Breaking News

Eternal love । গভীরের প্রেম । পর্ব – ৩৩



আচ্ছা বাবা! সরি,ময়না পাখিটা আমার ভুল হয়ে গেছে।” তখন সাবিহা এগিয়ে এসে মিমের হাত টা রাখলো নিজের পেটে।মিম হঠাৎ চমকে গিয়ে সাবিহার কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “আব্বু! টা দেখছি কিক মারছে তোমার পেটে?” সাবিহা হাসতে হাসতে বলল,
– “হুমম আর বলো না আপু! পেটের মধ্যে হাত-পা ছুড়ে ফুটবল খেলছে,তবে আমার কি মনে হয় জানো?”
– “কি?”
– “ভবিষ্যতে তোমার বাচ্চাকাচ্চা হলেও ছেলেই হবে।” মিম হাসতে হাসতে বলল,
– “ইঁচড়েপাকা’র বাচ্চ! দিবো একটা তোমার কানের নিচে।” তখন সাবিহা,নেয়না,মিহা,তানিয়া হাসতে হাসতে মিম’কে খোঁচা মেরে বললো,
– “বললে না তো বাসর রাতে জামাই কি উপহার দিয়েছে তোমাকে?” মিম মিটিমিটি হেসে বললো,
– “বলবো কেন? বুঝে নিতে হবে আর তাছাড়া উনি যে উপহার দিয়েছে তা সব আমার শরীরের সাথে মিশে গেছে আর রইলো বস্তুবাদী উপহারের কথা? এই আমার গলার শীতা হার টা সাথে চুড়ি দু’টো উনি উপহার দিয়েছেন আমাকে গতকাল রাতে।” তখন মিহা বলল,
– “আর এই পায়েল জোড়া?” মিম বলল,
– “কাবিনের পর উনি এটা প্রথম গিফট করেছিলেন আমাকে।এটা অনেক সুন্দর! সারাক্ষণ পায়ে পরে থাকতে ইচ্ছে করে।”
– “তো? পরে থাকো…! কে মানা করেছে তোমাকে?” মিম হাসিমুখে ইমান’কে বলল,
– “কেউ না! তবে হারিয়ে গেলে কি হবে?” ইমান মিটিমিটি হেসে বলল,
– “কি হবে?”
.
– “আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না,বিয়ের পরে পাওয়া প্রথম স্মৃতি হারিয়ে গেলে আমার খুব কষ্ট হবে।” ইমান মিম’কে জড়িয়ে ধরে বলল,
– “তোমার কিছু হলো,আমি হারিয়ে যাবো।আমার ভয় হয় খুব যদি হারিয়ে ফেলি তোমাকে?” মিম ইমান’কে বলল,
– “তাহলে আর কি? বউ গেলে,বউ পাবে? এখন যতই না না করো না কেন? তখন ঠিকই মাস পেরোতে না পেরোতেই আরেকজন’কে নিজের করে নেবে।” ইমান বলল,
– “তুমি’ই আমার শুরু এবং শেষ আমি আর চাই না দ্বিতীয় কাওকে।”
– “যদি তৃতীয় কেউ আসে?”
– “আমি কখনো আসতে দেবো না কাওকে আর তোমার জীবনে কেউ এলে তাকে আমি মে’রে ফেলবো,কখনো আসতে দেবো না আমাদের দু’জনের ভালোবাসার মাঝে।” মিম বলল,
– “বাব বাহ! ভিলেন হতে চাও গল্পের মাঝে?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
– “হুমম! সেটাই,ভিলেন হওয়ার যোগ্যতা কয়েকজনের আছে? সবাই দেখছি নায়ক হতে চায় গল্পে ভিলেনের ও প্রয়োজন আছে।” ইমানের কথা শুনে মিম হাসতে হাসতে বললো,
– “ওদিকে চলো বাবা…! ডাকে।” ইমান মিম’কে নিয়ে নাফিম সাহেবের কাছে চলে এলো,নাফিম সাহেব ইমান’কে পরিচয় করিয়ে দিলেন তার অনেক বন্ধু-বান্ধবের সাথে।
তারপর ফটোসেশান হলো,সবাই খেতে বসে গেলো এক সাথে।তখন মিমের এক দূর-সম্পর্কের চাচি শাশুড়ি কথায় কথায় বললেন,
– “ইমান রাজি থাকলে আমার ছোটো মেয়ের সাথে বিয়ে দিতাম ছেলেটা কে…!
