গল্পঃ ভাবির অহংকারী বোন । পর্ব - ৩
সাদিয়া : যাব তবে তুই আজ বুঝতে পারবি আমার গায়ে হাত তোলার পরিনাম কি হতে পারে।
আমি : কি করবি তুই..?
সাদিয়া : দাড়া দেখাচ্ছি....( গিয়ে দরজা আটকে দিলো)
আমি : দরজা কেনো লক করলি.....?
সাদিয়া : কলেজে সবার সামনে আমাকে থাপ্পর মেরেছিস, আপুর কাছে আমাকে খারাপ বানিয়েছিস। তুই ভেবেছিস তোকে এমনি এমনি ছেড়ে দেবো..?
আমি : কি করতে চাস তুই...?
সাদিয়া : সেটা একটু পরেই বুঝতে পারবি..
আমার কাছে বেপারটা একদমই ভালো লাগলো না। উঠে গিয়ে দরজা খুলতে যেতেই....
পিছন থেকে মাথায় আঘাত পেয়ে নিচে পরে গেলাম।
হ্যাঁ সাদিয়া পিছন থেকে আমার মাথায় আঘাত করেছে।
সবকিছু কেমন যেনো ঝাপসা লাগছে,,,
সাদিয়া এসে আমার টি-শার্ট টা টেনে একটু ছিরে দিল,,,
আমার কথা বলার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছি,,,
সাদিয়া চিৎকার করে ভাবিকে ডাকছে....।
সাদিয়া আমার কাছে এসে কলার ধরে নিচু স্বরে বলল...
- এখন বুঝতে পারবি আমি কি করতে পারি, আমার পিছনে লাগা তাইনা..? এবার হারে হারে বুঝবি....
হঠাৎ দরজার ওপাশ থেকে কারো আসার শব্দ পেয়ে যদি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।
আমার আর কিছু মনে নেই যখন জ্ঞান ফিরল নিজেকে হসপিটালে আবিষ্কার করলাম।
আমি : আমাকে হসপিটালে কে আনলো...?
নার্স : আপনার আব্বু নিয়ে এসেছেন।
আমি : আব্বু কোথায়..?
নার্স : বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি : একটু দেখে দেবেন..?
নার্স : আচ্ছা দিচ্ছি....
আব্বু : তোকে আমার নিজের ছেলে বলতেও লজ্জা করছে।
আমি : কি করেছি আমি..?
আব্বু : চারদিকে এখন ধর্ষক ঘুরাফেরা করছে কিন্তু আমার নিজের বাড়িতে যে ধর্ষক থাকতে পারে এটা আমি ভাবতেও পারিনি।
আমি : কি বলছো আব্বু..?
আব্বু : চুপ তোর ঐ নোংরা মুখে আমাকে আব্বু বলবিনা।
আমি : আমি কি করেছি যার জন্য তুমি এমন করছো..?
আব্বু : কি করিসনি তুই..? তুই সাদিয়াকে ইজ্জত নষ্ট করতে চেয়েছিস।
আমি : না তুমি ভুল বুঝছো।
আব্বু : কোনটা ভুল..? তুই সাদিয়া কে একা পেয়ে ওকে নষ্ট করতে চেয়েছিস এটা ভুল..?
আমি : বিশ্বাস করো আমি এসব কিছুই করিনি। সাদিয়াই পিছন থেকে আমার মাথায় আঘাত করেছে।
আব্বু : নিজের ইজ্জত বাঁচানোর জন্য তোকে আঘাত করতে বাধ্য হয়েছে।
আমি : সাদিয়া এসবকিছু মিথ্যা বলেছে।
আব্বু : চুপপ। একটা মেয়ে কখনো তার ইজ্জত নিয়ে মিথ্যা বলেনা।
আমি : আমি সত্যি বলছি। ও আমার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এরকম করেছে।
আব্বু : আমি আর একটা কথাও শুনতে চাই না। তোর মত ছেলের আমার দরকার নেই।
আমি : আব্বু তুমি ভুল করছ।
আব্বু : কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সেটা কি তোর থেকে শিখতে হবে..? আমার বাড়িতে তোর কোন জায়গা নেই।তোর সবকিছু এই ব্যাগে রাখা আছে (একটা ব্যাগ দেখিয়ে)। তাকে পুলিশে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু বাসার সবার দিকে তাকিয়ে সেটা আর পারলাম না।
আমি : আম্মু কোথায় এখন..?
