Breaking News

গল্পঃ ভাবির অহংকারী বোন । পর্ব - ১৪

 


আমিঃ মিথিলা তাহলে তুইও চল আমাদের সাথে..

মিথিলাঃ না আমি যাবো না তুই যা আর বাসায় যাওয়ার দিন আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাস।.....
মারিয়াঃ মিথিলা আপু, তুমিও চলো...
মিথিলাঃ না না আমি অন্যদিন যাবো,,
আমিঃ আচ্ছা তাহলে আমি যাওয়ার দিন তোকে ফোন করে জানিয়ে দেবো, তুই তৈরি থাকিস।
মিথিলাঃ আচ্ছা,,,
মারিয়াঃ তাহলে তাড়াতাড়ি চল, তোর সবকিছু নিয়ে আয় যা..
আমিঃ আচ্ছা তুই দাড়া এখানে...
আমি রুমে গিয়ে কিছু জামাকাপড় নিয়ে চলে এলাম। নিচে সে সবাইকে বিদায় জানিয়ে মারিয়াদের বাসায় এলাম। এসে সবার সাথে কথা বলে আমাকে একটা রুমে এনে দিল। ওখানে এসেই বিছানায় গড়িয়ে পড়লাম, শরীর আর চলছে না যেভাবে এসে শুয়ে ছিলাম ওভাবেই চোখটা বন্ধ করে দিলাম...
মারিয়া রুমে এসে....
মারিয়াঃ কিরে ঘুমিয়ে পরেছিস..?
আমিঃ না তবে ঘুমাবো...
মারিয়াঃ এখন ঘুমাবি..?
আমিঃ এছাড়া আর কি করবো। মাথা ব্যাথা করছে।
মারিয়াঃ একটা কথা বলব, তুই এত সুন্দর আর হ্যান্ডসাম হইলি কিভাবে...?
আমিঃ দেখ একদম ভালো লাগছে না এখন, একটু ঘুমাতে দেয..( ওই দিকে আমার ভিতর ফুর্থির ঠেলায় লাড়াচাড়া দিচ্ছে...)
মারিয়াঃ বলনা, তোকে দেখলে তো আমার প্রেম করতে ইচ্ছা করছে..
আমিঃ তুই যাবি এখান থেকে..
মারিয়াঃ আরে যাচ্ছি এত রাগার কি আছে...হুহ
আমিঃ যা বলছি...
মারিয়া একটু ঝারি নিয়ে চলে গেলো।
বাঁচা গেল অন্তত শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারব। আর বেশি কথা না বলে ঘুমিয়ে গেলাম ঘুম ভাঙলো রাত আটটার দিকে। উঠে ফ্রেশ হয়ে রুমের বাইরে এলাম দেখি চাচ্চু বসে আছে তার সাথে কথা বলতে বলতে রাতের খাবার সময় হয়ে গেল।
খাবার খেয়ে আবারো ওখানেই বসলাম সবাই খাবার শেষ করে উঠে এলো...
চাচ্চুঃ তুই কি কালকে চলে যাবি..?
আমিঃ কালকে যেতে পারলে তো ভালই হয়।
চাচ্চুঃ কিন্তু কলেজ থেকে টিসি তো এখনো আনা হলো না। আর আমাদের বাসায় তো কয়েকদিন থাকলিও না।
আমিঃ আমার পরিক্ষার সময় দিয়ে দেবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। পরীক্ষা শেষ হলে আবার এসে অনেকদিন থেকে যাব।
চাচ্চুঃ তাহলে শুধু কালকের দিনটা থেকে যা..
আমিঃ দেখি কি করা যায়,,,
চাচ্চুঃ শুধু কালকের দিন থেকে যা, তারপর যাস। আমি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব।
আমিঃ আচ্ছা তাহলে থেকেই যাব..
আমি আর কিছু বললাম না। কারন এতদিন ঢাকায় এসে রয়েছি চাচ্চুদের কিছুই জানাইনি।
আর কালকের দিনটাই তো সমস্যা নাই থেকে যাওয়া যাবে। আরো কিছুক্ষন চা্চ্চুর সাথে কথা বলে রুমে চলে এলাম।
একটু আগে ঘুম থেকে উঠার জন্য এখন আর ঘুম আসছে না। কি আর করব ফোনটা নিয়ে ছাদে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক বেজে গেছে। সেদিনের মত রাতটা কাটিয়ে।
পরের দিন সকালে.. মারিয়ার ডাকে ঘুম ভাঙলো
আমিঃ এত সকালে ঘুম থেকে উঠে কি করব..?
