Breaking News

শ্বশুড়ের শর্তে বিয়ে । পর্ব – ০৬

সোনালীর আব্বার সামনে আমি সোনালীর হাত ধরে রাখছি,
তা দেখে সোনালীর আব্বু মানে আমার শ্বশুড় মসায়ের চোখ কপালে উঠে গেছে।
আমি হাতটা ছাড়াতে চাচ্ছি কিন্তু সোনালী শক্ত করে ধরে রাখছে।
সোনালী:- আব্বু দরজার সামনে থেকে সরেন আমাদের ভীতরে ঢুকতে দেন।
শ্বশুড়:- হ্যা ভীতরে এসো, আর সৌরভ তুমি বাহিরে থাকো আগে আমার সাথে কথা বলবে
তারপর ভীতরে আসবে।
সোনালী:- এখন কি কথা বলবেন অনেক রাত হয়ছে আর সৌরভ অনেক ক্লান্ত আছে।
যদি কোনো কথা থাকে তাহলে সকালে বলিয়েন কেমন?
শ্বশুড়:- সোনালী তুমি মনে হয় এই বাদরটার প্রেমে পড়ে গেছো?
আচ্ছা এখন তুমি যাও আর সৌরভ তুমি আমার শর্ত ভঙ্গ করার কারনে এখুনি বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাও।
আমি:- কিন্তু আমার কথাটা তো শুনবেন প্লিজ।
.
শ্বশুড়:- কোনো কথা শুনতে চাইনা, আমার সাথে তোমারর যে শর্ত হয়ছে
সেই শর্ত অনুযায়ী আজ থেকে তুমি আমার মেয়ের কিছুই লাগো না।
আমি:- প্লিজ আপনি এমন কথা বলবেন আমার কথাটা আগে শুনেন?
আমি তো সোনালীর হাত ধরিনি ও ধরেছে।
আর একটা সুযোগ দেন প্লিজ আমাকে লাস্ট একটা চাঞ্জ।
শ্বশুড়:- ঠিক আছে তাহলে তুমি এই কাগজে সাইন করে দিতে হবে,
আর যত দিন তুমি সফল না হবে ততদিন আমার মেয়েকে স্পর্শ করতে পারবে
না রাজি থাকলে বলো?
আমি:- দেখি তো কাগজটা।
শ্বশুড়:- এই নাও।
আমি:- দেন, কাগজটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করেছি আরে শ্বশুড়
মসায় কি লিখে রাখছে সব আমি কিনা চাকরি করবো তাও আবার ওনার কাছে।
আবার রোজ সকাল ৫টা উঠতে হবে ঘুমাতে হবে রাত ১০ টার মধ্যে।
শ্বশুড়:- কি রাজি আছো তাহলে ভীতরে আসতে পারো আর তানা হলে
আমি তোমার নামে পোস্টার ছাপিয়ে দিবো কি বলো?
আমি:- হ্যা আমি রাজি আছি, ভীতরে ঢুকে সাইন করে দিয়েছি। শ্বশুড়
অনেক খুসি হয়েছে আমি ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
আচ্ছা আব্বাজান তাহলে আমি যাই আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে?
শ্বশুড়:- হ্যা তবে সোনালীর রুমে নয় আজ থেকে তুমি আমার রুমে থাকবে।
আমি:- মানে তাহলে শ্বাশুমা কোথায় থাকবে?
শ্বশুড়:- তোমার শ্বাশুমার চিন্তা তোমার করতে হবে না, কারন
আমি এখনো বেচে আছি আসো আমার সাথে। চলো বলে আমার
হাত ধরে সোজা টেনে শ্বশুড়ের রুমে নিয়ে গেছে।
.
আমি:- আমি নিছে শুয়ে পড়ি আপনি খাটের উপর শুয়ে পড়েন।
শ্বশুড়:- আরে জামাই এমন করে বলছো কেনো? আসো কোনো সমস্যা হবে না।
আমি:- আসলে আব্বাজান আমার ঘুমের মাঝে হাত পা
একটু বেশি নরা চরা করতে থাকে যদি আপনরার শরীরের উপর পা উঠে যায়।
শ্বশুড়:- কিছু হবে না তুমি আর আমি খাঠের উপর ঘুমাবো।
.
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি ফ্রেস হয়ে আসতেছি,
(আজ থেকে শ্বশুড়কে বুঝাবো আমি কেমন জামাই) ফ্রেস হয়ে এসে
শূয়ে পড়েছি একটু পর শ্বশুড় এসে লাইট অফ করে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়েছে।
শ্বশুড়:- জামাই ঘুমায় গেছো নাকী?
আমি:- জ্বি না আব্বাজান সজাগ আছি কিছু বলবেন?
শ্বশুড়:- জামাই পরে বলবো এখন ঘুমাও।
আমি:- ঠিক আছে, ঘুমের বান করে শূয়ে পড়েছি হঠাত দেখি শ্বশুড়
আমার নাক ডাকতে শুরু করেছে এদিকে আমার নাক ডাকার
আওয়াজ একদম বিরক্ত লাগে। কি করি হ্যা মনে পড়েছে বলে
ঘুমের বান করে নাক বরাবর এক গুসি মেরে দিয়েছি আর শ্বশুড়
সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে উঠছে,,,,
শ্বশুড়:- ওরে বাবা রে মরে গেলাম বলে আর আমি ঘুমের বান
করে শূয়ে আছি। শ্বশুড় জোরে জোরে কন্না করতে আরম্ভ করেছে তখনি আমি লাফ মেরে উঠে বলি,,,,
আমি:- আব্বাজান কি হয়ছে কান্না করছেন কেনো?
শ্বশুড়:- সৌরভ তুমি কি ঘুমাচ্ছিলে?
আমি:- হ্যা কিন্তু কেনো?
শ্বশুড়:- না হঠাত খারাপ একটা স্বপ্ন দেখছি তাই আর কি।
আমি:- কি স্বপ্ন আব্বাজান?
.
শ্বশুড়:- থাক তোমার শুনা লাগবে না, তুমি ঘুমাও।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে, আজকে আর বিরক্ত না করে ঘুমিয়ে পড়েছি, সকালে
হঠাত করে আমার গায়ের উপর এক বালতি ঠান্ডা পানি এনে ডেলে
দিয়েছে। আমি তো লাফ মেরে উঠে কত গুলা বকা দিয়ে দিয়ে তাকিয়ে
দেখি শ্বশুড় বালতি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
শ্বশুড়:- আরে সৌরভ তুমি তো অনেক সুন্দর বকা দিতে পারো।
আমি:- আব্বাজান সরি আমি বুঝতে পারিনি, কিন্তু আব্বাজান আপনি
আমার গায়ের উপর পানি ডালছেন কেনো?
শ্বশুড়:- বাবা সৌরভ তোমার মনে নেয় গত কাল রাতে শর্তের কাগজে
সাইন করেছো যে?
আমি:- ও মনে পড়েছে আগামী কাল থেকে ঠিক হয়ে যাবে, তখনি
সোনালীর কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম। দৌরে বাহিরে গিয়ে দেখি সোনালী
সিড়ি দিয়ে নামার সময় পা পিছলে পড়ে গেছে।
সোনালী:- মনে হয় আমার কমরটা গেছে ঐ তুমি চেয়ে চেয়ে দেখছো
কি আমাকে এসে উঠাও।
আমি:- আব্বাজান সোনালীকে কি ধরে উঠাবো? তখনি শ্বশুড়
আমার দিকে চোখ গুলা বড় বড় করে তাকিয়ে বলে,,,,,
চলবে,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com