Breaking News

সিনিয়র বউ | পর্ব -৯



এদিকে তানিয়া কিছুক্ষণ তামিমের দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ তার একদম কাছে চলে গেল আর তামিমের গালে ১টা চুমু খেল।। তামিম তো তানিয়ার এমন কাজে অবাক.! একটু আগেই তো তানিয়া আমার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে ছিল তাহলে এখন আবার আমার গালে কিস করলো কেন.?
তানিয়াঃ ফরজ নামাযের নিয়ত আরেকবার পড়ে নিও তাহলে আর ভুলবা না।।
আর এখন থেকে আমার দেওয়া পড়াগুলো যদি টাইম মতো শিখতে পার তাহলে পুরুষ্কার হিসেবে এখন যেটা দিয়েছি ওইটা পাবা।। আর যদি পড়া শিখতে না পার তাহলে কিন্তু কঠিন শাস্তি পেতে হবে।।
তামিমঃ কিছু না বলে চুপ করে বসে রইলাম।।
তানিয়াঃ এবার যুহর নামাযের নিয়ত গুলো শিখ এই নাও।।
তামিমঃ আমার আর পড়তে ভালো লাগছে না।।
তানিয়াঃ রাগী চোখে আমার দিকে তাকালো।।
তামিমঃ আচ্ছা আচ্ছা পড়তেছি।।

তানিয়াঃ হুম পড় (বলেই তানিয়া একটা চেয়ার টেনে আমার পাশে বসে পরলো)।।
পড়তে পড়তে ৩০ মিনিট নিমিষেই পার হয়ে গেল সেদিকে আমার কোনো খেয়ালই নেই।।
হঠাৎ বই থেকে নজর সরিয়ে তানিয়ার দিকে তাকালাম।।
দেখলাম তানিয়া টেবিলের উপরের মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছে।।
দেখ আমাকে ঘুমাতে না দিয়ে এখন উনি শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন।।
উফফ বসে থাকতে থাকতে কোমড় ব্যাথা করছে।।
দেখি তো আমার মোবাইলটা কোথায় খুজে পাই কি না।।
তারপর চেয়ার থেকে উঠে আস্তে আস্তে পা ফেলে রুমের সব জায়গাতে মোবাইল খুজতে লাগলাম।।
কিন্তু মোবাইল কোথাও পেলাম না।।

হঠাৎ মাথায় আসলো তানিয়ার বালিশের নিচে চেক করে দেখি মোবাইল আছে কি না।।
যেই ভাবা সেই কাজ।।
তানিয়ার বালিশ সরাতেই আমার মোবাইলটা পেয়ে গেলাম কিন্তু মানিব্যাগ পেলাম না।।
দুর মানিব্যাগ পরে পাওয়া যাবে মোবাইল যে পেয়েছি এটাই অনেক।।
মোবাইল পেয়ে আর কোনোকিছু না ভেবে বিছানার উপর বসে ডাটা অন করে ফেসবুকে লগ ইন করলাম।।
তানিয়া যে রুমের মধ্যেই আছে এটাও আমার খেয়াল নেই, নিজের মতো ফেসবুকিং করেই যাচ্ছি।।
এদিকে হঠাৎ করে তানিয়ার ঘুম ভেঙে যায়।।
চোখ মেলে তার পাশের চেয়ারে তামিমকে দেখতে না পেয়ে সে এদিক ওদিক তাকাল।।
তানিয়া বিছানার দিকে তাকাতেই দেখলো তামিম বিছানার উপর বসে আরামসে মোবাইল টিপছে।। তামিমের হাতে মোবাইল দেখতে পেয়ে তানিয়া যতটা না অবাক হয়েছে তার চেয়ে বেশি তার রাগ উঠেছে তামিমকে মোবাইল টিপতে দেখে।। সে টেবিলে থাকা ঝালি বেতটা নিয়ে তামিমের সামনে গিয়ে দাড়ালো।।

এদিকে তামিমও হঠাৎ খেয়াল করলো তার পাশে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে।।
তামিম মোবাইলের থেকে নজর সরিয়ে মাথা ঘুরিয়ে ওই মানুষটার দিকে তাকাতেই তার হাত থেকে মোবাইলটা বিছানায় পরে গেল।।
তানিয়াকে তার সামনে দেখে তামিম কিছুটা ভয় পেল কিন্তু তৎক্ষনাৎ সে মনে মনে নিজেকে বললো, তামিম তোর ভয় পেলে চলবে না তুই একটা পুরুষ।।
আর পুরুষ হয়ে একটা নারীকে ভয় পাওয়া তোর মোটেও উচিত না।।
যেখানে ভার্সিটির সব মেয়েরা তোকে ভয় পায় সেখানে তুই নিজেই একটা মেয়েকে ভয় পাচ্ছিস, এটা তো খুব লজ্জার বেপার।।

