কপালে টিপ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর যুগে প'তিতা সনাক্তের চিহ্ন হিসাবে প্রচলন হয়

কপালে টিপ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর যুগে প'তিতা সনাক্তের চিহ্ন হিসাবে প্রচলন হয়,এই যুগের চরিত্রহীনারাও সেই চিহ্ন বহন করছে।

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে আ,গুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে।
সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোনো মানুষের পক্ষে হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হল না।
অবশেষে একটি চরক বানানো হল যার মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে ছুড়ে আ,গুনে নিক্ষেপ করা যায়।
কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশে রহমতের ফেরেশতারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না।
তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল কিছু পতিতা (নগ্ন) মেয়ে এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে,
কারণ এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না।
তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা
সক্ষম হলেন।পরবর্তীতে ওই মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের
মাথায় তীলক পরানো হল। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত।
যেসব মুসলিম নারীরা টিপ পরে, তারা এই ঘটনা জানেনা।
জেনেও যদি কেউ পরে তাহলে সেটা তার দুর্ভাগ্য।
হিন্দুরা টিপ পরে, এটা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ।
পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হতো,
তা আজ আমাদের উপমহাদেশে মুসলমানদের মধ্যেও ফ্যাশনে রূপান্তরিত হয়েছে !
ওহে মুসলিম মা-বোনেরা! এই সত্য কথাটা জানার পরও কি আপনি
আপনাদের কপালে টিপ পরবেন ?
সুতরাং এই অবমাননাকর চিহ্নটি মুসলিম মা বোনরা এড়িয়ে চলুন।
সূত্র : তাফসীরে মা-রেফুল কোরআন, হযরত ইব্রাহিম (আ.) মূলগ্রন্থ।
তাবারী, তারীখ, ১খ, ১২৩-১২৪; ছালাবী আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস, ইবনে কাসীর।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url