মারিয়াঃ তোর টিসি আনতে যাবে আব্বু।
আমিঃ এখনই যাবে নাকি..? কোথায় চাচ্চু..?
মারিয়াঃ আব্বু নিচে আছে তোর জন্য অপেক্ষা করছে।
আমিঃ আচ্ছা যা আমি আসছি।
মারিয়াঃ তাড়াতাড়ি আসিস..
আমি শোয়া থেকে উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে একেবারে তৈরি হয়ে নিচে এসে দেখি চাচ্চু অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে..
একসাথে নাস্তা করে চাচ্চুর সাথে প্রথমে আমার কলেজে এলাম। স্যারকে অনেক বল আনার পর বোঝানোর পর আমার টিসি দিতে রাজি হলো।
শেষমেষ টিসি নিয়ে গাড়ি করে আমাকে চাচিদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে অফিসে গেল।
আমি বাসার ভেতরে ঢোকার সাথেই মারিয়া এসে বায়না ধরল ঘুরতে যাবে...
কিআর করার আজকের দিনটাই তো, কালকেই তো চলে যাব।
মারিয়ার সাথে আবার ঘুরতে বের হলাম প্রায় তিনটা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করে। দুপুরে একটা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম।
ঘোরাঘুরি করে শেষমেষ বাসায় এসে পৌছালাম এই মেয়ে এত ঘোরাঘুরি করতে পারে আর এত কথা বলতে পারে আমার আগে জানা ছিল না। পুরো মাথাটাই খারাপ করে দিয়েছে। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে ধপাস করে বিছানায় হুমরি খেয়ে পড়লামম।
একটু পর মারিয়া আবার রুমে এলো..
মারিয়াঃ কিরে ঘুমিয়ে পড়লি নাকি..?
আমিঃ তুই আবার কি করতে আসলি?
মারিয়াঃ কেন আসতে পারি না নাকি..?
আমিঃ আসতে পারবি কি করে, এত ক্ষণে তো আমার মাথাটা পুরো খেয়ে নিয়েছিস।
মারিয়াঃ কি বললি আমি তোর মাথা খেয়েছি?
আমিঃ তা নয় তো কি,, পুরো রাস্তা বকবক করে আমার মাথাটা নষ্ট করে দিয়েছিস।
মারিয়াঃ এত সুন্দর কিউট একটা মেয়েকে তুই এটা বলতে পারলি..?
আমিঃ কি.. কিউট..? তুই তো একটা পেত্নী..
মারিয়াঃ তুই এটা বলতে পারলি। একমাত্র চাচাতো বোনকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া তেও তোর এত সমস্যা..? যা তোর সাথে আর কোথাও যাব না...
আমিঃ আমার সাথে যাবি কেন, তোর তো ঘুরতে যাওয়ার অনেক লোক আছে।
মারিয়াঃ অনেক লোক আছে মানে..?
আমিঃ রাস্তায় দেখলাম তো রাস্তায় কত ছেলে তোর দিকে তাকিয়ে ছিল।
মারিয়াঃ কোথায় তাকিয়ে ছিল..?
আমিঃ তুই হয়তো দেখিসনি, কিন্তু আমি দেখেছি। আমি না থাকলে হয়তো তোকে ওখানেই প্রপোজ করতো।
মারিয়াঃ হয়েছে আর পাম মারতে হবে না।
আমিঃ আমি মোটেও পাম দিচ্ছি না।
মারিয়াঃ হয়েছে নিচে আয় ডাকছে।
আমিঃ যা তুই আমি আসছি..
মারিয়াঃ আমার সাথে যেতে বলেছে...
মারিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে।
মেয়েরা সত্যি গিরগিটির মতো রং বদলায় একটু খারাপ বললেই যেমন নাগিনী রূপ ধারণ করে, তেমনি একটু ভালো বা প্রশংসা করলে লজ্জায় মুখ লাল, নীল, হলুদ রং ধারণ করে।
যাইহোক মারিয়ার সাথে নিচে গিয়ে দেখি খাবারের টেবিলে পিঠা ভর্তি করে রেখেছে..
আমিঃ এগুলো কার জন্য..?