তানিয়াঃ এই পড়া বাদ দিয়ে মোবাইল টিপছ কেন.? তোমাকে না বললাম নিয়ত গুলো শিখতে ওইগুলো শিখেছ.? (কড়া গলায়)
তামিমঃ দেখেন এমনিতেই আজ আপনি আমায় অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠিয়েছেন।।
তার উপর এতক্ষণ ধরে কিছু খেতে না দিয়ে শুধু একের পর এক পড়া দিয়েই যাচ্ছেন।।
প্রথম যে পড়াগুলো দিয়েছেন ওইগুলো তো শিখেছি।।
তারপর আবার আরও পড়া দিয়ে বসলেন।।
আর পড়া দিয়ে আপনি নিজেই ঘুমিয়ে পরলেন।।
আপনার যদি ঘুম চলে আসে তাহলে তো আমারও ঘুম আসার কথা।।
কিন্তু আমি না ঘুমিয়ে এতক্ষণ কষ্ট করে পড়েই গেছি কিন্তু এখন আমার আর পড়তে ভালো লাগছে না তাই পড়া থেকে উঠে পরেছি।। আর আপনি আমার মতো ছেলেকে ছোট বাচ্চাদের মতো কান ধরে ওঠবস করিয়ে শাস্তিও দিয়েছেন পড়া শিখতে না পারায়।।
তবুও আমি আপনাকে কিছু বলি নি।।
কিন্তু এখন বলছি, প্লিজ আমাকে একটু মুক্তি দেন এইসব বাচ্চাদের মতো পড়া আমার মাথায় ঢুকছে না।।

প্লিজ একটু শান্তিতে থাকতে দেন আমায়।।
তামিমের মুখ থেকে এমন কথা শুনে তানিয়া মনে খুব কষ্ট পেল।। সে ভেবেছিল তামিমকে হয়তো তার বশে এনে ফেলেছে তাইতো তামিম গতকাল থেকে আজ তার অনেক কথাই শুনেছে।।
কিন্তু এখন এই অল্প সময়ের মধ্যেই যে তামিম আবার নিজের আগের রূপে ফিরে আসবে এটা তানিয়া কখনো ভাবতে পারেনি।। তানিয়া তামিমকে আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে চলে গেল।।
এদিকে তানিয়াকে এইসব কথা বলাতে তামিমেরও এখন একটু খারাপ লাগছে কিন্তু পরক্ষণেই সে নিজেকে নিজে বললো, যা বলেছি ঠিকই তো বলেছি।।
একটা বাচ্চা ছেলেকেও হয়তো কেউ এইভাবে পড়াবে না যেভাবে তানিয়া আমায় পড়িয়েছে।।
অসহ্য লাগে এমন পড়া পড়তে।।

তামিম আর কিছু না ভেবে আবার আগের মতো ফেসবুকিং করতে লাগলো।।
অপরদিকে তানিয়া নিচে গিয়ে রান্নাঘরে মন খারাপ করে বসে আছে।।
তানিয়া এখন নিজেই নিজেকে বলছে, আসলেই তো এতো বড় ছেলেকে আমি গতকাল থেকে বাচ্চাদের মতো পড়ানো শুরু করেছি।।
তামিমও তো গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত আমার অনেক কথাই মেনে চলছে।।
কিন্তু এখন হয়তো আমি ওর সাথে একটু বেশিই করে ফেলেছি যার কারণে ও রাগের মাথায় আমাকে ওইসব কথা শুনিয়ে দিয়েছে।।
কিন্তু আমি এ ছাড়া আর কি করবো।।
ওকে যে খারাপ পথ থেকে ভালো পথে আনতে হলে আমাকে ওর সাথে এমন ব্যবহার করতেই হবে।।
কিন্তু এখন হয়তো ও আমার কথা নাও শুনতে পারে, তাহলে আমি কি করবো.?
না যে করেই হোক ওকে আমি ভালো পথে আনবোই।।

কিন্তু ওর সাথে এমন ব্যবহার করলে তো হবে না।। তাহলে এখন আমি কি করবো.?
তানিয়া এইরকম নানান কথা ভাবতেছে ঠিক তখনই তামিমের আম্মু এসে রান্নাঘরে ঢুকলেন।।
রান্নাঘরে ঢুকে তিনি তানিয়ার দিকে তাকাতেই দেখলেন তানিয়া কি যেন ভাবছে।।
তারপর তিনি তানিয়ার কাছে গিয়ে তানিয়ার কাধে হাত রাখলেন।।
হঠাৎ কাধে কারও হাতের স্পর্শ পেয়ে তানিয়া কিছুটা চমকে উঠলো আর ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে পিছনে ফিরে দেখলো তামিমের আম্মু দাঁড়িয়ে আছেন।।
আম্মুঃ কি হয়েছে মামনি কি ভাবছ.?