কি জানি বউ মা তোমার মধ্যে ছেলেটা কি দেখেছে? সব সময় বলতে থাকে আমার বউ সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী নারী আমার কাছে।
কথায় কথায় তোমার প্রশংসা করে আর বলে,’হালাল জিনিসে বরকত বেশি থাকে,অথচ তোমার নাকি ওর সাথে বিয়ের আগেই ফোনে ফোনে সম্পর্ক…!
তোমার বাবা-মা কেমন মানুষ? যে অল্প বয়সে’ই মোবাইল-ফোন ধরিয়ে দিয়েছে মেয়ের হাতে?” মিম চুপচাপ মুখ বুঝে সব শুনলো কিন্তু মিমের অপমান সহ্য হলো না ইমানের কাছে,ও এক রকম ব’লেই ফেললো,
– “চাচি…! তুমি কি ভাবলে? আমি বিয়ে করতাম তোমার ওই বারংবার পালিয়ে যাওয়া চরিত্রহীন মেয়ের সাথে?
না মানে,আমার কি মাথা খারাপ না কি? যে জেনে-বুঝেই আপদ এনে তুলবো নিজের কাঁধে আর রইলো আমার বউয়ের কথা…!
.
তার জীবনে প্রথম পুরুষ হলো তার জন্মদাতা পিত এবং দ্বিতীয় পুরুষ হলাম আমি অর্থাৎ তার স্বামী ঠিক আছে?
আমি’ই ভুল করে রং নম্বর ডায়েল করে ফোন করেছিলাম ওকে,তবে ও যথেষ্ট ভদ্রতার সাথে আমাকে বলেছিল,’আপনি যাকে চাইছেন,আমি সে নই…! প্লিজ কাইন্ড’লি ফোন নম্বর টা চেক করে দেখুন আগে।”
নেহাৎ আমি আমার ভুল টা মানতে কিংবা স্বীকার করতে রাজি হইনি আর তাই বারণ করা স্বত্বেও বারবার ফোন করে জ্বালাতন করতাম ওকে।ওর কণ্ঠস্বর,ওর গলার আওয়াজ আমাকে মুগ্ধ করতো তাই আমি একরকম ইচ্ছে করেই বারবার ফোন করতাম ওর কাছে।
ও রেগে গেলেও যথেষ্ট ভদ্রতার সাথে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করতো কিন্তু আমি বুঝে ও না বোঝার ভান করে থাকতাম ওর কাছে…। ওর সাথে দেখা করতে চাইতাম,তারপর থেকেই ও হয়তো ভয়েস চেইঞ্জিং অ্যাপস দিয়ে কথা বলতে শুরু করে আমার সাথে আমি তারপর কৌতুহল বশত ফেসবুকে ওর নম্বর সার্চ করে আইউি টা পেয়ে যাই।তারপর থেকেই আমাদের দু’জনের কথার পরিমাণ বাড়তে থাকে।অতঃপর রেজাল্ট দেখতেই পাচ্ছ? ও আসলেই যাদুকরী…! এর জন্য’ই আমি এতো ভালোবাসি ওকে।আশা করছি এরপর আর তোমার কিছু বলার নেই? আর হ্যাঁ,প্লিজ বলার চেষ্টা ও করো না ওকে…না হলে সেটা আমার সহ্য হবে না! তারপর নিশ্চয়ই আমার কথা গুলো শুনতে মধুর লাগবে না তোমার কাছে।” ইমানের কথা শুনে ওর চাচি একদম চুপ হয়ে গেছে,মেয়ে মুনিরা’কে খোঁচা মেরে বলল,
– “আমার শুনে চললে আজ এই দিন দেখতে হতো না কাওকে…!
