Breaking News

গল্পঃ অত্যাচার । পর্ব-০৪


শাহরিয়ারঃ হ্যা ভাইয়া আমি এসেছি সঙ্গে এই যে
দেখো রক্ত মাখা ছুড়িটা ও নিয়ে এসেছি তোমার
জন্য উপহার সরূপ……………..
বড় ভাইঃ হা হা হা তুই আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস?
না হেসে আর পারলাম না।আর তোর তো এতক্ষনে
মরে কাঠ হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু তুই এখনো
বেঁচে আছিস কি ভাবে? আমার মনে হয় তুই সেখান
থেকে পালিয়ে এসেছিস? আর তুই কি ভেবেছিস
তোর এই রঙ মাখা ছুড়িটা দেখে আমি ভয় পাবো?
বড়ই হাস্যকর?আমার লোকদের হাত থেকে
বেঁচে গেলেও আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে তোকে?
___ নিজের বড় ভাইয়ের এমন কথা শুনে শাহরিয়ার
তার ছুড়িটায় লেগে থাকা রক্ত বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে
মুছতে মুছতে নরম সুরে বলল……….
শাহরিয়ারঃ তোমাদের সবার সময় যে ফুরিয়ে
আসছে ভাইয়া,বাঁচবে না কেউ বাঁচবে না………..
___ কথা গুলো বলার পরপরি শাহরিয়ার জোড়ে
জোড়ে ভয়ংকর ভাবে হাসতে শুরু করলো।
আর সাথে সাথে রুমের বাতি নিভে গেলো।
শাহরিয়ারের হাসিতে বাড়িটা যেনো ফেটে যাচ্ছিলো।
এখন কেনো যানি শাহরিয়ারের বড় ভাইয়ের
মনে ভয়ের উৎপত্তি হচ্ছে?
মনের অজান্তে কখন যে নিজের শরীরের প্রতিটা
লোম দাড়িয়ে গেছে সেদিকে কোনো খেয়াল নেই
শাহরিয়ারের বড় ভাইয়ের।এরূপ ভয়ংকর হাসির
শব্দে শাহরিয়ারের বড় ভাবীর নিদ্রা যে কোথায়
পালিয়ে গেছে?লাফ মেরে উঠলো শাহরিয়ারের
বড় ভাবী? এবং তার শামীকে জড়িয়ে ধরে বলল…
এসব কি হচ্ছে?
____ হঠাৎ করেই আবার বাতি জ্বলে ওঠে।
কিন্তু এখন আর হাসির শব্দ আসছে না।শাহরিয়ারের
মেজো ভাই ও মেজো ভাবী দ্রুত তার বড় ভাই ও
ভাবীর রুমে আসে। তাদের সবার একি প্রশ্ন এরূপ
ভয়ংকর হাসিটা ঠিক কার ছিলো। কিছুক্ষন চুপ
থেকে বড় ভাই সবাই কে সবটা খুলে বলল।
___ সেদিন রাতে সবাই বাড়ির প্রতিটা কোনায়
কোনায় খুব ভালো করে দেখে কিন্তু শাহরিয়ার কে
খুজে পাইনি?এবং তার পরের দিন ও বিভিন্ন
জায়গায় শাহরিয়ারের খোজ করলেও তার
চিন্হ টুকু পাওয়া যায়নি?
.
____ দিরে দিরে পার হয়ে যায় মাস খানিক সময়
আর এ সময়ের মধ্যে দেশে ড্রিকাইস্টার উইন
নামক নতুন এক শক্তি শালী গ্যাং তৈরি হয়।
দেশের এমন কোনো মানুষ নেই যে এ গ্যাং এর
নাম শুনেনি।এই গ্যাং এর কাজ হলো মানুষ কে
সাহায্য সহযোগিতা করা এবং সব ধরনের ভালো
কাজ এই গ্যাং করে থাকে।এছাড়াও দেশ থেকে
আবর্জনা পরিষ্কার করা এই গ্যাং এর অন্যতম ও
প্রধান কাজ। আর এই গ্যাং এর লিডার হচ্ছে
সেই ভিতু ছেলেটি শাহরিয়ার সরকার।
____ শাহরিয়ারের সামনে বসে,একজন বৃদ্ধ বাবা
হাউমাউ করে কাঁদছে তার কারন, কিছুদিন আগে
তার একমাত্র মেয়েকে একটা লোক ধর্ষন করে
পৃথিবীর বুক থেকে তাকে আলাদা করে দেওয়া
হয়েছে অর্থাৎ তাকে হত্যা করা হয়েছে?
টাক পয়সা বাড়ি-ঘর সব বিক্রি করে দিয়েছে
শুধু মাত্র নিজের এক মাত্র মেয়ের বিচারের জন্য।
কিন্তু আফসোস বিচার হয়নি।
শাহরিয়ার বৃদ্ধ লোকটিকে হেসে হেসে বলল……
শাহরিয়ারঃ ধর্ষনের আবার বিচার হয় নাকি?
