বিষাক্ত ভালোবাসা । পর্ব - ০২

আবির যত এগিয়ে আসছে তনুর দিকে, তনুর হার্ট তত দ্রুত বিট করছে।
তনু চোখ বন্ধ করে চেচিয়ে বলে একদম আমার কাছে আসবেন না! 
আমি কিন্তু চিৎকার করবো।
তনুর কথা যেন আবির শুনতেই পায়নি, 
আবির তনুর দু' হাতের আঙ্গুল এর ভাঁজে নিজের আঙ্গুল ডুবিয়ে দিয়ে তনুকে আঠকে দেয়। 
তনু কিছু বলবে তার আগেই আবির তনুর ঠোঁট তার ঠোঁট মিশিয়ে দেয়
হঠাৎ এমন হওয়ায় তনু বরফের মত জমে গেছে, যখন বুঝতে পারলো 
তার সাথে কি হচ্ছে তখন ছোটার জন্য নড়াচড়া করতে লাগলো।
আবির তনুর ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে কানের কাছে মুখ এনে বলে, 
তোমার ঠোঁটের সাধ সত্যি অমৃত,আই লাইক দিস, 

আবিরের হাত কিছুটা আলগা হতেই তনু আবিরকে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে ধাক্কা দেয়। 
তবে ফলাফল শূন্য কেননা তৎখনাত আবির তনুকে এক টান দিয়ে নিজের বাহুতে আগলে নেয়।
আবিরের জিম করা বডি,লম্বায় ছয় ফিট এমন হাতির কাছে তনু নিতান্তই মশা।
তনু আবিরকে বলে আমাকে ছেড়ে দিন,নয়তো এর পরিণাম ভালো হবে না।
আবির তনুর কথায় পাত্তা না দিয়ে তনুর শরীরে পেচিয়ে রাখা শাড়িটা খুলে নেয়।
তনু দু' হাত দিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।
আবির ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে শাড়িটা ঠিক করে পরিয়ে দিয়ে বলে, 
"কেমন নারী তুমি পরতে পারো না শাড়ি! আসলে তুমি আনারী।
বলেই মৃদু হাসে, আবিরের হাসি দেখে তনুর গা জ্বলে যাচ্ছে। 
আবির একটা বক্সের ভেতর থেকে কিছু গহনা নিয়ে তনুকে পরিয়ে দিচ্ছে। 
তনু বিরক্ত হয়ে বলে কি করতে চাইছেন আপনি? আর বাইরে কিসের এতো চেচামেচি?
আবির তনুকে বলে, তোমাকে নিরব সবটা বুঝিয়ে বলেনি?
তনু : এই নিরব আবার কে, আর কি বুঝিয়ে বলবে। 
আপনি প্লিজ আমাকে একটু সব বুঝিয়ে বলবেন।

আবির রাগে চোয়াল শক্ত করে নিজের ফোন বের করে কাউকে কল করে।
কয়েক সেকেন্ড এর ভিতর রুমে একটা ছেলে আর সাথে একটা মেয়ে প্রবেশ করে।
আবির, নিরবের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলে তোকে আমি কি বলেছিলাম? 
আর তুই কি করেছিস
নিরব ভয়ে ঢোক গিলে বলে আসলে স্যার ছোট একটা ভুল হয়ে গেছে, 
আমি যেই মেয়েকে কন্টাক্ট করেছি সেই মেয়ে পরিবর্তে অন্য একটা মেয়ে চলে আসছে।
তনু সামনে তাকিয়ে হতবাক হয়ে গেছে, 
উচ্চ আওয়াজে বলে ইফতি তুই, ইফতিকে আকরে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠে, 
ইফতি তনুকে বলছে শান্তহ
তনু কেঁদে কেঁদে বলে আমার সব শেষ হয়েগেল রে ইফতি, 
আমি কোন মুখে বাবার সামনে দাঁড়াবো।
আবির তনুকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে এসব মেলোড্রামা বন্ধ করো এখন এসবের সময় নেই।
বাহিরে প্রেস মিডিয়া সব ওয়েট করছে সো 
যা হবে চুপচাপ মেনে নেয়া ছাড়া তোমার কাছে কোন অপশন নেই।
তনু আবিরের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলে আমি আপনার কোন কথাই শুনবো না, 
আপনি আমার যা ক্ষতি করার করেছেন আর কিছু করার সুযোগ আপনাকে দেবো না।
আবির তনুর কোমরে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে কানে কানে বলে, 
কাল রাতে আপনার আর আমার মাঝে যা হয়েছে সব রেকর্ড করা আছে।
সো সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আমাকে তো আঙ্গুল বাঁকাতেই হবে। 
তনু ঘৃণ্য দৃষ্টিতে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে।

আবির তনুকে ছেড়ে দিয়ে বলে পরবর্তী নাটকের জন্য তৈরি তো? 
নাকি আমাকে অন্য রাস্তা অবলম্বন করতে হবে।
তনু চোখ বন্ধ করে বলে না,আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।
আবির হেসে বলে গেট রেডি টু মিসেস চৌধুরী
সো এখন যা হবে হাসি মুখে মেনে নিবে। 
এমন ভাব করবেন যাতে সবাই মনে করে "মেড ফর ইচ আদার।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে নিজেকে তৈরি করো।
আশফাক মির্জা সবে মাত্র কফি খেতে খেতে টিভি অন করেছে।
নিউজ চ্যানেল দিতেই, 
চোখে পরে আজকের ব্রেকিং নিউজ বিশিষ্ট শিল্পপতি মাহতাব চৌধুরীর একমাত্র ছেলে 
আবির চৌধুরীর গোপন বিয়ে,
কি এমন হলো যে আবির চৌধুরীর মত সনামধন্য একজন বিজনেস ম্যান গোপনে বিয়ে করলেন,
আর কেই বা সেই মেয়ে? 

জানতে হলে চোখ রাখুন স্বদেশের সংবাদ বাংলা নিউজ এ
মাহতাব চৌধুরীরকে খুব ভালো করেই চেনে আশফাক মির্জা, দু' বছর আগেই তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল মাহতাব চৌধুরী। তাই আগ্রহ নিয়ে সংবাদ দেখছেন।
আবির,নিরবকে বললো বাহিরে যাও আমি মিসেস চৌধুরীকে নিয়ে আসছি।
ইফতি অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে, 
নিজের ভুলে আজ তার ভালোবাসার মানুষটির পাশে অন্য কেউ।
আবার তারি ভুলের জন্য তার বেস্ট ফ্রেন্ড এর জীবনাটাও এলোমেলো হয়ে গেল।ইফতি তনুর সামনে এসে, তনুর হাত ধরে বলে পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস।
তনুর মস্তিষ্ক এই মুহূর্তে এ চিন্তা আসলো না কেন ইফতি তার কাছে ক্ষমা চাইছে।
আবির তনুর হাত ধরে বাহিরে বের হলো, 
একবার তনুর কানে র কাছে মুখে এনে বললো মুখে হাসি থাকে যেনো।
আবির বেরিয়ে আসতেই চারদিক থেকে মিডিয়ার লোকেরা ঘিরে ধরলো।
আবির একটা মাউথ স্পিকার নিয়ে বললো রিলাক্স আমি আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।
তার আগে মিট মাই ওয়াইফ মিসেস তনিমা চৌধুরী। ডটার অফ আশফাক মির্জা।
টিভিতে নিউজ টি দেখেই আশফাক চৌধুরী বুকে হাত দিয়ে চেপে ধরে তার ওয়াইফ তারা বেগম কে ডাক দিলেন।
অতঃপর..

চলবে...

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url