মারিয়াঃ একটা গরু এসেছে না আমাদের বাসায় তার জন্য।
আমিঃ কি আমি গরু..?
মারিয়াঃ আমি কি তোকে বলেছি নাকি..?
আমিঃ তাহলে কাকে বললি..?
মারিয়াঃ আমি যাকে বলেছি সে ঠিক বুঝেছে।
আমি আর কথা বাড়ালাম না ওর সাথে যত কথা বলব ততই আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে।
আমি একটা চেয়ার টেনে বসে পিঠাগুলো খেতে লাগলাম। এর মাঝে শুধু আমার পছন্দের পিঠা।
মারিয়াঃ কিরে রাগ করলি নাকি আমার উপর..?
আমিঃ আমি আবার রাগ করবো কেন..?
মারিয়াঃ তোকে গরু বলছি সেই জন্য..?
আমিঃ আরে না,, পাগলীরা তো কত কিছুই বলে তাদের কথা মনে নিলেতো নিজেকে পাগল মনে হয়।
মারিয়াঃ কি আমি পাগলী..?
আমিঃ তা নয়তো কি পাগলী বললে ভুল হবে, তুই তো পাগলী ম্যাক্স প্রো।
মারিয়াঃ কি বললি,, তোকে আমি আজ..
-> আবার কি ঝামেলা শুরু করলি তোদের কি এক মুহূর্ত ভাল থাকতে ইচ্ছা করে না..? সব সময় শুধু ঝগড়া আর ঝগড়া...
মারিয়াঃ তাহলে ও আমাকে পাগলি বলল কেন..?
-> তুইও তো ওকে গুরু বললি, কই তখন তো কিছু বলেনি..
মারিয়াঃ আম্মু তুমিও ওর হয়ে কথা বলছো..?
-> তো কি তোর হয়ে কথা বলব,,? আর এখন বেশি কথা না বলে চুপচাপ খাবারগুলো খেয়ে নে..
দুজনের একজনও আর কথা বললাম না। চুপচাপ খাবার খেয়ে রুমে চলে আসি।
রুমে এসেই মিথিলাকে ফোন দিয়ে বললাম কালকে সকালে তৈরি থাকতে।
সকালেই বাসার দিকে রওনা দিব।
সেদিন রাতেও মারিয়ার সাথে বেশ মজা করেছি। অনেকদিন পর চাচ্চুর সাথে বসে সবাই একসাথে মজা করলাম।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নীচে এসে সবার সাথে বসে খাবার খেয়ে নিলাম...
আর বেশি দেরি না করে রুমে এসে তৈরি হয়ে আমার কাপর গুলো নিয়ে মারিৃযাদের বাসার সবাইকে বিদায় জানালাম।
চাচ্চু গাড়িতে করে মারুফ ভাইয়ের বাসার সামনে নিয়ে আসলো। বাসার ভিতরে ঢুকে আমার যাবতীয় যা যা ছিল সব কিছুই নিয়ে আর মিথিলাকে নিয়ে বাসার বাইরে এলাম।
আমাদের সাথে আন্টি আর মারিয়া এলো।
সবাইকে বিদায় দিয়ে যেই গাড়িতে উঠতে যাব তখনই দেখি মারিয়া কান্না করছে... (মারুফ ভাইয়ের বোন)
আমি আর গাড়িতে না উঠে সোজা মারিয়ার কাছে চলে এলাম...
আমিঃ কি হলো কান্না করছিস কেন..?
মারিয়াঃ তুমি সত্যিই চলে যাচ্ছো..? আর কখনো আসবে না..?
আমিঃ আসবো না কেন..? সময় পেলেই চলে আসব..
মারিয়াঃ সত্যি বলছো তুমি..?
আমিঃ আরে হ্যাঁ সত্যি,, পরীক্ষা শেষ হলে আবার চলে আসব তোদের কাছে..
এরপরেও কিছুতেই বুঝতে চাইছে না। অনেক বোঝানোর পর গাড়িতে উঠে বাসস্টান্ডে চলে এলাম।
চাচ্চু আমাদের গাড়িতে করে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত এসে বাসে উঠিয়ে দিয়ে অফিসে চলে গেলো।
শেষমেষ আবার নিজের এলাকার দিকে রওনা দিলাম। অনেকক্ষন জার্নি করার পর গন্তব্যে পৌছালাম।
মিথিলা ওর আব্বুর সাথে বাসায় চলে গেলো আর আমি আমার বাসায়।
বাসায় এসে সবকিছু নিয়ে রুমে এসে ব্যাগ গুলো রেখে ফ্রেশ হয়ে নেই।
হালকা কিছু নাস্তা করে এসে ব্যাগ থেকে সব কাপড় নিজের রুমে সাঁজাচ্ছি..