আজ পর্যন্ত কোন ধর্ষনের বিচার কি হয়েছে।আর
যদি ও বা হয় আমাদের এই বাংলাদেশে তাহলে
তো কোনো কথাই নাই।যদি একজন কোটিপোটির
মেয়ের ধর্ষন হয় তাহলে বিচার হয়ে যাবে। যদি
একজন এমপির মেয়ের ধর্ষন হয় তাহলে
বিচার হয়ে যাবে।যদি একজন ক্ষমতা শালী লোক
বা নেতার মেয়ের ধর্ষন হয় তাহলে বিচার হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের
ধর্ষন হয় তাহলে বিচার হয় না।
যদি একজন দিনমুজুর ঘরের মেয়ের ধর্ষন হয়
তাহলে বিচার হয় না। যদি একজন গরিব ঘরের
মেয়ের ধর্ষন হয় তাহলে বিচার হয়না।
.
হ্যা এটাই আমাদের উন্নতমানের দেশ বাংলাদেশ।
যে দেশে ধর্ষন করা একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে।
যেই ফ্যাশনটা আমাকে আপনাকে সবাই কে
একত্রিত হয়ে আটকাতে হবে।অনেকে এর জন্য
প্রতিবাদ করে কিন্তু প্রতিবাদের মতো প্রতিবাদ
করে না তাই আজ এই অবস্থা।
আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আপনি আমার
কাছে আসছেন। বাকিটা আমি দেখে নিবো কিন্তু
আবার এটা মনে করবেন না যে আমি গিয়েই
লোকটি কে কেটে কেটে টুকরো টুকরো করে
ফেলবো।একটা কথা মনে রাখবেন সব ছেলেরাই
ধর্ষনকারি হয়না আবার সব মেয়েরাও ভালো হয়না।
আমার হাত বহু ধুর জানতে খুব একটা দেড়ি
হবে না আমার।আপনি আমার সাথে এখানে
থাকেন। আপনার মেয়ের ব্যাপারটা ক্লিয়ার করা
পর্যন্ত।যদি ছেলেটা সত্যি সত্যি ধর্ষক হয়ে থাকে
তাহলে তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে আর বেশি
দেড়ি হবেনা।ধর্ষন কারিদের বাঁচার কোনো
অধিকার নেই?
___ কিছুক্ষন পর শাহরিয়ারের কাছে প্রমান চলে
আসে যে ছেলেটা সত্যি সত্যি মেয়েটিকে ধর্ষন
করেছে।শাহরিয়ার মেয়েটির ধর্ষনের ভিডিওটা
ফ্লোরে ছুড়ে মেরে বলল……..
.
শাহরিয়ারঃ ধর্ষন কারিদের বাঁচার কোনো
অধিকার নেই? মেরে ফেল ওকে?এমন ভাবে মারবি
যাতে মানুষ ভয়ে আর এসব কাজ করতে
অন্তত জানি একশো বার হলেও ভাবে।
____ তারপর শাহরিয়ারের কথা মতো তার গ্যাং
এর লোকজন তাই করলো ওই পশু রূপি
লোকটিকে নিশংসো ভাবে মেরে রাস্তার এক
কোনে ঝুলিয়ে রেখে এসেছে।
___ পরের দিন সকালে শাহরিয়ার একটা বিশেষ
কাজে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রহনা দেয়। এবং
দুপরে সে কক্সবাজারের একটা হোটেলে গিয়ে
উঠে?বিকেলে সে সমুদ্র পারে দাড়িয়ে
চোখের পাতা বন্ধ করে প্রকৃতিকে বেশ উপভোগ
করছিল আর শান্তাকে মনে করছিলো কিন্তু সে যখন
তার দু নয়ন মেলে তাকায় তখন সে সামনে
যাকে দেখতে পেলো তাকে দেখে শাহরিয়ার
হাটু গেরে বসে পরে সে বিশ্বাসী করতে পারছে
না তার সামনে শান্তা দাড়িয়ে আছে?
শাহরিয়ার এখন আর নিজেকে কি করেই বা ধরে
রাখবে সে দ্রুত গিয়ে শান্তার হাত খানি শক্ত
করে ধরে চিৎকার দিয়ে কেঁদে কেঁদে বলল……..
শাহরিয়ারঃ শান্তা…তুমি সত্যি বেঁচে আছো।
তাহলে এতোদিন কোথায় ছিলে কিভাবে ছিলে
আমার মাথায় কিছুই আসছে না?ও শান্তা
তুমি কিছু বলছো না কেনো কি হয়েছে তোমার?
___ শাহরিয়ারের জবাবে সে কিছুই বলল না
ঠাঠিয়ে দুটো থাপ্পর বসিয়ে দিয়ে বলল……
—- কে আপনি? আমার হাত ধরার সাহস পেলে
কোথায়? কি আপনার পরিচয়?
___ শাহরিয়ার কিছু বলতে যাবে তার আগেই সে
দেখতে পেলো একটা ছোট মেয়ে শান্তাকে আম্মু
বলে জড়িয়ে ধরলো।কিছু বুঝে ওঠার আগেই
হঠাৎ শাহরিয়ার কে পিছন থেকে কে যেনো
দৌড়ে এসে একটা লাথি মারে…………
.
চলবে….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com