Breaking News

আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ৩২



রাহাত ফারহার হাতে ধরে জোর করে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে, নিজেরও গাড়িতে উঠে বসল। রাহাত চুপচাপ গাড়ি ড্রাইভ করছে আর ফারহা ঝাল ঝাল বলে চিৎকারই করে যচ্ছে।কিছুক্ষণ পর ওরা বাড়িতে পৌছে গেল।

বাড়িতে ঢুকেও ফারহা ঝাল ঝাল বলে চিংকার করছে।
রাহাত:বাড়িতে এসে গেছো এবার তো মুখটা বন্ধ কর!!!
রাহাতের মা: আরে ফারহা,তুমি এইভাবে চিংকার করছ কেন? আর ঝাল লাগল কিভাবে?
ফারহা:আম্মু, রাস্তায় ফুচকা খেয়েছিলাম ।তখন ঝাল লেগেছে।তোমার ছেলেটা একটু পানিও কিনে দেয় নি। আবার বলছে, আমি নাটক করছি।
রাহাতের মা এক গ্লাস পানি নিয়ে এলো।

রাহাতের মা: ফারহা, এই নাও। পানি খাও। জিসান এইটা কেমন কথা!
মেয়েটা ঝাল ঝাল বলে চিংকার করছে আর তুই একটু পানি খাওয়ালি না আবার বলছিস নাটক করছে??
রাহাত:নাটক না তো কি? আমার সাথে তো ভালোই ঝগড়া করেছিলো।
হঠাৎ করে ঝাল ঝাল বলে চিৎকার শুরু করল। যত্যসব...😠😠😠
রাহাত রাগ দেখিয়ে উপরে চলে গেল।
রাহাতের মা:ফারহা, তুমি কিছু মনে করো না। জিসানটা একটু ঐ রকমেই । তোমার ঝাল কমেছে??
ফারহা: হ্যা,আম্মু।
রাহাতের মা: তুমি ঘরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নাও। আমি জান্নাতকে দিয়ে তোমাদের ঘরে খাবার পাঠাচ্ছি।
ফারহা: ঠিকাছে আম্মু।

ফারহা উপরে চলে গেল। ফারহা ঘরে গিয়ে দেখে রাহাত ওয়াশরুমে ঢুকে গেছে।
ফারহা: কাঠাসটা ওয়াশরুমে ঢুকে গেছে?দাড়া শয়তান দেখাচ্ছি মজা (মনে মনে)।
আংকেল, তারাতারি দরজা খুলুন।
রাহাত: কেন? কি হয়েছে? আমি এখন দরজা খুলতে পারব না।
আর তুমি আবার আমাকে আংকেল বলছে ?
ফারহা: Sorry,Sorry, ভূল হয়ে গেছে। আমার লক্ষি বর ,দরজা খুলুন ।
রাহাত: ফারহা আমি গোসল করছি ।এখন খুলতে পারব না ।
ফারহা: খাঠাসটা তো দরজা খুলছেই না । কি করি? আইডিয়া!!!
স্যার আমি ইয়ে করব তারাতারি বের হোন।
তারপর রাহাত ভেজা শরীরে তাওয়াল পরে বের হলো।
রাহাতকে এই অবস্থায় দেখে ফারহা জোরে চিৎকার করে নিজের চোখ ঢেকে ফেলল ।
রাহাত:এত চিৎকার করার কি হলো। আমি তোমার স্বামী,তুমি ভুলে গেছ সেটা??
আর তুমি ওয়াশরুমে যাবে বলেই তো আমি এইভাবে বের হলাম