আব্বু : বাসায় আছে।
আমি : আমি আম্মুর সাথে দেখা করতে চাই।
আব্বু : তোর কারো সাথে দেখা করতে হবে না।
আমি : আব্বু প্লিজ শুধু একবার।
আব্বু : না তুই আমার ওই বাসার দিকে আর যাবি না আর যদি যাস তাহলে আমার ম...
আমি : আচ্ছা যাব না তবে যাওয়ার আগে একটা কথা বলে যাচ্ছি। তোমার নিজের ছেলের থেকে অন্য একটা মেয়ের কথা বেশি বিশ্বাস হলো..?
আব্বু : আমার ছেলের থেকে একটা মেয়ের ইজ্জত আমার কাছে বেশি দামি।
আমি : ও আচ্ছা। তবে এখন যেটা করছেন এটা ভুল করছেন আর এই ভুলটা যেদিন বুঝতে পারবেন সেদিন আর আমাকে কাছে পাবেন না। আর হ্যাঁ.. এই সব জিনিসপত্র আমার আর দরকার নেই আপনার টাকায় কেনা ছিল এটা আপনি নিয়ে যান।
আমি আর ওখানে না থেকে সোজা হসপিটাল থেকে বেরিয়ে এলাম। কোথায় যাব এখন..?
মাথাটা ঝিমঝিম করছে। রাহাতদের বাসায় এসে বেল বাজাতেই আন্টি এসে দরজা খুলে দিল,,,,
আন্টি : আরে শাকিব যে আসো ভিতরে আসো।
আমি : আন্টি রাহাত বাসায় আছে..?
আন্টি : না ও একটু বাজারে গেছে এখনি চলে আসবে।
আমি : ও আচ্ছা।
আন্টি : তোমার মাথায় কি হয়েছে..?
আমি : একটু আঘাত পেয়েছিলাম।
আন্টি : তোরমা যে কিভাবে চলাফেরা করো বুঝিনা। আসো ভাতরে আসো,,,,
আমি ভিতরে এলাম,,,
আন্টি : রাহাতের রুমে গিয়েই বসো...
আমি : না আন্টি আমি সোফাতেই বসছি।
গিয়ে সোফায় বসলাম। আন্টি টিভি টা অন করে রিমট টা আমার কাছে দিয়ে কাজ করতে লাগলো।
টিভি ঠিকই চলছে কিন্তু আমার টিভির দিকে কোনো মনই নেই। বার বার শুধু সাদিয়ার করা ব্যবহার মনে পরছে। সামান্য বিষয় নিয়ে এতো কিছু করতে একটুও বাধলো না..? এতোটা নিচে নামতে পারলো..?
হঠাৎ কারো ধাক্কায় বাস্তবে ফিরলাম.....
রাহাত : কি এতো ভাবছিস...? কখন থেকে ডাকছি শুনতেই পারছিস না।
আমি : অনেক কিছু...
রাহাত : তোর মাথায় কি হয়েছে..?
আমি : তোর রুমে চল সবকিছু বলছি।
রাহাত : আচ্ছা চল...
রাহাতের সাথে ওর রুমে চলে এলাম। সাদিয়া আমার সাথে যা যা করেছে সবকিছু ওকে বললাম।
রাহাত : আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না যে সাদিয়া এত বড় একটা জঘন্য কাজ করেছে।
আমি : আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না।
রাহাত : এখন কি করতে চাস..?
আমি : তুই যেভাবেই হোক আমাকে ঢাকা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দে।
রাহাত : তুই ওখানে গিয়ে কি করবি।
আমি : যেভাবেই হোক চালিয়ে নেব।
রাহাত : কিন্তু...
আমি : কোন কিন্তু নয়।
রাহাত : আচ্ছা আমি এক বড় ভাইকে বলে দেবো তুই আপাতত কিছুদিন ওখানেই থাকবি।
আমি : আচ্ছা..
রাহাত : কিছু খেয়েছিস..?
