Breaking News

সিনিয়র বউ | পর্ব -৩



তানিয়ার দিকে তাকাতেই আমি হালকা ভয় পেয়ে গেলাম।। কেননা সে আমার দিকে এক ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।। তার চেহারা একেবারে লাল হয়ে আছে, দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে প্রচন্ড পরিমাণে রেগে আছে।। কিন্তু তার রাগের কারণ কি আর আমার দিকেই বা কেন এমন চাহনিতে তাকিয়ে আছে।। মনে তো হচ্ছে সে আমার উপরেই রেগে আছে।। কিন্তু আমি কি করলাম যে সে এইভাবে রেগে আছে.? কিছুই তো বুঝতে পারছি না।। এদিকে তানিয়া ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়ে আসছে, আর এসেই আমার স্যুটের কলার চেপে ধরে বললো…

তানিয়াঃ তুই রিমির সাথে এতো হেসে হেসে কথা বলছিলি কেন তখন.?
তামিমঃ এই রিমি আবার কে.?
তানিয়াঃ যে তোকে কিউট বলছিল আর বলেছিল তুই নাকি ওর সপ্নের রাজকুমারের মতো।। বল ও তোকে এই কথা কেন বলেছিল.? (বলেই স্যুটের কলার আরও শক্ত করে চেপে ধরলো)
তামিমঃ আরে আরে করছেন টা কি স্যুটের কলার ছাড়েন নাহলে স্যুট নষ্ট হয়ে যাবে তো।।
তানিয়াঃ হোক নষ্ট আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দে, রিমি কেন তোকে ওই কথাটা বলেছিল তখন।।
তামিমঃ আরে আমি কি করে জানবো, ওকে আমি চিনি নাকি.? এই প্রথম ওর সাথে আমার দেখা হলো।।
তানিয়াঃ সবকিছুর জন্য তোর এই স্যুট আর হেয়ার স্টাইল দায়ি।। কে বলেছিল মেয়েদের মতো এতো সেজেগুজে আসতে.?

তামিমঃ কিহ আপনি আমার স্যুট পরা আর হেয়ার স্টাইলকে মেয়েদের সাজুগুজুর সাথে তুলনা করছেন.!
তানিয়াঃ এমন বাজে ভাবে তো মেয়েরাও সাজে না, এটা কোনো স্টাইল হলো.? (বলেই সে তার হাত দিয়ে আমার হেয়ার স্টাইলটা নষ্ট করে দিল)
তামিমঃ এই এটা কি করলেন.? এতো সুন্দর করে হেয়ার স্টাইল করে আসলাম আর আপনি (আমায় থামিয়ে)

তানিয়াঃ মাত্র তো হেয়ার স্টাইল নষ্ট করলাম এখনো তো আরও একটা কাজ বাকি রয়েছে বলেই তানিয়া আমার স্যুটের বোতাম খুলতে শুরু করলো।।
তামিমঃ আরে আরে কি করছেন স্যুটের বোতাম খুলছেন কেন.?
তানিয়াঃ একদম চুপ মুখ থেকে যেন আর একটা কথাও বের হয়না (চোখ রাঙিয়ে + ধমকের শুরে)।।
তারপর তানিয়া জোর করে আমার স্যুট খুলে বিছানার উপর ছুড়ে মারলো।।
তানিয়াঃ যাও এখন ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আস।। আর এই স্যুট টা যদি আরেকবার পর তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে।।

তামিমঃ রাগে দুঃখে আর কিছু বলতে পারলাম না, সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলাম।।
কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখি তানিয়া মেয়েটা বিছানার উপর বসে কান্না করছে।। কি হলো মেয়েটা এইভাবে কান্না করছে কেন.? একটু আগেই তো আমায় কতো ধমকানি দিচ্ছিল তাহলে এখন ওর কি হলো.? তাড়াতাড়ি করে তানিয়ার পাশে এসে দাড়ালাম আর বললাম…
তামিমঃ এই কি হয়েছে আপনার.? আপনি কাদছেন কেন.?
তানিয়াঃ আমার গলার আওয়াজ শুনে মাথা তুলে আমার দিকে তাকালো আর করে বসা থেকে উঠেই আমায় ঝাপটে জড়িয়ে ধরলো।।

তানিয়ার জড়িয়ে ধরাতে মনের মধ্যে এক ধরণের অনুভূতি সৃষ্টি হতে লাগলো।। তানিয়া আমায় এতো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে যে মনে হচ্ছে সে আমার বুকের মধ্যে মিশে যেতে চাচ্ছে।। এই মূহুর্তটা ভিষণ ভালো লাগছে আমার।। কিন্তু ও এইভাবে কান্না করছে কেন.? একবার জিজ্ঞেস করে দেখি তো।।
তামিমঃ আচ্ছা আপনার কি হয়েছে এইভাবে কান্না করছেন কেন.?
তানিয়াঃ নিশ্চুপ (শুধু কেদেই যাচ্ছে)।।
তামিমঃ হয়েছে টা কি, এইভাবে কান্না করছেন কেন বলবেন তো নাকি।।
তানিয়াঃ আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ, আর কখনো তোমার সাথে ওমন করবো না (ফুপিয়ে ফুপিয়ে বললো)।।

