Breaking News

হঠাৎ বসন্ত । পর্ব -০১



ভাবি রিনি কে দেখে বাবার পছন্দ হয়েছে ?
(” বড় ভাবি নীপার হাতে এগিয়ে দেওয়া পরোটা আর
চায়ের কাপ সমেত স্টিলের প্লেটটা নিজের হাতে ধরে
নিয়ে সেন্টার টেবিলে রাখতে রাখতে নীলের কথাগুলি বলে উঠতেই নীপা
কিছু সময় নীলের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
তারপর বেশ চিন্তা মিশ্রিত কন্ঠস্বরে বলে ওঠে—)
—” তুমি সবে অফিস থেকে এসেছ নীল । পোশাক বদলে হাত মুখ ধুয়ে খাবার টুকু খাও আমি আসছি।
তারপর না হয় সবটুকু বলবো বা রাতে ডিনার টেবিলেই এসব নিয়ে আলোচনা হবে “।
(নীল বেশ অবাকই হল । আর অবাক হওয়ারই তো কথা রিনিকে
এ বাড়িতে তাঁর বৌ করে নিয়ে আনানোর জন্য বড় ভাবি হিসেবে নীপারই তো উৎসাহ
বেশী দেখা গেছে প্রথম থেকে। তবে আজ কেন বড় ভাবির মুখ গম্ভীর?
তবে কী বাবা বা মা কারোরই পছন্দ হয় নি রিনি কে? কিন্তু কেন ?
রিনি তো যথেষ্ট সুন্দরী । শিক্ষিতা, আধুনিকা হলেও উৎশৃঙ্খল নয় ।)
তবে ?” প্রশ্ন গুলো মনে উদয় হতেই বড় ভাবি নীপাকে জিজ্ঞাসা করার
আগেই নীপা ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল দ্রুত ।
আর কী করে সেই মুহূর্তে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে টয়লেটের দিকে
চলে গিয়েছিল নীল অফিসের জামাকাপড় ছেড়ে পরিস্কার হওয়ার জন্য ।

রাতে খাবার টেবিলেই প্রথম কথাটা তুলেছিল বড় ভাই আয়ান ।
—” দেখ নীল রিনি কে নিয়ে আমাদের মানে নীপা বা মা কারো কোনো আপত্তি নেই কিন্তু বাবা
কিছুতেই রাজী হচ্ছেন না। তিনি রিনিকে বিশেষ করে রিনিদের বাড়ি গিয়ে রিনির মা কে
দেখার পর থেকেই হঠাৎ বেঁকে বসেছেন। কিছুতেই এই বিয়ে সম্ভব নয় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন ।
বাবার একটাই কথা রিনি কোনো ভদ্র পরিবারের বউ হওয়ার অনুপযুক্ত ।
আমি, নীপা বা মা সকলেই বাবাকে প্রশ্ন করেছি

—” তুমি এমন কথা বলছো কেন ? রিনির সম্পর্কে তুমি কিছুই তেমন না জেনে এমন মন্তব্য করছো
এতে রিনি তো কষ্ট পাবেই সেই সঙ্গে ওর পরিবার ও কষ্ট পাবে।
” কিন্তু বাবার একটাই কথা তোমরা সব জানলে তোমরাও কখনো রিনি কে এ বাড়িতে
বৌ করে নিয়ে আসার চিন্তা ও করবে না।” আমি তাও খুঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করি বাবাকে
যদি কিছু কারণ জানা যায় । 
কিন্তু তাতে বাবা রেগে গিয়ে আমাকে উল্টো পাল্টা অনেক কথা শুনিয়ে দেন ।
আর তাঁর সঙ্গে এ ও জানিয়ে দেন ওই মেয়ে যদি এ বাড়িতে বৌ হয়ে আসে তিনি এই বাড়ি ত্যাগ করবেন।
এখন তুই বল অমিত আমি, নীপা ,বা মা কী করবো ?
রিনি কে বরং তুই বুঝিয়ে বল বাবার কথা। আর তাতে যদি রিনি বোঝে ভালো আর না
বোঝে আমার মতামত তুই রিনির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে দে। এ ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।
” নীল খাবারের টুকরো মুখে দিয়ে চিবোতে চিবোতে এক প্রকার মন দিয়েই বড় ভাইয়ের আয়ানের কথাগুলি শুনছিলো। কিন্তু সেই সঙ্গে মনে মনে এ প্রশ্ন ও পুনরায় দেখা দিয়ে গেল
–“বাবা কেন রিনিকে তাঁর বৌ করাতে রাজী নন। তবে কী এর পেছনে অন্য গল্প আছে ? কিন্তু যদি কোনো গল্প থেকেই থাকে মা ও তো তা জানবেন। কই মা তো রিনি কে পছন্দ করে ফেলেছেন কিন্তু কেন বাবা করছেন না ?”


চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com