তানিয়াঃ ককই আম্মু কই কি ভাবছি (কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে)।।
আম্মুঃ আমাকে তো তুমি আম্মু ডাক তাহলে আমি তোমার মা হই।।
মায়ের কাছে সন্তান কোনোকিছু লুকিয়ে রাখতে পারে না।।
মা সন্তানের চেহারা দেখেই সবকিছু বুঝতে পারে।।
এবার বল এতক্ষণ ধরে তুমি কি ভাবছিলে.?
তানিয়াঃ তামিমের আম্মুর দিকে একবার তাকিয়ে কোনোকিছু না বলেই তামিমের আম্মুকে জড়িয়ে ধরলো আর বললো, আসলে বাড়ির কথা খুব মনে পরছে বিশেষ করে আম্মু-আব্বুর কথা (মিথ্যা বললো যাতে তামিমের আম্মু কিছু বুঝতে না পারে)।।

আম্মুঃ এই কথা, তাহলে একদিন চলে যাও তোমার আম্মু-আব্বুর কাছে আর দেখে আস তাদেরকে (তানিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)।।
তানিয়াঃ নাহ এখন না, আরও কিছুদিন পর নাহয় যাব।।
তা ছাড়াও এখানেও তো আমার আরেক আম্মু-আব্বু আছে।। তাদেরকে রেখে কীভাবে যাব.?
আম্মুঃ তাহলে আর ওদের কথা ভেবে চিন্তা করতে হবে না।। কয়েকদিন পর তামিমকে নিয়ে একদিন চলে যেও তোমাদের বাড়িতে কেমন।। আর আমি তো আছিই আমি সবকিছু সামলাতে পারবো এ নিয়ে তোমার কোনো চিন্তা করতে হবে না।।
তানিয়াঃ সত্যিই আম্মু তুমি অনেক ভালো।।

আম্মুঃ আর আমার মেয়েটাও অনেক ভালো বলেই তানিয়ার কপালে একটা চুমু খেলেন।। আচ্ছা তামিমের পড়া শেষ হয়েছে কি.? শেষ হলে এবার নাস্তা খেয়ে নেই, অনেক খুদা লেগেছে।।
তানিয়াঃ জি আম্মু ওর পড়া শেষ, আপনি সবাইকে নাস্তা করার জন্য ডেকে আসেন আমি বরং সবার জন্য নাস্তা নিয়ে টেবিলে রাখছি।।

আম্মুঃ আরে তোমার এইসব করতে হবে না তুমি বরং সবাইকে
তানিয়াঃ না আমি নাস্তা নিব তো নিবই তুমিই সবাইকে গিয়ে বলে ডেকে আস নাস্তা করার জন্য (আসলে তানিয়া এখন চাচ্ছে না নাস্তার জন্য তামিমকে ডাকতে গিয়ে ওর সাথে কথা বলতে)।।
আম্মুঃ আচ্ছা তাহলে আমি সবাইকে ডেকে আসছি তুমি নাস্তা নিয়ে টেবিলে রাখ।।
তারপর তামিমের আম্মু সবাইকে নাস্তা করার জন্য ডেকে গেলেন মানে তামিম আর তামিমের আব্বুকে।।

কিছুক্ষণ পর সবাই ডাইনিং টেবিলে এসে বসলো।। তানিয়া সবাইকে নাস্তা পরিবেশন করে দিল।।
তামিম কিছু না ভেবে নিজের মতো খেতে শুরু করলো কারণ তার অনেক খুদা লেগেছে।।
তামিমের আম্মু খাওয়ার আগে তানিয়াকে নিজের কাছে এসে বসে খেতে বললেন।।
তানিয়াও আর কিছু না বলে তামিমের আম্মুর পাশে গিয়ে বসে নাস্তা খেতে শুরু করলো।।
নাস্তা খাওয়া শেষ হলে সবাই যার যার রুমে চলে গেল।। সবকিছু ধুয়ে তানিয়াও রুমে চলে আসলো।।
রুমে এসে দেখলো তামিম রেডি হচ্ছে হয়তো ভার্সিটিতে যাবে তাই।।
তবুও তানিয়া একবার তামিমকে জিজ্ঞেস করলো।।
তানিয়াঃ ভার্সিটিতে যাচ্ছ নাকি.?