ভাবী এসে আমার সাথে হাত লাগাল....
আমিঃ ভাবী তোমার বোনকে কিছু বলেছিলে..?
ভাবিঃ বলেছি, আজ আব্বুকে ফোন করে সব বলে দিয়েছি। ও এখন আর কোন ঝামেলা করবে না।
আমিঃ না করলেই ভালো...
তারপর সবকিছু গোছগাছ করে সেদিনের রাতটা বাসাতেই কাটিয়ে দিলাম...
পরের দিন সকালে উঠে নাস্তা করে আব্বুর সাথে কলেজে এলাম...
আবার নিজের কলেজে ভর্তি হই।
মিথিলাকে দেখতে পেলাম না, হয়তো কলেজে আসেনি।
আমরা বন্ধুরা মিলে, মানে আমি, সাগর আর রাহাত কলেজের একটা পাশে গাছের নিচে বসে গল্প করছি...
সাগরঃ শাকিব তুই কি একটা জিনিস খেয়াল করেছিস..?
আমিঃ কি..?
সাগরঃ আজ কলেজের সবাই তোর দিকে তাকিয়ে ছিল।
আমিঃ সে যার তাকিয়ে থাকার থাকুক তাতে আমার কি..?
সাগরঃ শালা তুমি তো এখন হিরো হয়ে গেছো। সব মেয়েরা এখন লাইন মারার জন্য পিছনে পড়ে থাকবে।
আমিঃ কি যে বলিস না..
রাহাতঃ সাগর কিন্তু সত্যি বলেছে... তুই অনেক সুন্দর হয়ে গেছিস। এখন তো আমাদের দিকে কেউ তাকাবেনা।
আমিঃ এখন একদম পাম মারবি না।
সাগরঃ সত্যি বলছি..
আমিঃ আর বলতে হবে না, নিজেকে কখনো ছোট মনে করবি না। তোদের চেহারা খারাপ নাকি..? আল্লাহর সৃষ্টি সবকিছুই সুন্দর...
সাগরঃ হ্যাঁ..
আমিঃ আচ্ছা পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু বলেছে কলেজ থেকে..?
রাহাতঃ হ্যাঁ, কালকে ক্লাসে বলেছিল। আর একমাস মতো আমাদের হাতে আছে পড়ালেখা করার জন্য, তার পরে পরীক্ষা...
আমিঃ তাহলেতো আর বেশি সময় নেই, পড়ালেখা শুরু করে দিতে হবে সেই স্পিডে।
সাগরঃ আমাদের স্পিড আর হবে না,, সেই পড়লেও ফেল না পড়লেও ফেল।
আমিঃ কেন তোরা কি খারাপ ছাত্র নাকি, যে ফেল করবি...
সাগরঃ খারাপ ছাত্র হয়তো না, কিন্তু বাসায় পড়তে তো হবে.. বাসায় তো পড়তে বসি না তাহলে পাস করবো কিভাবে..?
আমিঃ আগে পড়তে বসিস নি কিন্তু এখন বসবি, আর মাথায় রাখিস এবার সাদিয়ার থেকেও ভালো রেজাল্ট করতে হবে।
সাগরঃ এইটা হয়তো আমাদের দ্বারা হবে না, সাদিয়া তো সবসময়ই পড়ে।
আমিঃ সবসময় পরলে আমরাও পড়বো,,
রাহাতঃ হ্যাঁ ঠিকই বলেছিস, ভালো করে পড়তে হবে না হলে আব্বু আম্মুর স্বপ্ন পূরণ হবে না।
আমিঃ সবাই একসাথে একজোট হয়ে পড়ালেখা করতে হবে আর আমরা কিন্তু এরপরে একই ভার্সিটিতে ভর্তি হব এটা আগেই বলে রাখছি...
সাগরঃ চেষ্টা করব...
ওদের সাথে কথা বলতে বলতে
হঠাৎ একটা মেয়েকে দেখে চোখ আটকে গেল।
বুকের মাঝে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করছি...
