Breaking News

আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ৩১



ফারহা রাহাতের গাড়ি ইগনুর করে চলে যাচ্ছিলো।তখন রাহাত গাড়ি থেকে রের হয়ে দৌড়ে ফারহার কাছে গেল ।

রাহাত: ফারহা কোথায় যাচ্ছ? তুমি দেখনি আমি তোমার জন্য গাড়িতে অপেক্ষা করছি?
ফারহা:হুম দেখেছি। কিন্তু আমি আপনার সাথে যাব না ।
রাহাত:কেন ?আমার সাথে না গেলে কিভাবে যাবে তুমি?
ফারহা:যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে যাব। আপনি ক্লাসের সবার সামনে আমাকে অপমান করেছেন । আমি আপনার সাথে যাব না ,যাব না ,যাব না ।
রাহাত:ঠিক আছে । তাহলে আমি একাই যাচ্ছি।
রাহাত গাড়ির দিকে যেতে লাগল।

ফারহা:এই কাঠাসটার সাথে না গেলে আমি যাব কিভাবে? আমার কাছে তো টাকাও নেই । তার মানে পুুরুটা রাস্তা আমাকে হেটে যেতে হবে?O.M.G!!!
ফারহা দৌড়ে রাহাতের গাড়ির কাছে গেল।
ফারহা:আংকেল শুনুন।ও সরি,সরি,স্যার শুনুন আমি আপনার সাথেই যাব।
রাহাত : কেন? তুমি তো বলেছিলে ,তুমি একাই যেতে পারবে। তুমি বরং একাই চলে যাও।
ফারহা: হুমম..আমি একাই যেতে পারতাম কিন্তু আমি ভাবলাম, আপনি আমার জন্য এতক্ষণ অপেক্ষা করলেন এখন যদি আমি না যাই আপনি মন খারাপ করবেন । তাই আমি আপনার সাথেই যাব।
রাহাত লুকিয়ে লুকিয়ে মুচকি হাসছে।
রাহাত: ভাঙ্গবে তবো মচকাবে না (মনে মনে) । আচ্ছা ঠিক আছে। এবার গাড়িতে উঠো।
ফারহা গাড়িতে উঠে সিট বেল্ট লাগালে রাহাত গাড়ি স্টাট করল।
রাহাত চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছে। ফারহাও চুপচাপ বসে আছে। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই ফারহা একটা ফুচকার দোকান দেখতে পেল।

ফারহা: আংকেল গাড়ি থাামান ,গাড়ি থামান।
রাহাত: কি হয়েছে? গাড়ি থামাতে বললে কেন!
ফারহা: ঐ যে ফুচকার দোকান। চলুন ফুচকা খাব।
রাহাত ফারহার এই ছেলে মানুষি আবদার ফেলতে পারলো না । তাই গাড়ি থেকে নেমে ফুচকার দোকানের কাছে গেল ।
ফারহা:মামা ফুচকা দেন তো ।
ফারহা ফুচকাওয়ালার একটু কাছে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে ফুচকা ওয়ালাকে বলল যেন ঝাল একদম বেশি দেয়।
ফারহা: কাঠাসটা সবার সামনে আমায় আপমান করেছিলো, তাই না? এবার বুঝাব মজা। আর আমি আগের বারের মতো ভুল করে নিজের জালে নিজে ফাঁসবো না এরাব আমি নিজের হাতে ফুচকাটা কাঠাসটার মুখে ডুকিয়ে দেব।( মনে মনে)

ফারহা ফুচকা ওয়ালার থেকে ফুচকাটা নিয়ে রাহাতের কাছে যেতেই রাহাত ফারহার হাতে ধরে ফুচকাটা ফারহার মুখে ডুকিয়ে ওর মুখে চেপে ধরে।
রাহাত: তুমি কি ভেবেছো আমি কিছুই বুঝি না। ফুচকাটা পুরুটা মরিচ দিয়ে ভর্তি করে আমাকে খাওয়াতে আনছিলে ,তাই না?এবার নিজের মরিচ নিজের খাও।
ফারহার মুখ ঝালে পুড়ে যাচ্ছে। রাহাত এমন ভাবে ফারহার মুখ চেপে ধরে আছে যে ফারহা ফুচকাটা ফেলতেও পারছে না । ফারহার ফুচকা খাওয়া শেষ হলে রাহাত ফারহার মুখ ছাড়ল।ফারহা ঝাল ঝাল বলে খুব জোরে জোরে চিৎকার করছিল । তখনি রাহাত ফারহার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট .....
ফারহা তো পুরাই অবাক। যেই রাহাত ওর প্রপোজাল রিজেক্ট করেছিলো সেই রাহাত ওকে কিস করছে???😮

ফারহা রাহাতের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিল।
ফারহা : আপনার সাহস হয় কিভাবে আমাকে কিস করার?
রাহাত: এটা সাহস নয়। এটা আমার অধিকার , ভূলে যেও না তুমি আমার বিয়ে করা বউ ।
ফারহা: যখন ক্লাসে সবার সামনে দাড় করিয়ে রেখে ছিলেন তখন আপনার মনে হয় নি, আমি আপনার বিয়ে করা বউ ??? হঠাৎ একদম বউয়ের প্রতি ভালোবাসা উৎলে উৎলে পরছে!!!
রাহাত: ক্লাসের ভিতরে তুমি শুধু আমার একজন স্টুডেন্ট । Nothing else ! ফারহা, তোমার ঝাল কমে গেছে ?
ফারহা: আরে সত্যিই তো ! এত ঝাল, এত তারাতারি কমে গেল? কিন্তু আপনাকে তো আমি শান্তিতে বাড়ি যেতে দেব না আংকেল। ( মনে, মনে)

তারপর ফারহা আবার ঝাল বলে চিৎকার করতে শুরু করলো।
রাহাত: এতক্ষণ তো ভালোভাবেই কথা বলছিলে। হঠাৎ করে ঝাল কোথায় থেকে চলে আসল।
ফারহা:ওফ ঝাল..‌‌‌‌‌....
রাহাত: তোমার নাটক করা শেষ হলে এবার আমরা যাই?
ফারহা: আমি ঝালে মরে যাচ্ছি ,আর আপনি বলছেন আমি নাটক করছি?
রাহাত: নাটক নয় তো কি ? এতক্ষণ ঝাল ছিলো না হঠাৎ করে ঝাল চলে এলো ??
রাহাত ফারহার হাত ধরে জোর করে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে, নিজেও গাড়িতে উঠে বসল। রাহাত চুপচুপা গাড়ি ড্রাইভ করছে আর ফারহা ঝাল ঝাল বলে চিৎকার করে যাচ্ছা। কিছুক্ষণ পর ওরা বাড়িতে পৌছে গেল ।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com