আমি : না এখন কিছু খাবো না...
রাহাত : চল আমার সাথে খাবি।
আর কিছু বলবে না দিয়ে জোর করে নিয়ে গেল। খাবার খেয়ে আবার রাহাতের সাথে ওর রুমে চলে এলাম।
রাহাত : আজকে তো আর যেতে পারবি না।
আমিঃ হুম
রাহাত : আজ রাতটা তাহলে আমাদের এখানে থেকেই যা।
আমি : আচ্ছা।
কিছুই করার নেই কোথায়ইবা যেতাম..? তার থেকে ভালো রাতটা এখানেই থেকে যাই। রাতে রাহাত বড় ভাইদের সাথে কথা বলে আমার থাকার ব্যবস্থা করে দিল।
আর কিছু জামা কাপড় কিনে দিলো এবং যাওয়ার টিকিট কেটে দিলো। আর কিছু টাকা আমাকে দিল। এরকম বন্ধু পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।
পরের দিন সকালে দেখি সাগর চলে এসেছে। সবকিছু গুছিয়ে আন্টির থেকে বিদায় নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে চলে এলাম। সাগর একটা সেল ফোন হাতে দিয়ে বলল
- এটাতে সিম ভরা আছে এখানেই যোগাযোগ করব।
সবাইকে ছেড়ে যেতে মন চাইছে না কিন্তু আমাকে যেতেই হবে। আমার পরিস্থিতি এতটা খারাপ হবে কখনো ভাবতেও পারিনি।
যাই হোক সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসে উঠে গেলাম। বাস ছাড়তেও বেশি দেরি নেই। সবাইকে শেষবারের মতো দেখে নিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস চলতে শুরু করল। বুকের বাম পাশে কেমন যেন চিনচিন ব্যথা করছে আর ভয়ও লাগছে।
কিভাবে চলবে দিন গুলো..? ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।
শেষমেষ 5 ঘন্টা জার্নির পর ঢাকায় এসে পৌছালাম। রাহাতের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী চলতে শুরু করলাম।
হঠাৎ পকেটে থাকা ফোনটা বেজে উঠলো আমি ফোনটা বের করে রিসিভ করতেই দেখি একটা মেয়েলি কন্ঠ....
- বাবা কোথায় তুমি..?
আমি : কে বলছেন..?
- আমি রাহাতের আম্মু...
আমি : ও আন্টি... কেমন আছেন..?
আন্টি : ভালো। তুমি কতদুরে গিয়েছো...?
আমি : একটু আগে বাস থেকে নেমেছি।
আন্টি : ও তাহলে পৌছে ফোন দিও...
আমি : আচ্ছা আন্টি দিব। রাহাত কোথায়..?
আন্টি : গোসল করছে....
আমি : ও। আচ্ছা আন্টি তাহলে পৌছে ফোন দিবো।
ফোনটা কেটে আবার চলতে শুরু করলাম। পাঁচ মিনিট লাগলো ঠিকানায় পৌছাতে। এখানে বড় ভাই তার ফ্যামিলি নিয়ে থাকে। ফ্যামিলি বলতে শুধু মা আর ছোট একটা বোন আছে, বাবা নেই। সবার সাথে পরিচয়ের পর্ব শেষ করলাম। আমাকে একটা রুম দেখিয়ে দিলো। রুমে এসে ফ্রেস হয়ে বিছানার উপর বসে চিন্তা করতে লাগলাম, কি থেকে কি হয়ে গেলো..? আমার বাসা থেকেউ সবাই ভুল বুঝলো। কি করবো এখন....?
- ভাইয়ে নিচে খাবার জন্য ডাকছে...
হঠাৎ কথা টা শুনে সামনে তাকিয়ে দেখি মারিয়া। মারিয়া হচ্ছে মারুফ ( বড় ভাইয়ের নাম) ভাইয়ের ছোট বোন। এবার ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে। মারুফ ভাই একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে। আর মারুফ ভাই হচ্ছে আসলে রাহাত এর খালাতো ভাই। যাইহোক উঠে নিচে গিয়ে সবার সাথে কথা বলতে বলতে খাবার খেয়ে নিলাম। সবাই অনেক ভালো মনের মানুষ একদিন এই আমাকে আপন করে নিলো। আরো কিছুক্ষণ কথা বলে বাসায় বাইরে চলে এলাম এসে আন্টিকে (রাহাতের আম্মু) ফোন দিয়ে বলে দিলাম আমি পৌঁছে গেছি। তারপর পাশের একটা দোকান থেকে সিগারেট কিনে খেতে শুরু করলাম।
- তুমি সিগারেট খাও..?