তামিমঃ মাফ করবো মানে.! আর আপনি আমার সাথে কখন কি করলেন, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।।
তানিয়াঃ তখন তোমার স্যুটের কলার ধরেছি আর তোমার সাথে তুই তুকারি করে কথা বলেছি।। তুমি যখন রিমির সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলে আর ও তোমায় কিউট + তোমায় ওর সপ্নের রাজকুমারের মতো বলেছিল তখন আমার ভিষণ রাগ হয়েছিল তাই তোমার সাথে একটু আগে ওমন করেছি।। প্লিজ আমায় মাফ করে দাও আর কখনো তোমার সাথে ওমন করবো না (বলেই আবার ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না শুরু করে দিল)।।

তামিমঃ আরে এর জন্য আবার মাফ চাইতে হয় নাকি।। তা ছাড়া বয়সে আপনি আমার বড়, আমাকে তো তুই করে বলতেই পারেন (আসলে ওর কথাগুলো শুনে কি বলবো নিজেই বুঝতে পারছি না)।।
তানিয়াঃ বয়সে বড় হলে কি, তুমি তো আমার স্বামী।। তোমাকে আমি কীভাবে তুই করে বলতে পারি।। আমার ভুল হয়েগেছে প্লিজ আমায় মাফ করে দাও।।
তামিমঃ আরে আপনি তো ভুল কাজ করেন নি যে মাফ করবো।।
তানিয়াঃ এতো কথা শুনতে চাইনা আগে বল আমায় মাফ করেছ কি না।।
তামিমঃ হে মাফ করেছি, এবার আমায় ছাড়ুন আর ফ্রেশ হতে যান।।
তানিয়াঃ হু তুমি থাক আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি আর হে কোথাও যাবা কিন্তু আমি আসলে একসাথে নিচে যাবনে।।

তামিমঃ আচ্ছা যাব না।।
তারপর তানিয়া ফ্রেশ হতে চলে গেল আর আমি বিছানায় বসে রইলাম।। মেয়েদের মন বুঝা সত্যিই অনেক কঠিন কাজ।। এরা এই ভালো এই খারাপ।। এরা এই হাসে আবার এই কাদে।। মেয়েদের মন বুঝতে পারে পৃথিবীতে এমন পুরুষ কমই আছে।। আবার যেই পুরুষ সহজেই একটা মেয়ের মনের কথা বুঝতে পারে সেই মেয়েটা অনেক ভাগ্যবান, যে তার জীবনে এমন একটা সুদর্শন পুরুষকে পেয়েছে।।
কখনো মানুষ প্রেম করে বিয়ে করার পরেও জীবনে সুখী হতে পারে না কারণ তার ভালোবাসার মানুষটা তার মনের কথাগুলো বুঝতে পারে না।। আবার অনেক মানুষ মা-বাবার ইচ্ছাতে বিয়ে করে জীবনে অনেক সুখ পায় কারণ তার জীবনসঙ্গী তার চেহারা দেখেই তার মনের কথাগুলো বুঝে ফেলে।। সারাজীবন দুজন একে অপরকে ভালোবেসে গেলেন অথচ দুজনের মধ্যে কেউ-ই একে অপরের মনের কথাগুলো বুঝতে পারলেন না।। তাহলে সেই ভালোবাসার মধ্যে আপনি কখনো সুখ জিনিসটা খুজে পাবেন না।।

এখন আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে যে তানিয়া কেন তামিমকে বকা দিয়ে এখন নিজেই কান্না করে ওর কাছে মাফ চাইলো তাইতো.? আপনারা তো জানেন যে তানিয়া ছোটবেলায় মাদরাসাতে পড়াশোনা করেছিল বিদায় এখন ইসলামের অনেক নিয়মকানুন ই সে মেনে চলে, এমনকি ৫ ওয়াক্ত নামায ও পড়ে।। তামিমের সাথে তুই তুকারি করে কথা বলার পর তার হঠাৎ মনে পরলো স্বামীকে ধমকানো বা স্বামীর মুখের উপর কোনো কথা বলা তো ঠিক না।। এতে যদি তামিম তার প্রতি রেগে যায় বা তার আচরণে তামিম কষ্ট পায় তাহলে যে পরকালে সে জাহান্নামিদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।। এমনিতেই সে ছোটবেলা থেকে কোনো অবৈধ সম্পর্কে জড়ায়নি মানে কারও সাথে প্রেম করতে যায়নি।। কারণ সে চাইতো যে তার স্বামী হবে বিয়ের পর তার সাথে প্রেম করবে।। কারণ ইসলামে বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসাকে হারাম বলা হয়েছে।। বিয়ের পর তুমি তোমার স্বামী-স্ত্রীর সাথে যা ইচ্ছা কর এতে কেউ বাধা দিবে না।।