এতোদিনে বিয়ে হয়ে তোদের বাচ্চাকাচ্চা ও হয়ে যেতো আর তুই রাজরানী হয়ে থেকে যেতিস এই বাড়িতে।” ইমান ওর চাচির কথা শুনে হাসতে হাসতে বলে,
– “চাচি! প্লিজ আর বৃথা স্বপ্ন দেখিয়ো না তোমার মেয়ে’কে…। রাজরানী হওয়া তোমার মেয়ের কপালে নেই অহেতুক তুমি উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছ তোমার মেয়েকে।” মুনিরা ধূর্ত হেসে তখন ইমান’কে বলল,
– “বলছিলাম ভাইয়া,আমি আমার মাস্টার্স টা কমপ্লিট করতে চাই তোমাদের বাসায় থেকে।” ইমান রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বলল,
.
– “তোমার এই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না বোন…! কারণ আমরা দু’জনেই চাকরিজীবী প্লাস আমাদের ট্রান্সফারেবেল জব ঠিক আছে?” মুনিরা ভ্রু কুঁচকে বলল,
– “ভাবির চাকরি করার কি প্রয়োজন ভাইয়া? তোমার তো অনেক আছে?” ইমান বিরক্ত হয়ে বললো,
– “আমার বউ তোমার মতো আজাইরা অন্যের ঘাড় ভেঙে খাওয়ার স্বপ্ন দেখে না ঠিক আছে? আর তোমার যে কোনো বদমতলব নেই…!
তার ও আমি কোনো গ্যারান্টি দিতে পারছিনা আমার বউ টা কে…।”
– “কিন্তু ভাইয়া?”
– “কি কিন্তু? তুমি আমার এমন কেউ হও না যে তোমার বোঝা সারাটা কাল আমাকেই বয়ে বেড়াতে হবে।
আর হলেও বা কি? তোমার কি মনে হয়? এতো সাধ করে বিয়ে করে এনে শেষমেশ আমি কষ্টে রাখতাম আমার বউ টা কে?” ইমানের চাচি বলল,
– “ইমান আজ তোমার বাবা-মা বেঁচে থাকলে এই কথা শুনতে হতো না আমাকে এবং আমার মেয়েকে।” ইমান বলল,
– “আলবাত শুনতে হতো কারণ আমার বাবা-মা কেউ পছন্দ করতো না আপনাদের ফ্যাম-লি টাকে…!
আর সেখানে আপনার এই চরিত্রবান মেয়ে এসে থাকবে? ক্ষমা করবেন,আমার মা কে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করতে পারলেও আমার বাবা রাজি হতেন না কিছুতে।” মিম এবার ইমান’কে শাসনের ভঙ্গিতে বলল,
– “আপনি কি খাবেন না? খাবার গুলো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।” ইমান বলল,
– “আমাকে খাইয়ে দাও তুমি,খাবারের সাথে সাথে ভালোবাসায় বরকত হবে।” মিম লজ্জা পেলো,তখন নাফিম সাহেব বললেন,
.
– “কি হলো মা? খাইয়ে দাও তুমি বাবা’কে?” মিম মুখ টা সবার সামনে লজ্জায় লাল করে ফেললো,তবু্ও চুপচাপ ইমান’কে খাইয়ে দিলো রোস্ট পোলাও দিয়ে ভাত মেখে নিজের হাতে।ইমান মিম’কে খাইয়ে দিতে চাইলো ও লজ্জা পেয়ে বললো,
– “থাক না ঠিক আছে।” ইমান মিটিমিটি হেসে বললো,
– “কিচ্ছু ঠিক নেই! জানো আমাদের ইসলামে স্ত্রীর সঙ্গে করণীয় কিছু সুন্নত-স্বামীর জন্য উপদেশ কিংবা স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ইসলামে এক অফুরন্ত নিয়ামত হিসেবে আছে?