হঠাৎ পিছন থেকে এমন কথা শুনে চমকে উঠলাম তাকিয়ে দেখি মারুফ ভাই দাঁড়িয়ে আছে।
আমি : খাই না তবে আজ খুব ইচ্ছা হলো খেতে।
মারুফ : দেখো ভাই আমি তোমার ব্যাপারে সব কিছু শুনেছি রাহাতের থেকে। তোমার সাথে যেটা হয়েছে এরপর সিগারেট খাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটাতো কোনো সমাধান নয়। বাংলায় একটা কথা আছে জানো তো..? যে 'চোরের উপর রাগ করে কলাপাতায় ভাত খেলে নিজেরই ক্ষতি'। এখানে চোরের কিন্তু কিছু হবে না।
আমি : (চুপচাপ ভাইয়ের কথা গুলো শুনছি)
মারুফ : এখানে তোমার নিজেকে বদলাতে হবে যারা তোমাকে ভুল বুঝেছে তোমার দায়িত্বটা হবে তাদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া। আর যারা তোমাকে অবহেলা করেছে অপমান করেছে তাদের যোগ্য জবাব দিতে হবে।
নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করো যারা তোমাকে একা রেখে গেছে তারাও একদিন আফসোস করে। আশা করি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছো।
আমি : (নিজের অজান্তেই চোখের কোন দিয়ে নোনা পানি গড়িয়ে পরল)
মারুফ : আরে কান্না করছো কেন..? আচ্ছা সিগারেটটা শেষ করে বাসায় এসো।
আমি : না ভাই। আমি আর সিগারেট খাব না।
আমি সিগারেটটা ফেলে দিলাম।
আমি : চলেন একসাথে বাসায় যাই।
মারুফ : আচ্ছা চলো।
আমি : কিন্তু আমাকে কিছু তো একটা করতে হবে..?
( একসাথে হাঁটতে-হাঁটতে)
মারুফ : তুমি তোমার পড়াটা শুরু করে দাও।
আমি : কিন্তু....
মারুফ : কোন কিন্তু নয়। তোমার যতদিন ইচ্ছা আমাদের বাসায় থাকতে পারো। যখন যা লাগবে আমাকে বলবে। আর হ্যাঁ আমি রাহাতকে বলে ওখান থেকে TC আনার ব্যবস্থা করব। আজ থেকে তুমি আমার ছোট ভাই।
আমি আর কোন কথা বললাম না চুপচাপ ভাইয়ের সাথে বাসায় চলে এলাম। রাতে খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে শুয়ে অনেক কিছু ভাবলাম। এভাবে আর থাকা যাবে না। প্রত্যেকের কথার জবাব দিতে হবে।
বেশি রাত না জেগে ঘুমিয়ে গেলাম...
পরদিন সকালে....
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে এলাম।
মারিয়া : গুড মর্নিং ভাইয়া।
আমি : গুড মর্নিং আপু..
মারিয়া : তুমি আমাকে আপু বললে কেন..?
আমি : তাহলে কি বলবো..?
মারিয়া : আমাকে নাম ধরে ডাকবে।
আমি : না আমি আপুই বলবো।
মারিয়া : না নাম ধরে ডাকবে।
আমি : না আপু বলবো।
মারিয়া : না।
আমি : হ,,
মারিয়া : কি..?
আমি : আপু বলবো।
মারিয়া : তুমি এমন কেন..?
আমি : এমনই...
মারিয়া : আচ্ছা তোমার ঘুম কেমন হলো..?
আমি : তোমার কেমন হয়েছে..?
মারিয়া : আমার তো প্রতিদিনই ভালো হয়।
আমি : তাহলে আমারও ভালো হয়েছে।
মারিয়া : তুমিইই.....