ফারহা নিজের চোখ থেকে হাতটা সরিয়ে ধিরে ধিরে ওয়াশরুমের দরজার কাছে গিয়ে রাহাতের দিকে তাকাল।
ফারহা: মিঃ স্বামি,আমি আপনাকে মিথ্যা কথা বলেছি ।আমি ইয়ে-টিয়ে কিছু করব না আমি এখন গোসল করব।আমি যতক্ষন না গোসল করে বের হচ্ছি,ততক্ষন আপনি এই ভাবেই দাড়িয়ে থাকুন ।
ফারহা হেসে তারাতারি দরজা বন্ধ করে দিলো ।
রাহাত: ফারহা আমি এইভাবে কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকব? Plz দরজা খুল ।
ফারহা: কচু খুলব!!!😀😀😀
রাহাত: কি পাগল মেয়েরে বাবা !!
রাহাত ওয়াশরুমের বাইরে দাড়িয়ে আছে । রাহাতের শরীরের পানি দিয়ে ওয়াশরুমের দরজার বাইরের দিকটা পুরুটা ভিজে গেছে । তখনি ফারহা গোসল শেষ করে ওয়াশরুমের দরজার খুলে বের হতে গেলেই পা পিছলে পরে যেতে নিলে রাহাত ফারহাকে ধরতে আাসে । কিন্তু রাহাত ফারহাকে সামলাতে না পেরে নিজে প্লোরের উপর পরে যায়, আর রাহাতের উপর ফারহা ।
তখনি দরজার সামনে খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে জান্নাত জোড়ে চিৎকার করে উঠে।
জান্নাত: ভাইয়া, ভাবি ছি!!! দরজা খুলে এইসব কেউ করে ???
জান্নাতের কথা শুনে রাহাত, ফারহা দুইজনেই তারাতাড়ি করে উঠে দাড়ালো ।

ফারহা: জান্নাত,তুমি এখানে ???
জান্নাত: ভাবি, আম্মু তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছে।
আসলে, আম্মু তো জানতো না,তোমরা এখন ব্যস্ত আছ!!!
রাহাত: জান্নাত,তুই যাবি এখান থেকে???
খাবারের প্লেটটা বিছানার উপর রেখে জান্নাত হাসতে হাসতে দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায় ।
রাহাত ফারহার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে ।
রাহাত: এই সব কিছু তোমার জন্য হয়েছে।
ফারহা: আমি আবার কি করলাম ? আপনিই তো নিজে থেকে আমাকে ধরতে আসছিলেন।
রাহাত: তুমি না পরলে, আমি ধরতে আসতাম? স্টুপিড র্গাল একটা !!😠😠
তারপর রাহাত ওয়াশরুমের ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো।
তারপর ফারহা খাবার খেয়ে শুয়ে পরল ।
...........
আজ চারদিন হয়ে যাচ্ছে ফারহা জিহাকে ছাড়া একা একা কলেজে ক্লাস করছে ।
জিহাকে দেখতে আাসার পর থেকে জিহা আর কলেজে আসে নি।
ফারহা ফোনে গেম খেলছিলো। হঠাৎ জিহার কল আাসে। ফারহা কলটা রিসিভ করে।
জিহা: ফারহা, কেমন আছিস?
ফারহা :জিহা ,তোকে ছাড়া আমি কি ভাবে ভালো থাকব ।
চার দিন হয়ে যাচ্ছে তোর সাথে আমার কোনো কথা হয় নি।
আর এই চার দিন তুই কলেজে আসিস নি কেন ?
জিহা: এটা বলতেই তো তোকে কল করেছি। পৌর্সোদিন আমার বিয়ে।
আজকে আব্বু তোদের বাসায় কার্ড নিয়ে যাবে।
তোকে আর রাহাত স্যারকে কিন্তু আসতেই হবে !!!
ফারহা: কি যে বলিস ! তোর বিয়ে আর আমি আসব না ।
জিহা: Ok,bye
ফারহা: Bye

দুইদিন হয়ে গেল । আজকে জিহার বিয়ে । রাহাত যেতে মানা করেছিলো ।
কিন্তু জিহার আব্বু নিজে এসে কার্ড দিয়ে গেছে । তাই যেতে রাজি হয়েছে।
রাহাত রেডি হয়ে নিচে সোফায় বসে ফারহার জন্য অপেক্ষা করছে।
ফারহা ঘরে রেডি হচ্ছে । গোলাপী রঙের লেহেঙ্গা পড়েছে, সাথে মেচিং জুয়েলেরী।
অল্প সেজেছে তবু ফারহাকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে।
ফারহা হাতের চুড়ি ঠিক করতে করতে সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসছে।
রাহাত ফারহার থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না ,মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ফারহার দিকে।
রাহাত: আমি তো কোনো দিন ফারহাকে ভালো করে দেখেই নি ।মেয়েটা সত্যিই খুব মিষ্টি।( মনে ,মনে)
ফারহা:মিঃ স্বামী আমরা কি এবার যেতে পারি?
রাহাত: হ্যা,চলো ।

রাহাত ড্রাইভ করছে আর ফারহা নিজের সেলফি তুলছে। রাহাত লুকিয়ে লুকিয়ে ফারহাকে দেখছে ।
কিছুক্ষন পর ওরা জিহাদের বাড়িতে পৌছে গেল ।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com