থাপ্পর দি।একটু পরে ইরা আপু এলো,এসে আমার পাশে দাঁড়ালো।কি করতে এলেন,বলেছি না আমার সামনে আসবেন না।

ইরা আপু:সরি ,আমি বুঝতে পারি নি এমন কিছু হবে।(কেঁদে)
আমি: বিয়ে করতে রাজি হয়ে জীবনের বড়ো ভুল করে দিয়েছি। আজকেই উকিলের কাছে যাবো ডিভোর্সের জন্য।
ইরা আপু: তুমি এটা কি বলছো, ডিভোর্স হলে তো মরেই যাবো।(কেঁদে কেঁদে)
আমি:যান মরে, বারন করেছে কে?ইরা আপু কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে নিচে চলে গেলো।তারপর কিছুটা সময় ছাদে থেকে রুমে চলে এলাম। রুমে এসে তো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।ফ্লোর রক্তে লাল হয়ে গেছে। আমি তাড়াতারি ইরা আপুর হাত চেপে ধরে বললাম ,তুমি এটা কি করলে…আম্মু আম্মু তাড়াতাড়ি এসো(চিৎকার করে)
ইরা আপু:এ জীবন রেখে কি লাভ বলো যেখানে তোমাকেই পাবো না।
আমি:আমি তো রাগের মাথায় বলেছি তাই বলে সত্যি সত্যি, সুইসাইড করবা। আম্মু আমার রুমে এসে রক্ত দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
আম্মু:এটা কিভাবে হলো।

আমি: এগুলো নিয়ে কথা না বললেও চলবে, তাড়াতাড়ি কিছু একটা দাও কেটে যাওয়া যায়গাটা বান্ধি।
ইরা আপু জ্ঞান হারিয়ে ফেললো…
মা আমার রুমে যেই গামছা ছিল ওটা দিলো,ওটা দিয়ে শক্ত করে গিট দিলাম 
তারপর কোলে তুলে বাইরে নিয়ে এলাম।বাইরে গিয়ে তাড়াতাড়ি গাড়ি বের করো। 
আম্মু গাড়ি বের করলো তারপর নিজে ড্রাইভিং সিটে বসলো। 
গাড়িতে উঠে পড়লাম, আম্মু গাড়ি চালাতে লাগলো। 
আমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে গড়িয়ে ইরা আপুর মুখের উপরে পড়ছে।
ইরা আপুর কিছু হয়ে গেলে নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না।
একটু পরে হাসপাতালে চলে এলাম। 
আম্মু নেমে আগেই চলে গেলো ।
আমি ইরা আপুকে কোলে নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে গেলাম। 
তারপর ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলো। 
আমি অপারেশন থিয়েটারের বাহিরের বেঞ্চে বসে পড়লাম। 
আম্মু আমার পাশে বসলো তখন আম্মু কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
সব আমার জন্য হয়েছে।
ইরার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না।…

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com