তামিমঃ হুম, আর আমার মানিব্যাগটা দেন।।
তানিয়াঃ কিছু না বলে তামিমের মানিব্যাগটা বের করে তামিমের হাতে দিয়ে দিল।। আমিও ভার্সিটিতে যাব আমার জন্য একটু অপেক্ষা করবা.?
তামিমঃ সরি আমি পারবো না আপনার যাওয়ার হলে আপনি একা যান (কথাটা বলেই তামিম রুম থেকে বেরিয়ে গেল)।।
তানিয়া মন খারাপ করে ফ্রেশ হতে চলে গেল।।
এদিকে তামিম বাসা থেকে বেরিয়ে প্রতিদিনের মতো একটা রিক্সা নিয়ে ভার্সিটি চলে আসলো।।
ভার্সিটিতে এসে রিক্সা ভাড়া মিটিয়ে তামিম তার বন্ধুদের আড্ডায় চলে গেল।।
কিছুক্ষণ পর ক্লাস শুরু হলে সবাই ক্লাসে চলে গেল।।

একে একে সব ক্লাস করে একটা ক্লাস বাকি থাকতে তামিম আর তার বন্ধুরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে ভার্সিটির গেইটের বাহিরে এসে দাঁড়িয়ে রইলো মেয়েদের টিজ করার উদ্দেশ্যে।।
রনিঃ তামিম কিছু টাকা দে সিগারেট নিয়ে আসি।।
তামিমঃ সিগারেটের কথা শুনতেই ওইদিনের কথা মনে পরে গেল, নাহ সিগারেট খাওয়া যাবে না আমি সিগারেট খেয়েছি এটা আম্মু জানতে পারলে এবার সত্যি সত্যি বাসা থেকে বের করে দিবে।।
তোদের খাওয়ার ইচ্ছা হলে তোরা খা আমি খাব না।।
রনিঃ কেন.?
তামিমঃ এমনিই

রনিঃ আচ্ছা তোর খেতে হবে না তুই কিছু টাকা দে বাকিদের জন্য সিগারেট নিয়ে আসি।।
তামিমঃ আচ্ছা এই নে বলেই মানিব্যাগ থেকে ৫০ টাকা বের করে রনির হাতে দিল।।
তারপর রনি চলে গেল সিগারেট আনতে।। কিছুক্ষণ পর সবার জন্য সিগারেট নিয়ে চলে আসলো।।
তামিমের জন্যও এনেছে কিন্তু তামিমকে দিচ্ছে না।।
সবাই লাইটার দিয়ে সিগারেটে আগুন দিয়ে খেতে শুরু করলো।।
তামিমেরও খেতে ইচ্ছা করছে কিন্তু তার আম্মুর ভয়ে খেতে পারছে না।।
তামিমের অবস্থা দেখে সবাই বুঝলো সেও খেতে চায় তাই রনি তাকে জোর করেই একটা সিগারেট ধরিয়ে দিয়ে লাইটার দিয়ে সিগারেটে আগুন ধরিয়ে দিল।।

সবাই তাকে খাওয়ার জন্য জোর করলে একসময় তামিম আর না পেরে সিগারেটে দিল এক টান।। সাথে সাথে তামিমের নেশা উঠে গেল আর সিগারেট টানতে শুরু করলো।।
এর মধ্যে ভার্সিটিও ছুটি হয়ে গিয়েছে আর ভার্সিটি থেকে একে একে অনেক মেয়েরা বেরিয়ে আসছে।। তামিম আর ওর বন্ধুরাও ইতিমধ্যে সবাইকে টিজ করা শুরু করে দিয়েছে, মানে যেই মেয়েই তাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছে সবার মুখে সিগারেটের ধোঁয়া দিচ্ছে।।
হঠাৎ একদল মেয়েদের মধ্যে থেকে একটা বোরকা পরা মেয়ে তামিমের কাছে এসে তার হাত থেকে সিগারেটটা ফেলে দিল।।

তারপর তামিমের হাত ধরে তাকে ওইখান থেকে টেনে সামনে নিয়ে যেতে লাগলো।।
তামিম আর তামিমের বন্ধুরা কিছু বুঝতে না পেরে অবাক চোখে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে।।
তামিমেরও বুঝে আসছে না যে এই মেয়েটা কে যে তাকে এইভাবে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।।
তখন পাশ দিয়ে একটা রিক্সা যাচ্ছিল আর ওই মেয়েটা রিক্সাকে ডাক দিয়ে দাড়াতে বলে নিজে রিক্সায় উঠে তামিমকেও জোর করে রিক্সায় উঠাল।।
তামিম মেয়েটার কণ্ঠ শুনে মনে মনে বললো, 
আরে এটা তো তানিয়ার কন্ঠ, তার মানে কি এই মেয়েটা তানিয়া.?

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com