হ্যাঁ আমি সাদিয়া কে দেখেছি..। অনেক পরিবর্তন হয়েছে আর হয়তো আগের থেকেও অনেক সুন্দর হয়েছে।
ওর বান্ধবীদের সাথে বসে হাসাহাসি করছে। সাদিয়ার চোখে চোখ পড়তেই আমি সাদিয়ার থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম।
আমিঃ সাগর আমি বাসায় চলে যাচ্ছি..
সাগরঃ কেন..?
আমিঃ ওই দেখ কে...
সাগরঃ সাদিয়া...?
আমিঃ হ্যাঁ...
সাগরঃ সাদিয়া থাকলে তাতে তোর সমস্যা কোথায়..?
আমিঃ সেটা তুই বুঝবি না তোরা থাক বিকালে দেখা হচ্ছে আবার...
আমি আর ওখানে না দাঁড়িয়ে সোজা গেট দিয়ে বাইরে চলে এলাম..
ঐদিকে আমি সাগর দের কাছ থেকে উঠে চলে আসার পরেই সাদিয়া ওদের কাছে গিয়ে...
সাদিয়াঃ কিরে শুনলাম মিথিলা নাকি বাসায় এসেছে..?
সাগরঃ এসেছে,,, তো..?
সাদিয়াঃ বাসায় এসেই আবার আমার নামে বিচার দিয়েছে, ওহো না না, মিথিলা বলেনি ওই শাকিব কাইল্লা দিয়েছে।
সাগরঃ তোর অহংকার কি কোনদিনও শেষ হবেনা..?
সাদিয়াঃ আমার আবার অহংকার আছে নাকি..?
সাগরঃ তুই যা তো এখান থেকে।
সাদিয়াঃ আমি কি তোদের এখানে থাকতে এসেছি..? আর হ্যাঁ একটা কথা জানার ছিল..
সাগরঃ কি কথা..?
সাদিয়াঃ তোদের সাথে যে একটু আগে সুন্দর করে ছেলে বসে ছিল ওইটা কে রে..?
সাগরঃ আমরা জানি না..
সাদিয়াঃ তোদের সাথে বসে কথা বলল আর তুই বলছিস জানিস না..?
সাগরঃ আমরা জানি না..
সাদিয়াঃ বললে সমস্যা কি তোদের..? আমাদের কলেজে নতুন এসেছে নাকি? আগে তো কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না.....
রাহাতঃ নতুন, তবে আমার পুরাতন...
সাদিয়াঃ সেটা কিভাবে...?
সাগরঃ এতকিছু জেনে তোর কোন কাজ নেই। যা তুই...
সাদিয়াঃ ভাব তো তোদেরও কম হয়নি দেখছি।
সাগরঃ আমরা মোটেও ভাব নিচ্ছি না, শুধু তোকে বলার প্রয়োজন মনে করছি না।
সাদিয়াঃ বুঝতে পেরেছি তোদের চেঙ্গিস খান (আমাকে বলল) এসেছে তো তাই ভাব বেড়ে গিয়েছে...
সাগরঃ ঠিকই বলেছিস সাকিব আসাতে আমাদের দাম বেড়ে গিয়েছে। শুধু বাসায় আসেনি এই কলেজে ভর্তি হয়েছে।
সাদিয়াঃ কবে ভর্তি হয়েছে..?
সাগরঃ আজকে একটু আগে...
সাদিয়াঃ কোথায় দেখলাম না তো..
রাহাতঃ তুই দেখবি কিভাবে..? তোর সামনে থাকলেও তো দেখতে পারিসনা..
সাদিয়াঃ কলেজে আসলে তো দেখতে পাবো।
সাগরঃ ও কলেজে এসেছিল।
সাদিয়াঃ কোথায়...?
সাগরঃ তুই যে ছেলেটার কথা বললি না একটু আগে...?
সাদিয়াঃ কোনটা..? তোদের সাথে বসে ছিল ওইটা..?
সাগরঃ হ্যাঁ... ওইটাই শাকিব...
সাদিয়াঃ মানে..? ওইটা শাকিব..? (অবাক হয়ে)
সাগরঃ হ্যাঁ ওটাই শাকিব। তোর বিশ্বাস না হলে কিছুই করার নেই।
সাদিয়া আর কোন কথা না বলে ওর বান্ধবীদের কাছে ফিরে যায়
কেমন হচ্ছে অবশ্যই জানাবেন....।
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com