আমাদের নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য আদর্শ।স্ত্রীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হবে তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন।দাম্পত্য জীবনে প্রত্তেক স্বামীর কর্তব্য হলো,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত পালন করা।এই যেমন, স্ত্রী গ্লাসের যে স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করে,সেই স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করা সুন্নাত।”
(মুসলিমঃ৫৭৯)
তারপর,স্ত্রীর কাছে চুল আঁচড়ে নেয়া সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) রাসূল (সাঃ) এর চুল আঁচড়ে দিতেন
(বুখারীঃ২৯৫, মুসলিমঃ৫৭১)
.
এছাড়াও,স্ত্রীর ব্যাবহার করা মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নাত।রাসূল সাঃ যখন মৃত্যু সজ্জায়,তখন রাসূল সাঃ আয়েশা রাঃ এর কোলে শুয়ে ছিলেন এবং রাসূল (সাঃ) বার বার মেসওয়াকের দিকে তাকাচ্ছিলেন,কিন্তু রাসূল সাঃ এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে মেসওয়াক চিবোতে পারবেন না,তাই আয়েশা (রাঃ) মেসওয়াক চিবিয়ে দেন এবং রাসূল (সাঃ) ঐ মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করেন।” (বুখারীঃ৫২২৬)
এবং তুমি কি জানো? স্ত্রীর সাথে একই সাথে গোসল করা সুন্নাত।আয়েশা (রাঃ) এর সাথে এবং কখনো মাইমুনা (রাঃ) এর সাথে রাসূল (সাঃ) পবিত্রতার গোসল করতেন।”
(মুসলিমঃ৬২০, নাসাঈঃ৩৮০)
এবার আসি খাইয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে,”স্ত্রীর মুখে খাবারের লোকমা তুলে দেয়া সুন্নাত এবং রাসূল সাঃ বলেন,”স্ত্রীকে খাবার খাইয়ে দিলে তা সদকা হিসেবে কবুল হয় এবং তার আলাদা প্রতিদান ও রয়েছে।” (আবু দাঊদঃ২৮৬৪)
ইভেন তোমার মুখের খাবার কিংবা এঁটো ও খেতে পারবো আমি,তবে তুমি তো খেতে দিতে চাও না উল্টো বকা দাও আমাকে।জানো কি?
“স্ত্রীর মুখের খাবার খাওয়া সুন্নাত।আয়েশা (রাঃ) হাড় যুক্ত গোশত খাওয়ার পর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাঃ এর খাওয়া হাড় চুষে খেতেন।” (মুসলিমঃ৫৭৯)
মিম লজ্জায় লাল হওয়া মুখ নিয়ে বলল,
– “আচ্ছা! আপনি আপনার সুন্নত পালন করুণ,আমি আর কিছু বলতে যাবো না আপনাকে…। আমি আসলে এ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না,সব আজ শুনলাম আপনার মুখ থেকে…!” সৃজিতা হাসতে হাসতে রায়হান’কে জিজ্ঞেস করে,
.
– “ইমান ভাই কি আগেই ধার্মিক ছিলেন? না কি বিয়ের পর ভাবি’কে পেয়ে নিজেকে বদলে ফেলেছে?” রায়হান মুচকি হেসে বললো,
– “মিথ্যে বলবো না! ইমান ভাই অনেক ধার্মিক ছিলেন,প্রথম থেকে’ই দেখছি তাকে…! তিনি এতো সুন্দর করে কোরআন তেলাওয়াত করেন,যেন কোনো কোরআনের হাফেজ কোরআন তেলাওয়াত করছে।” পাশ থেকে কিয়ানের স্ত্রী রাবেয়া বলল,
