Breaking News

ভূতের গল্পঃ অদৃশ্য মানবী | Samiul Ahmed | Part-2

ভূতের গল্পঃ অদৃশ্য মানবী | Samiul Ahmed | Part-2

মেয়েটা আবার ফোন দিয়েছে।
সাথে সাথে রিসিভ করলাম।
-হ্যালো(মেয়েটা)
-আপনার পরিচয় টা কিন্তু এখনো দিলেন না। (আমি)
-আমি???? আমি তোমার খুব কাছের একজন মানুষ।
-কিন্তু আপনার পরিচয়?
-সেটা কি দিতেই হবে?
-না আসলে তা না তবে দিলে খুব ভালো হয়।
-এতো কিছু জানার দরকার নেই আস্তে আস্তে সব জানতে পারবে। এখন শুধু এইটা জেনে রাখো আমার নাম মায়া। আর কিছু জানার চেষ্টা করো না।
ওর কথা শুনে একটু একটু ভয় পেতে লাগলাম।
সেই থেকেই শুরু।
তারপর থেকেই প্রতিরাতে ঠিক ১ টায় আমাকে ফোন দেয়।
আমি অপেক্ষায় থাকি সেই রাত ১টার জন্য।
যেমনটা আজকেও আছি।
কিন্তু কোন ফোন আসছে না।
ঘড়ির দিকে তাকাতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
১.৪৫মিনিট তবুও ফোন দিলো না।
মনটা ছটফট করছে।
একটু সেই মায়াময়ি কণ্ঠ শোনার জন্য।
হঠাৎ কারেন্ট চলে গেলো। সাথে সাথে ধুপ করে একটা শব্দ পেলাম।
টেবিলে রাখা মোমবাতিটা ধরানোর চেষ্টা করছি কিন্তু বার বার ব্যর্থ হচ্ছি।
মায়া ফোন করেছে।
-প্লিজ শিমুল আগুন জালাইও না আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
খুব তারাতারি আর হাফাতে হাপাতে কথাটা বললো।
-কিন্তু কেন?
-যা বলছি তাই করো বেশি প্রশ্ন করার চেষ্টা করো না।
-আচ্চা কিন্তু তুমি এতোক্ষন কই ছিলো। ফোন দেও নি কেন?
-আমাদের এখানে তোমাকে নিয়ে একটা সমস্যা হইছে। আমি যে তোমার সাথে কথা বলি সেটা সবাই যেনে গেছে। তাই তারা তোমার ক্ষতি করতে পারে। তুমি এককাজ করো দিশালয়টা তোমার হাতে রাখো যখন বলবো তখন ব্যবহার করবে।
-কিন্তু তুমি তো কষ্ট পাও।
-আমার কথা চিন্তা করো না তাইলে তোমার খুব বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আমি চাইনা তোমার কোন ক্ষতি হোক। তোমাকে যে ফোন দিলাম সেটা হয় তো সবাই জেনে গেছে। তাই প্লিজ আমি যা বলবো তাই শুনবা।
আর কোন ভয় পাবা না আমি তোমার সাথেই আছি।
বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
কিছুক্ষণ পর বোঝতে পারলাম শরীরটা ছমছম করছে। হঠাৎ আমার কাধে কারও হাতের ছোয়া পেলাম। সাথে সাথে পিছনে ঘুরে তাকাতেই আত্তাটা ছেৎ করে ঊঠলো।
ভয়ংকর একটা লোক দাড়িয়ে আছে।
-প্লিজ এখন আগুন জ্বালাও(মায়া)
-কিন্তু তুমি তো কষ্ট পাবা!
-আমার কথা ভেবো না তারা তোমার অনেক ক্ষতি করবে।
দিশালয়ের আগুনটা জ্বালাতেই একসাথে অনেক গুলো চিৎকার শুনতে পেলাম।
ভয়ে আমি জ্ঞান হারালাম!!!!!!
যখন জ্ঞান ফিরে তখন………
নাকে কেমন যেন একটা গন্ধ পেলাম। পুরো ঘর আলোই মুখোরিত।
হঠাৎ করে রাতে ঘটনা মনে পড়লো!
মায়া ফোন দিয়েছে,,,,,,
-এখন কেমন আছো শিমুল ?
-ভালো, কিন্তু???????
-আমি জানি তুমি কি বলতে চাও প্লিজ বেশি জানার চেষ্টা করো না। এতে আমাদের দুইজনেরই খুব ক্ষতি হবে।
-না বলো না হলে আমি ফোন কেটে দিবো।
-না প্লিজ জোর করো না।
-বলো তারা কে?
-পিশাচ!
নামটা শুনেই ভয়ে হাত পা কাপতে শুরু করলো।
-পিশাচ?
-হুমমমম পিশাচ।
-তাইলে তুমি ওদের সাথে কেন?
-আমিও ওদের সাথে থাকি।
-তার মানে তুমিও…….
-আসলে তুমি যা ভাবছো তা না।
-আজকে তোমার আসল পরিচয় দেও। না হলে আমি তোমার সাথে আর কথা বলবো না কোন দিন।
অনেক টা ভয়ে ভয়ে জোর খাটিয়ে কথাটা বললাম।।।।
-প্লিজ জোর করো না।
-না তুমি আমার সামনে এসো আর আসল পরিচয় দেও।
-আচ্চা এতো করে যখন জেদ করছো তখন সব বলবো তবে একটা কথা যদি তোমার পরিবার আর তোমার ক্ষতি হয় আমি কিছুই করতে পারবো না।
-মানে কি আমার পরিবারের কি হবে?
আর এটা থেকে বাচার কোন উপাই নেই????
-হুমমমম আছে একটাই তবে কাজটা খুব কঠিন!
-কি কাজ?
-এই গ্রহকে ধ্বংস করে দিতে হবে!
-কী? এটা কেমন করে?
-আস্তে আস্তে সব বলবো।আমাকে যদি এখন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে পারো তাইলে এই গ্রহ ধ্বংস হবে।
-তোমাকে কেন উদ্ধার করবো আর কেন তোমাকে বন্দি করে রেখেছে?
-এই পিশাচেরা।যদি তুমি এই কাজে সফল না হও তোমাকেও বন্দি করে রাখবে।
ওর কথা শুনে একটু ভয় ভয় করলো। তবুও মনবোল হারালাম না!
-আচ্চা এটা কেমনে করবো তোমার কি কোন উপায় জানা আছে?
-হুমমমমম আছে!
-কি সেটা বলো
-হুমমমমম বলবো তবে এতে তোমার জীবনও যেতে পারে।
-আমি রাজি বলো।
-বলবো কালকে রাত ১ টায় তোমার কাছে আসবে। তোমার সামনে ধরা দিবো নিজেকে।
তখন সামনা সামনি সব বলবো।
বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
কি সেই রহস্য? আর মায়ার আসল পরিচয় কি?
কে তাকে বন্দী করে রেখছে?????
এর উওর জানতে হলে কালকে রাত ১ টা পযর্ন্ত মায়া অপেক্ষা করতে হবে!

.
…………………………চলবে……………………………

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com