তানিয়া ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে তামিম তার ব্যাগে কি যেন খুজতেছে।।
তানিয়াঃ এই তুমি কি ব্যাগের মধ্যে খুজতেছ.?
তামিমঃ কে কে ওহ আপনি, না মানে আসলে ককই কিছুনা তো এমনিই ব্যাগ দেখছিলাম।।
তানিয়াঃ তোমার চেহারা আর কথাবার্তাই বলে দিচ্ছে যে তুমি মিথ্যা বলছ।। সত্যি করে বল ব্যাগের মধ্যে কি খুজতেছিলা.?

তামিমঃ না মানে আসলে আমার মোবাইল খুজতেছিলাম।।
তানিয়াঃ মোবাইল দিয়ে কি করবা.?
তামিমঃ ইয়ে মানে একা একা বসে থাকতে ভালো লাগছিল না তাই ভাবলাম একটু মোবাইল চালাই।। আমার মোবাইলটা কি দেওয়া যাবে প্লিজ।।
তানিয়াঃ নাহ মোবাইল দেওয়া যাবে না আম্মু আমায় নিষেধ করেছেন তোমায় মোবাইল না দিতে।।
তামিমঃ প্লিজ প্লিজ মোবাইলটা দিয়ে দেন, আপনি আমার মানিব্যাগটা রেখে দেন কিন্তু মোবাইলটা দিয়ে দেন প্লিজ ? (মিনতির শুরে)।।
তানিয়াঃ কিছুক্ষণ ভেবে, ওকে দিব কিন্তু এখন না।। আগে নিচে চল সবার সাথে দেখা করে আসি তারপর মোবাইল পাবা।।

তামিমঃ ওকে চলেন (খুশি হয়ে)।।
এই আপু দুলাভাইকে নিয়ে নিচে আস খালামনি তোমাদেরকে নাস্তা করতে ডাকছেন (হঠাৎ বাহির থেকে একটা মেয়ে কথাটা বললো)।।
তানিয়াঃ দরজাটা খুলে দেখলো রিমি।। তুই যা আমরা আসছি।।
রিমিঃ আচ্ছা দুলাভাই তাড়াতাড়ি আসেন (বলে তামিমের দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে চলে গেল)।।

রিমি তামিমের দিকে তাকিয়ে হাসি দেওয়ায় তানিয়া আবার রেগে গেল।। কিন্তু এবার সে তামিমকে কিছু বললো না।।
তানিয়াঃ চল আমার সাথে, আর নিচে গিয়ে কোনো মেয়ের সাথে ভুলেও কথা বলবা না বলে দিলাম (বলেই সে তামিমের হাত ধরে তাকে নিচে নিয়ে আসলো)।।
নিচে আসতেই শাশুড়ী আম্মা আমাদের কাছে এসে তানিয়াকে বললেন, তখন জামাই বাবাজিকে ওইভাবে হাত ধরে নিয়ে গেলি কেন.?

উনার কথা শুনে তানিয়া উনার কানে কি যেন বললো আর শাশুড়ী আম্মা হেসে দিলেন।। তারপর শাশুড়ী আম্মা আমায় ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করলেন আমিও উনাকে ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করলাম।। তারপর উনি তানিয়াকে বললেন আমাকে নিয়ে খাবার টেবিলে আসতে।। তানিয়াও আমার হাত ধরে খাবার টেবিলে নিয়ে আসলো।। তানিয়া আমাকে চেয়ারে বসিয়ে কোথায় যেন চলে গেল তখনই কোথা থেকে জানি কয়েকটা পিচ্চি মেয়ে এসে আমার চারপাশের চেয়ার গুলোতে বসে পরলো।। ওদের সাথে রিমি মেয়েটাও ছিল আর রিমি আমার পাশের চেয়ারেই বসেছে (রিমির বয়স সম্ভবত ১৫-১৬ হবে)
কিছুক্ষণ পর তানিয়া আমার জন্য প্লেটে করে খাবার নিয়ে এসে দেখলো আমার চারপাশে সব মেয়েরা বসে আছে।। আর আমার পাশের চেয়ারে রিমিকে দেখে তো সে একদম রাগে আগুন।। পাশে শাশুড়ি আম্মা থাকাতে সে কিছু না বলে প্লেটটা আমার সামনে রেখে আরেকটা চেয়ারে গিয়ে বসে পরলো।।
সবাই যার যার মতো করে খাবার খাচ্ছি আর শাশুড়ী আম্মা মাঝেমধ্যে আমার প্লেটে এটা ওটা বেড়ে দিচ্ছেন।। হঠাৎ খাওয়ার মাঝে রিমি মেয়েটা তার প্লেট থেকে এক পিস মাংসের টুকরো আমার প্লেটে দিয়ে বললো, খান দুলাভাই লজ্জা পাবেন না।।