– “তাহলে তো ভালোই,দু’জনেই দু’জনের মন মতো হয়েছে।না মানে,বিয়ের দিন ভাই অনেক খুশি হয়েছিল আমাদের ভাবি’কে হিজাবে দেখে,সে নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গিয়েছিল বোধ হয় তিনি এতোটাও এক্সপেক্ট করেননি ভাবির কাছ থেকে।” কিয়ান বলল,
– “স্বাভাবিক…! কারণ প্রতিটি মেয়ের বিয়ের সাজ নিয়ে একটা স্বপ্ন থাকে আর সেখানে ইমান ভাইয়ের নিজের ইচ্ছে টা ভাবির ওপরে চাপিয়ে দেওয়া নিছক ছেলে মানুষি বলে মনে হয়েছে আর তাছাড়া তিনি নিজেই স্বীকার করেন স্ত্রী হিসেবে একটা রত্ন পেয়েছেন…। তবে এটা সত্যি ভাবিকে হিজাবে দেখে তিনি অনেক খুশি হয়েছেন আর ভাবি ও চাকরির কারণে পুরোপুরি পর্দা না করতে পারলে ও করার চেষ্টা করবেন বলেছেন।মোটকথা তারা দু’জন দু’জনাকে পেয়ে বেশ খুশি এবং সন্তুষ্টি ও প্রকাশ করেছেন।” ইমান খাবার শেষ করে উঠে এসে কিয়ান’কে বলল,
– “কি ব্যাপার? জুনিয়র…! আপনি খাবার ছেড়ে আমাকে নিয়ে এতো কি গল্প করছেন?” কিয়ান বলল,
– “না মানে বড় ভাই ভাবছি আসলে,খুশির খবর টা কবে শোনাবেন?” ইমান হাসতে হাসতে এগিয়ে এসে মিমের কানে ফিসফিস করে বলে,
– “ম্যাডাম! সবাই কি বলছে শুনেছেন?” মিম লজ্জা পেয়ে বলল,
– “আপাতত কিছু সময়ের জন্য কানে কালা হয়ে থাকেন?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
– “আপনার যেমন ইচ্ছে ম্যাডাম…! আপনি যা বলবেন।” রাতে,শুয়ে শুয়ে ইমান অস্থির অস্থির করছে দেখে মিম বলল,
.
– “কি হয়েছে? দয়া করে বলবেন?” ইমান মিটিমিটি হেসে বললো,
– “যদি আমাকে আপনি একটু কাছে টেনে নেন?” মিম আমতা আমতা করে বলল,
– “আমার শরীর খারাপ হয়েছে আই মিন পিরিয়ড চলছে তবুও আপনি চাইছেন?” ইমান মিম’কে হঠাৎ খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “তুমি,তুমি করার বদলে আপনি আপনি করলে পর পর লাগে আর তাছাড়া স্ত্রীর শরীর খারাপ অবস্থায় তাকে ভালোবাসা যায় না,তার সাথে মেলামেশা করা যায় না এ কঁথা কে বলেছে তোমাকে? তুমি কি জানো? স্ত্রীর হায়েয অবস্থায়,স্ত্রীর সাথে সাধারণ মেলামেশা করা সুন্নাত।” (বুখারীঃ৩০০)
আর কোনো পাপ নেই তাতে।” ইমানের কথা শুনে মিম হঠাৎ কেঁদে ফেললো,ইমান সাথে সাথেই বুকে জড়িয়ে নিলো ওকে।তারপর মিম’কে কোলে তুলে নিয়ে এটা-সেটা নিয়ে গল্প করতে করতে ঘুম পারিয়ে দিলো,সকালে যখন মিমের চোখ খুললো,দেখলো ইমান গরম,দুধ ডিম নিয়ে ওর মাথার কাছে বসে আছে।ও বিছানা ছেড়ে উঠতে চাইলো,ইমান ওকে বললো,
– “উঠতে হবে না! চুপ করে বসো,আমি খাইয়ে দিচ্ছি তোমাকে।” মিম চোখ,নাক,মুখ কাঁচুমাচু করে বললো,
– “পাগল নাকি? সবাই বকবে।” ইমান মিম’কে কোলের মধ্যে টেনে নিয়ে বললো,
– “কচু! সবাইকে সবটা জানো হয়েছে?” মিম চোখ কপালে তুলে বললো,
– “আমার এই সর্বনাশ তুমি কি করে করলে?” ইমান বললো,
– “করিনি তো…! শুধু মা-বাবা কে বলেছি আর আপুরা এমনি জেনে গেছে এবং আমার বড় ভায়রাভাইয়েরা গাঁধা না একটুআধটু সবাই বোঝে।”
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com