Breaking News

টিউশনি | পর্ব-৫ শেষ পর্ব

এই খুব কষ্ট হচ্ছে(রিমি কাঁদোকাঁদো কন্ঠে)

-কিসের জন্য?
-আমাকে দিয়ে এত পড়া হবে না
-না হলে আর কি করার? যেটার জন্য শর্ত দিলাম সেটা ভুলে যাও
-আসলেই খারাপ
-কি?
-নাহ কিছু না
-বই দাও
এভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পরে পরীক্ষা এগিয়ে আসে।
পরীক্ষা যতই এগিয়ে আসছে রিমির ততই টেনশন বেড়ে চলছে।
আমি গোল্ডেন এ+ পাবো তো?
যদি না পাই তাহলে কি ও আমাকে ভালোবাসবেনা?
না না সানি আমাকে ভালোবাসতেই হবে,সানি শুধু আমার।
এখানে অন্যকারোর ভাগ বসাতে দিবো না।
আমাকে যত কষ্ট করেই হউক সাক্সেস হতেই হবে।
পরীক্ষার দিন সকালে রিমি গোসল করে ড্রেস পরে এসে সানির মোবাইলে ফোন দেয়।
সানি তখন ফোন রিসিভ করে
-কেমন আছেন?(রিমি)
-হ্যা ভালো,তুমি?

-হ্যা ভালো,খুব ভয় করতাছে
-আরে ভয়ের কি হলো? যেভাবে বলে দিছি সেভাবে আল্লাহর নাম নিয়ে লিখা শুরু করবা।
-হুম দোয়া করিয়েন
-হুম
সব পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে
একদিন সন্ধ্যায়,ফোন করে
-কি করেন?
-টিউশনিতে যাবো, তুমি কি করো?
-বসে আছি
-ওহহ
-হ্যা,যাকে পড়ান সে ছেলে নাকি মেয়ে?
-মেয়ে
-এই খবরদার মেয়ের সাথে বেশি কথা বলবেন না
-হিহিহি
-হাসেন কেনো?
-মেয়ে পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে
-সেটা-ই ভালো।
-হুম
-আচ্ছা এখন যান,পরে কথা হবে
-ওকে বায়
-বায়।

দুইমাস পরে আজকে রেজাল্ট দিবে, রিমির খুব চিন্তা হচ্ছে।
এমন সময় রিমি সানিকে ফোন দেয়
-কি করেন?
-শুয়ে আছি,তুমি?
-আমিও
-ওহহ
-আমার খুব চিন্তা হচ্ছে
-কেনো?
-যদি গোল্ডেন না আসে তাহলে……..
-দেখো কি হয়?
-যদি গোল্ডেন না আসে তাহলে কি আমাকে আপনার করে নিবেন না?
-জানিনা
-তাহলে আমি মরে যাবো বলে দিলাম
-কিহহ?
-হ্যা,তুমি আমার সব।
তোমাকে নিয়ে আমার বেচে থাকার আশা। তুমি না থাকলে আমি বাচবোই কেনো?
-রেজাল্ট আসতে দেও আগে
-আচ্ছা এখন আসি।

-রিমি(তার মা)
-কি
-খেয়ে নে
-নাহ পরে
-কেনো?
-মা খুব ভয় করতাছে
-ধূর পাগলী,ভয়ের কি আছে?
ইনশাল্লাহ আমার লক্ষিটা ভালো রেজাল্ট করবে
-আচ্ছা এখন যাও,আমাকে একা থাকতে দাও
-খেয়ে নে

-নাহ তো বললাম
-ওকে তখন তার মা অন্য রুমে চলে যায়।
অন্যদিকে সানি ভাবছে যদি ও গোল্ডেন এ+ পায় তাহলে আমার মরন আগে হবে।
ওর বাবা যখন এসব জানবে তখন আমাকে মেরে ফেলবে।
আল্লাহ তুমি আমারে বাচাইয়ো।
যখন দুইটা বাজে ঠিক তখন রিমি একটা এস এম এস সেন্ড করে।
তার ১মিনিট পরে যখন রিপ্লাই এস এম এস আসে তখন
-মাহহহহহহহহহ(রিমি)
-কিরে?
-ইয়াহু

-রিমির বাবা তখন শুয়া থেকে উঠে বসে
-কি রেজাল্ট পাইছিস সেটা তো বলবি?
-তোমার মেয়ে গোল্ডেন এ+ পাইছে বলে রিমি তার মাকে জড়িয়ে ধরে
-এই রিমির মা আমি বলছিলাম না আমার মেয়েটা ভালো করবে?
-রিমি তখন তার মা বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়
-এই পাগলী খুশির দিনে এভাবে কান্না করতেছিস কেনো?
-বাবা একটু ওয়েট বলে হাতে মোবাইল নিয়ে সানির মোবাইলে ফোন দেয়
-হ্যা রিমি রেজাল্ট কি আসছে?
-বিয়ের ব্যবস্থা করো তারাতারি

