Breaking News

গল্পঃ বারবনিতা । পর্ব -০৩


ধীর পায়ে তন্বী তরুণী জাকিরের প্রায় কাছাকাছি দেয়াল ঘেঁষে এসে দাড়ায়। ব্যাপারটা এমন যে মেয়েটার নিঃশ্বাস জাকিরের কানের পাশ দিয়ে যাচ্ছে।
বৃষ্টি থামবার কোন চান্সই নেই। মুষলধারে পড়েই চলেছে।
মিষ্টি একটা গন্ধ পেল জাকির। মাই গড এযে দেখছি জো মেলন। মেয়েটা শরীরে মেখেছে। এযে খুব দামী পারফিউম। মায়ের কাছ থেকে মেয়েদের অনেক পারফিউমের নাম সে শিখেছে। সে যত ভাবছে মেয়েটা তার কাছে ততই রহস্যময়ী মনে হচ্ছে।
সাহেব চকলেট খাবে,আমার কাছে আছে।
কি চকলেট?
ক্যাডবেরি।
ওকে দাও।
.
চকলেট দেওয়ার সময় মেয়েটা জাকিরের হাত ছূঁয়ে দিল ইচ্ছে করেই।
জাকিরের শরীরটায় মনে হল একশত ভোল্টের কারেন্ট শক করেছে,ওওও এত নরম মখমলী হাত।
একটা দীর্ঘশ্বাস বাতাসে উগরে দিল জাকির।
নারী শরীরের সুখ সে কোনদিন পায়নি,তার এই সাতাশ বছরের জীবনে। তার মনের সংস্কার হল বিয়ের পরে তার স্ত্রীর কাছেই সে নিজেকে পুরোপুরি আত্নসমর্পন করবে। এর বাইরে এসব ভাবা তার কাছে পাপ বৈ কিছুই নয়।
তার এই নারী ঔদাস্য দেখে বন্ধু মহল তাকে মিঃ অপেক্ষা
বলে ক্ষ্যাপায়।
সাহেব কি ভাবছ?
কিছুনা।
আমাকে ঘেন্না হচ্ছে,তাই না?
কি বলছ?
তোমাকে কেন ঘেন্না করতে যাব।
বেশ্যাদের কেউ ভালো’ত বাসেনা?
বেশ্যা?
হি হি হি,অট্টহাসি দিতে থাকে মেয়েটা।
হাসছ কেন?
.
মেয়েটা এবার অগ্নিমূর্তি ধারণ করে বলল,চুপ শালা,ঢং করস?কচি খোকা,বেশ্যা চিনসনা?এত রাইতে তোপখানা রোডে কি করস? একদম পুলিশে দিমু।
এই মেয়ে কি বলছ এসব?তোমার মাথা ঠিক আছে’ত?
জাকির যেন হতবিহ্বল,তার শিক্ষা,সংস্কৃতি,মেধা সবকিছু যেন অসহায় হয়ে পড়েছে সময়ের আবর্তে। তার জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা বেকার হয়ে পড়েছে এই মুহুর্তের পরিস্থিতিতে।
উদাস চোখে শূণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকে জাকির,বৃষ্টি পড়ছে এখনও,তবে তেজ কিছুটা কমেছে।সে আবারও বৃষ্টিকে অভিশাপ দেয়,বৃষ্টি তুই মর!
মা নিশ্চয়ই খুব চিন্তা করছে,হার্টের ঔষধটা খেয়েছে কিনা কে জানে?
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com