ফৌজদারী কার্যবিধির কিছু নিয়ম কানুন

ফৌজদারী কার্যবিধির কিছু নিয়ম কানুন

১.তদন্ত কাকে বলে। তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষমতা বা দায়িত্ব আলোচনা করো।
তদন্ত কাকে বলে
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি 4(ঠ) ধারায় বলা আছে যে সাক্ষ্যগ্রহণের উদ্দেশ্যে এবং মামলার সত্যতা নির্ধারণের জন্য পুলিশ অথবা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যে কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকেই তদন্ত বলে।
তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষমতা বা কর্তব্য
প্রাথমিক সংবাদঃ 154 ধারার অধীন আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ পেলে পুলিশ তা এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং 155 ধারার অধীন আমল অযোগ্য অপরাধের সংবাদ পেলে সংবাদদাতাকে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট প্রেরণ করবেন।
আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত: 156 ধারার অধীন পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত ম্যাজিস্ট্রেট এর অনুমতি ছাড়া করতে পারবে।
সন্দেহের ভিত্তিতে আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত: 157 ধারার অধীন পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত সন্দেহের ভিক্তিতে করতে পারবে যদিও এজাহার দায়ের না হয় যেমন কোন চিঠির মাধ্যমে সংবাদ পেলে।
আমল অযোগ্য অপরাধের তদন্ত: 155(2) ধারার অধীন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে আমল অযোগ্য অপরাধ এর তদন্ত করতে পারবে।
আদালতে প্রেরণ: 61 ধারার অধীন পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারকৃত কে 24 ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে
সাক্ষীকে তলব: 160 ধারার অধীন পুলিশ মামলার সাথে সম্পর্কিত সাক্ষীদের তলব করতে পারবেন।
সাক্ষী পরীক্ষা: 161 ধারার অধীন পুলিশ মামলার সাক্ষীদের মৌখিক ভাবে পরীক্ষা করে লিখিত আকারে তা লিপিবদ্ধ কবে
তল্লাশি: 165 ধারার অধীন পুলিশ তদন্তের সময় প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো স্থানে তল্লাশি করতে পারবে
কেস ডায়েরি: 172 ধারার অধীন পুলিশ প্রতিদিনের তদন্তের বিষয়ে এবং মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তদন্ত সকল বিষয় উত্ত ডায়েরিতে অন্তর্ভুক্ত করবে।
পুলিশ রিপোর্ট: 173 ধারার অধীন পুলিশ তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিবে। যদি অপরাধের সত্যতা না পাওয়া যায় তাহলে ফাইনাল রিপোর্ট দিবে এবং যদি অপরাধ এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে চার্জশিট দিবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url