-রিমির মুখে এসব শুনে তার মা ও বাবা তার দিকে অবাক দমষ্টিতে তাকিয়ে আছে
-তার মানে গোল্ডেন এ+?(সানি)
-হ্যা,কালকের মধ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করো
-এই এসব কাকে কি বলছিস?(রিমির বাবা)
-বাবা তোমার মেয়ে হিসাবে আমি তোমাদের কাছে শুধু একটা জিনিস ই চাইবো,সেটা দিবা?
-তোর কোনো চাওয়া অপূর্ণ রাখছি?
-নাহ কিন্তু এই চাওয়া টা ও পূর্ণ করে দিতে হবে
-ওকে বল
-বাবা আমি সানিকে ভালোবাসি
-কিহহ?
-হ্যা বাবা ওকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না
-এসব কি বলছিস?
-যা বলছি সবই সত্যি

-সানি তোকে ভালোবাসে?
-ও বলছে যদি আমি গোল্ডেন এ+ পায় তাহলে সে আমাকে ভালোবাসবে
-এর জন্যই তুই এত রাত করে করে পড়ালোখা করতি?(মা)
-হ্যা মা
বাবা প্লিজ সানিকে আমার করে দাও,আমি জীবনে আর কোনো কিছু চাইবো না
-ওর নাম্বারে ফোন দে
-রিমি তখন সানির মোবাইলে ফোন দেয়
-সানি
-সানি রিমির বাবার কন্ঠ শুনতে পেয়ে হার্টবিট বেড়ে যায়
-হ্যালো
-আসসলামু আলাইকুম
-ওয়ালাইকুম আসসালাম
-বাসায় আসো
-আংকেল কোনো প্রবলেম হয়ছে?
-আসতে বলছি আসো
-ওকে

সানি তখন ভয় পেয়ে যায়,তারপর ও হ্যাঙ্গার থেকে একটা শার্ট গায়ে ঝুলিয়ে বেড় হয়।
রিমিদের বাসার সামনে এসে দরজা নক করার পরে, রিমির মা এসে দরজা খুলে।
রুমে যাওয়ার পরে
-তোমার থেকে এটা আশা করিনি
-আংকেল কিছু হয়ছে?
-জানোনা কি হয়ছে?
-সানি তখন ভয়ে হাত-পা কাপতে শুরু করে
-আংকেল বলাটা আশা করিনি
-কিহহহ
-হ্যা এখন থেকে বাবা বলবা
-মানে?
-রিমি এদিকে আয়
-রিমি আসার পরে
-তোমাদের মধ্যকার সব কিছু রিমি আমার সাথে শেয়ার করছে।
সানি তুমি বেশ মেধাবী ছাত্র।

ভার্সিটিতে তোমার আলাদা শুনাম আছে।
আমি রিমিকে সেই ছোট থেকে যা চেয়েছে সব দিয়েছি।
আমি জানি রিমি ভুল পথে পা বাড়ায় নাই। তুমি রিমি কে সবসময় সুখে রাখার চেষ্টা করবা।
রিমি এটা শুনতে পেয়ে রিমির ইচ্ছা হচ্ছে এখনি সবার সামনে সানিকে জড়িয়ে ধরতে।
এই রিমি এখানে বস।
রিমি সানির সাথে বসার পরে
-রিমি তুই আমার কাছে সানিকে চেয়েছিস সেটা হবে,কিন্তু আমার একটা কথা আছে
-কি?
-না করতে পারবিনা কিন্তু
-ওকে বলো
-সানি যখন পড়ালেখা শেষ করে জব নিবে তখন তোদের বিয়ে হবে
-এর আগে হলে কি হয়ছে?
-তাহলে দুজনের পড়ালোখা-ই জলে ভাসবে
-আচ্ছা, কিছুটা মন খারাপ করে।
-মন খারাপ করতে হবে না, এখন বিয়ে হলে সরকার কেইস দিবে
-রিমি তখন মনে মনে বলে,কেন যে ১৮ বছরে বিয়ের নিয়ম করলো বুঝিনা।
-এই রিমি সানিরে নিয়ে ঐ রুমে যা

-রিমি তখন সানিকে সাথে করে নিয়ে তার রুমে যায়।

রুমে যাওয়ার পরে রিমি সানিকে হাত ধরে খাটে বসিয়ে তাকে

জড়িয়ে ধরে একের পর এক ভালোবাসার পরশ দিতে থাকে।
সানি তখন রিমিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সে ও রিমির ঠোটে

আলতো করে কোমল ঠোটের ছোয়া দেয়।
-এই ভালোবাসি(রিমি)
-আমিও
-চুপ কুত্তা তুই আমাকে ভালোবাসিস না
-কে বলছে?
-এখন পর্যন্ত একবার ও তো বললানা
-সানি তখন রিমিকে বুকে টেনে নিয়ে কানে কানে বলে”ভালোবাসি”
-রিমি তখন সানিকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
ভাই আরো জানতে চান নাকি?
থাক আর জানা লাগবো না।
ওদের বিয়ের দাওয়াত রইলো।
আসবেন কিন্তু,আর আসার সময় ভালো ভালো গিফট নিয়ে আসবেন।
ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com