আমি: কি..?
মারিয়া : কিছু না।
আমি : হুম আপু..
মারিয়া : আজ আমাকে স্কুলে দিয়ে আসবে।
আমি : আচ্ছা..
আন্টি রান্না ঘড় থেকে এসে....
আন্টি : কি কথা হচ্ছে দুজনের...?
আমি : আমার আপুর সাথে কথা বলছিলাম।
মারিয়া : দেখেছো আম্মু আমাকে আপু বলছে...
আন্টি : তো কিহয়েছে..?
মারিয়া : আম্মু তুমিও...
আন্টি : কি..?
মারিয়া : কিছু না তুমি আমাদের খেতে দাও আজ ভাইয়া আমাকে স্কুলে নিয়ে যাবে।
আন্টি : কেন তুই একা যেতে পারিস না..?
আমি : আন্টি সমস্যা নেই আমি নিয়ে যাব।
আন্টি : কিন্তু বাবা..
আমি : সমস্যা নেই আন্টি। আর আমি একা একা বাসায় থেকেই কি করব..?
আন্টি : আচ্ছা তোমরা থাকো আমি খাবার নিয়ে আসছি।
আন্টি গিয়ে খাবার নিয়ে এলো।
আমি আর মারিয়া খাবার খেয়ে নিলাম। মারিয়া তৈরি হয়ে নিল।
আমি মারিয়াকে নিয়ে ওর স্কুলে চলে এলাম।
মারিয়া স্কুলে ঢুকে গেল আমি ওখানেই একটা দোকানে গিয়ে বসলাম।
আর ভাবতে লাগলাম 'আমাকে এরকম বসে থাকলে হবে না কিছু একটা করতে হবে'।
আপাতত দু একটা টিউশনি পেলে মন্দ হয় না।
আরো কিছুক্ষন বসে থেকে বাসায় চলে গেলাম। এভাবেই কেটে গেল কয়েকটা দিন। আমার কলেজ থেকে TC নিয়ে এসেছি।
ওই দিকে আমার বাসা থেকে খুঁজছে কিন্তু কোনো সন্ধান পাচ্ছে না। আমার বন্ধুদের কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি।
&-অন্যদিকে সাদিয়ার কথা-&
সাদিয়া ঐ দিনই তার নিজের বাসায় চলে গিয়েছিলো। আমার থেকে প্রতিশোধ নিয়ে অনেক খুশি হয়েছে।
আজ সাদিয়া কলেজে গিয়ে তার বন্ধুদের সাথে বসে আছে।
রিয়া : আজ কিছুদিন কাইল্লাকে দেখিনা।
সাদিয়া : আর আসবেও না।
মায়া : কেনো...?
সাদিয়া : আমাকে সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছে। আর আমি ওকে বাড়ি ছাড়া করেছি।
রিয়া : যাক বাঁচা গেল.। কি করলি..?
( সাদিয়া তোর বান্ধবীদের সবকিছু খুলে বলল)
মিথিলা : তুই সত্যিই এরকম করেছিস..?
সাদিয়া : তো কি করবো মাথায় তুলে রাখবো..?
মিথিলা : তুই কাজটা একদমই ঠিক করিস নি।
সাদিয়া : আরে সরতো। তুই কি ওর হয়ে ওকালতি করতে আসলি..?
মিথিলা : আমি কারোর হয়ে ওকালতি করতে আসিনি। তবে তুই অনেক বড় একটা ভুল করেছিস এর জন্য তোকে পস্তাতে হবে। তোর সাথে বন্ধুত্ব করাটাই ভুল হয়েছে। একটা নারীর কাছে সবথেকে বড় হচ্ছে তার ইজ্জত আর তুই সেটা নিয়ে খেলা করলি। এতটা নিচে নামতে পারলি তুই..?
সাদিয়া : তো কি হয়েছে..?
মিথিলা : তোর সাথে আমার আর কোনো বন্ধুত্ব নেই।
সাদিয়া : বাই...
মিথিলা : ভুল করলি....
মিথিলা আজ ক্লাস না করে সোজা আমাদের বাসায় চলে গেলো....
অন্তত একটি লাইক সবার থেক আশা করছি...
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com