মেয়েটার কথায় আর কাজে যেন আমি বোকা হয়ে গেলাম।। এখন কি করবো বা কি বলবো কিছু বুঝতে না পেরে তানিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি সে আগের মতো এক ভয়ংকর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।। রাগে তার ফর্সা চেহারা একেবারে লাল হয়েগেছে, হয়তো রিমির কাজটা সে দেখে ফেলেছে।। কিন্তু সে হুট করেই বসা থেকে উঠে উপরে চলে গেল।।

তানিয়ার এইভাবে খাবার ফেলে চলে যাওয়াতে সবাই কিছুটা অবাক হলো, শাশুড়ী আম্মা আর দাঁড়িয়ে না থেকে তিনিও উপরে চলে গেলেন।। কিছুক্ষণ পর আবার তিনি নিচে নেমে এলেন, এর মধ্যে আমিও তাড়াতাড়ি করে প্লেটের খাবারগুলো শেষ করে ফেলেছি।।
শাশুড়ী আম্মাঃ বাবা দেখ না মেয়েটার কি হলো না খেয়েই রুমে চলে গেছে।। কতবার ডাকলাম কিন্তু রুমের দরজাও খুললো না।। তুমি ওর জন্য প্লেটে করে একটু খাবার নিয়ে যাওনা।।
তামিমঃ আচ্ছা দেন।।

তারপর শাশুড়ী আম্মা আমায় একটা প্লেটে কিছু খাবার এনে দিলেন।। আমিও সেগুলো নিয়ে উপরে চলে এলাম।। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে রুমের দরজায় একবার টুকা দিতেই তানিয়া ভিতর থেকে দরজা খুলে দিল।। আমি আর কিছু না ভেবে রুমে ঢুকে তাকে জিজ্ঞেস করলাম…
তামিমঃ খাবার রেখে চলে আসলেন কেন.?
তানিয়াঃ আগে বল রিমি তোমার প্লেটে মাংসের টুকরো দিল কেন.?
তামিমঃ আমি কি করে বলবো কেন দিল।। হয়তো মজা করে দিয়েছে।। আচ্ছা বাদ দেন এই নেন আপনার আম্মু আপনার জন্য খাবার পাঠিয়েছেন খেয়ে নেন।।
তানিয়াঃ খাব না আমি (গাল ফুলিয়ে)।।
তামিমঃ কেন.?

তানিয়াঃ খাব কিন্তু আমাকে তোমার নিজের হাতে খাইয়ে দিতে হবে।।
তামিমঃ আমি এইসব পারবো না খাওয়ার হলে খান নাহলে নাই।।
তানিয়াঃ ওকে তাহলে মোবাইলও পাবা না।।
তামিমঃ এটা কেমন কথা, আপনি না বললেন
তানিয়াঃ আমাকে খাইয়ে না দিলে মোবাইল পাবা না বাকিটা তোমার ইচ্ছা।।
তামিমঃ আর কোনো উপায় না পেয়ে হাতটা ধুয়ে তানিয়ার সামনে বসে প্লেট থেকে এক লুকমা খাবার তার মুখের সামনে এনে বললাম, নেন হা করেন।।

তানিয়াঃ খুশি হয়ে হা করে খাবারের লুকমাটা খেয়ে নিল।।
এইভাবে তানিয়াকে কয়েক লুকমা খাবার খাইয়ে দেওয়ার পর ঘটলো এক বিপত্তি।। তানিয়া হঠাৎ ঝাল ঝাল বলে জোরে চিল্লাতে শুরু করলো।। তার এমন অবস্থায় আমার কি করা উচিত কিছু ভেবে পেলাম না।। হঠাৎ ভাবলাম নিচে গিয়ে পানি নিয়ে আসি।। তো বসা থেকে যেই উঠে দাড়ালাম তখনই তানিয়া আমার হাত টেনে ধরে আবার বিছানায় বসিয়ে দিল আর আমাকে টান মেরে তার একদম কাছে নিয়ে গিয়ে আমার ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট জোড়া এক করে দিল।। তানিয়ার এমন কাজের জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।। চোখ বড় বড় করে তানিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি আর সে পাগলের মতো আমার ঠোঁট জোড়া চুষে যাচ্ছে।।

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com